বাংলাদেশের ভৌতপরিবেশ (বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ওসীমানা, আবহাওয়া ওজলবায়ু, বিরোধপূর্ণ সীমান্ত, সীমান্তবর্তী স্থান, সমুদ্রসীমা, সমুদ্রসৈকত ও নদ-নদী), নমুনা প্রশ্ন
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা
- পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান: ২০০ ৩৪’ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬০ ৩৮’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮০ ০১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২০ ৪১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে।
- বাংলাদেশ অবস্থিত মূল মধ্যরেখার পূর্ব গোলার্ধে এবং নিরক্ষরেখার উত্তর গোলার্ধে।
- বাংলাদেশের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে ২৩.৫০ কর্কটক্রান্তি রেখা (কুমিল্লা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বরাবর) এবং ৯০০পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা (শেরপুর ও বরগুনা জেলা বরাবর)।
- কর্কট ক্রান্তিরেখা ও দ্রাঘিমা রেখা একত্রিত হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকার প্রতি পাদস্থান চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে।
- বাংলাদেশের আয়তন: ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল।আয়তনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪ তম। দক্ষিণ এশিয়ায় আয়তনে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)
- বাংলাদেশের সীমানা: উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়; পূর্বে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম এবং মিয়ানমার, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিম বঙ্গএবংদক্ষিণে ভারতের আন্দামাননিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও বঙ্গোপসাগর।
- বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার এ দুটি দেশের সীমান্ত রয়েছে।বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পাঁচটি রাজ্যহলো: আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ (সংক্ষেপে: আমিত্রিমেপ)।
- বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলা ৯টি। যথা: মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর চব্বিশপরগণা, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার ও দার্জিলিং।
- বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা ৩২টি। ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের জেলা ৩০টি। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের জেলা ৩টি। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের সাথে ভারত ও মিয়ানমারের কোনো সীমান্ত সংযোগ নেই।
- ভারত ও মায়ানমার উভয় দেশের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা- রাঙামাটি।
- বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী যে জেলার সাথে ভারতের সীমান্ত সংযোগ নেই- বান্দরবান ও কক্সবাজার।
- বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত র্যাডক্লিফ রেখা দ্বারা আলাদা করা হয়। ১৯৫২ সালে ভারত সরকার এই রেখা বরাবর সীমান্ত পিলার বসায়।
- বাংলাদেশ-ভারত অমীমাংসিত সীমান্ত- ২.৫ কি.মি. (ফেনী জেলার মুহুরীর চর এলাকা)
- বাংলাদেশের সর্বমোট সীমারেখা- ৫,১৩৮ কি.মি.
- বাংলাদেশের সর্বমোট স্থলসীমা- ৪,৪২৭ কি.মি.
- বাংলাদেশের সর্বমোট জলসীমা- ৭১১ কি.মি.
- বাংলাদেশ-ভারত সীমা রেখার দৈর্ঘ্য- ৪,১৫৬ কি.মি.
- বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমা রেখার দৈর্ঘ্য- ২৭১ কি.মি.
(সূত্র: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)
ভূ-প্রকৃতির ভিন্নতার কারণে বাংলাদেশের ভৌত পরিবেশকে প্রধানত তিনটি শেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যেমন:
(ক) টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ এর অন্তর্ভুক্ত। টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় এ সকল পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ পাহাড় গুলো বেলে পাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত। এগুলো আসামের লুসাই ও মায়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয়। দক্ষিণ-পূবাঞ্চলের পাহাড় সমূহ রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড় সমূহ সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা অঞ্চলে অবস্থিত।
(খ)প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহ: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি (আয়তন ৯,৩২০ বর্গকি.মি.), টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবংগাজীপুরের ভাওয়াল (আয়তন ৪,১০৩ বর্গকি.মি.) এবংকুমিল্লার জেলার লালমাই ও ময়নামতির উচ্চভূমি (আয়তন ৩৪ বর্গ কি.মি.; উচ্চতা ২১ মিটার) এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এ সকল স্থানের মাটি লালচে ও ধূসরবর্ণের।
(গ) সাম্প্রতিক কালের প্লাবন সমভূমি: সমগ্র বাংলাদেশের প্রায় ৮০% নদী বিধৌত ভূমি এর অন্তর্ভুক্ত।বাংলাদেশের অসংখ্য ছোট-বড় নদী সমতল ভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর এ বন্যার সাথে পরিবাহিত মাটি সঞ্চিত হয়ে প্লাবন সমভূমি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের উত্তর অংশ থেকে উপকূলের দিকে ক্রমনিম্ন এ সমভূমির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গ কি.মি.।প্লাবন সমভূমির মাটির স্তর খুব গভীর এবং ভূমি খুবই উর্বর।উল্লেখ্য,সমুদ্র সমতল থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উচ্চতম জেলা দিনাজপুর (উচ্চতা: ৩৭.৫০ মিটার)।
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু
- বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানকার জলবায়ু ‘ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু’ নামে পরিচিত। উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং শুষ্ক শীতকাল বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
- বাংলাদেশের মোট ঋতু ৬টি। যথা: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। বাংলাদেশের স্বতন্ত্র ঋতু বর্ষা। বাংলাদেশের জলবায়ুকে মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত ও বার্ষিক তাপমাত্রার ভিত্তিতে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত এই তিনটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে।
- বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সে. মি. । বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় সিলেটের লালখানে এবং সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয় নাটোরের লালপুরে। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ২০% হয় গ্রীষ্মকালে এবংবাকি ৮০% হয় বর্ষাকালে।
- বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬০ সেলসিয়াস। শীতকালে ১৭০সে., গ্রীষ্মকালে ২৮০ সে. এবং বর্ষাকালে ২৭০ সেলসিয়াস। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তামপাত্রা রেকর্ড করা হয় নীলফামারীর সৈয়দপুরে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯০৫ সালে দেশের উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুরে সর্বনিম্ন ১০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
- বাংলাদেশের আবহাওয়া স্টেশন ৩৫টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কেন্দ্র ২টি। যথা: ঢাকা ও চট্টগ্রাম।
- বাংলাদেশে ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে ৪টি। যথা: ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট।
বাংলাদেশে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ৪টি। যথা: রাঙামাটির বেতবুনিয়া (প্রথম), গাজীপুরের তালিবাবাদ, ঢাকার মহাখালী ও সিলেট।
বিরোধপূর্ণ সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী স্থান
- বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ অবস্থিত- হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায়। এ দ্বীপের আয়তন ৮ বর্গ কি.মি.।
- দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অন্য নাম- নিউমুর দ্বীপ বা পূর্বাশা দ্বীপ।
- বাংলাদেশ-ভারত সীমানা নির্ধারণকারী নদী- হাড়িয়াভাঙ্গা নদী।
- বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমানা বিভক্তকারী নদী- নাফনদী।
সমুদ্রসীমা ও সমুদ্রসৈকত
- বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের মোট আয়তন ২২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। গড় গভীরতা ২,৬০০ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ৪,৬৯৪ মিটার।
- বঙ্গোপসাগরের একটি খাতের নাম ‘সোয়াচ অব নোগ্রাউন্ড’। এর অপরনাম ‘Ninety East Ridg’ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ৯০০পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার সমান্তরালে একটি নিমজ্জিত পর্বত শ্রেণি।
- বাংলাদেশের মোট সমুদ্র সীমা- ১,১৮,৮১৩ বর্গ কি.মি. ।
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্র সীমার দৈর্ঘ্য – ১২ নটিক্যালমাইল।
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা অর্থাৎ Exclusive Economic Zone (EEZ)-এর দৈর্ঘ্য- ২০০ নটিক্যালমাইল।
- ১ নটিক্যালমাইল = ১.৮৫৩ কিলোমিটার।
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য- ১২০ কি.মি. । এটি বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত।
- কক্সবাজারের ইনানী সৈকত সোনালি বালু ও পরিষ্কার পানির জন্য বিখ্যাত।
- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য- ১৮ কি.মি.
- সূর্য উদয় ওসূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে
- বাংলাদেশ ২০১২ সালে জার্মানির হাম বুর্গে অবস্থিত International Tribunal for the Law of the Sea (ITLOS) এর রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা জয় লাভ করে।
- বাংলাদেশ ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডের হেগশহরে অবস্থিত Permanent Court of Arbitration (PCA) এর রায়ের মাধ্যমে ভারতের সাথে সমুদ্র সীমা জয় লাভ করে।
- সমুদ্রের তীর ঘেঁষা সড়ক পথকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক বলে। বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারে। এর দৈর্ঘ্য হবে ৮০ কিলোমিটার।
নদ-নদী
- বাংলাদশে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৭০০টি নদ-নদী রয়েছে । উপনদী ও শাখা নদীসহ বাংলাদশের মোট নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪,১৪০ কিলোমিটার (সূত্র: বাংলাপিডিয়া)
- নদী ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে জনপদ বিলীন হয়ে যাওয়াকে ‘নদীশিকস্তি’ বলে। আবার ভেঙে যাওয়া জনপদ নদীগর্ভ থেকে জেগে উঠাকে ‘নদীপয়স্তি’ বলে।
- কলকাতাবন্দরকে পলির হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের সীমান্তের প্রায় ১৮ কি.মি. উজানে গঙ্গানদীতে মনোহরপুরের কাছে ১৯৭৪ সালে ‘ফারাক্কাবাধ’ নির্মাণ করা হয়। ফারাক্কা বাধ চালু হয় ১৯৭৫ সালে।
- বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কি.মি. পূর্বে ভারতের মণিপুর রাজ্যের টিপাইমুখ নামক স্থানে বরাক ও তুই ভাই নদীর সংযোগ স্থলে ভারত সরকার একটি বাধ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজশুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন, অভিন্ন নদীর উজানে এই বাধ ভাটির বাংলাদেশের পরিবেশ ও অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
১৯৯৮ সালে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার দোয়ানী নামক স্থানে তিস্তা বাধ নির্মাণ করা হয়। তিস্তা নদীর ভারতীয় অংশে নির্মিত বাধের নাম গজলডোবা বাধ। গজলডোবা বাধটি বাংলাদেশ সীমান্তের ৬০ কি.মি. উজানে জলপাইগুঁড়ি জেলার মালবাজারে নির্মাণ করা হয়।
নমুনা প্রশ্ন
১. বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমা রেখার দৈর্ঘ্য কত?
ক) ২৭০ কি.মি.
খ) ২০০ কি.মি.
গ) ১২০ কি.মি.
ঘ) ২৭১ কি.মি.
উত্তরঃ ঘ
২. বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিম বঙ্গের জেলা নয় কোনটি?
ক) মালদহ
খ) নদীয়া
গ) বাকুড়া
ঘ) দার্জিলিং
উত্তরঃ গ
৩. নিম্নের কোনটি সীমান্তবর্তী জেলা নয়?
ক) চুয়াডাঙ্গা
খ) শেরপুর
গ) ঝিনাইদহ
ঘ) বগুড়া
উত্তরঃ ঘ
৪. ‘গাংনী’ সীমান্ত কোন জেলায় অবস্থিত?
ক) মেহেরপুর
খ) যশোর
গ) কুষ্টিয়া
ঘ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ
উত্তরঃ ক
৫. বাংলাদেশের সর্ব পূর্বের স্থান কোনটি?
ক) মনাকশা
খ) আখাইনঠং
গ) বাংলাবান্ধা
ঘ) ছেঁড়াদ্বীপ
উত্তরঃ খ
৬. চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড় সমূহ কোন পর্বতের অংশ?
ক) আরাকান ইয়োমা
খ) হিমালয়
গ) চিম্বুক
ঘ) কুলাউড়া
উত্তরঃ ক
৭. বরেন্দ্র ভূমির আয়তন কত বর্গ কি.মি.?
ক) ৯৩২০ 0
খ) ৯৮৪৭
গ) ৪১০৩
ঘ) ৮৩২০
উত্তরঃ ক
৮. বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশকারী নদী কোনটি?
ক) কুলিখ
খ) আত্রাই
গ) পুনর্ভবা
ঘ) টাঙন
উত্তরঃ ক
৯. বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয় কত সালে?
ক) ১৯৭৪
খ) ১৯৭৬
গ) ১৯৭২
ঘ) ১৯৭৮
উত্তরঃ গ
১০. মেঘনা নদীর উৎপত্তি স্থল হলো-
ক) সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল
খ) লুসাই পাহাড়
গ) লামারমইভার পর্বত
ঘ) গঙ্গোত্রী হিমবাহ
উত্তরঃ খ
১১. বাঙালি ও যমুনা নদী মিলিত হয়েছে কোথায়?
ক) চাঁদপুরে
খ) বগুড়ায়
গ) গোয়ালন্দে
ঘ) আজমিরিগঞ্জে
উত্তরঃ খ
১২. মহানন্দার উপনদী কোনটি?
ক) পুনর্ভবা
খ) কুমার
গ) আড়িয়ালখাঁ
ঘ) মধুমতি
উত্তরঃ ক
১৩. আরিচা ঘাট কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
ক) যমুনা
খ) মেঘনা
গ) পদ্মা
ঘ) কীর্তনখোলা
উত্তরঃ গ
১৪. পাহাড়ের রানি নামে পরিচিত-
ক) চিম্বুক
খ) চন্দ্রনাথ
গ) গারো
ঘ) তাজিংডং
উত্তরঃ ক
১৫. ‘ভেঙ্গিভ্যালি’ কোথায় অবস্থিত?
ক) খাগড়াছড়ি
খ) রাঙামাটি
গ) কক্সবাজার
ঘ) চট্টগ্রাম
উত্তরঃ খ
১৬. মৎস্য আহরণ ও অতিথি পাখির জন্য বিখ্যাত কোন দ্বীপ?
ক) সোনাদিয়া
খ) সন্দ্বীপ
গ) মহেশখালী
ঘ) নিঝুম
উত্তরঃ ক
১৭. পশ্চিমা বাহিনীর নদী বলা হয়-
ক) ডাকাতিয়া বিল
খ) তামা বিল
গ) চলন বিল
ঘ) ভবদহ বিল
উত্তরঃ ক
১৮. বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম হাওড় ‘বুরবুক’ কোথায় অবস্থিত?
ক) সুনামগঞ্জ
খ) সিলেট
গ) যশোর
ঘ) ভবদহ বিল
উত্তরঃ খ
১৯. বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যের জন্য কোন চর বিখ্যাত?
ক) চর শাহাবানী
খ) চর গজারিয়া
গ) চর কুকড়িমুকড়ি
ঘ) নির্মল চর
উত্তরঃ গ
২০. দুবলার চরের অপর নাম কী?
ক) কটকা পয়েন্ট
খ) জাফর পয়েন্ট
গ) হিরণ পয়েন্ট
ঘ) টাইগার পয়েন্ট
উত্তরঃ খ
২১. শুভলং ঝর্ণা কোথায় অবস্থতি?
ক) রাঙামাটি
খ) বান্দরবান
গ) কক্সবাজার
ঘ) সীতাকুণ্ড
উত্তরঃ ক
২২. ভারতের কোন প্রদেশটির সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত নেই?
ক) মেঘালয়
খ) মিজোরাম
গ) আসাম
ঘ) ঝাড়খণ্ড
উত্তরঃ ঘ
২৩. সিলেট জেলার উত্তরে ভারতের কোন রাজ্য অবস্থিত?
ক) পশ্চিমবঙ্গ
খ) মেঘালয়
গ) আসাম
ঘ) ত্রিপুরা
উত্তরঃ খ
২৪. বাংলাদেশের কোন জেলাটি ভারতের সীমান্তের সাথে নয়?
ক) ময়মনসিংহ
খ) কুষ্টিয়া
গ) দিনাজপুর
ঘ) রংপুর
উত্তরঃ ঘ
২৫. বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য কত?
ক) ২০০ নটিক্যালমাইল
খ) ২৭১ কি.মি.
গ) ৪১৫৬ কি.মি.
ঘ) ৭১১ কি.মি
উত্তরঃ ঘ
২৬. ‘বেড়–বাড়ী’ সীমান্ত কোন জেলায় অবস্থিত?
ক) যশোর
খ) দিনাজপুর
গ) পঞ্চগড়
ঘ) কুড়িগ্রাম
উত্তরঃ গ
২৭. বাংলাদেশের কোন পাহাড়ে ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে?
ক) গারো
খ) চন্দ্রনাথ
গ) কুলাউড়া
ঘ) চিম্বুক
উত্তরঃ গ
২৮. ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার উঁচু ভূমিকে বলা হয় –
ক) বরেন্দ্রভূমি
খ) লালমাইপাহাড়
গ) মধুপুরের গড়
ঘ) ভাওয়াল গড়
উত্তরঃ গ
২৯. কাপ্তাই থেকে প্লাবিত পার্বত্য চট্টগ্রামের উপত্যকা এলাকা –
ক) হালদাভ্যালি
খ) সাঙ্গু ভ্যালি
গ) নাপিতখালিভ্যালি
ঘ) ভেঙ্গি ভ্যালি
উত্তরঃ ঘ
৩০. রাতে নৌ চলাচলের সুবিধার্থে দেশের কোন দ্বীপে পুরানো বাতি ঘর ছিল?
ক) মহেশখালি
খ) কুতুবদিয়া
গ) সোনাদিয়া
ঘ) হাতিয়া
উত্তরঃ খ
৩১. নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম –
ক) নিউমুর
খ) দক্ষিণ শাহবাজপুর
গ) বাউলার চর
ঘ) দুবলার চর
উত্তরঃ গ
৩২. বাংলাদেশের কোন দ্বীপে পর্তুগিজরা বাস করতো?
ক) ছেঁড়াদ্বীপ
খ) ভোলাদ্বীপ
গ) মনপুরাদ্বীপ
ঘ) সন্দ্বীপ
উত্তরঃ গ
৩৩. হিরণপয়েন্ট : সুন্দরবন :: জাফর পয়েন্ট?
ক) কক্সবাজার
খ) সুন্দরবন
গ) ঢাকা
ঘ) চট্টগ্রাম
উত্তরঃ খ
৩৪. ‘নির্মলচর’ কোন জেলায় অবস্থিত?
ক) ভোলা
খ) ফেনী
গ) চট্টগ্রাম
ঘ) রাজশাহী
উত্তরঃ ঘ
৩৫. কোন নদীতে জোয়ার-ভাটা হয় না?
ক) আত্রাই
খ) গোমতী
গ) হালদা
ঘ) কুলিখ
উত্তরঃ খ
৩৬. বাংলাদেশের সব চেয়ে নাব্যনদী কোনটি?
ক) ব্রহ্মপুত্র
খ) মেঘনা
গ) যমুনা
ঘ) কর্ণফুলী
উত্তরঃ খ
৩৭. আরাকান পাহাড় থেকে উৎপন্ন নদী?
ক) কর্ণফুলী
খ) হালদা
গ) সাঙ্গু
ঘ) করতোয়া
উত্তরঃ গ
৩৮. ভৈরব বাজারের নিকট মিলিত নদীদ্বয় –
ক) পদ্মা ও যমুনা
খ) কুশিয়ারা ও সুরমা
গ) পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা
ঘ) বাঙালি ও যমুনা
উত্তরঃ গ
৩৯. শীতলক্ষ্যা নদীর উৎপত্তি হয়েছে –
ক) যমুনা নদী থেকে
খ) ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে
গ) মেঘনা নদী থেকে
ঘ) পদ্মা নদী থেকে
উত্তরঃ খ
৪০. তিস্তা নদী কোন জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
ক) নবাবগঞ্জ
খ) নীলফামারী
গ) কুড়িগ্রাম
ঘ) সিলেট
উত্তরঃ খ
৪১. কুষ্টিয়া কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
ক) গড়াই
খ) আত্রাই
গ) মধুমতি
ঘ) কপোতাক্ষ
উত্তরঃ ক
৪২. ‘আড়িয়ল বিল’ কোন জেলায় অবস্থিত?
ক) সিলেট
খ) যশোর
গ) মুন্সিগঞ্জ
ঘ) খুলনা
উত্তরঃ গ
৪৩. বাংলাদেশে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা কত?
ক) ২৬ ডিগ্রি সে.
খ) ১৭ ডিগ্রি সে.
গ) ২৭ ডিগ্রি সে.
ঘ) ২৮ ডিগ্রি সে.
উত্তরঃ ক
৪৪. পাকশিতে পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত সেতুর নাম কী?
ক) হার্ডিঞ্জব্রিজ
খ) কীন সেতু
গ) লালনশাহ সেতু
ঘ) পাকশি সেতু
উত্তরঃ গ
৪৫. ‘বুড়িমারি’ স্থলবন্দর কোথায়?
ক) লালমনিরহাট
খ) রংপুর
গ) পঞ্চগড়
ঘ) সুনামগঞ্জ
উত্তরঃ ক
৪৬. বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃষি খামার কোথায় অবস্থিত?
ক) ঝিনাইদহ
খ) গাজীপুর
গ) কিশোরগঞ্জ
ঘ) পাবনা
উত্তরঃ ক
৪৭. ধলেশ্বরী নদীর শাখা নদী কোনটি?
ক) শীতলক্ষ্যা
খ) মহানন্দা
গ) হালদা
ঘ) বুড়িগঙ্গা
উত্তরঃ ঘ
৪৮. সুন্দরবনের পশ্চিমে কোন নদী অবস্থিত?
ক) পশুর নদী
খ) হাড়িয়াভাঙ্গা নদী
গ) পায়রানদী
ঘ) রায়মঙ্গল নদী
উত্তরঃ ঘ
৪৯. বাংলাদেশের যে জেলাটির সাথে ভারত-মায়ানমারের সীমান্ত আছে?
ক) বান্দরবন
খ) নোয়াখালী
গ) কক্সবাজার
ঘ) রাঙামাটি
উত্তরঃ ঘ
৫০. ‘আইলাবিল’ কোন জেলায় অবস্থিত?
ক) মৌলভীবাজার
খ) সুনামগঞ্জ
গ) কক্সবাজার
ঘ) চট্টগ্রাম
উত্তরঃ খ
৫১. বন : মরুভুমি :: লোকালয়?
ক) জলাশয়
খ) নির্জন
গ) মরুদ্যান
ঘ) গ্রাম
উত্তরঃ খ
৫২. ‘তারুয়া’ সমুদ্র সৈকত কোথায় অবস্থিত?
ক) কক্সবাজার
খ) চট্টগ্রাম
গ) নোয়াখালী
ঘ) ভোলা
উত্তরঃ ঘ
৫৩. তিন বিঘা করিডোর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
ক) ব্রহ্মপুত্র
খ) তিস্তা
গ) করতোয়া
ঘ) আত্রাই
উত্তরঃ খ
৫৪. পায়রা নদী কোথায় অবস্থিত?
ক) ভোলা
খ) বাগেরহাট
গ) পটুয়াখালি
ঘ) পিরোজপুর
উত্তরঃ গ
৫৫. বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা কত?
ক) ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
খ) ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
গ) ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ঘ) ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
উত্তরঃ ঘ
৫৬. বাংলাদেশের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন থাকে যে মাসে –
ক) জানুয়ারি
খ) এপ্রিল
গ) মার্চ
ঘ) নভেম্বর
উত্তরঃ ক
৫৭. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়?
ক) দক্ষিণ-পশ্চিমে
খ) উত্তর-পূর্বে
গ) উত্তর-পশ্চিমে
ঘ) পূর্ব-দক্ষিণে
উত্তরঃ খ
৫৮. বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তি মামলার রায় হয় –
ক) ৭ জুন ২০১৩
খ) ৭ জুলাই ২০১৪
গ) ১৪ মার্চ ২০১২
ঘ) ১৪ জুন ২০১৪
উত্তরঃ ঘ
৫৯. ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় কবে?
ক) ১৯৭৫ সালে
খ) ১৯৭৮ সালে
গ) ১৯৬৯ সালে
ঘ) ১৯৮৮ সালে
উত্তরঃ ক
৬০. ব্রহ্মপুত্র নদ কোন জেলার ভিতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
ক) লালমনিরহাট
খ) কুড়িগ্রাম
গ) গাইবান্ধা
ঘ) পঞ্চগড়
উত্তরঃ খ
গ্রন্থপঞ্জি:
১. রওশনআরাবেগম, আব্দুলহাইশিকদারপ্রমুখ, ‘মাধ্যমিকসামাজিকবিজ্ঞান’ (জাতীয়শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকবোর্ড, ঢাকা, মার্চ ১৯৯৬)
২. মমতাজউদ্দীনপাটোয়ারী, শওকতআরাবেগমপ্রমুখ‘বাংলাদেশে ও বিশ্বপরিচয়’ (জাতীয়শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকবোর্ড, ঢাকা, অক্টোবর ২০১৩)
৩. সেলিনাশাহজাহান, ড. শেখমো. রেজাউলকরিমপ্রমুখ, ‘ভূগোল ও পরিবেশ’ (জাতীয়শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকবোর্ড, ঢাকা, অক্টোবর ২০১২)
৪. কে. আশরাফুলআলম, ‘বৈশ্বিকপরিবেশেরপ্রাকৃতিকভূগোল’ (পারফেক্টপাবলিকেশন্স, ঢাকা, ২০১৪)
৫. রফিকআহমেদ, ‘আবহাওয়া ও জলবায়ুবিজ্ঞান’ (রাজশাহীবিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯৭)।