আধুনিক যুগ
সূচনা পর্ব
- আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন – গদ্য সাহিত্যের উদ্ভব (উনিশ শতকে)
- আধুনিক যুগের প্রথম পর্যায় – ১৮০১-১৮৬০ খ্রি.
- বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম মৌলিক গদ্যগ্রন্থ – ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ (রামারাম বসু, ১৮০১)
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
- বাংলা গদ্য সাহিত্যের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে – কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের মাধ্যমে। এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ওয়েলেসলি (১৮০০ খ্রি.)
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রথম অধ্যাপক – উইলিয়াম কেরি।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ লেখক – মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার।
- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পন্ডিতদের অবদান:
ক) উইলিয়াম কেরি – কথোপকথন (১৮০১), ইতিহাসমালা (১৮১২)
খ) রামরাম বসু – রাজাপ্রতাপাদিত্য চরিত্র (১৮০১)
গ) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার – বত্রিশ সিংহাসন
ঘ) গোলকনাথ শর্মা – হিতোপদেশ
ঙ) হরপ্রসাদ রায় – পুরুষ পরীক্ষা
চ) চন্ডীচরণ মুনশি – তোতা ইতিহাস - বাংলা গদ্যরীতিকে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন – রাজা রামমোহন রায়
- বাংলা গদ্যে সর্বপ্রথম যতিচিহ্ন ব্যবহার করেন – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
উপন্যাস সাহিত্য
- আধুনিক সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা – উপন্যাস
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস – প্যারীচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ (১৮৫৮)
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দুর্গেশ নন্দিনী’ (১৮৬৫)
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুন্ডলা’
- বাংলা ভাষার প্রথম ঔপন্যাসিক – প্যারীচাঁদ মিত্র। সার্থক ঔপন্যাসিক – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। মহিলা ঔপন্যাসিক-স্বর্ণকুমারী দেবী এবং মুসলিম ঔপন্যাসিক-মীর মশাররফ হোসেন।
- মুসলমান লেখক রচিত প্রথম উপন্যাস – মীর মশাররফ হোসেনের ‘রত্নবতী’ (১৮৬৯)।
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত উপন্যাস
নাট্যসাহিত্য
- নাটকের অপর নাম – দৃশ্যকাব্য। নাটকের প্রধান অঙ্গ-রঙ্গমঞ্চ। নাটককে বলা হয়-সমাজের দর্পণ (একে মিশ্র শিল্পও বলা হয়)।
- ট্রাজেডি, কমেডি ও ফার্সের মূল পার্থক্য – জীবনানুভূতির গভীরতায়
- নাটকে কাব্যধর্ম প্রাধান্য পেলে তাকে বলে – কাব্যনাট্য
- কাব্যে নাট্যধর্ম প্রাধান্য পেলে তাকে বলে – নাট্যকাব্য
- বাংলা নাটকের প্রথম অভিনয় হয় – ১৭৯৫ সালে কলকাতার ডোমতলায় ‘বেঙ্গল থিয়েটারে’
- বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক নাটক – তারাচরণ শিকদারের ’ভদ্রার্জুন’ (১৮৫২, হাস্যরসাত্মক)।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক – মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘শর্মিষ্ঠা’
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক বিয়োগান্ত নাটক – মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘কৃষ্ণকুমারী’
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক হাস্যরসাত্মক নাটক – মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘পদ্মাবতী’।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাট্যকার – মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
- নীলদর্পণ – নীলদর্পণ নাটকের রচয়িতা দীনবন্ধু মিত্র। এই নাটকটি ইংরেজ নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লেখা। নাটকটির প্রথম ইংরেজি অনুবাদক মাইকেল মধুসূদন দত্ত।নীলদর্পণ নাটক প্রকাশের প্রেক্ষিতে ‘ইন্ডিগো কমিশন’ গঠিত হয়। এটি ১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম নাটক।
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত নাটক
প্রবন্ধ সাহিত্য
- প্রবন্ধ – কোনো বিষয়বস্তু অবলম্বনে রচিত বুদ্ধিবৃত্তিমূলক গদ্যরীতির সাহিত্যকে প্রবন্ধ বলে। বুৎপত্তিগত অর্থে, প্রকৃষ্ট বন্ধনযুক্ত রচনাকেই প্রবন্ধ বলা যেতে পারে। এটি সাহিত্য চর্চার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। প্রবন্ধ সাহিত্যের মাধ্যমে লেখকের মননশীলতা প্রকাশ পায়।
- প্রবন্ধের প্রতিশব্দ – নিবন্ধ, সন্দর্ভ ও রচনা
- প্রবন্ধ সাহিত্যের বিচিত্র রূপ – জীবনচরিত, আত্মচরিত, স্মৃতিকথা, সমালোচনা গ্রন্থ, ইতিহাস গ্রন্থ, ভ্রমণকাহিনী, পত্রসাহিত্য, রম্যরচনা ইত্যাদি।
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম গ্রন্থ দীনেশচন্দ্র সেনের ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ (১৮৯৬)
- সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পালামৌ’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম ভ্রমণকাহিনী।
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ
বাংলা ভাষাবিষয়ক গ্রন্থ
বাংলা সাহিত্যবিষয়ক গ্রন্থ
গল্প সাহিত্য
- বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারা – ছোটগল্প (বাংলা সাহিত্যের কনিষ্ঠতম সন্তান)
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সচেতন ছোটগল্পকার – স্বর্ণকুমারী দেবী
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- প্রথম সার্থক ছোটগল্প – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত গল্পগ্রন্থ
মহাকাব্য
- পৃথিবীতে চার ধরনের জাত মহাকাব্য আছে – রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়াড, ওডেসি।
- হিন্দুদের জাতীয় মহাকাব্য – রামায়ণ (৭ পর্ব বিশিষ্ট আদি মহাকাব্য) ও মহাভারত (১৮ পর্ব বিশিষ্ট সবচেয়ে বড় মহাকাব্য)
- রামায়ণের প্রথম বাংলা অনুবাদক-কৃত্তিবাস ওঝা এবং প্রথম মহিলা অনুবাদক – চন্দ্রাবতী।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি – চন্দ্রাবতী
- মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদক-কবীন্দ্র পরমেশ্বর এবং শ্রেষ্ঠ অনুবাদক – কাশীরাম দাস
- বাংলা সাহিত্যের সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য – অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ (১৮৬১)
- আকারে সবচেয়ে বড় মহাকাব্য – কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যের যে ক্ষেত্রে অবদান ছিল না – মহাকাব্যে
কাব্য সাহিত্য
- বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রাচীন ধারা – কবিতা।
- আধুনিক যুগে বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্য – রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’
- কাব্য সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা – গীতিকবিতা
- আধুনিক বাংলা গীতিকাব্যের প্রথম ও প্রধান কবি – বিহারীলাল চক্রবর্তী
- বাংলা সাহিত্যে আধুনিক কবিতা স্রষ্টাদের মধ্যে প্রধান পাঁচজন – জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বিষ্ণু দে ও অমিয় চক্রবর্তী (এরা ত্রিশের দশকের কবি; এদেরকে আধুনিকবাদী পঞ্চপাণ্ডব বলে)।
- সনেট (Sonnet) অর্থ-চতুর্দশপদী কবিতা (সনেটের জন্ম ইতালিতে)। বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেট রচয়িতা – মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
- সনেটের বৈশিষ্ট্য – সনেটে লাইন সংখ্যা ১৪ টি। সনেট অষ্টক ও ষটক দুই ভাগে বিভক্ত। সনেটে একটি মাত্র ভাবের প্রকাশ থাকে।
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ
মুসলমান গদ্য সাহিত্যিক
- উনিশ শতকের প্রথম মুসলমান গদ্য লেখক – খন্দকার শামসুদ্দিন সিদ্দিকী (গ্রন্থ: উচিত শ্রবণ)
- মুসলমান লেখকগণ গদ্য সাহিত্য রচনা করেন প্রধানত হযরত মুহাম্মদ (স) এর জীবনীভিত্তিক (সীরাত গ্রন্থ)। হযরত মুহাম্মদ (স) এর জীবনী সংক্রান্ত প্রথম গ্রন্থ – মহাপুরুষচরিত (লেখক: গিরিশচন্দ্র সেন)। তিনিই সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআন শরীফের বাংলা অনুবাদ করেন।
বাংলা পত্রিকা ও সাময়িকী
- ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র – বেঙ্গল গেজেট (১৭৮০ সালে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত)
- বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িকপত্র – দিগদর্শন (মাসিক) এবং সমাচার দর্পণ (সাপ্তাহিক)।
- বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র – সম্বাদ প্রভাকর। (সম্পাদক: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত)
- বাংলাদেশ ভূখন্ড থেকে প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র – রংপুর বার্তাবহ
- ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র – ঢাকা প্রকাশ
- ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ এর মুখপত্র – শিখা
- বাংলা সাহিত্যে কথ্যরীতির প্রচলনে গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা – সবুজপত্র
- বাংলাদেশের নারীদের প্রকাশিত প্রথম পত্রিকা – বেগম (সাপ্তাহিক)
- বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের বাহিরে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র – দেশবার্তা (লন্ডন থেকে প্রকাশিত)।
বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত পত্রিকা
ছন্দ:
ছন্দ:
সংস্কৃত ভাষায় ছন্দ শব্দের অর্থ কাব্যের মাত্রা বা ইচ্ছা। ছন্দ শব্দের ব্যাপক অর্থ ‘গতি-সৌন্দর্য। মাত্রা নিয়মের যে বিচিত্রতায় কাব্যের ইচ্ছাটি বিশেষভাবে ধ্বনি-রূপময় হয়ে ওঠে, তাকেই ছন্দ বলে। সাহিত্যের ক্ষেত্রে বলা যায়, ভাষাকে শ্রুতিমধুর করার জন্য সুনিয়মিত ও সুপরিমিতভাবে ধ্বনিবিন্যাস করার বিবিধ প্রণালির নাম ছন্দ।
যতি:
কবিতার পর্ব নির্ণয়ের সময় পাঠকের নিঃশ্বাস পতন ও শ্বাসগ্রহণের স্বাচ্ছন্দ্যকে বিবেচনা করা হয়। কবিতা পাঠের সুবিধার্থে কবিতার প্রতি ছত্রে এক বা একাধিক বিশ্রামস্থান সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ বিশ্রামস্থানকে যতি বলা হয়।
পর্ব:
যতি দ্বারা কবিতার চরণ কতগুলো ধ্বনি সমষ্টিতে বিভক্ত হয়ে যায়। এই খন্ডিত ধ্বনি প্রবাহকে পর্ব বলে। বিভিন্ন ছন্দে নির্দিষ্ট মাত্রার পর্বগুলোকে পূর্ণপর্ব/মূলপর্ব বলে। নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম কিন্তু ছত্রের শেষে উপস্থিত পর্বকে অপূর্ণ পর্ব বলে। নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম কিন্তু ছত্রের প্রারম্ভে বর্তমান পর্বকে অতিপর্ব বলে।
মাত্রা:
অক্ষর উচ্চারণের কাল-পরিমাণকে মাত্রা বলে। এক অক্ষর উচ্চারণের জন্য যে সময় প্রয়োজন সে সময় অনুসারে প্রতিটি অক্ষরের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ছন্দের প্রকৃতিভেদে মাত্রা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
ছন্দের প্রকারভেদ
১. অক্ষরবৃত্ত:
যে ছন্দের পর্বে আদি ও মধ্যবর্তী যুগ্মধ্বনি সংকুচিত ও একমাত্রা হয়, তাকে অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বলে। একে যৌগিক, তানপ্রধান, মিশ্র বা জটিল কলামাত্রিক ছন্দও বলা হয়। এর মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়। যেমন:
“মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই
এই সূর্যকরে এই পুষ্পিত কাননে
জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই।”
চরণগুলোর মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে ৮ + ৬
২. মাত্রাবৃত্ত:
যে ছন্দে যুগ্মধ্বনি সর্বদা বিশ্লিষ্ট ভঙ্গিতে উচ্চারিত হয়ে দুমাত্রার মর্যাদা পায় এবং অযুগ্মধ্বনি একমাত্রা বলে গণনা করা হয়, তাকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ বলে। একে বর্ণবৃত্ত, কলাবৃত্ত বা ধ্বনিপ্রধান ছন্দও বলা হয়। এর মূল পর্ব ৬ মাত্রার হয়। তবে ৪, ৫, ৭, ৮ মাত্রার পর্বও এ ছন্দে পাওয়া যায়। যেমন –
“এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম গাছের তলে
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জালে।”
চরণগুলোর মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে ৬ + ৬ + ৬+ ২
“গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষা
কূলে একা বসে আসি নাহি ভরসা।”
চরণগুলোর মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে ৮ + ৫
৩. স্বরবৃত্ত:
যে ছন্দে প্রত্যেক পর্বের প্রথম শব্দের আদিতে শ্বাসাঘাত পড়ে তাকে স্বরবৃত্ত ছন্দ বলে। এই ছন্দে স্বরের সংখ্যার উপর পর্বের মাত্রা নির্ভরশীল। একে দলবৃত্ত, লৌকিক বা ছড়ার ছন্দও বলা হয়। এর মূল পর্ব ৪ মাত্রার হয়। যেমন:
“বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই।”
চরণগুলোর মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ১
“আবার যদি ইচ্ছা কর আবার আস ফিরে
দুঃখ সুখের ঢেউ খেলানো এই সাগরের তীরে।”
চরণগুলোর মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে ৪ + ৪ + ৪ + ২
বিভিন্ন ছন্দরূপ
গদ্যছন্দ:
পরস্পর ছেদ-বিচ্ছিন্ন চরণ দ্বারা গঠিত, পর্ব বহুত্ব বর্জিত, চরণ দৈর্ঘ্য অর্থানুযায়ী স্বাধীন এবং অন্তমিলহীন ও প্রবহমান যে ছন্দ তাকে গদ্যছন্দ বলা হয়। গদ্যছন্দ যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যের অধিকারী। এই ছন্দ প্রচলিতভাবে অক্ষরবৃত্তের রকমফের মাত্র। যেমন:
“তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনাজালে হে ছলনাময়ী
মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছ নিপুণ হাতে সরল জীবনে।”
অমিত্রাক্ষর ছন্দ:
অমিত্রাক্ষর ছন্দ পয়ার ছন্দভিত্তিক, এতে পঙক্তির শেষে মিল নেই। এই ছন্দ অক্ষরবৃত্ত পয়ার (চতুর্দশ ছন্দবিশেষ) অবলম্বন করেই তৈরি। এই ছন্দে এক পঙক্তিতে বক্তব্য শেষ না হয়ে অন্য পঙক্তিতে গড়িয়ে যায়। এই বৈশিষ্ট্যকে প্রবহমানতা বলে। এর অপর নাম প্রবহমান অক্ষরবৃত্ত ছন্দ। প্রতি চরণে ১৪ মাত্রা, (৮ + ৬) পর্বে বিভক্ত। এই ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত। সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতাগুলো এই ছন্দে লেখা হয়। যেমন:
“সম্মুখ-সমরে পড়ি, বীর চূড়ামণি
বীরবাহু, চলে যবে গেলা যমপুরে।”
চরণগুলোর মাত্রাসংখ্যা যথাক্রমে ৮ + ৬
অলঙ্কার
অলঙ্কার শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ যার দ্বারা ভূষিত করা হয়। কাব্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য যা দ্বারা কাব্যকে সজ্জিত করা হয় তাকে অলঙ্কার বলে। ভাষার অলঙ্কার তার শব্দের ওপর নির্ভরশীল। শব্দের বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে ধ্বনিগত ও অর্থগতভাবে অলঙ্কারকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা: শব্দালঙ্কার ও অর্থালঙ্কার।
শব্দালঙ্কার:
অর্থবহ ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টিকে শব্দ বলা হয়। যে অলঙ্কার ধ্বনির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ও শ্রæতিমধুর করে তাকে শব্দালঙ্কার বলে। শব্দালঙ্কারের মধ্যে অনুপ্রাস, যমক, শ্লেষ, বক্রোক্তি, ধ্বন্যুক্তি ও পুনরুক্তবদাভাস ইত্যাদি প্রধান। যেমন:
“বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী।
কুলায় কাঁপিছে কাতর কপোত।”
অনুপ্রাস:
একই ব্যঞ্জনধ্বনির বাক্যের মধ্যে বারবার ব্যবহার বা একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণ বারবার ধ্বনিত হলে তাকে অনুপ্রাস বলে। যেমন:
‘কাক কালো কোকিল কালো কালো কন্যার কেশ।’
‘ভূলোক দ্যুলোক গোলোক ছাড়িয়া।’
‘গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা
যমক:
একই শব্দ একই ক্রমানুসারে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে একাধিকবার ব্যবহৃত হলে তাকে যমক বলে। যেমন –
‘গুরু কাছে লব গুরু দুখ।
ভারত, ভারত খ্যাত আপনার গুণে।’
শ্লেষ:
একটি শব্দ একবার মাত্র ব্যবহৃত হয়ে বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করলে তাকে শ্লেষ বলে। যেমন –
‘কে বলে ঈশ্বর গুপ্ত ব্যাপ্ত চরাচর
যাহার প্রভায় প্রভা পায় প্রভাকর।’
বক্রোক্তি:
রচনার সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য বক্রতা বা মনোহর ভঙ্গি দ্বারা উক্তি সম্পন্ন হলে তাকে বক্রোক্তি বলে। এখানে বক্তা বলতে চান এক কিন্তু শ্রোতা তাকে বেঁকিয়ে অন্য অর্র্থ করেন। যেমন –
‘গেীরিসেনের আবার টাকার অভাব কী।
এখানে প্রস্রাব করবেন না করলে দিতে হবে টাকা।’
ধ্বন্যুক্তি:
ধ্বনি উচ্চরণে যদি বিষয়বস্তুকে দৃশ্যমান করা যায়, তাকে ধ্বন্যুক্তি বলে। যেমন –
‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
বাজছে বাদল গামুর গুমুর
টাপুর টুপুর গামুর গুমুর
ঝাপুর ঝুপুর ছাপুর ছুপুর।’
পুনরুক্তবদাভাস:
একই চরণে একাধিক একার্থক শব্দ বিভিন্নরূপে ব্যবহৃত হয় কিন্তু বিশ্লেষণে সেই পুনরাবৃত্তির বিভিন্ন অর্থ প্রতীয়মান হয় তাকে পুনরুক্তবদাভাস বলে। যেমন –
‘নিশীথ রাতে একা বসে গান গাই।
তনু দেহটি সাজাব তব আমার আভরণে।’
অর্থালঙ্কার:
যে অলঙ্কার একান্তভাবে শব্দের অর্থের উপর নির্ভর করে তাকে অর্থালঙ্কার বলে। অর্থালঙ্কারকে প্রধানত পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা- সাদৃশ্যমূলক, বিরোধমূলক, শৃঙ্খলামূলক, ন্যায়মূলক, গূঢ়ার্থমূলক।
সাদৃশ্যমূলক:
দুটো বিজাতীয় বস্তুর মধ্যে কোনোরকম ঐক্য, সঙ্গতি কিংবা সাদৃশ্য নির্মাণে যেসব অলঙ্কার প্রয়োগ করা হয়, তাকে সাদৃশ্যমূলক অলঙ্কার বলে। এর মধ্যে উপমা, রূপক, উৎপ্রেক্ষা, ভ্রান্তিমান, অতিশয়োক্তি, সমাসোক্তি ইত্যাদি প্রধান। যেমন-
বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে। আগে পিছে পাঁচটি মেয়ে, পাঁচটি রঙের ফুল।
বিরোধমূলক:
দুটি বস্তুর মধ্যে আপাত বিরোধ যদি কাব্যে চমৎকারিত্ব বা উৎকর্ষের সৃষ্টি করে, তাকে বিরোধমূলক অলঙ্কার বলে। এর মধ্যে বিরোধাভাস, বিভাবনা, বিশেষোক্তি, অসঙ্গতি, বিষম ইত্যাদি প্রধান। যেমন –
সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর। মদ না খেয়েও মাতাল তুমি টাকার গরমে।
শৃঙ্খলামূলক:
কবিতা রচনা করার ক্ষেত্রে এক বাক্যের একটি কাজ অন্য বাক্যের কারণ হয় এবং সেই কারণের কাজ আবার অন্য কারণের কারণ হয় এভাবে উৎকর্ষ শব্দ সবার শেষে বসে, এরূপ অলঙ্কারকে শৃঙ্খলামূলক অলঙ্কার বলে। এর মধ্যে কারণমালা, একাবলী, সার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। যেমন –
আমাদের দেশের অধিকাংশ পুরুষ গৃহপালিত, পত্নীচালিত, মাতৃলালিত।
ন্যায়মূলক:
ন্যায়বাচক উক্তি দিয়ে রচনাকে জোরালো করার চেষ্টা করা হলে তাকে ন্যায়মূলক অলঙ্কার বলে। এর মধ্যে অর্থান্তরন্যাস, কাব্যলিঙ্গ ইত্যাদি প্রধান। যেমন –
তুমি আমায় ভালোবাসো তাইতো আমি কবি।
গূঢ়ার্থমূলক:
যে রচনায় বা বক্তব্যে বাচ্যার্থের আড়ালে অন্য গূঢ়ার্থ লুকায়িত থাকে তাকে গূঢ়ার্থমূলক অলঙ্কার বলে। এর মধ্যে ব্যাজস্তুতি, অপ্রস্তুত, প্রশংসা, সূক্ষ্ম, অর্থাপত্তি, স্বভাবোক্তি, আক্ষেপ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। যেমন –
হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল।
নমুনা প্রশ্ন
১. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্প –
ক) ক্ষুধিত পাষাণ
খ) দেনা পাওনা
গ) পদ্মগোখরা
ঘ) নবকাহিনী
উত্তর: খ
২. মুসলমান লেখক রচিত প্রথম উপন্যাস কোনটি?
ক) কপালকুন্ডলা
খ) রত্নবতী
গ) ঘরে বাইরে
ঘ) উত্তম পুরুষ
উত্তর: খ
৩. ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
ক) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ) প্রমথ চৌধুরী
উত্তর: ক
৪. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
ক) সওগাত
খ) কল্লোল
গ) লাঙ্গল
ঘ) শিখা
উত্তর: ক
৫. ‘লাঙ্গল’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
ক) প্রমথ চৌধুরী
খ) কাজী নজরুল ইসলাম
গ) বেগম রোকেয়া
ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উত্তর: খ
৬. কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়?
ক) বঙ্গদর্শন
খ) দিকদর্শন
গ) ভরতী
ঘ) বিচিত্রা
উত্তর: ক
৭. ‘ তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকাটির সম্পাদক-
ক) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
খ) অক্ষয়কুমার দত্ত
গ) গুরুচরণ রায়
ঘ) কালীপ্রসন্ন ঘোষ
উত্তর: খ
৮. বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম পত্রিকা ‘বাঙ্গাল গেজেট’ কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
ক) ১৭৮০ সালে
খ) ১৮১৮ সালে
গ) ১৮৭২ সালে
ঘ) ১৮৯৯ সালে
উত্তর: খ
৯. সর্বপ্রথম কোন মুসলিম সম্পাদক ‘সমাচার সভারাজেন্দ্র’ পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন?
ক) শেখ আবদুর রহিম
খ) মীর মোশাররফ হোসেন
গ) শেখ আলীমুল্লাহ
ঘ) মো. রেয়াজ উদ্দিন
উত্তর: গ
১০. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কে?
ক) লর্ড ওয়েলেসলি
খ) লর্ড কর্নওয়ালিস
গ) উইলিয়াম কেরি
ঘ) ক্লার্ক মাশম্যান
উত্তর: ক
১১. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ কে?
ক) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
খ) রামরাম বসু
গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ) উইলিয়াম কেরি
উত্তর: ঘ
১২. ফোর্ট উইলিয়াম যুগে সবচেয়ে বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন –
ক) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ) চন্ডীচরণ মুনশি
ঘ) রামরামায়ণ তর্করত্ন
উত্তর: ক
১৩. ‘বত্রিশ সিংহাসন’ কার রচনা –
ক) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের
খ) রামরাম বসুর
গ) রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়ের
ঘ) বিদ্যাসাগরের
উত্তর: ক
১৪. ‘শাশ্বত বঙ্গ’ গ্রন্থটির রচিয়তা কে?
ক) কাজী মোতাহার হোসেন
খ) আবুল হোসেন
গ) কাজী আব্দুল ওদুদ
ঘ) কাজী আনোয়ারুল কাদিও
উত্তর: গ
১৫. ‘রেখাচিত্র’ কার রচনা?
ক) গোলাম মোস্তফা
খ) আবুল ফজল
গ) আবুল মনসুর আহম্মেদ
ঘ) বদরুদ্দিন উমর
উত্তর: খ
১৬. ‘মোস্তফা চরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা –
ক) মুহম্মদ আব্দুল হাই
খ) বরকতুল্লাহ্
গ) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ঘ) মাওলানা আকরম খাঁ
উত্তর: ঘ
১৭. কোনটি হযরত মুহম্মদ (স) এর জীবনী গ্রন্থ?
ক) মরুমায়া
খ) মরুভাস্কর
গ) মরুতীর্থ
ঘ) মরুকুসুম
উত্তর: খ
১৮. ‘মানব মুকুট’ গ্রন্থের রচয়িতা –
ক) মোহাম্মদ আকরম খাঁ
খ) এয়াকুব আলী চৌধুরী
গ) এস ওয়াজেদ আলী
ঘ) মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী
উত্তর: খ
১৯. ‘বিশ্বনবী’ গ্রন্থের রচয়িতা-
ক) গোলাম মোস্তফা
খ) আবুল মনসুর আহমদ
গ) আবুল ফজল
ঘ) মুহম্মদ আবদুল হাই
উত্তর: ক
২০. ‘আলালের ঘরের দুলাল’-
ক) প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস
খ) প্রথম বাংলা উপন্যাস
গ) প্রথম চলিত নকশা
ঘ) প্রথম আখ্যায়িকা
উত্তর: খ
২১. ‘উত্তম পুরুষ’ উপন্যাসের রচয়িতা-
ক) শওকত ওসমান
খ) জহির রায়হান
গ) শহীদুল্লাহ কায়সার
ঘ) রশীদ করিম
উত্তর: ঘ
২২. ‘আনোয়ারা’ উপন্যাসের লেখক কে?
ক) আবদুল ওদুদ
খ) নজিবর রহমান
গ) ইসমাইল হোসেন সিরাজী
ঘ) মোজাম্মেল হক
উত্তর: খ
২৩. ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের রচয়িতা –
ক) গোলাম মোস্তফা
খ) শওকত ওসমান
গ) কাজী ইমদাদুল হক
ঘ) মীর মশাররফ হোসেন
উত্তর: গ
২৪. ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ কোন ধরনের শিল্পকর্ম?
ক) গল্পসংগ্রহ
খ) ভ্রমণকাহিনী
গ) উপন্যাস
ঘ) প্রবাদ সংকলন
উত্তর: গ
২৫. ‘জোহরা’ উপন্যাসের রচয়িতা হলেন –
ক) প্যারীচাঁদ মিত্র
খ) মীর মশাররফ হোসেন
গ) মোজাম্মেল হক
ঘ) কাজী ইমদাদুল হক
উত্তর: গ
২৬. ‘নদী ও নারী’ কার রচনা?
ক) হুমায়ূন আহমেদ
খ) হুমায়ুন আজাদ
গ) হুমায়ুন কবির
ঘ) হুমায়ুন ফরিদ
উত্তর: গ
২৭. ‘ লোকে সিন্ধু’ উপন্যাসের রচয়িতা –
ক) লালন ফকির
খ) হাছন রাজা
গ) ফকির আলমগীর
ঘ) পাগলা কানাই
উত্তর: খ
২৮. ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ গ্রন্থটি কার?
ক) শওকত ওসমান
খ) সেলিম আল দীন
গ) শওকত আলী
ঘ) সৈয়দ শামসুল হক
উত্তর: গ
২৯. ‘বটতলার উপন্যাস’ এর রচয়িতা কে?
ক) রাজিয়া খান
খ) সুফিয়া কামাল
গ) রাবেয়া খাতুন
ঘ) সেলিনা হোসেন
উত্তর: ক
৩০. নাটক কী?
ক) দৃশ্যকাব্য
খ) কাব্যনাট্য
গ) গীতিনাট্য
ঘ) নৃত্যনাট্য
উত্তর: ক
৩১. ট্রাজেডি, কমেডি ও ফার্সের মূল পার্থক্য –
ক) জীবনানুভূতির গভীরতায়
খ) কাহিনির সরলতা ও জটিলতা
গ) দৃষ্টিভঙ্গির সূক্ষ্মতায়
ঘ) ভাষার প্রকারভেদে
উত্তর: ক
৩২. ‘সুবচন নির্বাসনে’ নাটকটি লিখেছেন –
ক) কল্যাণ মিত্র
খ) আবদুল্লাহ আল মামুন
গ) সৈয়দ শামসুল হক
ঘ) সেলিম আল দীন
উত্তর: খ
৩৩. ‘মানচিত্র’ নাটকের রচয়িতা –
ক) তুলসী লাহিড়ী
খ) আনিস চৌধুরী
গ) সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
ঘ) শওকত ওসমান
উত্তর: খ
৩৪. ‘ওরা কদম আলী’ নাটকটির রচয়িতা কে?
ক) মমতাজ উদ্দিন আহমেদ
খ) মামুনুর রশীদ
গ) ইব্রাহিম খলীল
ঘ) ওবায়দুল হক
উত্তর: খ
৩৫. বাংলাদেশে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক কে রচনা করেছেন?
ক) নুরুল মোমেন
খ) আসকার ইবনে শাইখ
গ) মুনীর চৌধুরী
ঘ) সিকান্দার আবু জাফর
উত্তর: ঘ
৩৬. ‘কালবেলা’ নাটকটির লেখক কে?
ক) আনিস চৌধুরী
খ) সাইদ আহমেদ
গ) মুনীর চৌধুরী
ঘ) কল্যাণ মিত্র
উত্তর: খ
৩৭. ‘নবান্ন’ নাটক কে লিখেছেন?
ক) সিকান্দার আবু জাফর
খ) অমৃতলাল বসু
গ) বিজন ভট্টাচার্য
ঘ) নুরুল মোমেন
উত্তর: গ
৩৮. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থের নাম –
ক) বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
খ) বাংলা সাহিত্যের কথা
গ) বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
ঘ) বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
উত্তর: খ
৩৯. ‘বাঙালির ইতিহাস’ বইটির লেখক কে
ক) নীহারঞ্জন রায়
খ) আর সি মজুমদার
গ) অধ্যাপক আব্দুল করীম
ঘ) অধ্যাপক সুনীত
উত্তর: ক
৪০. ‘পারস্য প্রতিভা’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
ক) মাওলানা আকরাম খাঁ
খ) ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ
গ) মুহাম্মদ আব্দুল হাই
ঘ) মোহাম্মদ বরকাতুল্লাহ
উত্তর: ঘ
৪১. কোনটি মোতাহের হোসেন চৌধুরীর রচিত –
ক) সাহিত্য চর্চা
খ) শ্বাশত বঙ্গ
গ) কালের যাত্রার ধ্বনি
ঘ) সংস্কৃতি কথা
উত্তর: ঘ
৪২. ‘বিদায় হজ’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
ক) এস ওয়াজেদ আলী
খ) ইয়াকুব আলী চৌধুরী
গ) মো. লুৎফুর রহমান
ঘ) মো: বরকাতুল্লাহ
উত্তর: ঘ
৪৩. ‘স্বরূপের সন্ধানে’ গ্রন্থের রচয়িতা –
ক) মনিরুজ্জামান
খ) আনিসুজ্জামান
গ) আনিস চৌধুরী
ঘ) আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
উত্তর: খ
৪৪. ‘শাহনামা’ মৌলিক গ্রন্থটি কার?
ক) মালিক জায়সী
খ) ফেরদৌসী
গ) বাহরাম খান
ঘ) দৌলত কাজী
উত্তর: খ
৪৫. কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থটি কোন ধরনের?
ক) কাব্য
খ) মহাকাব্য
গ) ইতিহাস
ঘ) গীতিকাব্য
উত্তর: খ
৪৬. ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ কার লেখা?
ক) সুকুমার রায়
খ) দীনেশচন্দ্র সেন
গ) দক্ষিণারঞ্জন মিত্র
ঘ) লালবিহারী দে
উত্তর: গ
৪৭. ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের রচয়িতা কে?
ক) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
খ) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
গ) আবু জাফর শামসুদ্দিন
ঘ) আল মাহমুদ
উত্তর: খ
৪৮. ‘যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি।’ এ চরণটি কার লেখা?
ক) কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
খ) কাজী নজরুল ইসলাম
গ) সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
ঘ) স্বামী বিবেকানন্দ
উত্তর: ক
৪৯. ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপত্র কোনটি?
ক) ধূমকেতু
খ) শিখা
গ) ঢাকা প্রকাশ
ঘ) ক্রান্তি
উত্তর: খ
৫০. বাংলা গীতিকাব্যের প্রথম ও প্রধান কবি –
ক) রবীন্দ্রনাথ
খ) বিহারীলাল
গ) মোহিতলাল
ঘ) রঙ্গলাল
উত্তর: খ
৫১. বাংলা ছন্দ কত রকমের?
ক) দুই
খ) তিন
গ) চার
ঘ) পাঁচ
উত্তর: খ
৫২. যে ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা চার, তাকে বলা হয় –
ক) স্বরবৃত্ত ছন্দ
খ) পয়ার ছন্দ
গ) মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
ঘ) অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
উত্তর: ক
৫৩. লৌকিক ছন্দ কাকে বলে?
ক) অক্ষরবৃত্তকে
খ) মাত্রাবৃত্তকে
গ) স্বরবৃত্তকে
ঘ) গদ্য ছন্দকে
উত্তর: গ
৫৪. ‘পয়ার’ ছন্দ মধ্যযুগের কোন কাব্যে ব্যবহৃত হতো?
ক) মর্সিয়া কাব্যে
খ) নাথ সাহিত্যে
গ) মঙ্গলকাব্যে
ঘ) বৈষ্ণব পদাবলিতে
উত্তর: গ
৫৫. মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত নতুন ছন্দের নাম কী?
ক) পয়ার
খ) অমিত্রাক্ষর
গ) মাত্রাবৃত্ত
ঘ) অক্ষরবৃত্ত
উত্তর: খ
৫৬. সনেটের কয়টি অংশ?
ক) একটি
খ) দুটি
গ) তিনটি
ঘ) চারটি
উত্তর: খ
৫৭. পৃথিবীর প্রথম সনেট রচনা করেন কে?
ক) শেক্সপিয়ার
খ) মিল্টন
গ) মধুসূদন
ঘ) পেত্রার্ক
উত্তর: ঘ
৫৮. সাহিত্যে অলঙ্কার কয় ধরনের?
ক) ২
খ) ৩
গ) ৪
ঘ) ৫
উত্তর: খ
৫৯. একই বাক্যে ভিন্নজাতীয় কিন্তু সমান গুণবিশিষ্ট দুটি বস্তুর মধ্যকার সাদৃশ্য উল্লখকে কী বলে?
ক) উৎপ্রেক্ষা
খ) রূপক
গ) উপমা
ঘ) অনুপ্রাস
উত্তর: গ
৬০. ‘ছড়া’ কোন ছন্দে রচিত?
ক) মাত্রাবৃত্ত
খ) অক্ষরবৃত্ত
গ) স্বরবৃত্ত
ঘ) অমিত্রাক্ষর
উত্তর: গ
তথ্যসূত্র:
১. মনিরুজ্জামান, বাংলা সাহিত্য : অতীত ও উত্তরকাল (বাংলা একাডেমি, মে ২০০৩)
২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সাহিত্যের স্বরূপ (বৈশাখ ১৩৪৫)
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আধুনিক সাহিত্য (বৈশাখ ১৩১৪)
৪. হুমায়ূন আজাদ, লাল নীল দীপাবলী বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী (১৯৭৬)
৫. ক্ষেত্র গুপ্ত, বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস (কলকাতা ২০০১)
৬. ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্য পরিচয় (কলকাতা ২০০৮)
৭. মাহবুবুল আলম, বাংলা ছন্দের রূপরেখা (খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, ২০০৪)
৮. ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (অগ্নি পাবলিকেশন্স, এপ্রিল ২০০৪)
৯. শামসুজ্জামান খান, সেলিনা হোসেন ও অন্যান্য, চরিতাভিধান (বাংলা একাডেমি, জুন ১৯৮৫)
avana 50 mg
Women on metformin 100 mg should use adequate contraception as it may cause fertility problems.
erectafil 10
triamterene tablets
ivermectin drug
suhagra 150 mg
doxycycline 100 mg tablet cost
internet pharmacy mexico
cost of 10 mg prednisone
how to get prednisone without a prescription