BCS Bangla Lecture – 16

সমাস, গুরুত্বপূর্ণ সমাসনির্ণয় ও নমুনা প্রশ্ন

সমাস

সমাস মানে সংক্ষেপ, মিলন ও একাধিক পদের একপদীকরণ। সমাস দ্বারা বাক্য সংক্ষিপ্ত করা হয়। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে। তবে খাঁটি বাংলা সমাসের দৃষ্টান্তও প্রচুর পাওয়া যায়। অর্থ সম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দ এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি বড় শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে। যেমন –

দেশের সেবা = দেশসেবা, বই ও পুস্তক = বইপুস্তক, নেই পরোয়া যার = বেপরোয়া, যিনি জজ তিনি সাহেব = জজসাহেব ইত্যাদি।

বিলাত থেকে ফেরত = বিলাতফেরত। বাক্যটি বিশ্লেষণ করলে আমরা সমাসের বিভিন্ন পদের সন্ধান পাই। যেমন:

ক) বিলাতফেরত – সমস্ত পদ/সমাসবদ্ধ পদ/সমাসনিষ্পন্ন পদ

খ) বিলাত থেকে ফেরত – ব্যাসবাক্য/বিগ্রহবাক্য/সমাসবাক্য

গ) ‘বিলাতফেরত’ সমস্ত পদের ‘বিলাত’ পূর্বপদ এবং ‘ফেরত’ পরপদ/উত্তরপদ/অন্ত্যপদ।

ঘ) সমস্তপদটির অন্তর্গত প্রতিটি পদকে সমস্যমান পদ বলে। ‘বিলাতফেরত’ শব্দে ‘বিলাত’ একটি সমস্যমান পদ ও ‘ফেরত’ একটি সমস্যমান পদ।

সমাসের প্রকারভেদ:

১. প্রধান সমাস ছয় প্রকার: দ্বন্দ্ব, তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বিগু, বহুব্রীহি ও অব্যয়ীভাব।

২. অপ্রধান সমাস: অলুক, প্রাদি, নিত্য, সুপসুপা, একদেশি ও ছদ্মবেশি ইত্যাদি।

৩. অনেক ব্যাকরণবিদ দিগু সমাসকে কর্মধারয় এবং কর্মধারয় সমাসকে তৎপুরুষ সমাসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এ দিক থেকে সমাস প্রধানত চার প্রকার: দ্বন্দ্ব, তৎপুরুষ, বহুব্রীহি ও অব্যয়ীভাব।

দ্বন্দ্ব সমাস

সে সমাসে দুই বা বহুপদ মিলে একপদ হয়, সংযোজক অব্যয় লোপ পায় এবং প্রতিটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্ব›দ্ব সমাস বলে। দ্বন্দ্ব সমাসেপূর্বপদ ও পরপদে সম্বন্ধ বোঝানোর জন্য ব্যাসবাক্যে ‘এবং,ও, আর’ এই তিনটি সংযোজক অব্যয় বসে। যেমন-

জায়া ও পতি = দম্পতি, কায় ও মন ও বাক্য = কায়মনবাক্য, হাট ও বাজার = হাট-বাজার ইত্যাদি।

দ্বন্দ্ব সমাস কয়েক প্রকারে সাধিত হয়। যেমন –

  • মিলনার্থক শব্দযোগে: মা-বাবা, চা-বিস্কুট, মাসি-পিসি, জিন-পরি, দাদা-বৌদি, রাজা-রানি, দাদা-দাদি।
  • বিরোধার্থক শব্দযোগে: দা-কুমড়া, সাপে-নেউলে, অহি-নকুল।
  • বিপরীতার্থক শব্দযোগে: জমা-খরচ, আয়-ব্যয়, ছোট-বড়, লাভ-লোকসান, আকাশ-পাতাল, রোদ-বৃষ্টি, রাত-দিন, হাসি-কান্না।
  • সমার্থক শব্দযোগে: হাট-বাজার, খাতা-পত্র, কল-কারখানা, ঘর-বাড়ি, মোল্লা-মৌলভি, জন-মানব, লজ্জা-শরম, মান-সম্মান।
  • প্রায় সমার্থক/অনুগামী/সহচর শব্দযোগে: কাপড়-চোপড়, পোকা-মাকড়, গাছ-গাছড়া, চাকর-বাকর, সন্তান-সন্ততি, দয়া-মায়া।
  • অঙ্গবাচক শব্দযোগে: হাত-পা, নাক-কান, বুক-পিঠ, মাথা-মুণ্ডু।
  • সংখ্যাবাচক শব্দযোগে:সাত-পাঁচ, নয়-ছয়, উনিশ-বিশ।
  • দুটো সর্বনামযোগে: যা-তা, তুমি-আমি, যথা-তথা, যে-সে।
  • দুটো ক্রিয়াযোগে: দেখা-শোনা, আসা-যাওয়া, চলা-ফেরা।
  • দুটো ক্রিয়া বিশেষণযোগে: ধীরে-সুস্থে, আগে-পাছে, আকারে-ইঙ্গিতে, টেনে-হিঁচড়ে, দেখে-শুনে।
  • দুটো বিশেষণযোগে: ভাল-মন্দ, কম-বেশি, আসল-নকল, বাকি-বকেয়া, উঁচু-নিচু, চেনা-অচেনা।
  • দুটো বিশেষ্যযোগে: কাগজ-কলম, মশা-মাছি, শাক-সবজি, আদব-কায়দা, আইন-আদালত।

দ্বন্দ্ব সমাসের প্রকারভেদ। যথা-

ক) বহুপদী দ্বন্দ:

তিন বা বহুপদে দ্ব›দ্ব সমাস হলে তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব  সমাস বলে। যেমন –

সাহেব-বিবি-গোলাম,

তেল-নুন-লকড়ি,

হাত-পা-নাক-মুখ-চোখ,

টক-ঝাল-মিষ্টি,

ইট-কাঠ-চুন-বালি-সুরকি ইত্যাদি।

খ) একশেষ দ্বন্দ্ব: 

যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্তপদ একটি একক শব্দ হবে এবং বহুবচন হবে তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন –

মানুষ ও মানুষ ও মানুষ = বহুমানুষ,

মানুষ ও মানুষ = দুজন-মানুষ,

নরশ্চ ও নরশ্চ = নরৌ,

নরশ্চ ও নরশ্চ ও নরশ্চ = নরাঃ,

জায়া ও পতি = দম্পতি,

তুমি ও সে ও আমি = আমরা ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, ‘আমরা’একশেষ দ্ব›দ্ব সমাস হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এটি নিত্য সমাসের অন্তর্ভূক্ত।

তৎপুরুষ সমাস

যে সমাসে পূর্বপদের (দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী) বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
তৎপুরুষ সমাসের প্রকারভেদ। যথা –

১. দ্বিতীয়া/কর্ম কারকলোপী তৎপুরুষ: (কে/রে, ব্যাপ্তি); এ সমাসে পূর্বপদটি কর্মপদ হয়। যেমন – দুঃখপ্রাপ্ত, বিপদাপন্ন, ক্ষমতাপ্রাপ্ত, চিরসুখী, ক্ষণস্থায়ী।

২. তৃতীয়া/করণ কারকলোপী তৎপুরুষ: (দ্বারা/দিয়ে/কর্তৃক)। যেমন – মনগড়া, শ্রমলব্ধ, মধুমাখা, স্বর্ণমণ্ডিত, চিনিপাতা, ঢেঁকিছাটা।

৩. চতুর্থী/নিমিত্ত কারকলোপী তৎপুরুষ: পূর্বপদে নিমিত্ত বিভক্তি (কে/রে) অথবা নিমিত্ত অনুসর্গ (নিমিত্ত/উদ্দেশ্য/জন্য) লোপ পায়। যেমন – গুরুভক্তি, দেবদত্ত, বিয়েপাগলা, ডাকমাশুল, বসতবাড়ি, ছাত্রাবাস, আরামকেদারা, সভামঞ্চ।

৪. পঞ্চমী/অপাদান কারকলোপী তৎপুরুষ: (হতে/থেকে/চেয়ে)। যেমন – খাঁচাছাড়া, বিলাতফেরত, স্কুলপালানো, জেলমুক্ত।

৫. ষষ্ঠী/সম্বন্ধ কারকলোপী তৎপুরুষ: (র/এর)। যেমন – রাজপুত্র, চাবাগান, খেয়াঘাট, দেশসেবা, বিড়ালছানা, ফুলবাগান, দলনেতা।

৬. সপ্তমী/অধিকরণ কারকলোপী তৎপুরুষ: (এ/য়/তে); এ সমাসে পরপদের সাথে পূর্বপদের অধিকরণ সম্বন্ধ হয়। যেমন –  গাছপাকা, বস্তাপচা, অকালমৃত্যু, দিবানিদ্রা, রাতকানা, পানিবন্দি।

৭. নঞ তৎপুরুষ: না বোধক অব্যয় (অ, অন, গর, আ, বে, না, ন, নি, নির) পূর্বে বসে এবং সমস্তপদটি বিশেষ্য হয়। যেমন –  অনাচার, অকাতর, অনাদর, অভাব, বেতাল, নাতিদীর্ঘ, আলুনি, নাবালক, গরমিল, নিখুঁত, নিরাশা, বেমানান।

না-বাচক অর্থ ছাড়াও বিশেষ অর্থে নঞ তৎপুরুষ সমাস হয়:

অবিশ্বাস, অযত্ন, অগতি (অভাব অর্থে)
অলৌকিক (ভিন্নতা অর্থে)
অকেশা, অনায়াস (অল্পতা অর্থে)
অসুর, অধর্ম (বিরোধ অর্থে)
অকাল, অসময় (অপ্রশস্ত অর্থে)
অঘাট (মন্দ অর্থে)
অমুসলিম (অন্যত্ব অর্থে)
অব্রাহ্মণ (সাদৃশ্য অর্থে)
অকুমারী (পূর্ণতা অর্থে)

৮. উপপদ তৎপুরুষ: যে পদের পরবর্তী ক্রিয়ামূলের সাথে কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয় সে পদকে উপপদ বলে। অর্থাৎ কোনো শব্দকে বিশ্লেষণ করলে যদি একটি পৃথক শব্দ, একটি ধাতু, এরপর একটি কৃৎ প্রত্যয় পাওয়া যায় সে শব্দকে উপপদ বলা হয়। যেমন – বাস্তুহারা = বাস্তু + হার + আ, খেচর = খ + চর + অ। এখানে ‘বাস্তু, খ’ হলো উপপদ।

উপপদের সাথে কৃদন্ত পদের যে সমাস হয় তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে। এ সমাসে পূর্বপদ বিশেষ্যে ও পরপদ কৃৎপ্রত্যয়ান্ত শব্দ হয়। যেমন –

জলচর (জলে চরে যে), ছেলেধরা (ছেলে ধরে যে), পকেটমার, ছারপোকা, ছাপোষা, পঙ্কজ, ধামাধরা, বর্ণচোরা, গলাকাটা, সত্যবাদী, গণিতজ্ঞ, চিরজীবী, বাস্তুহারা, হিতকর, জলদ, জলধি, গৃহস্ত, ইন্দ্রজিৎ।

কর্মধারয় সমাস

যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। কর্মধারয় সমাস কয়েক প্রকারে সাধিত হয়। যেমন –

ক) (বিশেষণ + বিশেষ্য) = সুন্দরলতা, মহানবী, কদাচার, মহারাজ, নীলপদ্ম, ঝরাপাতা, কাঁচকলা

খ) (বিশেষণ + বিশেষণ) = চালাক-চতুর, আসল-নকল, ভালো-মন্দ

গ) (বিশেষ্য + বিশেষণ) = আলুসিদ্ধ, নরাধম, করল্লাভাজি, মাছভাজা

ঘ) (বিশেষ্য + বিশেষ্য) = জজ সাহেব, পন্ডিতমশাই, গিন্নিমা

কর্মধারয় সমাসের প্রকারভেদ। যেমন –

১. মধ্যপদলোপী কর্মধারয়: ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন-  সিংহাসন (সিংহ চিহ্নিত আসন), সাহিত্যসভা, স্মৃতিসৌধ, জাদুঘর, পদ্মানদী, অষ্টাদশ, হস্তশিল্প, শিক্ষামন্ত্রী, জয়পতাকা, পরিচয়পত্র।

২. উপমান কর্মধারয়: প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে, প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে (যাকে তুলনা করা হয়) বলে উপমেয় আর পরোক্ষ বস্তুটিকে (যার সাথে তুলনা করা হয়) বলে উপমান। উপমান ও উপমেয়ের একটি সাধারণ ধর্ম থাকে। সাধারণ ধর্মবাচক পদের সাথে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।

যেমন – ভ্রমরকৃষ্ণ কেশ। এখানে ভ্রমর উপমান, কেশ উপমেয় এবং কৃষ্ণ সাধারণ ধর্ম। অতএব, ‘ভ্রমরকৃষ্ণ (ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ)’ উপমান কর্মধারয় সমাস। এরূপ – অরুণরাঙা, দুগ্ধধবল, অগ্নিশর্মা, হরিণচপল, ইস্পাতকঠিন, হিমশীতল, তুষারশুভ্র, আকাশনীল, শশব্যস্ত। উল্লেখ্য, উপমান কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদ বিশেষ্য ও পরপদ সাধারণ গুণবাচক বিশেষণ হয়।

৩. উপমিত কর্মধারয়: সাধারণ গুণের নাম উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপমান পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। এ সমাসে উপমেয় পদটি পূর্বে বসে এবং সাধারণ গুণটিকে অনুমান করে নেওয়া হয়।

যেমন – মুখচন্দ্র (মুখ চন্দ্রের ন্যায়) এখানে মুখ উপমেয় ও চন্দ্র উপমান। এরূপ – পুরুষসিংহ, ফুলকুমারী, বাহুলতা, বীরসিংহ, করপল্লব, বউরানি। উল্লেখ্য, উপমান কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ই বিশেষ্য হয়।

৪. রূপক কর্মধারয়: উপমেয় ও উপমানের মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হলে রূপক কর্মধারয় সমাস হয়। এ সমাসে উপমেয় পদটি পূর্বে এবং উপমান পদটি পরে বসে। উল্লেখ্য, রূপক কর্মধারয় সমাসের সমস্তপদে পূর্বপদটি সাধারণত কোনো বস্তু হয় না বরং অভিজ্ঞতা বা ধারণালব্ধ কোনো অবস্তু হয়। যেমন – ক্রোধানল (ক্রোধ রূপ অনল), বিষাদসিন্ধু, মনমাঝি, ভবনদী, জীবনতরী, বিদ্যাসাগর, চন্দ্রমুখ/চাঁদমুখ, মোহনিদ্রা। উল্লেখ্য, এ সমাসের ফলে গঠিত শব্দ বিশেষ্য হয়।

অব্যয়ীভাব সমাস

যে সমাসে পূর্বপদে অব্যয় (উপসর্গ) থাকে এবং অব্যয়ের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। বিভিন্ন অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস গঠিত হয়ে থাকে। যেমন –

অব্যয়অর্থসমস্তপদ
উপসামীপ্যউপকণ্ঠ, উপকূল, উপনগরী
সাদৃশ্যউপগ্রহ, উপবন, উপভাষা
ক্ষুদ্রউপগ্রহ, উপনদী, উপসাগর
অনুবিপসাঅনুক্ষণ
পশ্চাৎঅনুগমন, অনুধাবন
যোগ্যতাঅনুরূপ, অনুপ্রেরণা, অনুগুণ
নিরঅভাবনিরামিষ, নির্জল, নিরুৎসাহ
পর্যন্তআপাদমস্তক, আকণ্ঠ
ঈষৎআনত, আরক্তিম
যথাঅনতিক্রম্যতাযথারীতি, যথাবিধি, যথাসাধ্য
উৎঅতিক্রান্তউদ্বেল, উচ্ছৃঙ্খল
প্রতিবিরোধপ্রতিবাদ, প্রতিকূল
প্রতিনিধিপ্রতিচ্ছবি, প্রতিবিম্ব, প্রতিচ্ছায়া
প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রতিপক্ষ, প্রত্যুত্তর
বিপসাপ্রতিদিন, প্রতিক্ষণ
পরি,
সম
সমগ্রপরিপূর্ণ, সম্পূর্ণ
পর,
প্র
দূরবর্তীপরোক্ষ, প্রপিতামহ

 

দ্বিগু সমাস

সমাহার বা সমষ্টি অর্থে পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে পরপদ বিশেষ্যের সে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে সমাসবদ্ধ পদটি বিশেষ্য হয় এবং পরপদের অর্থের প্রাধান্য থাকে।

যেমন – ত্রিকাল (ত্রি/তিন কালের সমাহার), চৌরাস্তা (চার রাস্তার সমাহার), তেমাথা, তেরনদী, চতুর্ভূজ, সাতসমুদ্র, শতাব্দী, ত্রিফলা, সপ্তাহ, ত্রিপদী ইত্যাদি।

বহুব্রীহি সমাস

যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থের প্রাধান্য না বুঝিয়ে অন্য কোনো অর্থ বা তৃতীয় অর্থের প্রাধান্য বুঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন – ‘গায়েহলুদ, হাতেখড়ি’ এখানে তৃতীয় কোনো অর্থ অর্থাৎ অনুষ্ঠানকে বুঝায়। ‘হলুদ ও খড়ি’ বুঝায় না।

বহুব্রীহি সমাসের প্রকারভেদ। যেমন –

১. সমানাধিকরণ/সাধারণ বহুব্রীহি: পূর্বপদ বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য হয়। যেমন – খোশমেজাজ (খোশ মেজাজ যার), হতশ্রী, উচ্চশির, পীতাম্বর, হৃতসর্বস্ব, মন্দভাগ্য, অল্পবয়সী, হতভাগ্য, নীলকণ্ঠ।

২. ব্যধিকরণ বহুব্রীহি: পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ই বিশেষ্য হয়। যেমন – আশীবিষ (আশীতে বিষ যার), কথাসর্বস্ব, বীণাপাণি। পরপদ কৃদন্ত বিশেষণ হলেও ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়। যেমন – দুকানকাটা, বোঁটাখসা, মুখপোড়া, ছাপোষা, ঠোঁটকাটা।

৩. ব্যতিহার বহুব্রীহি: ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে বা পরস্পর-সাপেক্ষ ক্রিয়ার ভাব প্রকাশে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হয়। এ সমাসে পূর্বপদে ‘আ/ও’ এবং পরপদে ‘ই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন – হাতাহাতি (হাতে হাতে যে যুদ্ধ), কানাকানি, লাঠালাঠি, হাসাহাসি, টানাটানি, খুনোখুনি, কাটাকাটি, রক্তারক্তি, চুলাচুলি।

৪. নঞ বহুব্রীহি: পূর্বপদ না বোধক অব্যয়ের (অ, অন, গর, আ, বে, না, ন, নি, নির) সাথে পরপদ বিশেষ্যের যে সমাস হয় এবং সমস্তপদটি বিশেষণ হয় তাকে নঞ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন – অজ্ঞান (নেই জ্ঞান যার), নির্ভুল, অজানা, নিরুপায়, বেতার, নির্বোধ, অবুঝ, অনন্ত, বেহায়া, বেপরোয়া।

৫. মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি: সমস্তপদে ব্যাসবাক্যের মাঝের পদটি লোপ পায়। যেমন – বিড়ালচোখী (বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যার), মেনিমুখো, মীনাক্ষী, হুতোমচোখী, সোনামুখী।

৬. প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি: সমস্তপদে “আ,এ,ও” এই তিনটি প্রত্যয় বসে। যেমন – একচোখা, ঘরমুখো, নিখরচে।

৭. সহার্থক বহুব্রীহি: সহার্থক পূর্বপদের সাথে বিশেষ্য পরপদের যে সমাস হয় তাকে সহার্থক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন – সবান্ধব (বান্ধবের সহিত বর্তমান), সজল, সশিষ্য, সক্রিয়, সাদর, সবেগ।

৮. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি: পূর্বপদ সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে পরপদ বিশেষ্যের যে সমাস হয় এবং সমস্তপদ বিশেষণ হয় তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন – দশগজি (দশ গজ পরিমাণ যার), চৌচালা (চার চাল আছে যার), পাঁচহাতি, বারহাতি, তেপায়া, ত্রিনয়ন, ত্রিনয়না, দশানন, তেতলা।

৯. নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি: যে বহুব্রীহি সমাস কোনো নিয়মের অধীনে নয়। যেমন – জীবন্মৃত (জীবিত থেকেও যে মৃত), নরপশু (নরাকারের পশু যে), দ্বীপ (দুই দিকে অপ যার), অন্তরীপ (অন্তর্গত অপ যার), পন্ডিতমূর্খ (পন্ডিত হয়েও যে মূর্খ)।

মনে রাখার কৌশল: জীবন্মৃত নরপশু দ্বীপ অন্তরীপ ঘুরে এসেও পূর্বের মত পন্ডিতমূর্খ রইলো।

অপ্রধান সমাস

১. অলুক/অলোপ সমাস: পূর্বপদে বিভক্তি লোপ না পেয়ে যে সমাস হয় তাকে অলুক সমাস বলে। এটা কোনো স্বতন্ত্র সমাস নয়, যে কোনো শ্রেণির সমাস অলুক হতে পারে। তবে দ্বন্দ্ব, তৎপুরুষ ও বহুব্রীহি এই তিন প্রকার সমাসের অলুক প্রধানত দেখা যায়।

  • অলুক দ্বন্দ্ব: মায়ে-ঝিয়ে (মায়ে ও ঝিয়ে), দুধে-ভাতে, দেশে-বিদেশে, আদায়-কাঁচকলায়, কাগজে-কলমে, জলে-স্থলে।
  • অলুক তৎপুরুষ: ঘিয়ে-ভাজা (ঘিয়ে ভাজা), কলে-ছাঁটা, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার ডিম, মাথায় বাড়ি, বানে-ভাসা, হাতের পাঁচ। উল্লেখ্য, ভ্রাতার পুত্র = ভ্রাতুষ্পুত্র (নিপাতনে সিদ্ধ অলুক ষষ্ঠী)।
  • অলুক বহুব্রীহি: গায়েহলুদ (গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে), হাতেখড়ি, মাথায়পাগড়ি, গলায়গামছা, মুখেভাত, হাতেহাঁড়ি, হাতেছড়ি, হাতেবেড়ি, কানেকলম।

২. প্রাদি সমাস: (পূর্বপদ) প্র/পরি/অনু + (পরপদ) কৃদন্ত বিশেষ্য = প্রাদি সমাস। যেমন – প্রবচন = প্র (প্রকৃষ্ট) যে বচন, পরিভ্রমণ, প্রগতি, প্রভাত, অনুতাপ। প্রাদি সমাস ও অব্যয়ীভাব সমাস একই পর্যায়ভুক্ত।

৩. নিত্য সমাস: সমস্যমান পদগুলো নিত্য সমাসবদ্ধ অর্থাৎ একসঙ্গে থাকে এবং ব্যাসবাক্যের দরকার হয় না, তাকে নিত্য সমাস বলে। যেমন – আমরা, বিরানব্বই, কালসাপ, দর্শনমাত্র, গৃহান্তর, গ্রামান্তর।

মনে রাখার কৌশল: আমরা বিরানব্বইটি কালসাপ দর্শনমাত্র গৃহান্তর থেকে গ্রামান্তরে গেলাম।

বি.দ্র.: পরপদ ‘অন্তর’ যুক্ত শব্দ নিত্য সমাস। যেমন – লোকান্তর, ভাষান্তর, বনান্তর, যুগান্তর, কালান্তর ইত্যাদি।

গুরুত্বপূর্ণ সমাসনির্ণয়

অব্যয়ীভাব সমাস


উপকণ্ঠ = কণ্ঠের সমীপে
উপকূল = কূলের সমীপে
উপভাষা = ভাষার সদৃশ
উপবন = বনের সদৃশ
উপগ্রহ = গ্রহের তুল্য
উপশহর = শহরের সদৃশ
উপনদী = নদীর সদৃশ
প্রতিমূর্তি = মূর্তির সদৃশ
প্রতিক্ষণ/অনুক্ষণ = ক্ষণে ক্ষণে
প্রতিদিন = দিন দিন
হররোজ = রোজ রোজ
যথাবিধি = বিধিকে অতিক্রম না করে
যথেষ্ট = ইষ্টকে অতিক্রম না করে
নির্জল = জলের অভাব
নিরামিষ = আমিষের অভাব
আরক্তিম = ঈষৎ রক্তিম
আসমুদ্র = সমুদ্র পর্যন্ত
আসমুদ্রহিমাচল = সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্যন্ত
আমরণ = মরণ পর্যন্ত
অদ্যাবধি = অদ্য পর্যন্ত
যাবজ্জীবন = জীবন পর্যন্ত
উদ্বেল = বেলাকে অতিক্রান্ত
উচ্ছৃঙ্খল = শৃঙ্কলাকে অতিক্রান্ত
প্রতিকূল = বিরুদ্ধ কূল
অনুসরণ = পশ্চাৎ সরণ
গরমিল = মিলের অভাব
অনুরূপ = রূপের যোগ্য
বেহায়া = হায়ার অভাব
প্রত্যহ = অহ অহ


তৎপুরুষ সমাস


১. নঞতৎপুরুষ:


অক্ষত = ন (নয়) ক্ষত
বেআইনি = বে (নয়) আইনি
অপর্যাপ্ত = নয় পর্যাপ্ত
অনভিজ্ঞ = ন অভিজ্ঞ
অকেজো = ন কেজো
নাতিদীর্ঘ = নয় অতি দীর্ঘ
অজানা = নাই জানা
নিখরচা = নাই খরচা
অনাসৃষ্টি = নয় সৃষ্টি
অনুচিত = নয় উচিত


২. উপপদ তৎপুরুষ:


মনোহরিণী = মন হরণ করে যে (নারী)
গৃহস্থ = গৃহে থাকে যে
সর্বহারা = সব হারিয়েছে যে
জলদ = জল দেয় যে
কুম্ভকার = কুম্ভ করে যে
সত্যবাদী = সত্য বলে যে
সর্বনাশ = সর্বনাশ করে যে
ছেলেধরা = ছেলে ধরে যে
বুকভাঙ্গা = বুক ভঙ্গে যাতে
অর্থকরী = অর্থ করা যায় যার দ্বারা
বাজিকর = বাজি করে যে
পাচাটা = পা চাটে যে
স্বর্ণকার = স্বর্ণ করে যে
পকেটমার = পকেট মারে যে
ছা-পোষা = ছা-পোষে যে


৩. দ্বিতীয়া তৎপুরুষ:


পুত্রলাভ = পুত্রকে লাভ
আমকুড়ানো = আমকে কুড়ানো
পৃষ্ঠপ্রদর্শন = পৃষ্ঠকে প্রদর্শন
চিরসুখী = চিরকাল ব্যাপিয়া সুখী
ক্ষণস্থায়ী = ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী
সংখ্যাতীত = সংখ্যাকে অতীত
চিরশত্রæ = চিরদিন ধরে শত্রু
চিরসুন্দর = চিরকাল ব্যাপিয়া সুন্দর
স্বর্গপ্রাপ্ত = স্বর্গকে প্রাপ্ত
সাহায্যপ্রাপ্ত = সাহায্যকে প্রাপ্ত
কলাবেচা = কলাকে বেচা
শোকাতীত = শোককে অতীত


৪. তৃতীয়াতৎপুরুষ:


জ্ঞানশূন্য = জ্ঞান দ্বারা শূন্য
সমবেদনাভরা = সমবেদনা দিয়ে ভরা
স্বভাবসিদ্ধ = স্বভাব দ্বারা সিদ্ধ
ন্যায়সঙ্গত = ন্যায় দ্বারা সঙ্গত
বাকবিতণ্ডা = বাক দ্বারা বিতণ্ডা
বিদ্যাহীন = বিদ্যা দ্বারা হীন
ছায়াশীতল = ছায়া দ্বারা শীতল
রবাহূত = রব দ্বারা আহূত
বজ্রাহত = বজ্র দ্বারা আহত
অস্ত্রোপচার = অস্ত্র দ্বারা উপচার (চিকিৎসা)
বিজ্ঞানসম্মত = বিজ্ঞান দ্বারা সম্মত
ঢেঁকিছোঁটা = ঢেঁকি দ্বারা ছাঁটা
রক্তাক্ত = রক্ত দ্বারা অক্ত (মিশ্রিত)


৫. চতুর্থী তৎপুরুষ:


দেবদত্ত = দেবকে দত্ত
গুরুভক্তি = গুরুকে ভক্তি
বিয়েপাগলা = বিয়ের জন্য (নিমিত্তে) পাগলা
আরামকেদারা = আরামের জন্য কেদারা
শিশুবিভাগ = শিশুদের জন্য বিভাগ
বসতবাটি = বসতের নিমিত্তে বাটি
তপোবন = তপের নিমিত্ত বন
পাঠশালা = পাঠের জন্য শালা


৬. পঞ্চমীতৎপুরুষ:


দেশপলাতক = দেশ থেকে পলাতক
জন্মান্ধ = জন্ম হতে অন্ধ
আগাগোড়া = আগা হতে গোড়া
প্রাণপ্রিয় = প্রাণ হতে প্রিয়
লোকভয় = লোক হতে ভয়
ঋণমুক্ত = ঋণ থেকে মুক্ত
পদচ্যুত = পদ থেকে চ্যুত
স্কুলপালানো = স্কুল হতে পালানো
বন্ধনমুক্ত = বন্ধন হতে মুক্ত
সর্বশ্রেষ্ঠ = সর্ব হতে শ্রেষ্ঠ
স্নাতকোত্তর = স্নাতক থেকে উত্তর


৭. ষষ্ঠীতৎপুরুষ:


কবিগুরু = কবিদের গুরু
ছাগদুগ্ধ = ছাগীর দুগ্ধ
যুদ্ধোত্তর = যুদ্ধের উত্তর
ক্রোড়পত্র = ক্রোড়ের পত্র
গণতন্ত্র = গণের তন্ত্র
জনকণ্ঠ = জনের কণ্ঠ
রাজপথ = পথের রাজা
দূতাবাস = দূতের আবাস
মাঝনদী = নদীর মাঝ
কার্যক্ষতি = কার্যের ক্ষতি
পুষ্পসৌরভ = পুষ্পের সৌরভ
সন্ধ্যাপ্রদীপ = সন্ধ্যার প্রদীপ
গৃহকর্ত্রী = গৃহের কর্ত্রী
খেয়াঘাট = খেয়ার ঘাট


৮. সপ্তমীতৎপুরুষ:


রথারোহণ = রথে আরোহণ
গাছপাকা = গাছে পাকা
দানবীর = দানে বীর
পুঁথিগত = পুথিতে গত
তালকানা = তালে কানা
সত্যাগ্রহ = সত্যে আগ্রহ (নিষ্ঠা)
অকালপক্ব = অকালে পক্ব
মাথাব্যথা = মাথায় ব্যথা
বাকপটু = বাকে পটু
রাতকানা = রাতে কানা


কর্মধারয় সমাস


মহোজন = মহৎ যে জন
রক্তকমল = রক্ত যে কমল
চলচ্চিত্র = চলৎ যে চিত্র
নবযৌবন = নব যে যৌবন
নীলপদ্ম = নীল যে পদ্ম
সুন্দরলতা = সুন্দরী যে লতা
মহাকীর্তি = মহতী যে কীর্তি
কদর্থ = কু যে অর্থ
আলুসিদ্ধ = সিদ্ধ যে আলু
মহাবীর = মহান যে বীর
সুখবর = সু যে খবর
মন্দভাগ্য = মন্দ যে ভাগ্য


১. মধ্যপদলোপী কর্মধারয়:


জ্যোৎস্নারাত = জ্যোৎস্না শোভিত রাত
পলান্ন = পল (মাংস) মিশ্রিত অন্ন
মৌমাছি = মৌ-সঞ্চায়কারী মাছি
জাদুঘর = জাদু (Magic) পরিপূর্ণ ঘর
প্রীতিভোজ = প্রীতি উপলক্ষে ভোজ
সিংহাসন = সিংহ চিহ্নিত আসন
আত্মজীবনী = আত্ম লিখিত জীবনী
ধর্মকার্য = ধর্ম বিহিত কার্য
বৌভাত = বৌ পরিবেশন করা ভাত
রেলগাড়ি = রেলের উপর চলে যে গাড়ি
রাষ্ট্রনীতি = রাষ্ট্র সম্বন্ধীয় নীতি
চিনিকল = চিনি নির্মাণের কল
জীবনবিমা = জীবন নাশের আশঙ্কায় যে বিমা
হাতপাখা = হাতে চালানো পাখা
সাহিত্যসভা = সাহিত্য বিষয়ক সভা
স্মৃতিসৌধ = স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ
মোমবাতি = মোম নির্মিত বাতি
ঘরজামাই = ঘরে আশ্রিত জামাই
মানিব্যাগ = মানি (টাকা) রাখার ব্যাগ
ঘোষণাপত্র = ঘোষণা সম্বলিত যে পত্র


২. উপমান কর্মধারয়:


তুষারশুভ্র = তুষারের ন্যায় শুভ্র
ঘনশ্যাম = ঘনের (মেঘের) ন্যায় শ্যাম
বকধার্মিক = বকের ন্যায় ধার্মিক
হরিণচপল = হরিণের ন্যায় চপল
গজমূর্খ = গজের ন্যায় মূর্খ
কুসুমকোমল = কুসুমের ন্যায় কোমল
অরুণরাঙা = অরুণের ন্যায় রাঙা
কাজলকালো = কাজলের ন্যায় কালো
তুয়ারধবল = তুষারের ন্যায় ধবল
বজ্রকঠোর = বজ্রের ন্যায় কঠোর
প্রস্তরকাঠিন = প্রস্তরের ন্যায় কঠিন
অগ্নিশর্মা = অগ্নির ন্যায় শর্মা
হিমশীতল = হিমের ন্যায় শীতল
শশব্যস্ত = শশকের ন্যায় ব্যস্ত


৩. উপমিত কর্মধারয়:


পুরুষসিংহ = পুরুষ সিংহের ন্যায়
অধরপল্লব = অধর পল্লবের ন্যায়
চরণপদ্ম = চরণ পদ্মের ন্যায়
মুখচন্দ্র = মুখ চন্দ্রের ন্যায়
কথামৃত = কথা অমৃতের ন্যায়
করকমল = কর কমলের ন্যায়
বীরসিংহ = বীর সিংহের ন্যায়
বাহুলতা = বাহুলতার ন্যায়
নরসিংহ = নর সিংহের ন্যায়
ফুলকুমারী = কুমারী ফুলের ন্যায়


৪. রূপক কর্মধারয়:


চন্দ্রমুখ = চন্দ্র রূপ মুখ
মনমাঝি = মন রূপ মাঝি
বিষাদসিন্ধু = বিষাদ রূপ সিন্ধু
ক্রোধানল = ক্রোধ রূপ অনল
সংসারসাগর = সংসার রূপ সাগর
হৃদয়মন্দির = হৃদয় রূপ মন্দির
ভবনদী = ভব (বিশ্বসৃষ্টি) রূপ নদী
পরানপাখি = পরান রূপ পাখি
ক্ষুধানল = ক্ষুধা রূপ অনল
জীবনপ্রদীপ = জীবন রূপ প্রদীপ
শোকসাগর = শোক রূপ সাগর
বিদ্যাসাগর = বিদ্যা রূপ সাগর
সুখসাগর = সুখ রূপ সাগর
মোহনিদ্রা = মোহ রূপ নিদ্রা
জীবনস্রোত = জীবন রূপ স্রোত
জীবনতরী = জীবন রূপ তরী


দ্বন্দ্ব সমাস


দম্পতি = জায়া ও পতি
কায়মনোবাক্য = কায় ও মন ও বাক্য
লাভ-লোকসান = লাভ ও লোকসান
আদিমধ্যান্ত = আদি ও মধ্য ও অন্ত
জন-মানব = জন ও মানব
শীতোষ্ণ = শীত ও উষ্ণ
নরম-গরম = নরম ও গরম
শিক্ষক-ছাত্র = শিক্ষক ও ছাত্র


দ্বিগু সমাস


চতুরঙ্গ = চার অঙ্গের সমাহার
ত্রিপদী = ত্রি পদের সমাহার
সপ্তাহ = সপ্তাহের (দিবস) সমাহার
চৌরাস্তা = চৌ (চারি) রাস্তার মিলন
তেমোহনা = তিন মোহনার মিলন
ত্রিকাল = তিন কালের সমাহার
শতাব্দী = শতাব্দের সমাহার
নবরত্ন = নব রত্নের সমাহার
সপ্তর্ষি = সপ্ত ঋষির সমাহার
ষড়ঋতু = ছয় ঋতুর সমাহার
অষ্টধাতু = অষ্ট ধাতুর সমাহার
পঞ্চবটী = পঞ্চ বটের সমাহার
পঞ্চনদ = পঞ্চ নদের সমাহার


বহুব্রীহি সমাস


মহাত্মা = মহান আত্মা যার
বিপত্নীক  = বিগত পত্নী য়ার
উর্ণনাভ = উর্ণ নাভিতে যার
সহকর্মী = সমান কর্মী যে
নীলবসনা = নীল বসন যার
নদীমাতৃক = নদী মাতা (মাতৃ) যার
বিশ্বমিত্র = বিশ্ব মিত্র যার
সতীর্থ = সমান তীর্থ যার
গৌরাঙ্গ = গৌর অঙ্গ যার
বিচিত্রকর্মা = বিচিত্র কর্ম যার


১. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি:


হতশ্রী = হত হয়েছে শ্রী যার
নীলকণ্ঠ = নীল কণ্ঠ যার
পক্বকেশ= পক্ব কেশ যার


২. ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি:


আশীবিষ = আশীতে বিষ যার
বীণাপাণি = বীণা পাণিতে যার
কথাসর্বস্ব = কথা সর্বস্ব যার
ছাপোষা = ছা পোষা যার


৩. ব্যতিহার বহুব্রীহি:


কানাকানি = কানেকানে যে কথা
কেশাকেশি = কেশে কেশে ধরে যে যুদ্ধ
দেখাদেখি = দেখায় দেখায় যে ক্রিয়া


৪. নঞর্থক বহুব্রীহি:


বেতার = বে (নাই) তার যার
নিষ্কলঙ্ক = নাই কলঙ্ক যার
বিপত্নীক = বিগত পত্নী যার
বেকার = কর্ম নাই যার
নিরক্ষর = অক্ষর জ্ঞান নেই যার
অজানা = না (নয়) জানা যা


৫. মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি:


কমলাক্ষ = কমলের মতো অক্ষি যার
বিড়ালচোখী = বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর
শূর্পণখা = শূর্পের (কুলা) ন্যায় নখ যে নারীর


৬. প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি:


দোটানা = দুই দিকে টান যার
নিখরচে = নেই খরচ যার
অকেজো = কোনো কাজে লাগেনা যা
ঘরমুখো = ঘরের দিকে মুখ যার
দোমনা = দুই দিকে মন যার


৭. সহার্থক বহুব্রীহি:


সক্রিয় = ক্রিয়ার সহিত বর্তমান
সজল = জলের সহিত বর্তমান
সবেগ = বেগের সঙ্গে বর্তমান
সবান্ধব = বান্ধব সহ বর্তমান
সস্ত্রীক = স্ত্রীর সাথে বর্তমান


৮. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি:


দশানন = দশ আনন (মুখ) যার
দশভুজা = দশ ভুজ (হাত) যার
দশগজি = দশ গজি পরিমাণ যা
চৌচালা = চার চাল যে ঘরের
সেতার = সে (তিন) তার যে যন্ত্রের
চারহাতি = চার হাত পরিমাণ যা
তেপায়া = তিন পা বিশিষ্ট যা


নমুনা প্রশ্ন


১. ‘উদ্দেশ্য’ বোঝাতে কোন তৎপুরুষ সমাস হয়?

ক) দ্বিতীয়া তৎপুরুষ

খ) তৃতীয়া তৎপুরুষ

গ) চতুর্থী তৎপুরুষ

ঘ) পঞ্চমী তৎপুরুষ

উত্তরঃ গ


২. ‘অস্ত্রধারী’ কোন সমাসের উদাহরণ?

ক) উপপদ তৎপুরুষ

খ) রূপক কর্মধারয়

গ) ব্যধিকরণ বহুব্রীহি

ঘ) অব্যয়ীভাব

উত্তরঃ ক


৩. সমস্তপদ ভেঙে যে বাক্যাংশ করা হয় তাকে বলে?

ক) সমাস্যমান পদ

খ) জটিল বাক্য

গ) যৌগিক বাক্য

ঘ) বিগ্রহবাক্য

উত্তরঃ ঘ


৪. বিপরীত শব্দযোগে গঠিত দ্বন্ধ সমাস কোনটি?

ক) ধুতি-চাদর

খ) জমা-খরচ

গ) দুধে-ভাতে

ঘ) মাসি-পিসি

উত্তরঃ খ


৫. ‘পদ্মমুখী’ কোন সমাস?

ক) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

খ) উপপদ তৎপুরুষ

গ) মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

ঘ) একশেষ দ্বন্দ

উত্তরঃ গ


৬. ‘বীপসা’ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস কোনটি?

ক) পরোক্ষ

খ) অনুক্ষণ

গ) উপকুল

ঘ) যথারীতি

উত্তরঃ খ


৭. কোনটি সহচর শব্দযোগে গঠিত দ্বন্ধ সমাস?

ক) বর-কনে

খ) পোকা-মাকড়

গ) আকাশ-পাতাল

ঘ) দা-কুমড়া

উত্তরঃ খ


৮. ‘মৃগশিশু’ শব্দটির ব্যাসবাক্য কোনটি?

ক) মৃগীর শিশু

খ) মৃগ রূপ শিশু

গ) মৃগের শিশু

ঘ) মৃগ যে শিশু

উত্তরঃ ক


৯. ‘স্বর্ণমণ্ডিত ’ এটি কোন তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ?

ক) দ্বিতীয়া

খ) তৃতীয়া

গ) পঞ্চমী

ঘ) সপ্তমী

উত্তরঃ খ


১০. ‘আমরণ’ শব্দটি কোন সমাস দ্বারা নিস্পন্ন?

ক) বহুব্রীহি

খ) অব্যয়ীভাব

গ) প্রাদি

ঘ) কর্মধারয়

উত্তরঃ খ


১১. দুটো ক্রিয়া বিশেষণযোগে গঠিত দ্বন্ধ সমাস কোনটি?

ক) দেখা-শোনা

খ) ধীরে-সুস্থে

গ) ভাল-মন্দ

ঘ) আাসল-নকল

উত্তরঃ খ


১২. কোনটি উপমান কর্মধারয় সমাস?

ক) ঘনশ্যাম

খ) চাঁদমুখ

গ) ফুলকপি

ঘ) বীণাপাণি

উত্তরঃ ক


১৩. প্রকৃতপক্ষে ব্যাসবাক্য হয়না কোন সমাসে?

ক) প্রাদি সমাসে

খ) দ্বন্ধ সমাসে

গ) নিত্য সমাসে

ঘ) বহুব্রীহি সমাসে

উত্তরঃ গ


১৪. বিশেষণ পরে বসেছে কোনটিতে?

ক) আলুসিদ্ধ

খ) কদাচার

গ) মহানবী

ঘ) সবগুলোই

উত্তরঃ ক


১৫. ‘প্রগতি’ সমাসবদ্ধ পদটি কোন সমাসের উদাহরণ?

ক) কর্মধারয়

খ) বহুব্রীহি

গ) প্রাদি

ঘ) নিত্য

উত্তরঃ গ


১৬. কোনটি উপপদ তৎপুরুষ সমাস?

ক) ছেলেধরা

খ) পরিভ্রমণ

গ) কলেছাঁটা

ঘ) জ্ঞানশূন্য

উত্তরঃ ক


১৭. ‘অভাব’ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস কোনটি?

ক) প্রতিবাদ

খ) নির্জল

গ) আনত

ঘ) উচ্ছৃঙ্খল

উত্তরঃ খ


১৮. ‘মুখচন্দ্র’ এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?

ক) মুখ ও চন্দ্র

খ) মুখের ন্যায় চন্দ্র

গ) চন্দ্রের ন্যায় মুখ

ঘ) মুখ চন্দ্রের ন্যায়

উত্তরঃ ঘ


১৯. ‘ব্যাপ্তি’ অর্থে কোন তৎপুরুষ সমাস হয়?

ক) দ্বিতীয়া

খ) চতুর্থী

গ) পঞ্চমী

ঘ) ষষ্ঠী

উত্তরঃ ক


২০. ‘পকেটমার’ কী সমাস?

ক) রূপক কর্মধারয়

খ) উপপদ তৎপুরুষ

গ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

ঘ) বহুব্রীহি

উত্তরঃ খ


২১. ‘সেতার’ কোন সমাসের উদাহরণ?

ক) প্রাদি

খ) সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি

গ) উপপদ তৎপুরুষ

ঘ) দ্বিগু

উত্তরঃ খ


২২. কোনটি তৎপুরুষ সমাস?

ক) দশানন

খ) দম্পতি

গ) নীলপদ্ম

ঘ) গাছপাকা

উত্তরঃ ঘ


২৩. ‘সমীপ্য’ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস কোনটি?

ক) উপকূল

খ) উপশহর

গ) উপগ্রহ

ঘ) উপদ্বীপ

উত্তরঃ ক


২৪. নিচের কোনটি দ্ব›দ্ব সমাসের উদাহরণ?

ক) আজকাল

খ) কলাভবন

গ) কর্মফল

ঘ) গণতন্ত্র

উত্তরঃ ক


২৫. ‘বকধার্মিক’ কোন সমাস – 

ক) উপমান কর্মধারয়

খ) উপমিত কর্মধারয়

গ) বহুব্রীহি

ঘ) রূপক কর্মধারয়

উত্তরঃ ক


২৬. ‘শ্বশুরবাড়ি’ কোন সমাস?

ক) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

খ) উপমান কর্মধারয়

গ) ব্যতিহার বহুব্রীহি

ঘ) ষষ্ঠী তৎপুরুষ

উত্তরঃ ঘ


২৭. ‘ঘরে-বাইরে’ কোন সমাস?

ক) অলুক তৎপুরুষ

খ) অলুক বহুব্রীহি

গ) অলুক দ্বন্দ্ব

ঘ) একশেষ দ্বন্দ্ব

উত্তরঃ গ


২৮. কাজলকালো কোন সমাস?

ক) উপমিত কর্মধারয়

খ) ব্যতিহার বহুব্রীহি

গ) উপমান কর্মধারয়

ঘ) ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি

উত্তরঃ গ


২৯. ‘হাটবাজার’ কোন অর্থে দ্ব›দ্ব সমাস?

ক) মিলনার্থে

খ) বিরোধার্থে

গ) সমার্থে

ঘ) বিপরীতার্থে

উত্তরঃ গ


৩০. ‘ফুলকুমারী’ সমাসবদ্ধ পদের ব্যাসবাক্য-

ক) ফুল ও কুমারী

খ) ফুল যে কুমারী

গ) ফুল কুমারী ন্যায়

ঘ) কুমারী ফুলের ন্যায়

উত্তরঃ ঘ


৩১. ‘রক্তকরবী’ সমাসবদ্ধ পদটির যথার্থ ব্যাসবাক্য কী?

ক) রক্তের করবী

খ) রক্তরূপ করবী

গ) রক্ত বর্ণের করবী

ঘ) রক্তমাখা করবী

উত্তরঃ গ


৩২. যে কর্মধারয় সমাসে উপমান ও উপমিতের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়, তাকে কোন সমাস বলে?

ক) রূপক কর্মধারয়

খ) উপমান কর্মধারয়

গ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়

ঘ) উপমিত কর্মধারয়

উত্তরঃ ক


৩৩. কোনটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস নয়?

ক) ঝালমুড়ি

খ) বিড়ালচোখী

গ) সাহিত্যসভা

ঘ) সবগুলোই

উত্তরঃ খ


৩৪. কোনটি রূপক কর্মধারয় সমাস?

ক) অরুণরাঙা

খ) শশব্যস্ত

গ) ফুলকুমারী

ঘ) জীবনপ্রদীপ

উত্তরঃ ঘ


৩৫. ‘পলান্ন’ সমস্তপদটি কোন সমাস দ্বারা নিষ্পন্ন?

ক) বহুব্রীহি

খ) প্রাদি

গ) নিত্য

ঘ) কর্মধারয়

উত্তরঃ ঘ


৩৬. দ্বিগু সমাসে কোন পদের প্রাধান্য থাকে?

ক) পূর্বপদ

খ) পরপদ

গ) উভয়পদ

ঘ) অন্যপদ

উত্তরঃ খ


৩৭. কোনটি দ্বিগু সমাস নয়?

ক) পঞ্চনদ

খ) ত্রিফলা

গ) শতাব্দী

ঘ) চৌচালা

উত্তরঃ ঘ


৩৮. কোনটি সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস?

ক) পীতাম্বর

খ) আশীবিষ

গ) হাসাহাসি

ঘ) ছাপোষা

উত্তরঃ ক


৩৯. কোনটি অন্যটি থেকে ভিন্ন?

ক) বিষাদসিন্ধু

খ) ভ্রমরকৃষ্ণ

গ) পুরুষসিংহ

ঘ) হাতেখড়ি

উত্তরঃ ঘ


৪০. বহুব্রীহি সমাস কোন সমাসের বিপরীত সমাস?

ক) দ্বন্দ্ব

খ) কর্মধারয়

গ) অব্যয়ীভাব

ঘ) দ্বিগু

উত্তরঃ ক


৪১. কোনটি নিত্য সমাসের উদাহরণ?

ক) গৃহান্তর

খ) সেতার

গ) তেপান্তর

ঘ) অন্তরীপ

উত্তরঃ ক


৪২. অলুক ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের দৃষ্টান্ত – 

ক) চাঁদের পাহাড়

খ) ধনাঢ্য

গ) গায়ে পড়া

ঘ) গলায় গামছা

উত্তরঃ ক


৪৩. কোনটি উপমিত কর্মধারয় সমাস?

ক) পদ্মচক্ষু

খ) অরুণরাঙা

গ) সত্যবাদী

ঘ) শশব্যস্ত

উত্তরঃ ক


৪৪. কোনটি নিত্য সমাসের উদাহরণ?

ক) গ্রামান্তর

খ) প্রগতি

গ) প্রতিপক্ষ

ঘ) দোমন

উত্তরঃ ক


৪৫. ‘রাজর্ষি’ কোন সমাসের উদাহরণ?

ক) বহুব্রীহি

খ) প্রাদি

গ) নিত্য

ঘ) কর্মধারয়

উত্তরঃ ঘ


৪৬. যে বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদে বিশেষণ এবং পরপদে বিশেষ্য থাকে তাকে কোন সমাস বলে?

ক) ব্যতিহার বহুব্রীহি

খ) অলুক বহুব্রীহি

গ) সমানাধিকরণ বহুব্রীহি

ঘ) মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

উত্তরঃ গ


৪৭. উপমান কী?

ক) তুলনীয় বস্তু

খ) তুলিত বস্তু

গ) উভয়ই

ঘ) রূপের মতো

উত্তরঃ ক


৪৮. ‘মহারাজ’ এর ব্যাসবাক্য হবে-

ক) মহা যে রাজা

খ) মহান যে রাজা

গ) মহান যে রাজ

ঘ) সবগুলোই

উত্তরঃ ঘ


৪৯. ‘দর্শনমাত্র’ কোন সমাস?

ক) প্রাদি

খ) নিত্য

গ) বহুব্রীহি

ঘ) কর্মধারয়

উত্তরঃ খ


৫০. ‘মুখোমুখি’ শব্দটি কোন সামাসের উদাহরণ?

ক) রূপক কর্মধারয়

খ) উপমান কর্মধারয়

গ) উপমিত কর্মধারয়

ঘ) ব্যতিহার বহুব্রীহি

উত্তরঃ ঘ


তথ্যসূত্র:

১. রফিকুল ইসলাম, পবিত্র সরকার ও মাহবুবুল হক, প্রমিত বাংলা ব্যবহারিক ব্যাকরণ (বাংলা একাডেমি, জানুয়ারি ২০১৪)
২. রফিকুল ইসলাম ও পবিত্র সরকার, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, প্রথম খন্ড (বাংলা একাডেমি, ডিসেম্বর ২০১১)
৩. রফিকুল ইসলাম ও পবিত্র সরকার, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, দ্বিতীয় খন্ড (বাংলা একাডেমি, ডিসেম্বর ২০১১)
৪. মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (ফেব্রুয়ারী  ১৯৮৩)
৫. নির্মল দাশ, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও তার ক্রমবিকাশ (বিশ্বভারতী ২০০০)
৬. কাজী দীন মুহম্মদ ও সুকুমার সেন, অভিনব ব্যাকরণ (ঢাকা ১৯৪৮)
৭. মুহম্মদ আবদুল হাই, ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব (১৯৬৪)
৮. ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষাশিক্ষা : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০০৪)
৯. ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ভাষাবিধি : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও প্রবন্ধ রচনা (আদিল ব্রাদার্স, জানুয়ারি ২০০৯)
১০. ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (অগ্নি পাবলিকেশন্স, এপ্রিল ২০০৪)
১১. ড. মুহম্মদ এনামুল হক ও শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী, ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (বাংলা একাডেমি, স্বরবর্ণ অংশ: ডিসেম্বর ১৯৭৪ ও ব্যঞ্জনবর্ণ অংশ: জুন ১৯৮৪)

4 thoughts to “BCS Bangla Lecture – 16”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *