বাংলা সাহিত্যে সৃষ্ট চরিত্র, সাহিত্যের উপজীব্য বিষয়, সাহিত্যকর্মে নামের সাদৃশ্য, বাংলা সাহিত্যের জনক ও পৃষ্ঠপোষক, গুরুত্বপূর্ণ চরণ ও উক্তি, নমুনা প্রশ্ন
বাংলা সাহিত্যে সৃষ্ট চরিত্র
বাংলা সাহিত্যের উপজীব্য বিষয়
সাহিত্যকর্মে নামের সাদৃশ্য
বাংলা সাহিত্যের জনক
বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক
গুরুত্বপূর্ণ চরণ ও উক্তি
মদনমোহনতর্কালঙ্কার
আমার পণ (কবিতা)
-সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।
প্রমথ চৌধুরী
-সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
-ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে।
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
অন্নদামঙ্গল কাব্য
(ঈশ্বরী পাটনীর উক্তি)
-প্রণমিয়া পাটুনী কহিল জোর হাতে
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।
-নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়।
-“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।
-বড়র পিরীতি বালির বাঁধ
ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেক চাঁদ।
চন্ডীদাস
বৈষ্ণব পদাবলি
-শুনহ মানুষ ভাই
সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই।
-সই, কেমনে ধরিব হিয়া?
আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায়
আমার আঙ্গিনা দিয়া।
গগণ হরকরা
লোকসংগীত
(এ গানের কথায় ও সুরে প্রভাবিত হয়ে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আমার সোনার বাংলা’
সংগীতটি রচনা করেন)।
-আমি কোথায় পাবো তারে
আমার মনের মানুষ যে রে।
হারয়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে
দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কপালকুন্ডলা (উপন্যাস)
-পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?
তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?
শেখ ফজলল করিম
স্বর্গ ও নরক (কবিতা)
-কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর!
-সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন
হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।
মুনীর চৌধুরী
রক্তাক্ত প্রান্তর (নাটক)
-মানুষ মরে গলে পচে যায়,
বেঁচে থাকলে বদলায়,
কারণে-অকারণে বদলায়।
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
স্বাধীনতা হীনতায় (কবিতা)
-স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?
দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পড়িবে পায় হে, কে পড়িবে পায়?
রামনিধি গুপ্ত (নিধু বাবু)
টপ্পা গান
-নানান দেশের নানান ভাষা
বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?
আবুল হাসান
একটুখানি (কবিতা)
-একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ ঘটে
ভুল করেছো যারা সবাই ভুক্তভোগী বটে।
একটুখানি বিষের ছোঁয়া মরণ ডেকে আনে
এই দুনিয়ার ভুক্তভোগী সকল মানুষ জানে।
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
দুঃখ বিনা সুখ হয় না (কবিতা)
-কেন পান্থ! ক্ষান্ত হও হেরে দীর্ঘ পথ?
উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
বুঝিবে সে কীসে (কবিতা)
-চিরসুখী জন, ভ্রমে কি কখন
ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে?
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কীসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।
জীবনানন্দ দাশ
বাংলার মুখ (কবিতা)
-বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি,
তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।
আবার আসিব ফিরে (কবিতা)
-আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে।
বনলতা সেন (কবিতা)
-সব পাখি ঘরে আসে- সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।
কালীপ্রসন্ন ঘোষ
পারিব না (কবিতা)
-পারিব না এ কথাটি বলিও না আর
কেন পারিবে না তাহা ভাব এক বার
পার কি না পার কর যতন আবার
এক বারে না পারিলে দেখ শত বার।
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
শহিদ স্মরণে (কবিতা)
-কবিতায় আর কী লিখবো?
যখন বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম- বাংলাদেশ!
রফিক আজাদ
ভাত দে হারামজাদা (কবিতা)
-ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো।
সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
পালামৌ (ভ্রমণকাহিনী)
-বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
-আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য,
তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালি।
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বাতাসে লাশের গন্ধ (কবিতা)
-জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন।
সুফিয়া কামাল
জন্মেছি এই দেশে (কবিতা)
-জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে।
আবদুল হাকিম
নুরনামা (কাব্য)
-যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়
দৃষ্টিপাত (উপন্যাস)
-আধুনিক সভ্যতা দিয়েছে বেগ, নিয়েছে আবেগ।
ফররুখ আহমদ
সাত সাগরের মাঝি (কবিতা)
-দুয়ারে তোমার সাত সাগরের জোয়ার এনেছে ফেনা
তবু জাগলে না? তবু তুমি জাগলে না?
সুকান্ত ভট্টাচার্য
হে মহাজীবন (কবিতা)
-প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
ছাড়পত্র (কবিতা)
-এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
উদ্যোগ (কবিতা)
-বন্ধু তোমার ছাড়ো উদ্বেগ, সুতীক্ষ্ম করো চিত্ত
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।
অতুলপ্রসাদ সেন
বাংলা ভাষা (কবিতা)
-মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
বড় কে? (কবিতা)
-আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়
লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
-মিছা মণি-মুক্তা হেম, স্বদেশের প্রিয় প্রেম
তার চেয়ে রত্ন নাই আর।
-কতরূপ স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি
বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।
স্বামী বিবেকানন্দ
-জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
কোনো এক মাকে (কবিতা)
-মাগো, ওরা বলে, সবার কথা কেড়ে নেবে
তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবে না
বলো, মা তাই কি হয়?
কামিনী রায়
পাছে লোকে কিছু বলে (কবিতা)
-করিতে পারি না কাজ
সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে
পাছে লোকে কিছু বলে।
পরার্থে (কবিতা)
-আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
ধনধান্য পুষ্পেভরা (কবিতা)
-ধনধান্যে পুষ্পেভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।
হাছন রাজা
লোকগীতি
-লোকে বলে বলে রে
ঘরবাড়ি ভালা নাই আমার
কী ঘর বানাইমু আমি শূন্যেরও মাঝার।
লালন শাহ
লোকগীতি
-খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।
ধরতে পারলে মন বেড়ী দিতাম পাখির পায়।
কুসুমকুমারী দাশ
আদর্শ ছেলে (কবিতা)
-আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
জীবনসংগীত (কবিতা)
-মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন
হয়েছে প্রাতঃস্মরণীয়
সেই পথ লক্ষ্য করে, স্বীয় কীর্তি-ধ্বজা ধরে
আমরাও হব বরণীয়।
শামসুর রাহমান
তোমকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা (কবিতা)
-ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে
নতুন নিশানা উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগি¦দিক
এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা।
স্বাধীনতা তুমি (কবিতা)
-স্বাধীনতা তুমি
পিতার কোমল জায়নামাযের উদার জমিন।
স্বাধীনতা তুমি
বাগানের ঘর, কোকিলের গান
বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা।
বর্ণমালা, আমার দুখিনী বর্ণমালা (কবিতা)
-তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো
বর্ণমালা, আমার দুখিনী বর্ণমালা।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
বঙ্গভাষা
-পালিলাম আজ্ঞা সুখে পাইলাম কালে
মাতৃভাষা রূপখানি পূর্ণ মণিজালে।
বঙ্গভূমির প্রতি (কবিতা)
-জন্মিলে মরিতে হবে
অমর কে কোথা কবে?
জসীম উদ্দীন
প্রতিদান (কবিতা)
-আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যে বা আমি বাঁধি তার ঘর
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
কাজী নজরুল ইসলাম
দারিদ্র্য (কবিতা)
-হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান।
-কাটাকুঞ্জে বসি তুই গাঁথিবি মালিকা
দিয়া গেনু ভালে তোর বেদনার টীকা।
গাহি সাম্যের গান (কবিতা)
-গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রাণ (কবিতা)
-মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।
আত্মত্রাণ (কবিতা)
-বিপদে মোরে রক্ষা কর
এ নহে মোর প্রার্থনা,
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
জীবিত ও মৃত (ছোটগল্প)
-কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।
শেষের কবিতা (উপন্যাস)
-গ্রহণ করেছ যত, ঋণী তত করেছ আমায়।
শেষলেখা (কবিতা)
-তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনাজালে, হে ছলনাময়ী।
-মানুষ যা চায় ভুল করে চায়, যা পায় তা চায় না।
সমাপ্তি (ছোটগল্প)
-শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে
উদ্দেশ্য করে
-এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ
মরণে তাই তুমি করে গেলে দান।
দুই বিঘা জমি (কবিতা)
-এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।
-আমি শুনে হাসি, আঁখি জলে ভাসি এই ছিল মোর ঘটে
তুমি মহারাজ, সাধু হলে আজ আমি আজ চোর বটে।
১৪০০ সাল (কবিতা)
-আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহল ভরে।
ন্যায়দন্ড (কবিতা)
-অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
নমুনা প্রশ্ন
১. ‘নদের চাঁদ’ কোন পালাগানের চরিত্র?
ক) দেওয়ানা মদিনা
খ) কাজল রেখা
গ) মহুয়া
ঘ) চন্দ্রাবতী
উত্তর: গ
২. ‘আলালের ঘরের দুলাল’ উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?
ক) নিমচাঁদ
খ) ঠকচাচা
গ) ভাড়–দত্ত
ঘ) নবকুমার
উত্তর: খ
৩. ‘রোহিণী-বিনোদিনী-কিরণময়ী’ কোন গ্রন্থগুচ্ছের চরিত্র?
ক) বিষবৃক্ষ-চতুরঙ্গ-দুইবোন
খ) গৃহদাহ-পথের দাবি-চরিত্রহীন
গ) কৃষ্ণকান্তের উইল-চোখের বালি-চরিত্রহীন
ঘ) দুর্গেশনন্দিনী-যোগাযোগ-চতুরঙ্গ
উত্তর: গ
৪. বিদ্রোহী বধূ ‘জমিলা’ কোন উপন্যাসের চরিত্র?
ক) জননী
খ) পদ্মানদীর মাঝি
গ) লালসালু
ঘ) সারেং বৌ
উত্তর: গ
৫. ‘পথের পাঁচালি’ উপন্যাসে দুই ভাইবোনের নাম কী?
ক) অপু ও শশী
খ) শশী ও কুমুদ
গ) চারু ও দুর্গা
ঘ) অপু ও দুর্গা
উত্তর: ঘ
৬. ‘কবি’ উপন্যাসের চরিত্র-
ক) রমা, রমেশ
খ) নিতাই, বসন
গ) রহমত, খুকী
ঘ) শর্মিলা ও উর্মিলা
উত্তর: খ
৭. ‘কালকেতু’ কোন মঙ্গকাব্যের চরিত্র?
ক) কালিকামঙ্গল
খ) অন্নদামঙ্গল
গ) ধর্মমঙ্গল
ঘ) চন্ডীমঙ্গল
উত্তর: ঘ
৮. ‘অমিত ও লাবণ্য’ চরিত্রদ্বয়ের স্রষ্টা কে?
ক) শরৎচন্দ্র
খ) বঙ্কিমচন্দ্র
গ) রবীন্দ্রনাথ
ঘ) মাইকেল
উত্তর: গ
৯. “আমার স্বপ্ন হোক ফসলের সুষম বন্টন” কোন কবি বলেছেন?
ক) শামসুর রাহমান
খ) সমর সেন
গ) আল মাহমুদ
ঘ) রফিক আজাদ
উত্তর: খ
১০. কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের রচনা কোনটি?
ক) পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।
খ) কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ?
গ) সই, কে শুধাইল শ্যাম নাম।
ঘ) স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়।
উত্তর: খ
১১. ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক, আজ বসন্ত’ চরণটির রচয়িতা –
ক) সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
খ) সুভাষ মুখোপাধ্যায়
গ) বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়
ঘ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তর: খ
১২. ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ উক্তিটি কার?
ক) কামিনী রায়
খ) কুসুমকুমারী দাস
গ) কায়কোবাদ
ঘ) রজনীকান্ত সেন
উত্তর: ক
১৩. ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।’ রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের উক্তি?
ক) আত্মত্রাণ
খ) ন্যায়দন্ড
গ) ১৪০০ সাল
ঘ) কড়ি ও কোমল
উত্তর: ঘ
১৪. লালন শাহ রচিত নয় কোনটি?
ক) আপনার ঘরে বোঝাই সোনা, পরে করে লেনাদেনা।
খ) আমি অপার হয়ে বসে আছি।
গ) আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে।
ঘ) দেখ না মন, ঝকমারি এই দুনিয়াদারী।
উত্তর: গ
১৫. ‘আপনারে বড় বলে বড় সেই নয়,
লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়।’ কোন কবির রচনা?
ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
গ) যতীন্দ্রমোহন বাগচী
ঘ) সুনির্মল বসু
উত্তর: খ
১৬. রূপসী বাংলার কবি কে?
ক) কাজী নজরুল ইসলাম
খ) জীবননান্দ দাশ
গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর: খ
১৭. মুসলিম রেনেসাঁর কবি কে?
ক) ফররুখ আহমদ
খ) কাজী নজরুল ইসলাম
গ) জহির রায়হান
ঘ) কায়কোবাদ
উত্তর: ক
১৮. কাজী নজরুল ইসলামকে কোন ছন্দের জনক বলা হয়?
ক) অক্ষরবৃত্ত
খ) মুক্তছন্দ
গ) মুক্তক মাত্রাবৃত্ত
ঘ) গদ্যছন্দ
উত্তর: গ
১৯. বাংলা ভাষায় বিরাম চিহ্নের প্রচলন করেন কে?
ক) প্রমথ চৌধুরী
খ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তর: গ
২০. বাংলা সাহিত্যের ‘সাহিত্য সম্রাট’ বলা হয় কাকে?
ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ) ঈশ্বরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর: ক
তথ্যসূত্র:
১. হুমায়ূন আজাদ, লাল নীল দীপাবলী বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী (১৯৭৬)
২. ক্ষেত্র গুপ্ত, বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস (কলকাতা ২০০১)
৩. ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্য পরিচয় (কলকাতা ২০০৮)
৪. শামসুজ্জামান খান, সেলিনা হোসেন ও অন্যান্য, চরিতাভিধান (বাংলা একাডেমি, জুন ১৯৮৫)
৫. ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষাশিক্ষা : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০০৪)
৬. ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (অগ্নি পাবলিকেশন্স, এপ্রিল ২০০৪)