BCS Geography Lecture – 04

বাংলাদেশের ভৌতপরিবেশ (বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ওসীমানা, আবহাওয়া ওজলবায়ু, বিরোধপূর্ণ সীমান্ত, সীমান্তবর্তী স্থান, সমুদ্রসীমা, সমুদ্রসৈকত ও নদ-নদী), নমুনা প্রশ্ন


বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা


  • পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান: ২০ ৩৪’ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬ ৩৮’ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ০১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২ ৪১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে।

  • বাংলাদেশ অবস্থিত মূল মধ্যরেখার পূর্ব গোলার্ধে এবং নিরক্ষরেখার উত্তর গোলার্ধে।

  • বাংলাদেশের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে ২৩.৫কর্কটক্রান্তি রেখা (কুমিল্লা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বরাবর) এবং ৯০পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা (শেরপুর ও বরগুনা জেলা বরাবর)।

  • কর্কট ক্রান্তিরেখা ও দ্রাঘিমা রেখা একত্রিত হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকার প্রতি পাদস্থান চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে।

  • বাংলাদেশের আয়তন: ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল।আয়তনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪ তম। দক্ষিণ এশিয়ায় আয়তনে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)

  • বাংলাদেশের সীমানা: উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়; পূর্বে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম এবং মিয়ানমার, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিম বঙ্গএবংদক্ষিণে ভারতের আন্দামাননিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও বঙ্গোপসাগর।

  • বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার এ দুটি দেশের সীমান্ত রয়েছে।বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পাঁচটি রাজ্যহলো: আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ (সংক্ষেপে: আমিত্রিমেপ)।

  • বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জেলা ৯টি। যথা: মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর চব্বিশপরগণা, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার ও দার্জিলিং।

  • বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা ৩২টি। ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের জেলা ৩০টি। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের জেলা ৩টি। ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের সাথে ভারত ও মিয়ানমারের কোনো সীমান্ত সংযোগ নেই।

  • ভারত ও মায়ানমার উভয় দেশের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা- রাঙামাটি।

  • বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী যে জেলার সাথে ভারতের সীমান্ত সংযোগ নেই- বান্দরবান ও কক্সবাজার।

  • বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত র‌্যাডক্লিফ রেখা দ্বারা আলাদা করা হয়। ১৯৫২ সালে ভারত সরকার এই রেখা বরাবর সীমান্ত পিলার বসায়।

  • বাংলাদেশ-ভারত অমীমাংসিত সীমান্ত- ২.৫ কি.মি. (ফেনী জেলার মুহুরীর চর এলাকা)

  • বাংলাদেশের সর্বমোট সীমারেখা- ৫,১৩৮ কি.মি.

  • বাংলাদেশের সর্বমোট স্থলসীমা- ৪,৪২৭ কি.মি.

  • বাংলাদেশের সর্বমোট জলসীমা- ৭১১ কি.মি.

  • বাংলাদেশ-ভারত সীমা রেখার দৈর্ঘ্য- ৪,১৫৬ কি.মি.

  • বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমা রেখার দৈর্ঘ্য- ২৭১ কি.মি.

(সূত্র: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)


 

ভূ-প্রকৃতির ভিন্নতার কারণে বাংলাদেশের ভৌত পরিবেশকে প্রধানত তিনটি শেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যেমন:

(ক) টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ এর অন্তর্ভুক্ত। টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় এ সকল পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ পাহাড় গুলো বেলে পাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত। এগুলো আসামের লুসাই ও মায়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয়। দক্ষিণ-পূবাঞ্চলের পাহাড় সমূহ রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড় সমূহ সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা অঞ্চলে অবস্থিত।

 

(খ)প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহ: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি (আয়তন ৯,৩২০ বর্গকি.মি.), টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবংগাজীপুরের ভাওয়াল (আয়তন ৪,১০৩ বর্গকি.মি.) এবংকুমিল্লার জেলার লালমাই ও ময়নামতির উচ্চভূমি (আয়তন ৩৪ বর্গ কি.মি.; উচ্চতা ২১ মিটার) এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এ সকল স্থানের মাটি লালচে ও ধূসরবর্ণের।

 

(গ) সাম্প্রতিক কালের প্লাবন সমভূমি: সমগ্র বাংলাদেশের প্রায় ৮০% নদী বিধৌত ভূমি এর অন্তর্ভুক্ত।বাংলাদেশের অসংখ্য ছোট-বড় নদী সমতল ভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর এ বন্যার সাথে পরিবাহিত মাটি সঞ্চিত হয়ে প্লাবন সমভূমি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের উত্তর অংশ থেকে উপকূলের দিকে ক্রমনিম্ন এ সমভূমির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গ কি.মি.।প্লাবন সমভূমির মাটির স্তর খুব গভীর এবং ভূমি খুবই উর্বর।উল্লেখ্য,সমুদ্র সমতল থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উচ্চতম জেলা দিনাজপুর (উচ্চতা: ৩৭.৫০ মিটার)।

বাংলাদেশের
দিকভিত্তিক অবস্থান (সর্ব)
স্থানউপজেলাজেলা
উত্তরজায়গীরজোততেঁতুলিয়াপঞ্চগড়
দক্ষিণপঞ্চগড়টেকনাফকক্সবাজার
পূর্বআখানইঠংথানচিবান্দরবান
পূশ্চিমমনাকশাশিবগঞ্জচাঁপাইনবাবগঞ্জ

 


বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু


  • বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন। মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এখানকার জলবায়ু ‘ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু’ নামে পরিচিত। উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং শুষ্ক শীতকাল বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য।

  • বাংলাদেশের মোট ঋতু ৬টি। যথা: গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। বাংলাদেশের স্বতন্ত্র ঋতু বর্ষা। বাংলাদেশের জলবায়ুকে মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত ও বার্ষিক তাপমাত্রার ভিত্তিতে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত এই তিনটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে।

  • বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সে. মি. । বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় সিলেটের লালখানে এবং সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয় নাটোরের লালপুরে। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ২০% হয় গ্রীষ্মকালে এবংবাকি ৮০% হয় বর্ষাকালে।

  • বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬ সেলসিয়াস। শীতকালে ১৭সে., গ্রীষ্মকালে ২৮ সে. এবং বর্ষাকালে ২৭ সেলসিয়াস। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তামপাত্রা রেকর্ড করা হয় নীলফামারীর সৈয়দপুরে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯০৫ সালে দেশের উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুরে সর্বনিম্ন ১সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

  • বাংলাদেশের আবহাওয়া স্টেশন ৩৫টি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কেন্দ্র ২টি। যথা: ঢাকা ও চট্টগ্রাম।

  • বাংলাদেশে ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে ৪টি। যথা: ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট।

বাংলাদেশে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ৪টি। যথা: রাঙামাটির বেতবুনিয়া (প্রথম), গাজীপুরের তালিবাবাদ, ঢাকার মহাখালী ও সিলেট।

বাংলাদেশের উষ্ণতমমাসএপ্রিল
স্থাননাটোরের লালপুর
জেলারাজশাহী

 

বাংলাদেশের শীতলতমমাসজানুয়ারি
স্থানশ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
জেলারাজশাহী

 


বিরোধপূর্ণ সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী স্থান


  • বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ অবস্থিত- হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায়। এ দ্বীপের আয়তন ৮ বর্গ কি.মি.।

  • দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপের অন্য নাম- নিউমুর দ্বীপ বা পূর্বাশা দ্বীপ।

  • বাংলাদেশ-ভারত সীমানা নির্ধারণকারী নদী- হাড়িয়াভাঙ্গা নদী।

  • বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমানা বিভক্তকারী নদী- নাফনদী।

বিরোধপূর্ণ সীমান্তঅবস্থান
মুহুরীর চর, বিলোনিয়াফেনী
নয়াদ্বীপ, বাঁশবাড়িয়াসাতক্ষীরা
রৌমারী, বড়াইবাড়ী, দইখাতাকুড়িগ্রাম
নয়াগ্রাম, জৈন্তাপুরসিলেট
নির্মল চররাজশাহী
লাঠিটিলামৌলভীবাজার
মংডুবান্দরবান
চর ফরিদনাফনদী, কক্সবাজার

 

জেলার নামসীমান্তবর্তী স্থান
কুড়িগ্রামকলাবাড়ি, ভুরুঙ্গামারী, ইতালামারী, ভন্দরচর, রাজিবপুর, রৌমারী, বড়াইবাড়ী
লালমনির হাটহাতিবান্ধা, পাটগ্রাম, দহগ্রাম, বুড়িমারী
নীলফামারীচিলাহাটী
দিনাজপুরহিলি, বিরল, ফুলবাড়ি, বিরামপুর
রাজশাহীপবা, চারগ্রাম, গোদাগাড়ি
চাঁপাইনবাবগঞ্জসোনামসজিদ,শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট
কুষ্টিয়াভেড়ামারা
মেহেরপুরমুজিবনগর, গাংনী
যশোরবেনাপোল, শর্শা, ঝিকড়গাছা
ময়মনসিংহহালুয়াঘাট
শেরপুরনলিতাবাড়ি
সিলেটতামাবিল, জৈন্তাপুর, পাদুয়া, প্রতাপপুর, গোয়াইনঘাট,জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, সোনারহাট
মৌলভীবাজারবড়লেখা, ডোমাবাড়ি
কুমিল্লাচৌদ্দগ্রাম, বিবিরবাজার, বুড়িচং
ফেনীবিলোনিয়া, মুহুরীগঞ্জ, ফুলগাজী
খাগড়াছড়িপানছড়ি
কক্সবাজারউখিয়া
সাতক্ষীরাকুশখালি, বৈকারী, কলারোয়া, পদ্মশাখরা, দেবহাটা, কালীগঞ্জ
ঠাকুরগাঁওবালিয়াডাঙ্গা, হরিপুর
জয়পুরহাটচেঁচড়া

 


সমুদ্রসীমা ও সমুদ্রসৈকত


  • বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের মোট আয়তন ২২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। গড় গভীরতা ২,৬০০ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ৪,৬৯৪ মিটার।

  • বঙ্গোপসাগরের একটি খাতের নাম ‘সোয়াচ অব নোগ্রাউন্ড’। এর অপরনাম ‘Ninety East Ridg’ বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ৯০০পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার সমান্তরালে একটি নিমজ্জিত পর্বত শ্রেণি।

  • বাংলাদেশের মোট সমুদ্র সীমা- ১,১৮,৮১৩ বর্গ কি.মি. ।

  • বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্র সীমার দৈর্ঘ্য – ১২ নটিক্যালমাইল।

  • বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা অর্থাৎ Exclusive Economic Zone (EEZ)-এর দৈর্ঘ্য- ২০০ নটিক্যালমাইল।

  • ১ নটিক্যালমাইল = ১.৮৫৩ কিলোমিটার।

  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য- ১২০ কি.মি. । এটি বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত।

  • কক্সবাজারের ইনানী সৈকত সোনালি বালু ও পরিষ্কার পানির জন্য বিখ্যাত।

  • কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য- ১৮ কি.মি.

  • সূর্য উদয় ওসূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়- কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে

  • বাংলাদেশ ২০১২ সালে জার্মানির হাম বুর্গে অবস্থিত International Tribunal for the Law of the Sea (ITLOS) এর রায়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা জয় লাভ করে।

  • বাংলাদেশ ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডের হেগশহরে অবস্থিত Permanent Court of Arbitration (PCA) এর রায়ের মাধ্যমে ভারতের সাথে সমুদ্র সীমা জয় লাভ করে।

  • সমুদ্রের তীর ঘেঁষা সড়ক পথকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক বলে। বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারে। এর দৈর্ঘ্য হবে ৮০ কিলোমিটার।

সমুদ্রসৈকতঅবস্থান
কুয়াকাটাপটুয়াখালি
পতেঙ্গাচট্টগ্রাম
কটকাবাগেরহাট
ইনানী, লাবণীকক্সবাজার
তারুয়াভোলা

 


নদ-নদী


  • বাংলাদশে ছোট-বড়  মিলে প্রায় ৭০০টি নদ-নদী রয়েছে । উপনদী ও শাখা নদীসহ বাংলাদশের মোট নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪,১৪০ কিলোমিটার (সূত্র: বাংলাপিডিয়া)

  • নদী ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে জনপদ বিলীন হয়ে যাওয়াকে ‘নদীশিকস্তি’ বলে। আবার ভেঙে যাওয়া জনপদ নদীগর্ভ থেকে জেগে উঠাকে ‘নদীপয়স্তি’ বলে।

  • কলকাতাবন্দরকে পলির হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের সীমান্তের প্রায় ১৮ কি.মি. উজানে গঙ্গানদীতে মনোহরপুরের কাছে ১৯৭৪ সালে ‘ফারাক্কাবাধ’ নির্মাণ করা হয়। ফারাক্কা বাধ চালু হয় ১৯৭৫ সালে।

  • বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কি.মি. পূর্বে ভারতের মণিপুর রাজ্যের টিপাইমুখ নামক স্থানে বরাক ও তুই ভাই নদীর সংযোগ স্থলে ভারত সরকার একটি বাধ নির্মাণ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজশুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন, অভিন্ন নদীর উজানে এই বাধ ভাটির বাংলাদেশের পরিবেশ ও অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

১৯৯৮ সালে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার দোয়ানী নামক স্থানে তিস্তা বাধ নির্মাণ করা হয়। তিস্তা নদীর ভারতীয় অংশে নির্মিত বাধের নাম গজলডোবা বাধ। গজলডোবা বাধটি বাংলাদেশ সীমান্তের ৬০ কি.মি. উজানে জলপাইগুঁড়ি জেলার মালবাজারে নির্মাণ করা হয়।

বাংলাদেশের দীর্ঘতম ও বৃহত্তম নদব্রহ্মপুত্র
বাংলাদেশের প্রশস্ততম, দীর্ঘতম, গভীরতম ও সবচেয়ে নব্যনদীমেঘনা (৬৬৯ কি.মি.)
বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম নদী (পঞ্চগড় জেলায় অবস্থিত)গোবরা (৪ কি.মি.)
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদী৫৭টি
বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীর সংখ্যা৫৪টি
বাংলাদেশ-মায়ানমার অভিন্ন নদীর সংখ্যা৩টি
বাংলাদেশ-মায়ানমার ৩টি অভিন্ননদীনাফ (৫৬ কি.মি.), সাঙ্গু ও মাতামুহুরী
বাংলাদেশে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশে সমাপ্ত নদী হলোশংখ ও হালদা
বাংলাদেশে উৎপত্তি হয়ে ভারতে গিয়েছেকুলিখ
বাংলাদেশে উৎপত্তি হয়ে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশের ফিরে এসেছেনাগর, টাঙন, আত্রাই ও পূনর্ভবা
বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দরনারায়ণগঞ্জ
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়১৯৭২ সালে
বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়১৯৭৭ সালে ফরিদপুরে
(এটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে)ফেনী
নদীর নামে যে জেলার নামকরণ করা হয়েছেরূপসা (রূপচাঁদ সাহা’র নামে)
মানুষের নামে নদীর নামকর্ণফুলী (১৮০ কি.মি.)
বাংলাদেশের খরস্রোতা নদীগোমতী
যে নদীতে জোয়ার-ভাটা হয় না (একে কুমিল্লার দুঃখবলা হয়)মেঘনা
যে নদীর পানি সবচেয়ে বিশুদ্ধকর্ণফুলী
যে নদীর পানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় (কাপ্তাই নামক স্থানে)যমুনা
যে নদীর পানিতে পাশাপাশি দুই রং-এর স্রোত দেখাযায়বুড়িগঙ্গা
দেশের সবচেয়ে দূষিত নদীহালদা নদী (চট্টগ্রাম)
এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রবলেশ্বর ও রায়মঙ্গল
সুন্দরবনের পূর্বে ও পশ্চিমে অবস্থিত নদীদামোদার নদকে
বাংলার দুঃখ বলা হয় (এটি কলকাতার হুগলি নদীর উপনদী)চকতাই খালকে
চট্টগ্রামের দুঃখ বলা হয়গাবখান নদীকে
বাংলার সুয়েজ খাল বলা হয়গড়াই নদীকে

 

নদীর নামযে জেলায় অবস্থিত
মহিলাদিনাজপুর
পুরুষ, বাঙালিবগুড়া
তেঁতুলিয়াভোলা
ভোলা, বগী, পশুরবাগেরহাট
চেঙ্গীখাগড়াছড়ি
শংখবান্দরবান
মনুমৌলভীবাজার
পায়রা, কারখানাপটুয়াখালি
গোবরাপঞ্চগড়
সন্ধ্যা, বলেশ্বরপিরোজপুর
বিশখালী, ধানসিঁড়ি, গাবখানঝালকাঠি
তিতাসব্রাহ্মণবাড়িয়া
আড়িয়াল খাঁমাদারীপুর
কীর্তন খোলাবরিশাল
ধরলাকুড়িগ্রাম
নবগঙ্গাঝিনাইদহ
চিত্রাগোপালগঞ্জ
খোয়াইহবিগঞ্জ
কপোতাক্ষযশোর
কুমারফরিদপুর
ধলশ্বেরীমুন্সিগঞ্জ
গোমতীকুমিল্লা
ইছামতিপাবনা
মহানন্দাবাংলাবান্দা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
গড়াইকুষ্টিয়া
পুর্নভবাদিনাজপুর
টাঙনঠাকুরগাঁও
পাঙ্গাশিয়াসাতক্ষীরা
বুড়িগঙ্গাঢাকা
সুরমাসিলেট
ভৈরবখুলনা

 

নদীর তীরর্বতী স্থানসমূহনদীর নাম
পাটুরয়িা ও আরচিা (মানকিগঞ্জ), গোয়ালন্দ ও দৌলতদয়িা (রাজবাড়ী), মাওয়া (মুন্সগিঞ্জ), কাওড়াকান্দি (মাদারীপুর), রাজশাহী, সারদা, পাকশী, শলিাইদহ, ভড়োমারাপদ্মা
বাহাদুরবাদ ও জগন্নাথগঞ্জ (জামালপুর), নগরবাড়ী (পাবনা), সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলযমুনা
নরসিংদী, আশুগঞ্জ, চাঁদপুরমেঘনা
ফেঞ্চুগঞ্জকুশিয়ারা
ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জপুরাতন ব্রহ্মপুত্র
বাগরেহাট, গোপালগঞ্জ, টুঙ্গীপাড়ামধুমতি
পঞ্চগড়, বগুড়া, মহাস্থানগড়করতোয়া
নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুরতিস্তা
গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোরআত্রাই
মংলা, চালনাপশুর
চট্টগ্রাম, চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাইকর্ণফুলী
নারায়ণগঞ্জ, ঘোড়াশাল, সোনারগাঁওশীতলক্ষ্যা
টেকনাফ, কক্সবাজারনাফ
টঙ্গী, গাজীপুরতুরাগ

 

নদীর নামপূর্ব নাম
পদ্মাকীর্তিনাশা
মেঘনাকালনি (মিলনস্থলে)
যমুনাজোনাই
ব্রহ্মপুত্রলৌহিত্য
বুড়িগঙ্গাদোলাই

 

প্রধান নদীনদীসমূহের উৎপত্তিস্থল
পদ্মা, মহানন্দাহিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ
মেঘনাআসামের নাগা-মণিপুর পাহাড়
ব্রহ্মপুত্রতিব্বতের হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরোবর হ্রদ
যমুনাজামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের নিকট ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা যমুনা নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে
কর্ণফুলীমিজোরামের লুসাই পাহাড়
সাঙ্গু, নাফআরাকান পাহাড়
মাতামুহুরীলামার মইভার পর্বত
করতোয়া, তিস্তাসিকিমের পার্বত্য অঞ্চল
মুহুরীত্রিপুরার লুসাই পাহাড়
ফেনী, গোমতী, সালদাত্রিপুরার পার্বত্য অঞ্চল
হালদাখাগড়াছড়ির বাদনাতলী পর্বত
মনুমিজোরামের পার্বত্য অঞ্চল

 

নদীর নামবাংলাদেশে প্রবেশের স্থান
পদ্মাচাঁপাইনবাবগঞ্জ
মেঘনাসিলেট
ব্রহ্মপুত্রকুড়িগ্রাম
তিস্তানীলফামারী
কর্ণফুলীচট্টগ্রাম
তিতাসব্রাহ্মণবাড়িয়া
মহানন্দাপঞ্চগড়
ভৈরবমেহেরপুর

 

নদীর নামমিলনস্থলমিলিত হওয়ার পরে নদীর নাম
পদ্মা ও যমুনাগোয়ালন্দ,
রাজবাড়ী
পদ্মা
পদ্মা ও মেঘনাচাঁদপুরমেঘনা
সুরমা ও কুশিয়ারাআজমিরীগঞ্জ,
হবিগঞ্জ
কালনী
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনাভৈরব,
কিশোরগঞ্জ
মেঘনা
বাঙালি ও যমুনাবগুড়াযমুনা
হালদা ও কর্ণফুলীকালুরঘাট,
চট্টগ্রাম
কর্ণফুলী
তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রচিলমারী,
কুড়িগ্রাম
ব্রহ্মপুত্র
ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যানারায়ণগঞ্জশীতলক্ষ্যা

 

নদীর নামউপ নদীশাখা নদী
পদ্মামহানন্দাকুমার,
ভৈরব, মাথাভাঙা, গড়াই, মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ
মহানন্দাপুনর্ভবা,
নাগর, ট্যাঙন, কুলিখ
মেঘনামনু,
বাউলাই, তিতাস, গোমতী
ব্রহ্মপুত্রধরলা, তিস্তাযমুনা, বংশী, শীতলক্ষ্যা
যমুনাকরতোয়া,
আত্রাই
ধলেশ্বরী
ধলেশ্বরীবুড়িগঙ্গা
ভৈরবকপোতাক্ষ,
শিবসা, পশুর
কর্ণফুলীহালদা,
বোয়ালমারী, কাসালং
সাইনী

 


নমুনা প্রশ্ন


১. বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমা রেখার দৈর্ঘ্য কত?

ক) ২৭০ কি.মি.

খ) ২০০ কি.মি.

গ) ১২০ কি.মি.

ঘ) ২৭১ কি.মি.

উত্তরঃ ঘ


২. বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পশ্চিম বঙ্গের জেলা নয় কোনটি?

ক) মালদহ

খ) নদীয়া

গ) বাকুড়া

ঘ) দার্জিলিং

উত্তরঃ গ


৩. নিম্নের কোনটি সীমান্তবর্তী জেলা নয়?

ক) চুয়াডাঙ্গা

খ) শেরপুর

গ) ঝিনাইদহ

ঘ) বগুড়া

উত্তরঃ ঘ


৪. ‘গাংনী’ সীমান্ত কোন জেলায় অবস্থিত?

ক) মেহেরপুর

খ) যশোর

গ) কুষ্টিয়া

ঘ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ

উত্তরঃ ক


৫. বাংলাদেশের সর্ব পূর্বের স্থান কোনটি?

ক) মনাকশা

খ) আখাইনঠং

গ) বাংলাবান্ধা

ঘ) ছেঁড়াদ্বীপ

উত্তরঃ খ


৬. চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড় সমূহ কোন পর্বতের অংশ?

ক) আরাকান ইয়োমা

খ) হিমালয়

গ) চিম্বুক

ঘ) কুলাউড়া

উত্তরঃ ক


৭. বরেন্দ্র ভূমির আয়তন কত বর্গ কি.মি.?

ক) ৯৩২০ 0

খ) ৯৮৪৭

গ) ৪১০৩

ঘ) ৮৩২০

উত্তরঃ ক


৮. বাংলাদেশ হতে ভারতে প্রবেশকারী নদী কোনটি?

ক) কুলিখ

খ) আত্রাই

গ) পুনর্ভবা

ঘ) টাঙন

উত্তরঃ ক


৯. বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয় কত সালে?

ক) ১৯৭৪

খ) ১৯৭৬

গ) ১৯৭২

ঘ) ১৯৭৮

উত্তরঃ গ


১০. মেঘনা নদীর উৎপত্তি স্থল হলো-

ক) সিকিমের পার্বত্য অঞ্চল

খ) লুসাই পাহাড়

গ) লামারমইভার পর্বত

ঘ) গঙ্গোত্রী হিমবাহ

উত্তরঃ খ


১১. বাঙালি ও যমুনা নদী মিলিত হয়েছে কোথায়?

ক) চাঁদপুরে

খ) বগুড়ায়

গ) গোয়ালন্দে

ঘ) আজমিরিগঞ্জে

উত্তরঃ খ


১২. মহানন্দার উপনদী কোনটি?

ক) পুনর্ভবা

খ) কুমার

গ) আড়িয়ালখাঁ

ঘ) মধুমতি

উত্তরঃ ক


১৩. আরিচা ঘাট কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

ক) যমুনা

খ) মেঘনা

গ) পদ্মা

ঘ) কীর্তনখোলা

উত্তরঃ গ


১৪. পাহাড়ের রানি নামে পরিচিত-

ক) চিম্বুক

খ) চন্দ্রনাথ

গ) গারো

ঘ) তাজিংডং

উত্তরঃ ক


১৫. ‘ভেঙ্গিভ্যালি’ কোথায় অবস্থিত?

ক) খাগড়াছড়ি

খ) রাঙামাটি

গ) কক্সবাজার

ঘ) চট্টগ্রাম

উত্তরঃ খ


১৬. মৎস্য আহরণ ও অতিথি পাখির জন্য‍ বিখ্যাত কোন দ্বীপ?

ক) সোনাদিয়া

খ) সন্দ্বীপ

গ) মহেশখালী

ঘ) নিঝুম

উত্তরঃ ক


১৭. পশ্চিমা বাহিনীর নদী বলা হয়-

ক) ডাকাতিয়া বিল

খ) তামা বিল

গ) চলন বিল

ঘ) ভবদহ বিল

উত্তরঃ ক


১৮. বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম হাওড় ‘বুরবুক’ কোথায় অবস্থিত?

ক) সুনামগঞ্জ

খ) সিলেট

গ) যশোর

ঘ) ভবদহ বিল

উত্তরঃ খ


১৯. বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যের জন্য কোন চর বিখ্যাত?

ক) চর শাহাবানী

খ) চর গজারিয়া

গ) চর কুকড়িমুকড়ি

ঘ) নির্মল চর

উত্তরঃ গ


২০. দুবলার চরের অপর নাম কী?

ক) কটকা পয়েন্ট

খ) জাফর পয়েন্ট

গ) হিরণ পয়েন্ট

ঘ) টাইগার পয়েন্ট

উত্তরঃ খ


২১. শুভলং ঝর্ণা কোথায় অবস্থতি?

ক) রাঙামাটি

খ) বান্দরবান

গ) কক্সবাজার

ঘ) সীতাকুণ্ড

উত্তরঃ ক


২২. ভারতের কোন প্রদেশটির সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত নেই?

ক) মেঘালয়

খ) মিজোরাম

গ) আসাম

ঘ) ঝাড়খণ্ড

উত্তরঃ ঘ


২৩. সিলেট জেলার উত্তরে ভারতের কোন রাজ্য অবস্থিত?

ক) পশ্চিমবঙ্গ

খ) মেঘালয়

গ) আসাম

ঘ) ত্রিপুরা

উত্তরঃ খ


২৪. বাংলাদেশের কোন জেলাটি ভারতের সীমান্তের সাথে নয়?

ক) ময়মনসিংহ

খ) কুষ্টিয়া

গ) দিনাজপুর

ঘ) রংপুর

উত্তরঃ ঘ


২৫. বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য কত?

ক) ২০০ নটিক্যালমাইল

খ) ২৭১ কি.মি.

গ) ৪১৫৬ কি.মি.

ঘ) ৭১১ কি.মি

উত্তরঃ ঘ


২৬. ‘বেড়–বাড়ী’ সীমান্ত কোন জেলায় অবস্থিত?

ক) যশোর

খ) দিনাজপুর

গ) পঞ্চগড়

ঘ) কুড়িগ্রাম

উত্তরঃ গ


২৭. বাংলাদেশের কোন পাহাড়ে ইউরেনিয়াম পাওয়া গেছে?

ক) গারো

খ) চন্দ্রনাথ

গ) কুলাউড়া

ঘ) চিম্বুক

উত্তরঃ গ


২৮. ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার উঁচু ভূমিকে বলা হয় – 

ক) বরেন্দ্রভূমি

খ) লালমাইপাহাড়

গ) মধুপুরের গড়

ঘ) ভাওয়াল গড়

উত্তরঃ গ


২৯. কাপ্তাই থেকে প্লাবিত পার্বত্য চট্টগ্রামের উপত্যকা এলাকা –  

ক) হালদাভ্যালি

খ) সাঙ্গু ভ্যালি

গ) নাপিতখালিভ্যালি

ঘ) ভেঙ্গি ভ্যালি

উত্তরঃ ঘ


৩০. রাতে নৌ চলাচলের সুবিধার্থে দেশের কোন দ্বীপে পুরানো বাতি ঘর ছিল?

ক) মহেশখালি

খ) কুতুবদিয়া

গ) সোনাদিয়া

ঘ) হাতিয়া

উত্তরঃ খ


৩১. নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম – 

ক) নিউমুর

খ) দক্ষিণ শাহবাজপুর

গ) বাউলার চর

ঘ) দুবলার চর

উত্তরঃ গ


৩২. বাংলাদেশের কোন দ্বীপে পর্তুগিজরা বাস করতো?

ক) ছেঁড়াদ্বীপ

খ) ভোলাদ্বীপ

গ) মনপুরাদ্বীপ

ঘ) সন্দ্বীপ

উত্তরঃ গ


৩৩. হিরণপয়েন্ট : সুন্দরবন :: জাফর পয়েন্ট?

ক) কক্সবাজার

খ) সুন্দরবন

গ) ঢাকা

ঘ) চট্টগ্রাম

উত্তরঃ খ


৩৪. ‘নির্মলচর’ কোন জেলায় অবস্থিত?

ক) ভোলা

খ) ফেনী

গ) চট্টগ্রাম

ঘ) রাজশাহী

উত্তরঃ ঘ


৩৫. কোন নদীতে জোয়ার-ভাটা হয় না?

ক) আত্রাই

খ) গোমতী

গ) হালদা

ঘ) কুলিখ

উত্তরঃ খ


৩৬. বাংলাদেশের সব চেয়ে নাব্যনদী কোনটি?

ক) ব্রহ্মপুত্র

খ) মেঘনা

গ) যমুনা

ঘ) কর্ণফুলী

উত্তরঃ খ


৩৭. আরাকান পাহাড় থেকে উৎপন্ন নদী?

ক) কর্ণফুলী

খ) হালদা

গ) সাঙ্গু

ঘ) করতোয়া

উত্তরঃ গ


৩৮. ভৈরব বাজারের নিকট মিলিত নদীদ্বয় – 

ক) পদ্মা ও যমুনা

খ) কুশিয়ারা ও সুরমা

গ) পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা

ঘ) বাঙালি ও যমুনা

উত্তরঃ গ


৩৯. শীতলক্ষ্যা নদীর উৎপত্তি হয়েছে – 

ক) যমুনা নদী থেকে

খ) ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে

গ) মেঘনা নদী থেকে

ঘ) পদ্মা নদী থেকে

উত্তরঃ খ


৪০. তিস্তা নদী কোন জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?

ক) নবাবগঞ্জ

খ) নীলফামারী

গ) কুড়িগ্রাম

ঘ) সিলেট

উত্তরঃ খ


৪১. কুষ্টিয়া কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

ক) গড়াই

খ) আত্রাই

গ) মধুমতি

ঘ) কপোতাক্ষ

উত্তরঃ ক


৪২. ‘আড়িয়ল বিল’ কোন জেলায় অবস্থিত?

ক) সিলেট

খ) যশোর

গ) মুন্সিগঞ্জ

ঘ) খুলনা

উত্তরঃ গ


৪৩. বাংলাদেশে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা কত?

ক) ২৬ ডিগ্রি সে.

খ) ১৭ ডিগ্রি সে.

গ) ২৭ ডিগ্রি সে.

ঘ) ২৮ ডিগ্রি সে.

উত্তরঃ ক


৪৪. পাকশিতে পদ্মা নদীর উপরে নির্মিত সেতুর নাম কী?

ক) হার্ডিঞ্জব্রিজ

খ) কীন সেতু

গ) লালনশাহ সেতু

ঘ) পাকশি সেতু

উত্তরঃ গ


৪৫. ‘বুড়িমারি’ স্থলবন্দর কোথায়?

ক) লালমনিরহাট

খ) রংপুর

গ) পঞ্চগড়

ঘ) সুনামগঞ্জ

উত্তরঃ ক


৪৬. বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃষি খামার কোথায় অবস্থিত?

ক) ঝিনাইদহ

খ) গাজীপুর

গ) কিশোরগঞ্জ

ঘ) পাবনা

উত্তরঃ ক


৪৭. ধলেশ্বরী নদীর শাখা নদী কোনটি?

ক) শীতলক্ষ্যা

খ) মহানন্দা

গ) হালদা

ঘ) বুড়িগঙ্গা

উত্তরঃ ঘ


৪৮. সুন্দরবনের পশ্চিমে কোন নদী অবস্থিত?

ক) পশুর নদী

খ) হাড়িয়াভাঙ্গা নদী

গ) পায়রানদী

ঘ) রায়মঙ্গল নদী

উত্তরঃ ঘ


৪৯. বাংলাদেশের যে জেলাটির সাথে ভারত-মায়ানমারের সীমান্ত আছে?

ক) বান্দরবন

খ) নোয়াখালী

গ) কক্সবাজার

ঘ) রাঙামাটি

উত্তরঃ ঘ


৫০. ‘আইলাবিল’ কোন জেলায় অবস্থিত?

ক) মৌলভীবাজার

খ) সুনামগঞ্জ

গ) কক্সবাজার

ঘ) চট্টগ্রাম

উত্তরঃ খ


৫১. বন : মরুভুমি :: লোকালয়?

ক) জলাশয়

খ) নির্জন

গ) মরুদ্যান

ঘ) গ্রাম

উত্তরঃ খ


৫২. ‘তারুয়া’ সমুদ্র সৈকত কোথায় অবস্থিত?

ক) কক্সবাজার

খ) চট্টগ্রাম

গ) নোয়াখালী

ঘ) ভোলা

উত্তরঃ ঘ


৫৩. তিন বিঘা করিডোর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

ক) ব্রহ্মপুত্র

খ) তিস্তা

গ) করতোয়া

ঘ) আত্রাই

উত্তরঃ খ


৫৪. পায়রা নদী কোথায় অবস্থিত?

ক) ভোলা

খ) বাগেরহাট

গ) পটুয়াখালি

ঘ) পিরোজপুর

উত্তরঃ গ


৫৫. বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা কত?

ক) ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

খ) ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

গ) ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ঘ) ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

উত্তরঃ ঘ


৫৬. বাংলাদেশের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন থাকে যে মাসে – 

ক) জানুয়ারি

খ) এপ্রিল

গ) মার্চ

ঘ) নভেম্বর

উত্তরঃ ক


৫৭. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়?

ক) দক্ষিণ-পশ্চিমে

খ) উত্তর-পূর্বে

গ) উত্তর-পশ্চিমে

ঘ) পূর্ব-দক্ষিণে

উত্তরঃ খ


৫৮. বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তি মামলার রায় হয় – 

ক) ৭ জুন ২০১৩

খ) ৭ জুলাই ২০১৪

গ) ১৪ মার্চ ২০১২

ঘ) ১৪ জুন ২০১৪

উত্তরঃ ঘ


৫৯. ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় কবে?

ক) ১৯৭৫ সালে

খ) ১৯৭৮ সালে

গ) ১৯৬৯ সালে

ঘ) ১৯৮৮ সালে

উত্তরঃ ক


৬০. ব্রহ্মপুত্র নদ কোন জেলার ভিতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?

ক) লালমনিরহাট

খ) কুড়িগ্রাম

গ) গাইবান্ধা

ঘ) পঞ্চগড়

উত্তরঃ খ


গ্রন্থপঞ্জি:


১. রওশনআরাবেগম, আব্দুলহাইশিকদারপ্রমুখ, ‘মাধ্যমিকসামাজিকবিজ্ঞান’ (জাতীয়শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকবোর্ড, ঢাকা, মার্চ ১৯৯৬)

২. মমতাজউদ্দীনপাটোয়ারী, শওকতআরাবেগমপ্রমুখ‘বাংলাদেশে ও বিশ্বপরিচয়’ (জাতীয়শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকবোর্ড, ঢাকা, অক্টোবর ২০১৩)

৩. সেলিনাশাহজাহান, ড. শেখমো. রেজাউলকরিমপ্রমুখ, ‘ভূগোল ও পরিবেশ’ (জাতীয়শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকবোর্ড, ঢাকা, অক্টোবর ২০১২)

৪. কে. আশরাফুলআলম, ‘বৈশ্বিকপরিবেশেরপ্রাকৃতিকভূগোল (পারফেক্টপাবলিকেশন্স, ঢাকা, ২০১৪)

৫. রফিকআহমেদ, ‘আবহাওয়া ও জলবায়ুবিজ্ঞান’ (রাজশাহীবিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯৭)।

BCS Computer & IT Lecture – 07

ইন্টারনেট প্রযুক্তি, ই-মেইল ও ই-কমার্স, ক্লাউড কমপিউটিং, নমুনা প্রশ্ন

 


Internet Technology


টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে Computer থেকে Computerএ তথ্য আদান-প্রদানের প্রযুক্তিকে Internet(International Network) বলে।১৯৬৯ সালে USA এর প্রতিরক্ষা দপ্তর ARPANET চালু করে। যা Network জগতে মানুষের প্রথম পদক্ষেপ।১৯৯০ সালে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হলেও Internet শব্দটি প্রচলন হয় ১৯৯৪ সাল থেকে। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সাল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়।

ইন্টারনেট ব্যবহারে শীর্ষ দেশ:  China > USA> India (যথাক্রমে সাজানো) ।

 

Network Protocol: Computer Network এর জন্য সুপরিকল্পিত ও নির্ধারিত রীতি-নীতি হচ্ছে Network Protocol. বিভিন্ন ধরনের Protocol হলো:

  • TCP/IP (Transmission Control Protocol/Internet Protocol). ১৯৮২ সালে এটি প্রথম উদ্ভাবন করা হয় এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এর মোট ৭টি স্তর আছে।
  • FTP (File Transfer Protocol)
  • IPX/SPX
  • NETBEUI
  • Appletalk
  • EtherNET

 

Internet Connection: Internet সংযোগ দিতে প্রয়োজন:

  1. Computer
  2. Modem
  3. Telephone Line/Mobile Phone
  4. Software
  5. InternetService Provider (IPS)

 

Modem: Computer ও Telephone Line এর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে Modem (Modulation + Demodulation) ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে কম্পিউটারে Telephone এর সংযোগ দেওয়া হয়।

→   এটি Computer এর Communication Port-এ যুক্ত থাকে।

→   Modulation ডিজিটাল সংকেতকে Analog Signal এ Transform করে।

→   Demodulation এনালগ সংকেতকে Digital Signal এ রূপান্তরিত করে।

 

IPS (Internet Service Provider): যে সব Company জনসাধারণের মাঝে Internet সেবা প্রদান করে এবং বিনিময়ে নির্ধারিত Fee নেয় তাদের IPS বলে।

 

IP Address (Internet Protocol Address): টেলিফোনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ফোন সেট এর জন্য যেমন একটি Number থাকে ঠিক তেমনি Internet এ প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য একটি Identity থাকে যা IP Address নামে পরিচিত।

→  USA এর IANA (Internet Assigned Numbers Authority) নামক একটি প্রতিষ্ঠান IP Address প্রদান করে।

→   বর্তমানে IPv4 সিস্টেম চালু আছে।

→   IP Address এর সম্পূর্ণ সংখ্যা প্রকাশের জন্য 32-bit প্রয়োজন।

→   প্রতিটি সংখ্যার জন্য 8-bit প্রয়োজন।

→   সংখ্যাগুলোকে Dot (.) দ্বারা পৃথক করা হয়।

→   IP Address এর প্রথম দুটি নেটওয়ার্ক আইডি এবং পরের দুটি হোস্ট আইডি।

→   বাইনারি সংখ্যা মনে রাখা অসুবিধাজনক বিধায় এর সমকক্ষ ডেসিমাল সংখ্যা দিয়ে IP Address লেখা হয়।

→  IP Address এর উদাহরণ: 172.16.20.137

→  এখানে Network ID: 172.16 এবং Host ID: 20.137

32 Bit
NetworkHost
8 bits8 bits8 bits8 bits
1721620137

→  IPv4 Address এর ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য যে সমস্যা দেখা দেয় তার সমাধানে IPv6 নামে 128-bit এর IP Address চালু হয়েছে।

→   DHCP (Dynamic Host Configuration Protocol) এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য Computer এর Network Connection এর জন্য IP Address প্রদান করে।

→   IP Address মনে রাখা কষ্টসাধ্য বলে সারাবিশ্বে DNS (Domain Name System) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। DNS যে নিয়ন্ত্রণ করে তার নাম InterNIC (The Internet Network Information Center)

→   এই প্রতিষ্ঠান সকল Domain Name কে একটিDatabase File এ সংরক্ষণ করে। ফলে এটি Duplicate হবার Probability থাকে না।

→ উদাহরণ:www.gmail.com (এখানে gmail হলো Second Level Domain এবং com হলো Top Level Domain

 

Top Level Domain (TLD)২ ধরনের। যথা:

  1. ccTLD (country code Top-Level Domain). যেমন:

.bd (Bangladesh)

.uk (United Kingdom)

.us (United State)

.ja (Japan)

.sg (Singapore)

 

  1. gTLD (generic Top-Level Domain). যেমন:

.com (Commercial)

.org (Organization)

.gov (Government)

.edu (Education)

.net (Network)

.int (International)

.mil (Military)

 

HTML: Hyper Text Markup Language এমন একটি পদ্ধতি যা অন্য তথ্যের সাথে সংযোগ স্থাপন করিয়ে দেয়। মূলত এটি একটি তথ্য উপস্থাপনের পদ্ধতি। উদাহরণস্বরূপ: কেউ একজন ইন্টারনেটে কোনো একটি বিষয়ে আলোচনা দেখছে। তখন Click নামে শব্দটি অন্য একটি রঙে প্রদর্শিত হয়েছে এবং এটি Underline করা হয়েছে। এটাই HTML.

→  এর দ্বারা এক Link থেকে অন্য Link এ যাওয়া যায়।

→  এক Link থেকে অন্য Link এ যাওয়া নাম Navigation.

→  Internet এ যে Protocol এর সাহায্যে Hyper Text আদান প্রদান করা হয় তাকে HTTP (Hyper Text Transfer Protocol) বলে।

→  HTML Page কীভাবে দেখাবে বা Web Page এর গঠন কেমন হবে অর্থা- Document কীভাবে দেখানো হবে বা Document Style Control করার জন্য Cascading Style Sheet (CSS) ব্যবহৃত হয়।

 

WWW:১৯৮৯ সালে সুইজারল্যান্ডের গবেষণা প্রতিষ্ঠান CERN (European Organization for Nuclear Research) এর বিজ্ঞানীরা WWW (World Wide Web) উদ্ভাবন করেন। এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে যে তথ্য ভান্ডার রয়েছে তার যে কোনোটিতে পৌঁছে যেতে পারে।

→  একে Internet Multimedia বলে।

→  টিম বার্নাস লি WWW এর জনক।

→  Internet এ তথ্য রাখার Space বা Page কে Web page বলে। এটি একাধিক পৃষ্ঠারও হতে পারে।

→  Internet এ ঢুকলে প্রথমে যে Page টি প্রদর্শিত হয় সেটি হল Home Page.

 

URL: কোনো Web Page কে প্রদর্শিত করতে Web Browser এর ঠিকানা নির্দিষ্ট করে দিতে হয়। Website এর এই একক ঠিকানা হচ্ছে URL (Uniform Resource Locator). একটি URL এ থাকে:

  • Web Protocol Name
  • Web Server Name/Domain Name
  • Server Directory Name
  • HTML File Name

উদাহরণ: http://www.bddigital.com/itcom/main.htm

  • http (Web Protocol)
  • bddigital.com(Web Server Name/Domain Name)
  • itcom (Server Directory Name)
  • htm (Fime Name)

 

Web Search Engine: Search Engine হলো এমন কিছু ওয়েবপেজ যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় বিষয়টি খুঁজে বের করে দেয়।কিছু ‍Search Engine এর উদাহরণ:

  • google.com (বহুল ব্যবহৃত, সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় সার্চইঞ্জিন)
  • yahoo.com
  • msn.com
  • bing.com (এটি Microsoft Corporation এর সার্চইঞ্জিন)
  • ask.com
  • dogpile.com
  • lycos.com
  • pipilika.com (এটি বাংলাদেশে প্রথম সার্চইঞ্জিন)

 

Cookie: ব্যবহারকারী ইন্টারনেট ব্যবহারকালে যখন কোনো সাইটে ভিজিট করেন তখন ব্রাউজারে ওয়েবসাইট থেকে প্রেরিত ক্ষুদ্র তথ্যপূর্ণ কিছু Text/Internet Information file জমা হয়, একে Cookie বলে।

 

Reload/Refresh: যে সকল ওয়েবপেজের ডেটা অনবরত পরিবর্তন হয় সে সকল ওয়েবপেজ পড়ার সময় মাঝপথে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি-না তা জানার জন্য Reload/Refresh কমান্ড দিতে হয়।

 

IRC (Internet Reply Chat): এটি হচ্ছে এমন একটি গল্পের আসর যেখানে বিভিন্ন লোক একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর সাথে খোশগল্প করতে পারে।

 

Voice Chat: ইন্টারনেটে টেলিফোনের মতো বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলার পদ্ধতিকে Voice Chat বলে।

 

VoIP (Voice over Internet Protocol): এটি Internet এর মাধ্যমে Telephone Call আদান-প্রদান করার বিশেষ পদ্ধতি। VoIP Applications হলো:

      • Skype
      • Net 2 Phone
      • MSN Messenger
      • Cool Talk
      • Net Meeting

 

Intranet: এটি একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত ওয়েবসাইট, যা কেবল ঐ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া অন্য কেউ এটিতে প্রবেশ করতে পারে না।

 

Internet: এটি সারাপৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।এতে যে কেউ প্রবেশ করতে পারে এবং ব্যবহার করতে পারে।

 

Extranet: একটি প্রতিষ্ঠানের Intranet কে যখন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের Intranet এর সাথে যুক্ত করা হয় তখন তাকে Extranet বলে।

 


E-mail


একটি Computer থেকে অন্য একটি Computer এ তথ্য পাঠানোর পদ্ধতিকে E-mail(Electronic Mail) বলে। ইমেইলের ঠিকানায় @ (at sign) ব্যবহৃত হয়। ১৯৭২ সালে প্রথম এই চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। এই চিহ্নের আগের অংশে User name এবং পরের অংশে Domain name থাকে। যেমন:

asifmamun89@gmail.com

↓                                    ↓

User Name            Domain Name
Email Server: Email Server হলো Network এর একটি Computer যা Virtual Post Office হিসেবে কাজ করে। Mail Server এ POP& SMTP ব্যবহার করা হয়।

POP is used for Receiving Mail

SMTP is used for Sending Mail

 

  • POP (Post Office Protocol): ব্যবহারকারীরা যে সকল মেইল গ্রহণ করে বা তার কাছে আসে সেগুলোকে Incoming mail বলে। মেইল সার্ভার থেকে Incoming mail গ্রহণ করার জন্য যে প্রটোকল ব্যবহৃত হয় তা হলো POP (Post Office Protocol). সর্বাধিক জনপ্রিয় Protocol হল POP3.

 

  • SMTP (Single Mail Transfer Protocol): ব্যবহারকারীরা যে সকল মেইল বাহিরে পাঠায় তাকে Outgoing mail বলে।মেইল সার্ভার থেকে Outgoing mail পাঠানোর জন্য SMTP (Single Mail Transfer Protocol) ব্যবহৃত হয়।

 

  • Sending Email:ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রেEmail এর ঠিকানায়Cc ও Bccএই দুটি ব্যবহৃত হয়।Cc এর ক্ষেত্রে প্রাপক Email পেয়ে বুঝতে পারে কাকে এর Copy/Mail পাঠানো হয়েছে। কিন্তু Bcc এর ক্ষেত্রে প্রাপক জানতে পারে না কাদেরকে Mail করা হয়েছে।

→ Cc (Carbon Copy)

→ Bcc (Blind Carbon Copy)

 

  • Attachment: এটি একটি আলাদা File যা Email এর সঙ্গে সংযুক্ত করে পাঠানো হয়। এটি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন: ছবি, ডকুমেন্ট, অডিও, ভিডিও ইত্যাদ।

 

  • Spam: ভুয়া ও অযাচিত Mail যেখানে জমা হয় তাকে Spam বলে। এটি মূলত অনাকাঙ্ক্ষিত ইমেইল।

 

  • Mail Address: কিছু জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত Web Mail এর ঠিকানা হলো:

→ gmail (এটি গুগল এর মেইল)

→ outlook (এটি মাইক্রোসফট এর মেইল)

→  AOLmail

→ hotmail

→ yahoomail

 


E-Commerce


E-Commerce (Electronic Commerce): এটি একটি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি; Digital Technology ব্যবহার করে বাণিজ্যিক লেনদেন করাকে E-commerce বলে। এটি মূলত Online Marketing, যার মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা লেনদেন সংক্রান্ত কাজ করা হয়। পণ্য লেনদেনের প্রকৃতি ও ধরন অনুসারে E-Commerce কে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:

→ B2C (Business to Consumer)

→ B2B (Business to Business)

→ C2C (Consumer to Consumer)

→ C2B (Consumer to Business)

 

  • E-Business: কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণাধীন আধুনিক Information System-সহ Digital Technology নির্ভর অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার লেনদেনের প্রক্রিয়াকে E-Business বলে। E-Business প্রতিষ্ঠানের সীমানার বাহিরে কোনো প্রকার বাণিজ্যিক লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।

 

  • M-Commerce (Mobile Commerce): মোবাইলের মাধ্যমে Wireless Network তথা ইন্টারনেটে প্রবেশ করে E-Business করাকে M-Commerce বলে।

 

কেনাবেচার কিছু জনপ্রিয় সাইট:

      • bikroy.com
      • ekhanei.com
      • olx.com
      • daraj.com
      • amazon.com
      • alibaba.com (সবচেয়ে বড় সাইট)
      • ajkerdeal.com
      • priyoshop.com

 


Cloud Computing


ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল বিষয় হলো নিজের ব্যবহৃত কম্পিউটারের Hard Drive এর পরিবের্তে Internet সেবা প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে Service বা Hardware ভাড়া নেওয়া। এই ভাড়া নেওয়ার পদ্ধতিকে Cloud Computing বলে। এটি মূলত একটি Internet সেবা। ২০০৬ সালে সর্বপ্রথম আমাজন ওয়েভ সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে Cloud Computing এর ব্যবহার শূরু করে।

 

Cloud Computing এর ৩টি বৈশিষ্ট্য থাকবে। যথা:

  1. Resource scalability: এখানে ক্রেতার সব ধরনের চাহিদা মেটানো হবে।
  2. On-demand: ক্রেতা যখন-তখন তার ইচ্ছানুযায়ী সেবা পাবে।
  3. Pay as you go: এটি একটি Payment Model. অর্থাৎ ক্রেতা যা ব্যবহার করবে শুধু তার জন্যে পেমেন্ট দিতে হবে।

 

Cloud Computing এর Service Model ৩টি। যথা:

  1. Infrastructure as a Service (IaaS): এটি অবকাঠামোগত সেবা।
  2. Platform as a Service (PaaS): এটি প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা।
  3. Software as a Service (SaaS): এটি সফটওয়্যারভিত্তিক সেবা।

 

Cloud Computing এর সুবিধাসমূহ:

  • যে কোনো স্থান হতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আপলোড ও ডাউনলোড করা যায়।
  • নিজস্ব কোনো হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হয় না।
  • যে কোনো হার্ডওয়্যারের মধ্য দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
  • তথ্য কীভাবে সংরক্ষিত হবে বা প্রক্রিয়াজাত হবে তা জানার প্রয়োজন হয় না।
  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট করা হয়ে থাকে।
  • সার্বক্ষণিক ব্যবহার করা যায় এবং অপারেটিং খরচ তুলনামূলক কম।

 

Cloud Computing এর সুবিধাসমূহ:

  • ডেটা ও প্রোগ্রামের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
  • তথ্য পাঠিয়ে দেওয়ার পর তা কোথায় সংরক্ষণ হয়ে এবং কীভাবে প্রসেসিং হচ্ছে তা জানার উপায় থাকে না।

তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের এবং পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 


নমুনা প্রশ্ন


১. ‘ক্লাউড কম্পিউটিং’ এর প্রথম ব্যবহার শুরু করে – 

ক) আমাজন

খ) গুগল

গ) ইয়াহু

ঘ) মাইক্রোসফট

উত্তরঃ ক


২. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য স্থানান্তরের প্রযুক্তির নাম – 

ক) তথ্য প্রযুক্তি

খ) মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি

গ) যোগাযোগ প্রযুক্তি

ঘ) ভার্চুয়াল রিয়েলিটি

উত্তরঃ গ


৩. কত সালে ‘ইন্টারনেট’ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়?

ক) ১৯৬৯

খ) ১৯৯০

গ) ১৯৯৬

ঘ) ১৯৯৪

উত্তরঃ ঘ


৪. নিচের কোন ‘প্রোটোকল’ ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত হচ্ছে?

ক) FTP

খ) ARPAnet

গ) IPX

ঘ) TCP

উত্তরঃ ঘ


৫. মডেম একটি – 

ক) Reel machine

খ) Conversion tool

গ) Power connection tool

ঘ) None of these

উত্তরঃ খ


৬. 172.16.254.1 আইপি ঠিকানায় নিচের কোনটি হোস্ট আইডি নির্দেশ করে?

ক) 172.16

খ) 16.254.1

গ) 254.1

ঘ) 16.254

উত্তরঃ গ


৭. IPv6 কত বিটের – 

ক) 32

খ) 64

গ) 168

ঘ) 128

উত্তরঃ ঘ


৮. নিচের কোন কোডটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের টপ লেভেল ডোমেইন নির্দেশ করে?

ক) .com

খ) .org

গ) .net

ঘ) .int

উত্তরঃ ঘ


৯. নিচের কোনটি ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত নয়?

ক) WWW

খ) HTTP

গ) HTML

ঘ) WWF

উত্তরঃ ঘ


১০. কোন দেশের বিজ্ঞানীরা WWW এর উদ্ভাবন করেন?

ক) যুক্তরাষ্ট্র

খ) জার্মানি

গ) নরওয়ে

ঘ) সুইজারল্যান্ড

উত্তরঃ ঘ


১১. URL কী?

ক) একটি ওয়েব পেজ

খ) একটি ওয়েব সার্ভার

গ) ওয়েবের একক ঠিকানা

ঘ) ওয়েবের হোম পেজ

উত্তরঃ গ


১২. ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিন নয় – 

ক) ask.com

খ) msn.com

গ) bing.com

ঘ) gmail.com

উত্তরঃ ঘ


১৩. ইন্টারনেটের মাধ্যমে টেলিফোন কল আদান প্রদানের বিশেষ পদ্ধতি হলো – 

ক) IRC

খ) VoIP

গ) POP3

ঘ) Extrant

উত্তরঃ খ


১৪. ই-কমার্স এর প্রকারভেদ নয় – 

ক) B2B

খ) C2C

গ) B2C

ঘ) G2B

উত্তরঃ ঘ


১৫. ইন্টারনেট অ্যাকাউন্ট গ্রহণকারীদের কী বলে?

ক) ক্লায়েন্ট

খ) কাস্টমার

গ) অ্যাকাউন্ট হোল্ডার

ঘ) নেটিজেন

উত্তরঃ ঘ


১৬. ওয়েবসাইটে জমা হওয়া ক্ষুদ্র তথ্যপূর্ণ অংশগুলোকে কী বলে?

ক) Spam

খ) Cookie

গ) Bcc

ঘ) Spume

উত্তরঃ খ


১৭. অফিসে ব্যবহৃত কম্পিউটার ভিত্তিক তথ্য গ্রহণ ও পুনরুদ্ধার করার ব্যবস্থাকে বলে – 

ক) GIS

খ) MIS

গ) CSS

ঘ) OSI

উত্তরঃ খ


১৮. নিজের কোনটি কেনাবেচার ওয়েবসাইট নয়?

ক) bikroy.com

খ) amazon.com

গ) olx.com

ঘ) google.com

উত্তরঃ ঘ


১৯. ওয়েব পেইজের এক লিংক থেকে অন্য লিংকে গমন করাকে বলে –  

ক) Navigation

খ) Manipulation

গ) Automation

ঘ) Moving

উত্তরঃ ক


২০. SMTP এর পূর্ণরূপ – 

ক) Single Markup Text Protocol

খ) Single Markup Transfer Protocol

গ) Single Mail Transfer Protocol

ঘ) Special Mail Transfer Protocol

উত্তরঃ গ


গ্রন্থপঞ্জি:


১. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,‘ব্যবহারিক কম্পিউটার শব্দকোষ’ (বাংলা একাডেমি, ফেব্রুয়ারি ২০১৩)

২. এ জেড এম আসাদুজ্জামান, মো. মাসুদ রানা ও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ (জুলাই ২০১৩)

৩. প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’

৪. গোবিন্দ চন্দ্র রায় ও সামসুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’

৫. ডা. মো. শাহনেওয়াজ হোসেন জর্জ, ‘Easy কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি’ (জুন ২০১৬)

BCS Computer & IT Lecture – 06

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কম্পিউটার ভাইরাস, সাইবার অপরাধ, কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ, নমুনা প্রশ্ন

 


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম


১.     Facebook: এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।এটি বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। মার্ক জাকারবার্গহার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্‌স এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। সারা বিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন ৭৫০মিলিয়ন কার্যকর সদস্য। এর সদরদপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যানলো পার্কে অবস্থিত।

 

২.    Twitter: টুইটার সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা ও মাইক্রোব্লগিংযয়ের একটি ওয়েবসাইট, যেখানে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ১৪০ অক্ষরের বার্তা আদান-প্রদান ও প্রকাশ করতে পারেন। এই বার্তাগুলোকে টুইট বলা হয়ে থাকে। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে টুইটারের যাত্রা শুরু হয়। জ্যাক ডর্সি এটি নির্মাণ করেন। টুইটার সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। টুইটার বিশ্বের দ্বিতীয় বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। টুইটারকে ইন্টারনেটের এসএমএস বলে অভিহিত করা হয়। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত।

 

৩.    Google+: গুগল+ হচ্ছে গুগল-ইনকর্পোরেশনের একটি সোশাল নেটওয়ার্কিং বা সামাজিক যোগাযোগ ওয়েব সেবা। গুগল এটি ২৮ জুন ২০১১ তে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে। এই সেবাটির মাধ্যমে গুগলের অন্যান্য সেবাগুলো ব্যবহার করা যায়। ধারণা করা হয়, ফেইসবুকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গুগল এই সেবা চালু করে। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউনটেইন ভিউতে অবস্থিত।

 

৪.     LinkedIn:পেশাদারদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি হচ্ছে লিংকডইন। পেশাজীবীদের কাছে কাজের এক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হলো লিংকডইন। বর্তমানে করপোরেট জগতে নিয়োগকর্তারা চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ে লিংকডইনের সহায়তা নেন। চাকরি বদলানো বা নতুন চাকরি পেতেও সহায়ক এই ওয়েবসাইট। শুধু পেশাজীবীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের এই সাইটটি। ২০০৩ সালে রেড হফম্যান এটি চালু করেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ কোটির বেশি মানুষ লিংকডইন ব্যবহার করছেন।  এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রেরক্যালিফোর্নিয়ার মাউনটেইন ভিউতে অবস্থিত।

 

৫.    YouTube:ইউটিউব একটি ভিডিও আদান-প্রদান করার ওয়েবসাইট। এটি বর্তমান ইন্টারনেট জগতের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট যা এর সদস্যদের ভিডিও আপলোড, দর্শন আর আদান-প্রদানের সুবিধা দান করে আসছে। এই সাইটটিতে আরো আছে ভিডিও পর্যালোচনা, অভিমত প্রদান সহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধা। ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির পেছনে ছিলেন মূলত পেপ্যাল প্রতিষ্ঠানের তিন প্রাক্তন চাকুরীজীবি, চ্যড হারলি, স্টিভ চ্যন আর বাংলাদেশি বংশদ্ভুত জাওয়েদ করিম। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার চেরি এভিনিউস্যান ব্রুনোতে অবস্থিত।

 

৫.    Pinterest:পিন্টারেস্ট একটি ওয়েব এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন কোম্পানি, যা ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইট হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি ২০১০ সালে সাইটটি পল শিয়ারা, ইভান শার্প এবং বেন সিলবারমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত।

৬.    Instagram: ইন্সটাগ্রাম হলো পিন্টারেস্ট, টাম্বলারফ্লিকার-এর মতো অনলাইনে ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করার একটি অনলাইন মোবাইল ফটো শেয়ারিং, ভিডিও শেয়ারিং এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিসেবা। ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে ছবি এবং ১৫ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের ভিডিও আপলোড করা যায। এর মালিকানা ও উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান হলো ফেসবুক। ৬ অক্টোবর ২০১০ সালে  কেভিন সাইস্ট্রম, মাইক ক্রিঞ্জারও বারবন ইনকো এটি নির্মাণ করেন।

 

এছাড়াও, অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে রয়েছে:

  1. Tumblr
  2. Flickr
  3. Vine
  4. Meetup
  5. Tagged
  6. VK
  7. WhatsApp
  8. Viber
  9. Imo
  10. Messenger
  11. Tango
  12. Line
  13. Skype
  14. MySpace

 


তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান


  • IBM (International Business Machine): এটি একটি আমেরিকানবহুজাতিকপ্রযুক্তি কোম্পানি। ১৭০টি দেশে কোম্পানিটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।এর সদরদপ্তর আরমংক, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত। ১৮৯০ সালে মার্কিন ইঞ্জিনিয়ার হারম্যান হরিলিথ টেবুলেটিং মেশিন কোম্পানি নামক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১১ সালে কম্পিউটিং-ট্যাবুলেটিং-রেকর্ডিংকোম্পানি হিসেবে এ কোম্পানির যাত্রা শুরু হয় এবং ১৯২৪ সালে যার নাম দেওয়া হয় “ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস”। এই প্রতিষ্ঠানকে Big Blue বলে। এর প্রতিষ্ঠাতা চার্লস র‍্যানলেট ফ্লিন্ট

 

 

  • Google:গুগল এলএলসিবা গুগল লিমিটেড লায়াবিলিটি কোম্পানি ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা ও পণ্যে বিশেষায়িত একটি আমেরিকানবহুজাতিকপ্রযুক্তি কোম্পানিস্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ছাত্র থাকাকালীন ল্যারি পেজসের্গেই ব্রিন১৯৯৮ সালে গুগল নির্মাণ করেন। সেপ্টেম্বর ৪, ১৯৯৮ সালে তারা গুগলকে প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। গুগলের প্রধান সেবা গুগল সার্চ ছাড়াও নতুন পণ্য, অধিগ্রহণ ও অংশীদারত্বের সাথে সাথে কোম্পানিটির দ্রুত প্রসার হয়। গুগল সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ডেটা সেন্টারে প্রায় এক মিলিয়ন সার্ভার চালায় ও এক বিলিয়নের উপর অনুসন্ধানের অনুরোধ এবং প্রায় ২৪ পেটাবাইট ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরী ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে প্রতিদিন। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে অবস্থিত। Google এর প্রকৃত নাম ‘ব্যাকরাব’।

 

  • Intel: ইন্টেল কর্পোরেশন একটি আমেরিকান বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি এবং আয়ের উপর নির্ভর করে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। ইন্টেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জুলাই ১৮, ১৯৬৮ সালে ইন্টিগ্রেটেড ইলেক্ট্রনিক্স কর্পোরেশন হিসেবে। ইন্টেল কম্পিউটারপ্রসেসর তৈরির পাশাপাশি আরো তৈরী করে মাদারবোর্ড চিপসেট, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কন্ট্রোলার, ইন্ট্রিগ্রেটেড সার্কিট, ফ্ল্যাশ মেমোরি, গ্রাফিক্স কার্ড, সংযুক্ত প্রসেসর এবং অন্যান্য আরো অনেক কিছু যা কম্পিউটার এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। এই কোম্পানি শুরু করেন সেমিকন্ডাক্টরের অগ্রগামী রবার্ট নয়েস এবং গর্ডন মুর এবং এন্ড্রু গুভ। এর সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টাক্লরাতে অবস্থিত।

 

 

 

Others:

  বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার মিউজিয়াম অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়।

   ১৯৬৪ সালে ঢাকার পরমাণু শক্তি কমিশনে বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয়।এটি IBM-1620 মডেলের Mainframe Computer.

   বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় (বেসরকারি)।

   বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় (সরকারি)।

   বাংলা ভাষায় প্রথম কম্পিউটার বিষয়ক মাসিক পত্রিকা হলো কম্পিউটার জগৎ(১৯৯১)

   সাইবার Crime প্রতিরোধ করতে ২০০৬ সালে বাংলাদেশে ICT আইন করা হয়।

 


কম্পিউটার ভাইরাস


ভাইরাস একটি Utility Program যা Computer এর ক্ষতি সাধন করে। Virus (Vital Information Resources Under Seize) অর্থ জব্দ করা।এটা দ্বারা বোঝায় গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর নামকরণ করেন ফ্রেডরিক কোহেন.

১৯৭১ সালে বব থমাস Creeper Virus নামে একটি পরীক্ষামূলক Virus তৈরি করেন। ১৯৯৯ সালের ২৬ এপ্রিল CIH বা চেরনোবিল নামক Virus এর আক্রমণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের লক্ষ লক্ষComputer বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। CIH ভাইরাসকে Mother of all virus বলে। ২০০৮ সালে ফেসবুক ও মাইস্পেস এর ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে Koobface কম্পিউটার ভাইসার ছাড়া হয় যা লক্ষ লক্ষ সার্ভার সিস্টেমকে আক্রান্ত করে।

 

কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ Virus এর নাম:

  ‍AIDS

  Bye Bye

  Bad Boy

  Cinderella

  I love you

  Conficker

  Kurnikova

  Koobface

  Creeper

  CIH

 

Antivirus: এটি একটি Utility Software যা Virus দূর করতে ব্যবহৃত হয়। কতগুলো Antivirus Software এর নাম:

      →  Kaspersky

      →   Norton

  Avast

  PC Cillin

  Cobra (বাংলাদেশি)

  Avira

  AVG

  McAfee

  PC Tools

     →  Bit Defender

   Symantec

  Panda

   Microsoft Security Essential

  Zone Alarm


সাইবার অপরাধ


সাইবার অপরাধ বলতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে অপরাধ করা হয় তাকেই বোঝানো হয়। মূলত তথ্য চুরি, তথ্য বিকৃতি, প্রতারণা, ব্লাকমেইল, অর্ত চুরি ইত্যাদি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে করা হলে তাকে সাইবার অপরাধ (Cyber Crime) বলে।

 

  • Internet ব্যবহার করে অন্য ব্যক্তির Data চুরি বা ধ্বংস করাকে Hacking বলে। যে Hack করে তাকে Hacker বলে। Illegal Hacker is Called Cracker.

 

  • Email Account এ প্রায় কিছু কিছু অপ্রয়োজনীয় Email পাওয়া যায়। এগুলোকে Spam Mail বলে।

 

  • Internet এর মাধ্যমে কারো System এ বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে File, Program, Software এর ক্ষতি সাধন করাকে Cyber Attack/Cyber Vandalism বলে।

 

  • প্রতারণার মাধ্যমে কারো কাছ থেকে Personal Information Collect করাকে Phishing বলে।

 

  • Blog বা Website থেকে কোনো লেখা Copy করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াকে Plagiarism বলে।

 

  • সদ্য প্রকাশিত গান বা ছবি (Movie, File etc.) অবৈধভাবে Internet এ Share করাকে Piracy বলে।

 


কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ


Backup: Backup Program বলতে নির্ধারিত File Copy করা বুঝায়। এর মাধ্যমে পরবর্তীতে Data পুনরুদ্ধার করা যায়। তখন Restore Command ব্যবহৃত হয়।

 

  • Firewall: অবাঞ্চিত ব্যবহারকারীর হাত থেকে System রক্ষা করতে বা Cyber Attack ঠেকাতে Firewall ব্যবহৃত হয়।

 

  • IPS (Instant Power Supply): এটি বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধের সাথে সাথে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে না। এর বিদ্যুৎ ধারণ ক্ষমতা বেশি।

 

  • UPS (Uninterruptable Power Supply): এটি বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধের সাথে সাথে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে। এর বিদ্যুৎ ধারণ ক্ষমতা কম।

 

  • ২০০০ সালের পহেলা জানুয়ারি সারা বিশ্বের Computer এ নতুন সহস্রাব্দ-জনিত সমস্যা হয়। একে Millennium Bug বা Y-2K Bug বলে।

 

  • চোখের উপর চাপ কমাতে চোখ থেকে Monitor ২ থেকে ৩ ফিট দূরে স্থাপন করাকে আদর্শ দূরত্ব বলে। চোখের উচ্চতা থেকে Monitor সমান উচ্চতায় হলে সবচেয়ে ভালো।

 

  • মেঝে থেকে Keyboard কে ২৮ থেকে ৩১ ইঞ্চি উঁচুতে রেখে সমতল জায়গা স্থাপন করতে হবে। হাতকে শূন্যে রেখে Keyboard ব্যবহার করতে হবে।

 


নমুনা প্রশ্ন


১. অবৈধভাবে যারা হ্যাকিং করে তাদের বলে – 

ক) Hacker

খ) Cracker

গ) Spammer

ঘ) Analyst

উত্তরঃ খ


২. প্রতারণার মাধ্যমে কারও কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করাকে বলে – 

ক) Piracy

খ) Phishing

গ) Vandalism

ঘ) Cyber theft

উত্তরঃ খ


৩. Back up প্রোগ্রাম বলতে বোঝায় – 

ক) নির্ধারিত ফাইল ডাউনলোড করা

খ) নির্ধারিত ফাইল কপি করা

গ) পূর্বের প্রোগ্রামে ফিরে যাওয়া

ঘ) ফাইল পুনরুদ্ধার করা

উত্তরঃ খ


৪. একটি কম্পিউটারকে হ্যাকিং থেকে রক্ষা করে – 

ক) Password

খ) Anti-virus

গ) Backup

ঘ) Firewall

উত্তরঃ ঘ


৫. In Y2K, K stands for what?

ক) Computer

খ) Thousand

গ) Century

ঘ) Million

উত্তরঃ খ


৬. LinkedIn এর উদ্ভাবক কে?

ক) জ্যাক ডরসি

খ) রেইড হফম্যান

গ) কেভিন সিস্ট্রোম

ঘ) মাইক ক্রিয়েজার

উত্তরঃ খ


৭. Instagram চালু হয় কত সালে?

ক) ২০০৪ সালে

খ) ২০০৫ সালে

গ) ২০১০ সালে

ঘ) ২০১১ সালে

উত্তরঃ গ


৮. ফেসবুকের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?

ক) ক্যালিফোর্নিয়া

খ) সানফ্রান্সিসকো

গ) নিউইয়র্ক

ঘ) ওয়াশিংটন

উত্তরঃ ক


৯. নিচের কোনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়?

ক) YouTube

খ) Pinterest

গ) Google plus

ঘ) Tumblr

উত্তরঃ ক


১০. প্রযুক্তির কোন প্রতিষ্ঠানকে Big Blue বলে?

ক) আইবিএম

খ) গুগল

গ) মাইক্রোসফট

ঘ) অ্যাপল

উত্তরঃ ক


১১. মাইক্রোসফটের সাথে যে নামটি জড়িত নয়?

ক) বিল গেটস

খ) পল অ্যালেন

গ) হারম্যান হলিরিথ

ঘ) সত্য নাদেলা

উত্তরঃ গ


১২. মাইক্রোসফট কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

ক) ১৯৭২ সালে

খ) ১৯৭১ সালে

গ) ১৯৭৫ সালে

ঘ) ১৯১১ সালে

উত্তরঃ গ

 


১৩. গুগল-এর সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার কোথায় অবস্থিত?

ক) মাউন্টেন ভিউ

খ) সান্টাক্লারা

গ) কুপারটিনো

ঘ) রেডউড সিটি

উত্তরঃ ক


১৪. গুগলের প্রকৃত নাম কী?

ক) জুগলার

খ) ডুডল

গ) ব্যাকরাব

ঘ) টেবুলেট

উত্তরঃ গ


১৫. নিচের কোনটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নয়?

ক) PC Tools

খ) Bit Defender

গ) Symantec

ঘ) Cinderella

উত্তরঃ ঘ


১৬. Cyber Attack ঠকোতে কী ব্যবহৃত হয়?

ক) Hardware

খ) Software

গ) Firewall

ঘ) Fireware

উত্তরঃ গ


১৭. গান বা ছবি অবধৈভাবে Internet এ Share করাকে কী বল?

ক) Piracy

খ) Cracker

গ) Spammer

ঘ) Analyst

উত্তরঃ ক


১৮. Google কত সালে চালু হয়?

ক) ১৯৯৮ সালে

খ) ১৯৭১ সালে

গ) ২০০৪ সালে

ঘ) ১৯১১ সালে

উত্তরঃ ক


১৯. YouTube এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?

ক) ক্যালিফোর্নিয়া

খ) সানফ্রান্সিসকো

গ) নিউইয়র্ক

ঘ) ওয়াশিংটন

উত্তরঃ ক


২০. নিচের কোনটি ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচিত?  

ক) YouTube

খ) Pinterest

গ) Google plus

ঘ) Facebook

উত্তরঃ খ


গ্রন্থপঞ্জি:


১. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,‘ব্যবহারিক কম্পিউটার শব্দকোষ’ (বাংলা একাডেমি, ফেব্রুয়ারি ২০১৩)

২. এ জেড এম আসাদুজ্জামান, মো. মাসুদ রানা ও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ (জুলাই ২০১৩)

৩. প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’

৪. গোবিন্দ চন্দ্র রায় ও সামসুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’

৫. ডা. মো. শাহনেওয়াজ হোসেন জর্জ, ‘Easy কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি’ (জুন ২০১৬)

BCS Computer & IT Lecture – 05

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, ডাটা ও মোবাইল কমিউনিকেশন, নমুনা প্রশ্ন


Information & Communication Technology


  • তথ্যপ্রযুক্তি: এর কাজ Data Collect করে Information তৈরি করা।
  • যোগাযোগ-প্রযুক্তি: এর কাজ Information এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঠিকভাবে স্থানান্তর করা।

 

Data শব্দটি Datum শব্দের বহুবচন। অর্থ উপাত্ত বা Fact. এটি মূলত Information এর ক্ষুদ্রতম একক বা উপাদান।Data সাজালে Processing এর মাধ্যমে Information তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াকে Data Processing বলে।

 

Global Village (বিশ্বগ্রাম):

  • বিশ্বগ্রামের প্রথম ধারণা দেন মার্শাল ম্যাকলুহান (কানাডা) তার Understanding Media (1964) গ্রন্থে।
  • বিশ্বকে যুক্ত করার প্রথম প্রক্রিয়া চালু হয় পৃথিবী জুড়ে Telephone Line স্থাপনের মাধ্যমে।
  • ১৯৬৯ সালে USA এর প্রতিরক্ষা দপ্তরে ARPANET (Advance Research Projects Agency Network) নামে প্রথম Internet এর যাত্রা ‍শুরু হয়।
  • By the global village concept the world is considered a single community linked by telecommunications. বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার উপাদানসমূহ:
    1. Data
    2. Hardware
    3. Software
    4. Capacity
    5. Connectivity

 

Virtual Reality (কল্প-বাস্তবতা):

  • এ নামটি প্রথম ব্যবহার করেন: অ্যান্টোনিন অরচিউড (ফরাসি)
  • এর মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক Image তৈরি করা হয়।
  • এটি মূলত Computer প্রযুক্তি ও Simulation তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত।
  • এটি সেই প্রযুক্তি যা দেখে বাস্তবের মতো মনে হয় অর্থাৎ যা জীবন্ত দৃশ্য সৃ্ষ্টি করে।

 

Artificial Intelligence (কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা):

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক: অ্যালান টুরিং। তিনি তাত্ত্বিক কম্পিউটারের বিজ্ঞানের জনক।

১৯৫৫ সালে এই নামটি প্রথম ব্যবহার করা হয়।

 

Robotics (রোবট-বিজ্ঞান):

Robot শব্দের উৎপত্তি স্লাভিক শব্দ Robota থেকে। এর অর্থ ‘শ্রমিক’।বিশ্বের বিখ্যাত Robot নির্মাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ:

    1. Murata Company এরমুরাতা বয় (জাপান)
    2. Sony Corporation এর আইবো (জাপান)
    3. Honda Company এর আসিমো (জাপান)
  • Robot এর নড়াচড়া করার ক্ষমতাকে Locomotion এবং বস্তু পরিবর্তন পদ্ধতিকে Manipulation বলে।
  • বৈদ্যুতিক মোটরের সমন্বয়ে তৈরি রোবটের অঙ্গ নড়াচড়ার বিশেষ পদ্ধতিকে Actuator বলে।
  • Robot এর Power দেওয়া হয় Lead Acid দিয়ে তৈরি Rechargeable Battery দিয়ে।

 

Biometrics (মানববৈশিষ্ট্য পরিমাপবিদ্যা):

Bio শব্দটি গ্রিক শব্দ। এর অর্থ ‘জীবন’। Metrics অর্থ ‘পরিমাপ’। এটি মানুষের শারীরিক কাঠামো, আচরণ, বৈশিষ্ট্য, গুণাগুণ প্রভৃতির মাধ্যমে ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া।

 

Bioinformatics (জৈব তথ্যবিজ্ঞান):

জীব সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজে Computer প্রযুক্তির প্রয়োগকে Bioinformatics বলে।

 

Nanotechnology (ন্যানোপ্রযুক্তি):

  • 1 Nanometer = 10-9 meter
  • Nanotechnology পদার্থের আণবিক পর্যায়ে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিদ্যা।
  • রিচার্ড ফাইম্যান (1959)-কে এই প্রযুক্তির জনক বলা হয়।
  • মানুষের পক্ষে প্রথমবারের মত ১৯৮৯ সালে পদার্থের অণুকে সাজিয়ে ইচ্ছেমতো কিছু তৈরি করা সম্ভব হয়।

 

Embedded Computer:

এটি Computer এর একটি বিশেষায়িত সিস্টেম যা একটি বৃহৎ Machine এর অংশবিশেষ হিসেবে কাজ করে। যেমন: Air-condition (AC) স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হওয়ার কাজটি করবে এ যন্ত্রের ভিতরে থাকা Embedded Computer.

 


Computer Network


বিভিন্ন কম্পিউটার যে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বারা একসাথে যুক্ত থাকে তাকে Computer Network বলে। এটি তার ও বেতার-তরঙ্গ উভয় অবস্থায় হতে পারে। Computer Network প্রধানত ৪ প্রকার। যথা:

  1. PAN (Personal Area Network)
  2. LAN (Local Area Network)
  3. MAN (Metropolitan Area Network)
  4. WAN (Wide Area Network)
  • PAN: এর ব্যাপ্তি বা সীমা সাধারণত 10 মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। Laptop, Printer ইত্যাদিতে এটি ব্যবহৃত হয়।
  • LAN: এর ব্যাপ্তি সাধারণত 10 কি.মি. এর চেয়ে কিছু কম এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। School, College বা বড় কোনো Office এ এটি ব্যবহৃত হয়।
  • MAN: এই Network-এ Telephone Line, Modem বা অনেক সময় Microwave ব্যবহার করা হয়। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ Cable TV Network.
  • WAN: এটি সাধারণত 100 মাইলের বেশি দূরত্ব পর্যন্ত Coverage করতে পারে। এতে Telephone Line, Microwave, Satellite & Fibre Optic Cable ব্যবহৃত হয়। WAN এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো: Internet.

 

Network Topology (নেটওয়ার্ক সংগঠন):

Network Topology এর বাংলা নাম হলো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সংগঠন। Network ভুক্ত Computer এরঅবস্থাগত ও সংযোগ বিন্যাসের কাঠামোকে Topology বলে। এটি Local Area Network(LAN) এ ব্যবহৃত হয়।

LAN এর প্রধান কয়েকটি Topology হলো:

  1. Bus Topology
  2. Ring Topology (এটি বৃত্তাকার)
  3. Star Topology
  4. Tree Topology
  5. Mesh Topology (পরস্পর সংযুক্ত; একে Point to Point Link বলে)
  6. Hybrid Topology (Bus, Ring, Star, Tree, Mesh এর সমন্বয়ে গঠিত)।

 


Internet Network


টেলি-যোগাযোগের মাধ্যমে Computer এর একাধিক Network এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংযোগ সৃষ্টি করে নতুন Computer যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব। এ ধরনের সংযোগ কাঠামোকে Internet Network বা Internet Walking বলে।

 

  • Bridge: এটি একাধিক নেটওয়ার্ককে যুক্ত করে একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক গঠনের ডিভাইস। মূলত একই ধরনের Network সংযোগের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। যেমন: LAN to LAN.

 

  • Gateway: এটি ভিন্ন ধরনের Network-সমূহকে যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: LAN to MAN.

 

  • Router: Broadcast Internet সংযোগ Share করতে Router বহুল ব্যবহৃত হয়। রাউটার উৎস কম্পিউটার হতে গন্তব্যে কম্পিউটারে Data পৌঁছে দেয়। এটি Data গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সবচেয়ে কম দূরত্ব ব্যবহার করে। Router সম্প্রচার অঞ্চল (Broadcast Domain) কে এমনভাবে ভেঙ্গে ফেলে যাতে একটি Network অংশের অধীনে থাকা সকল Device ঐ Network অংশের জন্য প্রেরিত সম্প্রচার পড়তে এবং প্রক্রিয়াজাত করতে পারে।বিশ্বের শীর্ষ Router নির্মাতা প্রতিষ্ঠান Cisco.

 

  • Repeater: নেটওয়ার্কে অন্তর্ভূক্ত কম্পিউটারের দূরত্ব বেশি হলে কিংবা Network এর বিস্তার বেশি হলে Cable এর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত Signal দুর্বল হয়ে পড়ে। এই Signal পুনরায় Strong করতে Repeater ব্যবহৃত হয়।

 

  • Hub: দুইয়ের অধিক পোর্টযুক্ত Repeater কে হাব বলে। StarTopology-এ হাব (Hub) কেন্দ্রীয় Connectivity Device হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

  • Switch: সুইচ ও হাব এর কাজ প্রায় একই। তবে Hub প্রেরিত Signal গ্রহণ করার পর একই কম্পিউটারে পাঠায়। কিন্তু Switch প্রেরিত Signal গ্রহণ করার পর Target কম্পিউটারে পাঠায়।

 

  • OSI Model: OSI এর পূর্ণরূপ Open System Interconnection. মূলত কম্পিউটার ও অন্যান্য নেটওয়ার্কিং Device সমূহের মধ্যে কীভাবে সংযোগ গড়ে উঠে সেটাই নির্দেশ করে এই OSI Model.এতে ৭টি Layer থাকে। যথা:

Upper Layer

  1. Application Layer
  2. Presentation Layer
  3. Session Layer

Lower Layer

  1. Transparent Layer
  2. Network Layer
  3. Data-link Layer
  4. Physical Layer

 

  • Client Server Network: কোন কম্পিউটারের সংরক্ষিত তথ্যসমূহ যদি এক সাথে এবং একই সময়ে অনেক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে বা Share করতে পারে তাকে Server বলে। Server এর সাথে সংযুক্ত হয়ে যে সেবা গ্রহণ করে তাকে Client বা Workstation বলে। ব্যবহারকারী বা Client Terminal মূলত ২ ধরনের। যথা:

১) Dumb Terminal: শুধুমাত্র Key-board বা Monitor থাকে। কোনো Processing Unit থাকে না।

২) Smart Terminal: Keyboard, Monitor এবং নিজস্ব Processing Unit থাকে।

 

  • Peer to Peer Network: এই Network পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কোনো Server থাকে না। এতে সংযুক্ত সকল Computer-ই Client বা Server হিসেবে কাজ করতে পারে।এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী যে কোনো Resource বা তথ্য ভাগাভাগি করে নিতে পারে। তবে এর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই বলে নিরাপত্তা খুবই দুর্বল।

 

  • Proxy Server: Proxy হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা User কে ইন্টারনেটের সাথে পরোক্ষভাবে যুক্ত করে দেয়। এই Server এ ব্যবহারকারীর প্রকৃত তথ্য গোপন থাকে। সহজ ভাষায় Proxy Server এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের তথ্য গোপন রেখে Internet Browse করতে পারি।

 

  • Ping Command: এই Command দিয়ে মূলত Server/Host এর সাথে Client PC এর Network Connection এবং Acuteness পরীক্ষা করা হয়। মূলত এটা একটা PC থেকে একটি Request অন্য Host এ পাঠায়। অন্য Host Machine Request পেয়ে ফিরতি একটি Response পাঠায়। সেটা প্রথম PC গ্রহণ করে Output দেখায়। তবে, Network Connection এ কোনো সমস্যা থাকলে ফিরতি Response পাওয়া যাবে না।

 


Data Communication


Communication শব্দটি Latin শব্দ ‘Communicare’ থেকে এসেছে। যার অর্থ আদান-প্রদান করা। এটি মূলত তথ্য আদান-প্রদান পদ্ধতি। Data Process হলো:

Input  → Process → Output

তথ্য আদান প্রদানের জন্য Software আকারে যে নিয়ম কানুন আছে তাকে Protocol বলে।

উৎস থেকে গন্তব্যের দিকে যে পরিমাণ Data এক সময়ে পরিবাহিত হয় তাকে Bandwidth বলে। মূলত Data Transmission Speed কে Bandwidth বলে। একে পরিমাপ করা হয় প্রতি Second এ কত Bit পরিবাহিত হয়। অর্থাৎ Bit Per Second বা bps দিয়ে।

 

Data Transmission Speed (গতি) কে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়:

  1. Narrow Band
  2. Voice Band
  3. Broad Band

 

  1. Narrow Band: এর গতি ৪৫ থেকে ৩০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। Telegraphy তে এটি ব্যবহৃত হয়।
  2. Voice Band: এর গতি ৯৬০০ bps থেকে ৯.৬ kbps পর্যন্ত হয়ে থাকে। Land Telephone, Computer থেকে Printer বা Card Reader এ এটি ব্যবহৃত হয়।
  3. Broad Band: এটি১mbps থেকে অনেক উচ্চগতির হতে পারে। WiMAX, Satellite ও Microwave Communication এ এটি ব্যবহৃত হয়। সাধারণত Coaxial Cable ও Optical Fiber Cable এর মাধ্যমে এই Data স্থানান্তরিত হয়।

 

Data Transmission Method (পদ্ধতি) ২ ধরনের। যথা:

  1. Parallel Data Transmission
  2. Serial Data Transmission

 

  1. Parallel: এর ভিতর দিয়ে ৮, ১৬ ও ৩২ বিটের Data চলাচল করতে পারে। যেমন: Computer থেকে Printer এ Data পাঠানো।
  2. Serial: দূরত্ব বেশি হলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে তথ্য পর্যায়ক্রমে 1 Bit করে আদান-প্রদান করতে পারে।এই Signal পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে Synchronization বলে।

 

Data Transmission Mode (ধরন):Data প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে এটাকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

  1. Simplex
  2. Half Duplex
  3. Full Duplex

 

  1. Simplex: এটি দ্বারা কেবল একদিকে Data প্রেরণ করা হয়। উদাহরণ: Radio, TV ইত্যাদি।
  2. Half Duplex: এক্ষেত্রে উভয়দিকে Data প্রেরণের সুযোগ আছে। তবে, একসাথে সম্ভব নয়। যেকোনো প্রান্ত একই সময়ে Data গ্রহণ বা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু গ্রহণ বা প্রেরণ একসাথে করতেপারে না। উদাহরণ: ওয়াকিটকি।
  3. Full Duplex:এক্ষেত্রে একই সময়ে উভয় দিকে Data প্রেরণের সুযোগ আছে। উদাহরণ: মোবাইল, টেলিফোন ইত্যাদি।

 

Data Transmission Node (পর্ব) ৩ প্রকার। যথা:

  1. Unicast
  2. Broadcast
  3. Multicast

 

  1. Unicast:এক্ষেত্রে একজন প্রেরক ও একজন প্রাপ্রক থাকে। যেমন: Mobile, Telephone ইত্যাদি।
  2. Broadcast:এক্ষেত্রে Network এর আওতাধীন সকল Node-ই গ্রহণ করে। যেমন: Radio, TV ইত্যাদি।
  3. Multicast: এক্ষেত্রে যে সকল Node কে অনুমতি দেয়া হয় তারাই গ্রহণ করতে পারে। যেমন: Group Chatting, Group MMS, Email, Teleconferencing, Video Conferencing ইত্যাদি।

 

Data Communication Medium (মাধ্যম): তথ্য আদান-প্রদান হতে পারে, তামা, কাচ, প্লাস্টিক ও বাতাসের মধ্যে দিয়ে। এটি প্রধানত ২ প্রকার। যেমন:

  1. Cable Media: এক্ষেত্রে তারের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।
  2. Wireless Media: এক্ষেত্রে তারবিহীন যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।

 

Cable Media ৩ ধরনের। যেমন:

  1. Twisted Pair Cable
  2. Coaxial Pair Cable
  3. Fibre Optic Cable

 

  1. Twisted Pair Cable: দুটি পরিবাহী তারকে পরস্পর সুষমভাবে পেঁচিয়ে এ ক্যাবল তৈরি করা হয়। পেঁচানো তার দুটিকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝে অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
  2. Coaxial Pair Cable: দুটি পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের সাহায্যে এ ক্যাবল তৈরি করা হয়। ভেতরের পরিবাহীকে আচ্ছাদিত করার জন্য এবং বাহিরের পরিবাহী থেকে পৃথক রাখার জন্য এদের মাঝে অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়। বাহিরের পরিবাহীকে আবার প্লাস্টিকের জ্যাকেট দ্বারা ঢেকে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ভেতরের পরিবাহী সোজা এবং বাহিরের পরিবাহী তারটি চারদিক থেকে পেঁচানো থাকে।
  3. Fibre Optic Cable:Fibre Optic/Optical Fibre হলো ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরণের সরু ও নমনীয় কাচতন্তুর আলোক নল। যা আলো পরিবহনে সক্ষম।Optical Fibre আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে Data পরিবহন করে থাকে। এর ভিতরে আলোক রশ্মি ২ ভাবে যেতে পারে। Laser ও LED পদ্ধতিতে। Fibre Optic Cable এর মূল তারটি তৈরি হয় সিলিকা, কাচ অথবা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে। এই Cable এর Bandwith 100 mbps থেকে 2 gbps পর্যন্ত হয়। এ Cable এর ৩টি অংশ থাকে।
  • Core (Glass)
  • Cladding (Glass)
  • Jacket (Plastic)

2006 সালের ২১ মে (SEA-ME-WE-4), দৈঘ্য ১৮০০০ কি. মি. যা বাংলাদেশের প্রথম Submarine Cable Station. এটি কক্সবাজারের এর ঝিলংঝাতে অবস্থিত এবং দ্বিতীয় (SEA-ME-WE-5) এর দৈর্ঘ্য ২০,০০০ কি.মি.। এর স্টেশন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত।

 

Wireless Media: এটি তারহীন তথ্য আদান প্রদানের পদ্ধতি। বর্তমানে তারহীন এ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুই ধরনের Internet Access Point সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন: Hotspot & Mobile Network.

Hotspot এক ধরনের Wireless Network যা Mobile, Computer এ Internet সংযোগ সরবরাহ করে। যদি কোনো নির্দিষ্ট এলাকাকে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের জন্য নির্ধারিত করা হয় তবে সে এলাকাকে Hotspot বলে। এটি তৈরির ক্ষেত্রে বর্তমানে ৩টি প্রযুক্তি খুব জনপ্রিয়। যেমন:

  1. WiMAX
  2. Wi-Fi
  3. Bluetooth

 

  • WiMAX (Worldwide Interoperability for Microwave Access): এটি উচ্চগতির ব্রডব্যন্ড যোগাযোগ প্রযুক্তি যা বিস্তৃত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। ২০০১ সালে এই প্রযুক্তি চালু হয়।এর Coverage Area (10 to 60) km পর্যন্ত হতে পারে। এর গতি (10 to 100) mbps এবং এর Standard হলো IEEE 802.16

 

  • Wi-Fi (Wireless Fidelity): এটি এক ধরনের জনপ্রিয় তারবিহীন প্রযুক্তি যা WiMAX এর চেয়ে অপেক্ষাকৃত ধীরগতির। এর মাধ্যমে রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়। ১৯৯১ সালে Dutch Computer বিজ্ঞানী ভিক্টর ভিক হেয়েসওয়াইফাই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। Indoor এ 60 to 90meter দূরত্ব এবং Outdoor এ প্রায় 300 meter দূরত্বে এর মাধ্যমে Data স্থানান্তর করা যায়। এর গতি (10 to 50) mbps এবং Standard হলো IEEE 802.11

 

  • Bluetooth: এটি হল তারহীন Personal Area Network (PAN). Bluetooth প্রযুক্তির মাধ্যমে যে Network গড়ে তোলা সম্ভব তার নাম পিকোনেট। Bluetooth প্রযুক্তিতে UHF (Ultra High Frequency) রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৪ সালে Swedish Company জায়ান্ট এরকিসন সর্বপ্রথম Bluetooth এর উদ্ভাবন করে। Demark এর রাজা Herald Bluetooth এর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। USB পোর্টের মাধ্যমে এর সংযোগ দেওয়া যায়। Bluetooth এর আওতায় সর্বোচ্চ ৮টি যন্ত্রের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা যায়। এর দূরত্ব (10 to 100) meter পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং Standard হলো IEEE 802.15
  • উল্লেখ্য, IEEE এর পূর্ণরূপ Institute of Electrical & Electronics Engineers. এর Standarad হলো 802
  • Communication System এর অন্তর্ভুক্ত না হয়ে অবৈধভাবে তা ব্যবহার করাকে Eavesdropping বা অবৈধ ছেদ বলে।

 

Wireless Media আবার ৩ প্রকার। যেমন:

  1. Radio wave
  2. Microwave
  3. Infrared Ray

 

  • Radio Wave: ৩ কিলোহার্জ থেকে ৩০০ কিলোহার্জ Frequency-র বেতার তরঙ্গকে Radio Wave বলে। এটি ১মিলিমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার এলাকায় বিস্তার লাভ করে। এক্ষেত্রে Antenna কে নির্দিষ্ট দিকমূখী করার প্রয়োজন হয় না।Antenna মূলত বিদ্যুৎ পরিবাহী যন্ত্র। যা বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় শক্তি তারবিহীন মাধ্যমে বিকিরণ করতে পারে।

 

  • Microwave: ১ গিগাহার্জ থেকে ৪০ গিগাহার্জ Frequency-তে পাঠানো বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের নাম Microwave. এক্ষেত্রে প্রেরক ও গ্রাহক Antenna কে পরস্পরমূখী করে সাজাতে হয়।

Satellite Microwave ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৪ হাজার কিলোমিটার উপরে ১টি নির্দিষ্ট কক্ষপথে রাখতে হয়। পৃথিবীতে অবস্থিত এ স্টেশনগুলোর Powerful Antenna থাকে। যার নাম VSAT (Very Small Aperture Terminal).Satellite এর সাহায্যে যে কোনো স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করা যায়, একে GPS (Global Positioning System) বলে।

 

  • Infrared Ray: ৩০০ গিগাহার্জ থেকে ৪০০ গিগাহার্জ পর্যন্ত Frequency কে Infrared Ray বলে। এই বিকিরণের তরঙ্গ দৃশ্যমান আলোর চেয়েও বড়। এই ধরনের বিকিরণ খালি চোখে দেখা যায় না। উইলিয়াম হার্শেল ১৮০০ সালে এই বিকিরণ আবিস্কার করেন।সাধারণত বিভিন্ন Remote Control System এ Infrared Ray ব্যবহৃত হয়।সাধারণত টিভির ভলিউম কমানো-বাড়ানো, পাওয়ার সুইচ অন ও অফ করা, পাখার গতি ও এসি নিয়ন্ত্রণ করতে Infrared Ray ব্যবহৃত হয়।

 


Mobile Communication


Mobile শব্দের উৎপত্তি Move থেকে। দুটি চলনশীল Device এর মধ্যে Data আদান প্রদান করার System কে Mobile Telephone System বলে।

→ মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো তার Network এর আওতাধীন এলাকাকে যে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে তার প্রতিটি ভাগকে Cell বলে।

→ এই Cell শব্দ থেকেই Cellular নামের উৎপত্তি। একটি Antenna ও একটি ছোট Office নিয়ে এই Cell গঠিত।

→ Antenna সহ ছোট Office কে Base Station বলে। এর মাধ্যমে Network Coverage দেওয়া হয়। প্রতিটি Base Station নিয়ন্ত্রণ করা হয় Mobile Switching Centre (MSC) দ্বারা।

→ Mobile Phone এ Radio Wave/Frequency Use করা হয়।

→ USA এর Motorola Company এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন কুপার ১৯৭৩ সালে আধুনিক Mobile Phone আবিষ্কারকরেন।

→  Mobile Service প্রদানকারীদের Area এর সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য তাদের মধ্যে দেশীয় ও আন্তঃদেশীয় সংযোগ ব্যবস্থাকে Roaming বলে।

 

সাধারণত একটি Cellular Phone এর ৩টি অংশ থাকে। যথা:

  1. Control Unit
  2. Input Transceiver
  3. Antenna System

 

বর্তমানে প্রচলিত মোবাইল ফোন প্রযুক্তিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

(i)    GSM (Global System for Mobile Communication):

→   ১৯৯১ সালে এটি প্রথম ব্যবহৃত হয়।

→   যা বর্তমানে ২১৮টি দেশে International Roaming এর সুবিধা দিচ্ছে।

→   এর Coverage এরিয়া ৩৫ কি. মি. এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।

→   Transfer rate 56 kbps.

 

(ii)  CDMA (Code Division Multiple Access):

→   এটি USA এর কোয়ালকম কোম্পানির একটি Advance Wireless প্রযুক্তি।

→   এর Coverage Area 110 km পর্যন্ত।

→   Transfer Rate 154-614 kbps পর্যন্ত।

→   Radiation কম হওয়ায় এই প্রযুক্তিকে Green Phone Technology বলে।

 

Some Abbreviation:

→   SIM (Subscriber Identity Module)

→   GPRS (General Pocket Radio Service)

→   IMEI (International Mobile Equipment Identity)

→   EDGE (Enhanced Data Rate for GSM Evolution)

→   GIS (Geographic Information System)

 

Generation of Mobile Phone:মোবাইল ফোন প্রযুক্তিকে ৪টি প্রজন্মে ভাগ করা যায়। যথা:

(1) First Generation (1G): ১৯৭৯ সালে জাপানের Nippon Company এটি চালু করে।বাণিজ্যিকভাবে এটি চালু হয় ১৯৮৩ সালে।

(2) ‍Second Generation (2G): ১৯৯১ সালে GSM প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে প্রথমে ইউরোপে সূচনা হয়। এই প্রযুক্তিতে SMS & MMS Service চালু হয়।

(3) Third Generation (3G): ২০০১ সালে জাপানে প্রথম এটি চালু হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল High Speed Data Transmission. এতে প্রথম Video Call এর ব্যবহার শুরু হয়।

(4) Fourth Generation (4G): ২০০৯ সালে South Korea তে এটি চালু হয়। এতে IP (Internet Protocol) ভিত্তিক Network এর ব্যবহার শুরু হয়।

 

Smart Phone: স্মার্টফোন হলো বিশেষ এক ধরনের মোবাইল ফোন যা Mobile Computing Platform এর উপর প্রতিষ্ঠিত।বর্তমানে সর্বাধিক প্রচলিত Smart Phone হলো:

  • Apple এর IOS (এটি iPhone যা ২০০৭ সালে স্টিভ জবস প্রথম তৈরি করেন)
  • Google এর Android (সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত)
  • Microsoft এর Windows
  • Nokia এর Symbian (সিম্বিয়ান)
  • Research in Motion এর Black Berry
  • IBM এর (সাইমন) Simon (এটিই ছিল প্রথম Smart Phone)

 

  i-Pod: এটি হলো Apple কর্তৃক বাজারজাতকৃত এক ধরনের বহনযোগ্যMedia Player.

  Fax: Fax Machine একটি Telephone এর সাথে যুক্ত থাকে। যে তথ্য প্রেরণ করতে হবে তা একটি কাগজে type করে লিখে রাখতে হয়। যে Number এ Fax প্রেরণ করতে হবে সে Number Dial করে কাগজটি machine এ ছাপানো হয় এবং তা অপর প্রান্তে হুবহু নকল বেরিয়ে আসে।

  Telex: এটি এক ধরনেরTele Printer যাতে Type Writer থাকে। যে তথ্য প্রেরণ করতে হবে তা Type Writer এ Type করতে হয়। যে Number এর প্রেরণ করতে হয় সে Number এ Telex তখন Type হয়ে বেরিয়ে আসে।

  Telemedicine: Video Conferencing & Internet এর সাহায্যে দূরবর্তী স্থানে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করাকে Telemedicine বলে।

  Mobile Banking: এটি Mobile/Tab ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করার একটি প্রক্রিয়া। ২০১০ সালে Dutch Bangla Bank প্রথম এটি চালু করে।

  Telebanking:Telephone এর মাধ্যমে যে Banking কার্যক্রম পরিচালিত হয় তাকে Telebanking বলে। Bangladesh এ Standard Chartered Bank এটি প্রথম চালু করে।

  i-Banking/OnlineBanking: Internet এর মাধ্যমে Banking কার্যক্রম পরিচালনা করাকে iBanking বলে।

  Ready Cash Card: নগদ অর্থের বিপরীতে Bank হতে সরবরাহকৃত এক ধরনের Plastic Card কে Ready Cash বলে। Ready Cash কে ATM Card-ও বলে। এটি জনতা ব্যাংক প্রথম চালু করে। এটি দুই ধরনের। যথা:

(i) Debit Card (জমাকৃত টাকা উত্তোলনের জন্য)

(ii) Credit Card: এটি ব্যাংক থেকে ব্যক্তিকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে ঋণ প্রদান করে এবং তার বিপরীতে সুদ নেয়। যেমন: VISA, MASTER, AMERICAN EXPRESS ইত্যাদি।

 


নমুনা প্রশ্ন


১. ‘ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক’ কোন ধরনের নেটওয়ার্ক?

ক) PAN

খ) LAN

গ) MAN

ঘ) MAN

উত্তরঃ গ


২. কোন নেটওয়ার্কে ফাইবার অপটিক ক্যাবল ব্যবহৃত হয়?

ক) PAN

খ) LAN

গ) MAN

ঘ) MAN

উত্তরঃ ঘ


৩. নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারের সংযোগ বিন্যাস কাঠামোকে বলে – 

ক) Terminal

খ) Topology

গ) Topology

ঘ) Gateway

উত্তরঃ খ


৪. দুটো ভিন্ন নেটওয়ার্ক আইডি সংযোগ করতে ব্যবহৃত হয় – 

ক) Router

খ) Topology

গ) Bridge

ঘ) Gateway

উত্তরঃ গ


৫. কোন প্রকারের টপোলোজিকে চড়রহঃ ঃড় চড়রহঃ ষরহশ বলে?

ক) Hybrid

খ) Mesh

গ) Tree

ঘ) Star

উত্তরঃ খ


৬. নেটওয়ার্কের সিগন্যালকে শক্তিশালি করে অধিক দূরত্বে প্রেরণের জন্যে ব্যবহৃত হয় – 

ক) রাউটার

খ) হাব

গ) রিপিটার

ঘ) গেটওয়ে

উত্তরঃ গ


৭. OSI model has seven layers. What is the full meaning of OSI?

ক) Open System Int’l

খ) Open System Interconnection

গ) Open Style Interconnection

ঘ) Outer System Interconnection

উত্তরঃ খ


৮. সার্ভারের সাথে সংযুক্ত কম্পিউটারকে কী বলে?

ক) ওয়ার্ক স্টেশন

খ) ক্লায়েন্ট

গ) হোস্ট

ঘ) খ + গ

উত্তরঃ গ


৯. নেটওয়ার্কের একটি কম্পিউটার যদি অন্যদের রিসোর্স ব্যবহার করার সুযোগ দেয়, তাকে বলে – 

ক) ফাইবার অপটিক

খ) সার্ভার

গ) ক্লায়েন্ট

ঘ) টার্মিনাল

উত্তরঃ খ


১০. Artificial Intelligence  এর জনক কে?

ক) এন্টোনিন অরচিউড

খ) অ্যালান টুর্রিং

গ) মার্শাল ম্যাকলুহান

ঘ) রিচার্ড ফাইনম্যান

উত্তরঃ খ


১১. রোবোটের নড়াচড়া করার ক্ষমতাকে বলে – 

ক) Locomotion

খ) Manipulation

গ) Actuation

ঘ) Modulation

উত্তরঃ ক


১২. Data Transmission Speed-কে কী দিয়ে প্রকাশ করা হয়?

ক) Frequency

খ) Wave

গ) Bandwidth

ঘ) Bit

উত্তরঃ গ


১৩. ‘ভয়েস ব্যান্ড ডেটা ট্রান্সমিশন’ কী ধরনের যোগাযোগে ব্যবহৃত হয়?

ক) মাইক্রোওয়েভ

খ) স্যাটেলাইট

গ) ওয়াইম্যাক্স

ঘ) টেলিফোন লাইন

উত্তরঃ ঘ


১৪. ‘মোবাইল ও টেলিফোন’ কোন ধরনের ডাটা ট্রান্সমিশন মোডের অন্তর্ভূক্ত?

ক) Cineplex

খ) Simplex

গ) Half-Duplex

ঘ) Full-Duplex

উত্তরঃ ঘ


১৫. কীসের মধ্য দিয়ে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে?

ক) কাঁচ

খ) বাতাস

গ) প্লাস্টিক

ঘ) সবগুলো

উত্তরঃ ঘ


১৬. ফাইবার অপটিক ক্যাবলের Cladding অংশটি কী দিয়ে তৈরি?

ক) Glass

খ) Copper

গ) Silver

ঘ) Plastic

উত্তরঃ ক


১৭. ফাইবার অপটিক ক্যাবলে ডেটা ট্রান্সফার রেটের সর্বোচ্চ পরিমাণ –

ক) More than 2 Gbps

খ) 2 Gbps

গ) 2 Mbps

ঘ) 100 Mbps

উত্তরঃ খ


১৮. কমিউনিকেশন সিস্টেমের অন্তর্ভূক্ত না হয়ে অবৈধভাবে তা ব্যবহার করাকে বলে – 

ক) Pilferage

খ) Eavesdropping

গ) Synchronization

ঘ) Cyber Criminology

উত্তরঃ খ


১৯. টিভি রিমোর্ট কন্ট্রোলে সাধারণত কোন ডিভাইস ব্যবহার করা হয়?

ক) মাইক্রোওয়েভ

খ) ইনফ্রারেড

গ) রেডিও ওয়েভ

ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ খ


২০. Bluetooth কোন স্ট্যান্ডার্ড এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে?

ক) IEEE 802.15

খ) IEEE 802.11

গ) IEEE 802.16

ঘ) IEEE 802.12

উত্তরঃ ক


২১. WiFi প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয় – 

ক) ২০০১ সালে

খ) ১৯৯১ সালে

গ) ১৯৯৪ সালে

ঘ) ২০০৮ সালে

উত্তরঃ খ


২২. আধুনিক মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন?

ক) ভিক্টর ভিক হেয়েস

খ) মার্টিন কুপার

গ) জায়েন্ট এরিকসন

ঘ) রজার টমলিনসন

উত্তরঃ খ


২৩. কোন তারহীন প্রযুক্তিকে Green Phone Technology বলে?

ক) GSM

খ) CDMA

গ) EDGE

ঘ) FDMA

উত্তরঃ খ


২৪. ২০০৯ সালে কোন দেশে প্রথমবারের মতো মোবাইল ফোনের চতুর্থ প্রজন্মের যাত্রা শুরু হয়?

ক) জাপান

খ) জার্মানি

গ) দক্ষিণ কোরিয়া

ঘ) ডেনমার্ক

উত্তরঃ গ


২৫. মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাই রোধে কার্যকর পদ্ধতি হলো – 

ক) GSM

খ) GPRS

গ) IMEI

ঘ) IMEI

উত্তরঃ খ


২৬. বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোনের নাম – 

ক) অ্যাপলের আইওএস

খ) নকিয়ার সিম্বিয়ান

গ) রিচার্স ইন মেশিনের ব্লাকবেরি

ঘ) আইবিএমের সাইমন

উত্তরঃ ঘ


২৭. দূরবর্তী স্থানে ছবি ও লেখা পাঠানোর ইলেকট্রনিক ব্যবস্থার নাম কী?

ক) টেলেক্স

খ) টেলিপ্রিন্টার

গ) টেলিগ্রাফি

ঘ) ফ্যাক্স

উত্তরঃ ঘ


২৮. কোন ব্যাংক প্রথম রেডিক্যাশ কার্ড চালু করে?

ক) ডাচ বাংলা

খ) জনতা

গ) অগ্রণী

ঘ) বেসিক

উত্তরঃ খ


২৯. বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন কোথায় অবস্থিত?

ক) লক্ষ্মীপুর

খ) খুলনা

গ) চট্টগ্রাম

ঘ) পটুয়াখালি

উত্তরঃ ঘ


৩০. Nanotechnology এর জনক কে?

ক) এন্টোনিন অরচিউড

খ) অ্যালান টুর্রিং

গ) মার্শাল ম্যাকলুহান

ঘ) রিচার্ড ফাইনম্যান

উত্তরঃ ঘ


গ্রন্থপঞ্জি:


১. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,‘ব্যবহারিক কম্পিউটার শব্দকোষ’ (বাংলা একাডেমি, ফেব্রুয়ারি ২০১৩)

২. এ জেড এম আসাদুজ্জামান, মো. মাসুদ রানা ও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ (জুলাই ২০১৩)

৩. প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’

৪. গোবিন্দ চন্দ্র রায় ও সামসুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’

৫. ডা. মো. শাহনেওয়াজ হোসেন জর্জ, ‘Easy কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি’ (জুন ২০১৬)

BCS Computer & IT Lecture – 04

প্রোগ্রাম, ডেটাবেস, সংখ্যাপদ্ধতি, ডিজিটাল লজিক ও নমুনা প্রশ্ন


Program & Programming Language


Computer কে নির্দেশ প্রদানের জন্য কম্পিউটার বুঝতে পারে এমন কিছু সংকেত ব্যবহার করে Program তৈরি করা হয়। এই Program তৈরির জন্য ব্যবহৃত নিয়ম-কানুন, প্রতীক ও সংকেতগুলোকে একত্রে Programming Language বলে।যিনি Program তৈরি করেন তাকে Programmer বলে। একজন ভালো Programmer এর সর্বপ্রথম Logical Mind থাকতে হয়।

Program এর ভাষাকে ৫টি স্তর বা প্রজন্মে ভাগ করা যায়। যথা:

  1. 1G Language (1945): যান্ত্রিক ভাষা/Machine Language
  2. 2G Language (1950): সাংকেতিক ভাষা/AssemblyLanguage/Symbolic Language
  3. 3G Language (1960): উচ্চতর ভাষা/High Level Language
  4. 4G Language (1970): অতি-উচ্চতর ভাষা/Very High-Level Language
  5. 5G Language (1980): স্বাভাবিক ভাষা/Natural Language

First Generation Language (1G): এটি Computer এর মৌলিক ভাষা। কম্পিউটার একমাত্র মেশিনের ভাষাই বুঝতে পারে। অন্য ভাষায় Program লিখলে তা অনুবাদকের সাহায্যে Computer মেশিনের ভাষায় রূপান্তর করে নেয়। মেশিনের ভাষায় লিখিত Program কে Object Program বলে। অন্য যে কোনো ভাষায় লিখিত Program কে Source Program বলে। মেশিনের ভাষায় Program রচনা করা সবচেয়ে কঠিন ও সময়-সাপেক্ষ।

 Second Generation Language (2G): এ ভাষা বিভিন্ন সংকেত সহযোগে গঠিত। এই সংকেতকে Symbolic বা Mnemonic Code বলে। এ ভাষায় Program রচনা করা মেশিনের ভাষার তুলনায় সহজ হলেও কষ্টসাধ্য ও সময়-সাপেক্ষ।

Third Generation Language (3G): এটি মেশিন নির্ভর ভাষা নয়। এ ভাষায় মানুষের বোধগম্য শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উচ্চতর ভাষাকে যন্ত্রের সাহায্যে রূপান্তর করার জন্য অনুবাদক Software ব্যবহৃত হয়। কতগুলো উচ্চতর ভাষার উদাহরণ হলো:

      • FORTRAN: সবচেয়ে পুরনো,1954 সালেIBM গবেষক জন ব্যাকাস এটি তৈরি করেন।
      • Python
      • ALGOL: এটি গবেষকদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
      • COBOL
      • Basic
      • APL
      • Pascal
      • Forth
      • ADA
      • C
      • C++
      • C#
      • Java
      • BASIC

C Language: 1970 সালে Bell Laboratory এর ডেনিশ রিচি এটি উদ্ভাবন করেন। যেকোনো Program লিখতে এটি ব্যবহার করা যায়। Program তৈরিতে এটি বেশ জনপ্রিয়। একে Computer এর ভাষার জনক বলা হয়। Unix Operating System এ এটি প্রথম ব্যবহৃত হয়। এই ভাষা তিন ধরনের: Ansi C, Turbo C, Visual C.

Fourth Generation Language (4G): এটি মেশিন নির্ভর ভাষা নয়। এ ভাষা ব্যবহার করে সহজেই Application Program তৈরি করা যায়; ফলে একে Rapid Application Development (RAD) বলে। প্রধানত বাণিজ্যিক প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত এ ভাষাকে অনেক সময় Application Generator বলা হয়। এ ভাষার অপর নাম Non-Procedural Language. কারণ এ ভাষায় শুধু ফলাফল বলে দিতে হয়; ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। যেমন:

      • SQL
      • Intellect
      • Visual Basic
      • Nomad
      • RPG III
      • Focus
      • Oracle

Five Generation Language (5G): এ ভাষায় Program লিখতে মানুষের স্বাভাবিক ভাষা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করা হয়। এটি ২ প্রকার। যথা:

.    মানুষের ভাষা: বাংলা, ইংরেজি, আরবি ইত্যাদি

২.    Programming Language: যা মানুষের ভাষা ব্যবহার করে Computer এর সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি করে।

 

Translator Software:

কম্পিউটারের ভাষায় Source Program কে Object Program এ পরিণত করতে যে Software ব্যবহৃত হয় তাকেই Translator বলে। ৩ ধরনের অনুবাদক Software আছে। যেমন:

Compiler& Interpreter: এই দুটো Source Program কে Object Program এ রূপান্তর করে। অর্থাৎ উচ্চতর ভাষাকে যান্ত্রিক ভাষায়রূপান্তর করে।

Assembler:এটি Assembly ভাষাকে মেশিনের ভাষায় রূপান্তর করে।

 

Program রচনার ৪টি ধাপ আছে। যথা:

  1. Algorithm: Computer যে সিদ্ধান্তক্রমের ধাপসমূহ অনুসরণ করে তাকে ‍Algorithm বলে। এটি হলো যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি।
  2. Flow Chart: Flow Chart হলো Algorithm বা সিদ্ধান্তক্রমের ধাপসমূহের চিত্ররূপ অর্থাৎ Program এর ধাপগুলো কোন পথে ও কীভাবে প্রবাহিত হচ্ছে তা চিত্রাকারে উপস্থাপন করাই এর কাজ। এটি Program এর ভিত্তি।
  3. Program Coding: Flow Chart এর বিষয়কে কম্পিউটার Programming এর ভাষায় রূপান্তরিত করাকে Coding বলে। Program রচনা ও উন্নয়নে Pseudo code একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। Pseudo গ্রীক শব্দ এর অর্থ হলো ছদ্ম।
  4. Debugging: প্রোগ্রাম তৈরির সময় Program এ থেকে যাওয়া ভুলকে Bug বলে। এই ভুলত্রুটি খুঁজে বের করে তা দূর করাকে Debugging বলে। ১৯৪৫ সালে Mark-1 Computer এর মধ্যে একটি মথপোকা প্রবেশ করায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এর থেকেই Debugging শব্দের উৎপত্তি এর অর্থ: পোকা বের করা।

 

Program এর ত্রুটিগুলো হলো:

  • Syntax Error: এটি ভুল টাইপের কারণে হয়।
  • Logical Error: Program এ যুক্তির ভুল থাকলে তাকে Logical Error বলে।
  • Execution Error: Program এ গাণিতিক প্রক্রিয়ার সম্পাদন জনিত ত্রুটিকে Execution Error বলে।

 

Concept of Program:

একটি আদর্শ Program এর ৫টি পর্ব থাকে। যথা: পরিচয়, বর্ণনা, Input, Processing ওOutput.

সাধারণত Program এর ৩টি অংশ। যথা:

Input  → Processing → Output

 

Visual Basic: 1991 সালে Microsoft কর্পোরেশন Windows Operating System এর জন্য Visual Basic নামে উচ্চতর ভাষা তৈরি করে। এটি Microsoft এর প্রথম Programing Model.

Python: এটি একটি Dynamic Programming Language যেখানে Programming Run করার পর চলক ও কোনো Method কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিনে নেয়।

 

Program এর গঠনরীতিকে Program এর Model বলে।

Program Development এর সময় ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিভিন্ন বিষয় লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। এই লিপিবদ্ধ করাকে Program Documentation বলে।

Variable হলো Memory এর লোকেশেনের (Location) নাম বা ঠিকানা। Program নির্বাহের সময় Memory তে Variable এর অবস্থান ও সংরক্ষিত মান পরিবর্তন হয় বা হতে পারে। তাই এর নাম Variable বা চলক। Program নির্বাহের ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই Constant বা ধ্রুবকের মান পরিবর্তন করা যায় না।

Date Type এর কতগুলো Variable এর Set কে Array বা বিন্যাস বলে।

যে চলক রাশির মান অন্য কোনো চলক রাশির উপর নির্ভরশীল তাকে Function বলে।

Programming এর সকল কাজ বিভিন্ন Programming Software এর মাধ্যমে করা হয়। বর্তমানে জনপ্রিয় ২টি Programming Software হলো: Visual Basic ও Delphi.

 


Database Management System (DBMS)


Data অর্থ উপাত্ত এবং Base অর্থ সমাবেশ। অর্থাৎ উপাত্তের সমাবেশকেই Database বলে। এটি মূলত বিপুল তথ্য মজুদ বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা; যেখান থেকে Data সহজে ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা ও হালনাগাদ করা যায়। অতএব, DBMS হলো তথ্য ব্যবস্থাপনায় বহুল ব্যবহৃত একটি Software.

  • Data বা উপাত্ত হলো Information বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম অংশ। Data বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্নের সমন্বয়ে গঠিত। এটি Input স্বরূপ এবং Data এর সমন্বিত ধারণা হলো Information বা তথ্য যা Output স্বরূপ।

উদাহরণ:

Numeric: 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8,9Data ৩ ধরনের। যথা:

  1. Non-Numeric: A, B, C, D থেকে Z
  2. Boolean/Logical: 0, 1

 

Data Hierarchy: এটি মূলত বিভিন্ন উপাদান দিয়ে গঠিত।Database System এর উপাদানগুলো হলো:

Character (অক্ষর)

Field (ক্ষেত্র)

Record (নথি)

Table (টেবিল)

  • Character: অংক, বর্ণ বা বিশেষ চিহ্নকে Character বলে। সাধারণত ৮ বিট নিয়ে একটি অক্ষর হয়।
  • Field: কয়েকটি Character নিয়ে একটি ক্ষেField হয়।
  • Record: কয়েকটি Field নিয়ে একটি Record গঠিত হয়।
  • Table: একাধিক Record নিয়ে একটি Table হয়।

 

Database এর Design কে Schema বলে।

যে জিনিস Data ধারণ করে তাকে Operand বলে।

Data কে নির্দিষ্ট ক্রম অনুসারে সাজানোকে Sorting বলে।

সুসজ্জিতভাবে Data এর সূচি প্রণয়ন করাকে Indexing বলে।

Database এর Data কে চাহিদামতো তথ্যে সুবিন্যস্ত করে উপস্থাপন করাকে Report বলে।

Database এ সংরক্ষিত তথ্য থেকে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে তথ্য খুঁজে বের করাকে Query বলে।

যে ভাষার সাহায্যে Query করা হয় তাকে Query Language বলে। যেমন:

  1. SQL (Structured Query Language)
  2. QUEL (সবচেয়ে শক্তিশালী ও জনপ্রিয়)
  3. QBE

অনির্দিষ্ট ব্যক্তি হতে Data এর গোপনীয়তা রক্ষা করাকে Data Security বলে।

Data নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য Data কে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠানোর ক্ষেত্রে Data কে Encryptকরতে হয়। একে Data Encryption বলে।

প্রয়োজনীয় Data কে সংরক্ষণ করার জন্য Data Warehouse ব্যবহৃত হয়।

বড় বড় গ্রুপ বা প্রতিষ্ঠানকে Enterprise বলে।

বৃহৎ Enterprise এর একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্য থাকতে পারে। বৃহৎ Enterprise এর সকল বিভাগের Data নিয়ে তৈরি হয় Corporate Database.

কোনো প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ তথ্য ব্যবস্থাপনাকে সমন্বয় করে ERP (Enterprise Resource Planning) তৈরি হয়।

Web Server এর সাথে Database Server যুক্ত করে তৈরি হয় Web Enabled Database Server.


Number System


ভারতবর্ষে ও আরবে প্রথম দশমিক (.) সংখ্যাপদ্ধতির প্রচলন হয়। মিশরীয় সংখ্যাব্যবস্থা ছিল দশ (10) ভিত্তিক। আধুনিক কম্পিউটারের মূল ভিত্তি Binary (0, 1) । এ পদ্ধতির উদ্ভাবক গডফ্রাইড উইলহেম লিবনিজ (জার্মান)।যে পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা বা প্রকাশ করা হয় তাকে সংখ্যাপদ্ধতি বা Number System বলে। এটি 4 ভাগে বিভক্ত। যথা:

  1. Binary Number
  2. DecimalNumber
  3. OctalNumber
  4. HexadecimalNumber

 

  1. Binary Number System: এই সংখ্যাপদ্ধতিতে মাত্র 2টি চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়। তাই একে (2) দুই ভিত্তিক সংখ্যাপদ্ধতি বলা হয়। এই পদ্ধতিতে অংক হলো (০,১)। এর গাণিতিক সূত্রাবলী জর্জ বুল প্রতিষ্ঠা করেন। যেমন: (10001101)2; কম্পিউটার মানুষের ভাষা বুঝে না। সে কাজ করে তার নিজস্ব পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিকে Machine Language বলে। এই Language গঠিত হয় বিদ্যুৎ প্রবাহের দুইটি সংকেত দ্বারা। বিদ্যুৎ আছে/on(1) এবং বিদ্যুৎ নেই\off (0) দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

 

  1. Decimal Number System: এই সংখ্যাপদ্ধতিতে (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯) এই দশটি প্রতীক দিয়ে সব ধরনের সংখ্যা গঠন করা যায়। এই সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হলো ১০। যেমন: (625)10

 

  1. Octal Number System: এই সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি চিহ্ন বা অংক ব্যবহার করা হয়। অংকগুলো হলো: (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭); এর ভিত্তি হলো ৮। যেমন: (714)8; Ocal পদ্ধতির উদ্ভাবক সুইডিশ রাজা সপ্তম চার্লস। Unix Operating System এ Octal সংখ্যাপদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

 

  1. Hexadecimal Number System: এই সংখ্যা পদ্ধতিতে ১৬টি অংক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। অংকগুলো হলো: (০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ‍A, B, C, D, E, F); এই পদ্ধতির ভিত্তি হলো ১৬। যেমন: (76A)16

 


Code


কোনো তথ্যকে গোপনীয়তার সাথে বা সংক্ষেপে প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে Code বলে। কয়েকটি Code এর উদাহরণ হলো:

→ BCD                    → Unicode

→ ASCII                  → ANSI

→ EBCDIC            → Alphanumeric

 

  • Alphanumeric Code: Computer এর Key Board এর সকল বর্ণ, গাণিতিক চিহ্ন, বিশেষ চিহ্ন, শূন্য থেকে নয় (০-৯) পর্যন্ত অংকসহ সকল বাটনের অন্তর্গত Data কে Alphanumeric দিয়ে প্রকাশ করা হয়।মূলত Key Board-ই হচ্ছে একটি Alphanumeric Coding System; এটি ন্যূনতম ৭ বিট থেকে সর্বো্চ ১৬ বিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। যেমন: ASCII, ANSI, Unicode, EBCDIC.

 

  • ASCII Code: American Standard Code for Information Interchange (ASCII). এটি 7 Bit দিয়ে গঠিত(27)। রবার্ট উইলিয়াম বিমারকে এই কোডের জনক বলে। এটি Micro Computer এ ব্যাপক প্রচলন আছে। আমরা Keyboard এর মাধ্যমে যা Type করি তা Encode করে ASCII Code এর মাধ্যমে Binary সংখ্যায় রূপান্তরিত করে Processor এ প্রেরণ করে।

 

  • ANSI Code: American National Standards Institute (ANSI); যা 8 Bit দিয়ে গঠিত (28)।

 

  • Unicode: বিশ্বের ছোট-বড় সকল ভাষাকে Computer এর Code ভুক্ত করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। এটি ১৬ বিট দিয়ে গঠিত(216)। ‘Windows 2000’ Operating System ভার্সন থেকে এই Code এর মাধ্যমে বাংলার ব্যবহার শুরু হয়েছে। এর থেকে অন্যান্য Standard Code এ পরিবর্তিত করা যায়।

 

  • EBCDIC Code: Extended Binary Coded Decimal Interchange Code (EBCDIC). এটি 8 Bit দিয়ে গঠিত (28); যা Mainframe Computer এ ব্যবহৃত হয়।

 

  • BCD Code: Binary Coded Decimal (BCD). এটি দশমিক পদ্ধতির সংখ্যাকে Binary সংখ্যায় প্রকাশ করে। 4 Bit দিয়ে BCD Code গঠিত (24)। BCD (8421) একটি বহুল ব্যবহৃত Code. এটি Binary ভিত্তিক Code.

 


Binary সংখ্যার যোগ-বিয়োগ


Binary Addition

0 + 0 = 0

0 + 1 = 1

1 + 0 = 1

1 + 1 = 0 (হাতে 1)

1 + 1 + 1 = 1 (হাতে 1)

 

Example:

 

Binary Subtraction

0 – 0 = 0

1 – 0 = 0

0 – 1 = 1 (হাতে 1)

1 – 1 = 0

 

Example:

 

 

Number Conversion

Answer = (010000) 2  

*     এক্ষেত্রে ২ দিয়ে ভাগ করে ভাগশেষ নিতে হবে।

*     ভাগফলকে পুনরায় ২ দিয়ে ভাগ করে মিলে যাওয়ার অর্থাৎ ভাগশেষ ০ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ভাগ করতে হবে।

*     ভাগশেষগুলোকে শেষ থেকে প্রথম দিকে ধারাবাহিকভাবে সাজালে উত্তর পাওয়া যাবে।

 

  • দশমিক সংখ্যার ক্ষেত্রে দশমিক অংশকে ২ দিয়ে গুণ দিতে হয়। দশমিকের পূর্বের সংখ্যাটিকে উত্তর ধরতে হয়। সর্বশেষ গুণফলকে প্রথম থেকে শেষ দিকে ধারাবাহিকভাবে সাজালে উত্তর পাওয়া যায়।

 

 (2) Binary to Decimal:

  • (1011010)2=? (10)

= 1 * 26 + 0 * 25 + 1 * 24 + 1 * 23 + 0 * 22 + 1 * 21 + 0 * 20

= 64 + 0 + 16 + 8 + 0 + 2 + 0

= 64 + 16 + 8 + 2

= (90)10

 

Answer: (1011010)2 = (90)10

 

  • (11001)2 =? (10)

= 1 * 24 + 1 * 23 + 0 * 22 + 0 * 21 + 1 * 20

= 16 + 8 + 0 + 0 + 1

= 16 + 8 + 1

= (25)10

 

Answer: (11001)2 = (25)10

 

  • এক্ষেত্রে, বাইনারি সংখ্যার ভিত্তি ২ বলে এর ঘাত বা শক্তি ২ দিয়ে হিসেব করতে হয়। যেমন: প্রথম ঘর ২ = ১, দ্বিতীয় ঘর ২ = ২, তৃতীয় ঘর ২ = ৪, চতুর্থ ঘর ২ = ৮ ইত্যাদি। পরে সংখ্যাগুলো যোগ করে উত্তর মিলাতে হয়।

 

  • (11011.101) 2 =? (10)

= 1 * 24 + 1 * 23 + 0 * 22 + 1 * 21 + 1 * 20 + 1 * 2-1 + 0 * 2-2 + 1 * 2-3

= 16 + 8 + 0 + 2 + 1 + + 0 +

= 16 + 8 + 2 + 1 + +

= 27 + 0.5 + 0.125

= (27.625)10

 

\ Answer: (11011.101)2 = (27.625)10

 

  • (1011.110) 2 =? (10)

= 1 * 23 + 0 * 22 + 1 * 21 + 1 * 20+ 1 * 2-1 + 1 * 2-2 + 0 * 2-3

= 8 + 0 + 2 + 1 + + + 0

= 8 + 2 + 1 + +

= 11 + 0.5 + 0.25

= (11.75)10

 

Answer: (1011.110)2 = (11.75)10

  • দশমিক সংখ্যার ক্ষেত্রে বাইনারি সংখ্যার ভিত্তি ২ বলে এর ঘাত বা শক্তি ২ দিয়ে হিসেব করতে হয়। যেমন: প্রথম ঘর 2-1= , দ্বিতীয় ঘর 2-2 = , তৃতীয় ঘর 2-3= ইত্যাদি। পরে সংখ্যাগুলো যোগ করে এবং ভগ্নাংশ থাকলে ভাগ করে দশমিকের যোগ করে উত্তর মিলাতে হয়।
চারটি সংখ্যাপদ্ধতির
তুলনাচিত্র
DecimalBinaryOctalHexa
decimal
0000
1111
21022
31133
410044
510155
611066
711177
81000108
91001119
10101012A
11101113B
12110014C
13110115D
14111016E
15111117F
16100002010
17100012111
18100102212
19100112313
20101002414
21101012515
3011110361E
3111111371F
401010005028
411010015129
42101010522A
43101011532B
44101100542C
45101101552D
46101110562E
47101111572F
481100006030
491100016131
501100106232

 

Digital Logic &Boolean Algebra

1854 সালে গণিতবিদ জর্জ বুল (George Boole) Boolean বীজগণিত প্রবর্তন করেন। এটি সাধারণ বীজগণিতের মতো নয়। এ বীজগণিতে প্রত্যেকটি Logic এ দুটি মান থাকে (0,1) । একটি মান সত্য হলে অন্যটি হবে মিথ্যা। অর্থাৎ-

0 → no

1 → yes

কোনো সার্কিটে বিদ্যুতের উপস্থিতি যদি 1 ধরা হয় তবে 0 দ্বারা বিদ্যুতের অনুপস্থিতি নির্দেশ করা হয়।

  • Boolean Theorem (বুলিয়ান উপপাদ্য):

বুলিয়ান বীজগণিতের উপর গবেষণালব্ধ ফলাফল হিসাবে ডি. মরগ্যান 2টি প্রয়োজনীয় সূত্র দেন। এই সূত্র 2টিকে ডি. মরগ্যান এর উপপাদ্য বলে।

 


Logic Gate


যদি কোনো সংখ্যা বা রাশিকে একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মাধ্যমে পরিচালনা করা যায় তখন সেই নিয়মকে Logic বলে। এসব Logical নীতির উপর ভিত্তি করে যেসব সার্কিট Design করা হয় এবং যার এক বা একাধিক Input এবং একটি মাত্র Output থাকে তাকে Logic Gate বা Digital Circuit বলে।

  1. OR Gate: দুই বা ততোধিক Input থাকে এবং একটি Output থাকে। এখানে Output হলো Input গুলোর যৌক্তিক যোগফলের সমান। উদাহরণ:
InputOutput
ABY=A+B
000
011
101
111

2. AND Gate: দুই বা ততোধিক Input থাকে এবং একটিমাত্র Output থাকে। এখানে Output হলো Input গুলোর যৌক্তিক গুণফলের সমান।উদাহরণ:

InputOutput
ABY=A.B
000
010
100
111

3. NOTGate: এর একটিমাত্র Input এবং একটিমাত্র Output থাকে। এটি এমন একটি Gate যার Output হলো Input এর বিপরীত মান।উদাহরণ:

InputOutput
AY
BY
01
10

4. NOR Gate: NOT + OR Gate এর সমন্বয়ে গঠিত হয়। এটি OR Gate এর বিপরীত। যদি A ও B দুটি ইনপুট হয় তাহলে NOR গেট হবে Y = A + B. উদাহরণ:

InputOutput
ABY=A+B
001
010
100
110

5. NAND Gate: NOT + AND Gate এর সমন্বয়ে গঠিত। এটি AND Gate এর বিপরীত।যদি A ও B দুটি ইনপুট হয় তাহলে NAND গেট হবে Y = AB. উদাহরণ:

InputOutput
ABY=A.B
001
011
101
110

6. XOR Gate: এটি Exclusive OR Gate যা মৌলিক Gate দিয়ে তৈরি করা হয়। যেমন: XOR ® Y = A Å B

 

7. XNOR Gate: এটি Exclusive NOR Gate যা Universal Gate থেকে তৈরি করা হয়। এটি XOR এর বিপরীত। যেমন: XNOR ® Y =

উল্লেখ্য, XOR ও XNOR গেট দুটি Circuit এর জটিলতা ও খরচ কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

Buffer Gate: এটি একটি Special Gate যাতে Input হিসাবে যা দেওয়া হয় Output এ তাই পাওয়া যায়।

যে Digital বর্তনীর মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে Computer এর বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয় তাকে Encoder বলে। Computer এর বোধগম্য ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করাকে Decoder বলে।

মানুষের ভাষা → Encoder → কম্পিউটার ভাষা

কম্পিউার ভাষা → Decoder → মানুষের ভাষা।

যে সার্কিট বর্তনীর দ্বারা যোগ করা যায় তাকে Adder বলে।

সক্রিয় এবং নিষ্ক্রিয় এমন দুই অবস্থায় Electronic প্রবাহ ব্যবস্থাকে Multi-Vibrator বলে। স্থায়ী Multi-Vibrator কে Flip-Flop বলে। এটি একটি অস্থায়ী Memory.

কতগুলো Flip-Flop এর সমন্বয়ে গঠিত Binary তথ্য সংরক্ষণ সার্কিটকে Register বলে।

গাণিতিক যুক্তিমূলক Operation এর সময় ফলাফল যে Register এ অস্থায়ীভাবে জমা রাখা হয় তাকে Accumulator বলে।

যে Circuit এর সাহায্যে তাতে প্রদানকৃত Input Pulse এর সংখ্যা গুণতে পারা যায় তাকে Counter বলে।

Counter সর্বাধিক যতগুলো সংখ্যা গুণতে পারে তাকে Modulus বলে।

 


নমুনা প্রশ্ন


১. নিচের কোনটি নিম্ন স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা?

ক) উচ্চতর ভাষা

খ) স্বাভাবিক ভাষা

গ) অ্যাসেম্বলি ভাষা

ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তরঃ গ


২. কম্পিউটারের অতি উচ্চতর ভাষা কোনটি?

ক) SQL

খ) QBASIC

গ) COBOL

ঘ) COBOL

উত্তরঃ ক


৩. কোনটি কম্পিউটারের ভাষা নয়?

ক) FORTH

খ) BASIC

গ) LOGO

ঘ) DOS

উত্তরঃ ঘ


৪. যে কোনো প্রোগ্রাম রচনা করতে কোন ভাষা ব্যবহার করা যায় – 

ক) JAVA

খ) C#

গ) C++

ঘ) C

উত্তরঃ ঘ


৫. কম্পিউটারের প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষা – 

ক) FORTRAN

খ) ALGOL

গ) PASCAL

ঘ) ADA

উত্তরঃ ক


৬. কোন অনুবাদক সফটওয়্যারটি সাংকেতিক ভাষাকে যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তর করে?

ক) Compiler

খ) Interpreter

গ) Translator

ঘ) Assembler

উত্তরঃ ঘ


৭. Assembly language এর অপর নাম কী?

ক) Machine language

খ) Symbolic language

গ) Non-procedural language

ঘ) Natural language

উত্তরঃ খ


৮. মেশিনের ভাষা ব্যতীত অন্য যে কোনো ভাষায় প্রোগ্রাম রচনা করাকে কী বলে?

ক) Object Program

খ) Package Program

গ) Package Program

ঘ) High Program

উত্তরঃ গ


৯. প্রোগ্রামের গাণিতিক প্রক্রিয়া সম্পাদনজনিত ত্রুটিকে কী বলে?

ক) Execution error

খ) Execution error

গ) Temporal error

ঘ) Logical error

উত্তরঃ ক


১০. একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামারের প্রথম ও প্রধান গুণ কোনটি?

ক) Logical error

খ) Logical mind

গ) Logical instruction

ঘ) Logical program

উত্তরঃ খ


১১. কম্পিউটার যে সিদ্ধান্তক্রমের ধাপসমূহ অনুসরণ করে, তাকে বলে – 

ক) Algorithm

খ) Logarithm

গ) Flowchart

ঘ) Flowchart

উত্তরঃ ক


১২. তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে কী বলে?

ক) Byte

খ) Data

গ) Base

ঘ) Bit

উত্তরঃ খ


১৩. A database table is the collection of-

ক) Characters

খ) Fields

গ) Records

ঘ) Bits

উত্তরঃ গ


১৪. যে জিনিস ডেটা ধারণ করে তাকে বলে – 

ক) Schema

খ) Query

গ) Operand

ঘ) Sorting

উত্তরঃ গ


১৫. নিচের কোনটি Database language নয়?

ক) SQL

খ) QUEL

গ) QBE

ঘ) QUERY

উত্তরঃ ঘ


১৬. Data Encrypt কেনো করা হয়?

ক) ডেটার গোপনীয়তা রক্ষার জন্যে

খ) ডেটা সংরক্ষণের কাজে

গ) ডেটা সমন্বয়ের কাজে

ঘ) ডেটাকে স্থানাস্তরের ক্ষেত্রে

উত্তরঃ ঘ


১৭. ‘বাইনারি’ পদ্ধতির উদ্ভাবক কে?

ক) চার্লস ব্যাবেজ

খ) গডফ্রিড লাইবনিৎস

গ) ডগলাস এঙ্গেলবার্ট

ঘ) ফ্রেডরিক কোহেন

উত্তরঃ খ


১৮. Hexadecimal সংখ্যার ভিত্তি কত?

ক) ১২

খ) ৮

গ) ১৬

ঘ) ১০

উত্তরঃ গ


১৯. নিচের কোনটি একটি বাইনারি সংখ্যা?

ক) (১১০১০)২

খ) (৭১৪)৮

গ) (৭৮৬A)১৬

ঘ) (০.৩৭৫)১০

উত্তরঃ ক


২০. কোনটি গণনা পদ্ধতি নয়?

ক) Octal

খ) Binary

গ) Hexadecimal

ঘ) BCD

উত্তরঃ ঘ


২১. (101)2 + (001)2= ?

ক) 1100

খ) 110

গ) 1000

ঘ) 101

উত্তরঃ খ


২২. (1100)2- (101)2= ?

ক) 111

খ) 10

গ) 1011

ঘ) 110

উত্তরঃ ক


২৩. (99)10 সংখ্যাকে বাইনারিতে রূপান্তর করলে হয় – 

ক) (11000)2

খ) (1100011)2

গ) (100011) 2

ঘ) (101001)2

উত্তরঃ খ


২৪. (1011010)2 = (?)10

ক) 99

খ) 110

গ) 90

ঘ) 98

উত্তরঃ গ


২৫. (469)10সংখ্যাকে অক্টাল সংখ্যায় রূপান্তর কর?

ক) (995)8

খ) (728)8

গ) (725)8

ঘ) (735)8

উত্তরঃ গ


২৬. দশমিক (২৫.৬২৫) সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করলে হয় – 

ক) ১১০০১.১০১

খ) ১১০০১০.০১

গ) ১১০০১.১১১

ঘ) ১১০১০.১১০

উত্তরঃ ক


২৭. ASCII কত বিটের কোড?

ক) ৭

খ) ৮

গ) ১৬

ঘ) ৪

উত্তরঃ ক


২৮. Boolean Algebra এর নিচের কোনটি সঠিক নয়?

ক) A + A = A

খ) A.1 = A

গ) A + B = B + A

ঘ) A + 0 = 1

উত্তরঃ ঘ


২৯. কতগুলো Flip-Flop এর সমন্বয়ে গঠিত বাইনারি তথ্য সংরক্ষণ সার্কিটকে বলে – 

ক) এনকোডার

খ) রেজিস্টার

গ) কাউন্টার

ঘ) মডিউলাস

উত্তরঃ খ


৩০. নিচের কোনটি Universal Gate?

ক) AND

খ) NOT

গ) NOR

ঘ) XOR

উত্তরঃ গ


গ্রন্থপঞ্জি:


১. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,‘ব্যবহারিক কম্পিউটার শব্দকোষ’ (বাংলা একাডেমি, ফেব্রুয়ারি ২০১৩)

২. এ জেড এম আসাদুজ্জামান, মো. মাসুদ রানা ও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ (জুলাই ২০১৩)

৩. তামিম শাহরিয়ার সুবিন, ‘কম্পিউটার প্রোগ্রামিং’ (১ম, ২য় ও ৩য় খণ্ড)

৪. প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র বসাক, ‘কম্পিউটারের কথা’

৫. ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী, ‘কম্পিউটারের আশ্চর্য জগৎ’

৬. ডা. মো. শাহনেওয়াজ হোসেন জর্জ, ‘Easy কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি’ (জুন ২০১৬)

BCS Bangla Lecture – 11

সমার্থক শব্দ

সমার্থক মানে একার্থক বা অনুরূপ অর্থবিশিষ্ট। বাংলা শব্দভাণ্ডারের বেশ কিছু শব্দ অন্য একটি শব্দের অনুরূপ অর্থ প্রকাশ করে, এরূপ শব্দকে সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ (Synonym) বলে। সমার্থক শব্দ সৃষ্টিশীল সাহিত্য ও মননশীলতার ভূষণ। এর মাধ্যমে ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়। রচনায় শাব্দিক বৈচিত্র্য আসে এবং বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। নিচে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সমার্থক শব্দের উদাহরণ দেওয়া হলো।

অন্ধকার
আঁধার, আন্ধার, তিমির, তমসা, শর্বর, নভাক, নিরালোক, অমা


অন্ন
ভাত, ওদন, আহার, তণ্ডুল, খাবার, ভোজ্য, আহার্য, রসদ, অন্নজল, দানাপানি, খানা


আলো
কর, কিরণ, রশ্মি, প্রভা, বিভা, আভা, দীপ্তি, অংশু, ময়ূখ, উদ্ভাস, দ্যুতি, ভাতি, ঔজ্জ্বল্য, রওশন, নুর, চাকচিক্য, জৌলুস, জ্যোতি, ভাস, প্রদ্যোত, ছটা


আকাশ
আসমান, অম্বর, গগন, নভঃ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ, সুরপথ, ইথার, দ্যুলোক, ছায়ালোক, নীলিমা, শূন্যলোক, খ, অভ্র, নভস্তল, নভোমণ্ডল, ত্রিদিব, তারাপথ


আগুন
অগ্নি, অনল, পাবক, বহ্নি, হুতাশন, বৈশ্বানর, বায়ুসখা, শিখা, দহন, জ্বলন, শিখিন, বিশ্বপা, কৃশানু, আতশ, আগ, বীতিহোত্র, সপ্তাংশু, অর্চি


ঈশ্বর
আল্লাহ, খোদা, জগদীশ, জগৎপতি, ধাতা, বিধাতা, বিভু, বিধি, ভগবান, সৃষ্টিকর্তা, স্রষ্টা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, ইলাহি, প্রভু, ঈশ, মাবুদ, ব্রহ্মা, পরমেশ, অন্তর্যামী, জগন্নাথ, জগন্ময়, প্রজাপতি, রক্ষক, মনিব, আদিনাথ, পৃথ্বীশ, অমরেশ, লোকনাথ, নিরঞ্জন, পরেশ, মওলা, পতিতপাবন, দেবতা, অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অজর, ঠাকুর, অধিপতি, ঈশ্বর, বিধায়ক, মালিক, নাথ, সবিতা


কালো
কৃষ্ণ, কুৎসিত, অসিত, শ্যাম, শ্যামল


কাক
বায়স, বলিভুক, পরভৃৎ, বৃক, বলিপুষ্ট, অন্যভৃৎ, কাকল


কবুতর
পায়রা, কপোত, পারাবত, প্রাসাদকুক্কুট, গৃহবাজ, গেরবাজ, লক্কা, নোটন


কপাল
ললাট, ভাল, ভাগ্য, অলিক, নিয়তি, অদৃষ্ট


কন্যা
নন্দিনী, তনয়া, দুহিতা, মেয়ে, দুলালি, বেটি, আত্মজা, তনুজা, ঝি, বালিকা, ঝিয়ারি, পুত্রী, দারিকা, পুত্রিকা, কুমারী, স্বজা, সুতা, কনে, খুকি, অঙ্গজা


কোকিল
পরভৃত, পিক, পরপুষ্ট, অন্যপুষ্ট, অন্যভৃত, কাকপুষ্ট, মধুবন, মধুসখ, মধুস্বর, কলকণ্ঠ, কাকপুচ্ছ, কুহুকণ্ঠ, কলঘোষ


গৃহ
ঘর, আলয়, নিলয়, নিকেতন, সদন, বাড়ি, আবাস, নিবাস, বাটি, কুঠুরি, কুঠি, কুটির, আগার, ধাম, ভবন, আশ্রয়, বাসস্থান, গেহ, কোঠা, কামরা, কাটরা, মহল, প্রকোষ্ঠ, রুম, কেবিন, খোপ, চেম্বার, হল, ঘুপসি, অট্টালিকা, প্রাসাদ


ঘোড়া
অশ্ব, ঘোটক, তুরঙ্গম, তুরঙ্গ, তুরগ, মরুদ্রথ, টাঙন, হয়, বাজী, বাহনশ্রেষ্ঠ, হ্রেষী, বামী, বড়বা


চুল
অলক, কুন্তল, চিকুর, কবরী, কেশ, কেশর, কচ, শিরোজ, শিরোরুহ, মূর্ধজ, কৃশলা


চাঁদ
চন্দ্র, নিশাকর, বিধু, শশধর, শশাঙ্ক, মৃগাঙ্ক, সুধাংশু, হিমাংশু, সিতাংশু, কলাভৃৎ, কলানিধি, কলাধর, শশী, সোম, সুধাকর, কুমুদনাথ, নিশানাথ, নিশাকর,নিশাকান্ত, নিশাপতি, ইন্দু, হিমকর, সুধানিধি, সুধাকর, রজনীকান্ত, দ্বিজরাজ, দ্বিজপতি, দ্বিজেন্দ্র, রাকেশ, তারাপতি, তারানাথ, তারাধিপ, রাকা, সিতকর, পূর্ণেন্দু, বালেন্দু, মাহতাব, তমোহর


চোখ
অক্ষি, চক্ষু, নয়ন, নেত্র, লোচন, আঁখি, ঈক্ষণ, দৃষ্টি, দৃক


জল
অম্বু, জীবন, নীর, পানি, সলিল, বারি, উদক, পয়, অম্ভ, অর্ণ, বারুণ, অপ, তোয়, পুষ্কর, সুধা, শম্বর, ইলা


ঢেউ
ঊর্মি, বীচি, কল্লোল, উল্লোল, হিল্লোল, লহরি, তরঙ্গ, উপচেপড়া, জোয়ার, জলকল্লোল, কটাল, ঘূর্ণি, মৌজ, উৎকলিকা, জলোচ্ছ্বাস, জলস্ফীতি


তীর
ক‚ল, তট, বেলাভূমি, ধার, কিনারা, পুলিন, চড়া, বেলা, সৈকত, বালুকাবেলা, পার, পাড়, আড়া, কচ্ছ, তড়, চর, ডাঙা, পাটক, প্রতীর


দিন
দিবস, দিবা, দিনমান, অহ্ন, অহ, অহন, বাসর, বার, রোজ, সাবন, চব্বিশঘণ্টা, অষ্টপ্রহর


দোকান
বিপণি, আপণ, পসার, পণ্যগৃহ, পণ্যশালা


দেহ
গাত্র, গা, তনু, শরীর, কায়া, অঙ্গ, কলেবর, বপু, গতর, ভোগায়তন, প্রত্যঙ্গ, উপাঙ্গ, অবয়ব


ধন
অর্থ, বিত্ত, বিভব, বিভূতি, সম্পদ, সম্পত্তি, নিধি, ঐশ্বর্য, টাকা


নর
পুরুষ, মানব, জন, লোক, ব্যক্তি, মরদ, মর্দ, যুবক, জোয়ান


নারী
অবলা, কামিনী, ভামিনী, মহিলা, স্ত্রীলোক, রমণী, রমা, মেয়েছেলে, মেয়েলোক, ললনা, অঙ্গনা, জেনানা, কান্তা, সীমন্তিনী, মানবী, আওরৎ, যোষিৎ, বালা, যুবতী, প্রমদা, তিলোত্তমা, সুস্মিতা, সুচিস্মিতা, রামা, বামা, সুন্দরী, লক্ষ্মী, অনসূয়া, অপ্সরী, আয়তি, পোয়াতি


নদী
তটিনী, স্রোতস্বতী, স্রোতস্বিনী, স্রোতবহ, তরঙ্গিনী, প্রবাহিণী, নির্ঝরিণী, সমুদ্রদয়িতা, সমুদ্রকান্তা, কল্লোলিনী, শৈবালিনী, সরিৎ, গাঙ, নদ, মন্দাকিনী, গিরি-নিস্রাব, অপগা, দ্রবন্তী, ধুনী, পয়স্বিনী


পর্বত
অচল, অদ্রি, গিরি, পাহাড়, ভূধর, শৈল, নগ, অগ, পৃথ্বীধর, শৃঙ্গ, শিখরী, মহীধর, ভূভৃৎ, ধরাধর, ক্ষিতিধর, নগাধিপ, সানুমান, বলাহক


পিতা
আব্বা, বাবা, বাপ, জনক, জনিতা, জন্মদাতা, আব্বু, ফাদার, পাপা, ড্যাড


পুত্র
ছেলে, তনয়, তনুজ, নন্দন, সুত, দারক, বেটা, দুলাল, খোকা, পুত্তুর, আত্মজ, অঙ্গজ, স্বজ, কুমার


পৃথিবী
অবনী, ধরা, ধরণি, ধরিত্রী, বসুন্ধরা, বসুধা, বসুমতি, ভূ, মেদিনী, দুনিয়া, জগৎ, ভুবন, বিশ্ব, পৃথ্বী, মর্ত্য, ধরাতল, মহি, ক্ষিতি, ব্রহ্মাণ্ড, অখিল, উর্বী, ইলা, ইরা, অদিতি, ভূতল, ভূলোক, ধরাধাম, জাহান, ক্ষৌণি


পদ্ম
পঙ্কজ, কুমুদ, শালুক, শতদল, অরবিন্দ, নলিনী, নলিন, রাজিব, তামরস, উৎপল, কমল, কুবলয়, সরসিজ, সরোজ, ইন্দিবর,পুষ্কর, কোকনদ, পুণ্ডরীক, কৈরব,কুবল, শ্রীপর্ণ, সলিলজ, বিসকুসুম, বিসজ, কঞ্জ, নীরজ, অম্বুজ


পাখি
বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পক্ষী, খগ, দ্বিজ, শকুন্ত, খেচর, চিড়িয়া,পতত্রি, পতগ, পতঙ্গ, গরুড়, পত্রী, পাখপাখালি, খগম


ফুল
পুষ্প, প্রসূন, রঙ্গন, কুসুম, মুঞ্জরি, সুমন


বন
অরণ্য, কুঞ্জ, অটবি, জঙ্গল, কানন, বাগান, বাগিচা, বনানী, বাদাড়, ঝোপ, বিপিন, কান্তার,দাব


বিদ্যুৎ
তড়িৎ, চপলা, চঞ্চলা, অশনি, ক্ষণপ্রভা, দামিনী, সৌদামিনী, বিজলি, শম্পা, অনুভা, ইরম্মদ


বাতাস
হাওয়া, বায়ু, পবন, সমীর, সমীরণ, মরুৎ, বাত, প্রভঞ্জন, অনিল, গন্ধবহ, বায়, পবমান,সদাগতি,নভঃপ্রাণ, শব্দবহ, বহ্নিমিত্র, খগ


বৃক্ষ
পাদপ, গাছ, তরু, বিটপী, মহীরূহ, শাখী, শিখরী, পর্ণী, উদ্ভিদ, পল্লবী, দ্রুম, স্কন্ধী, ভূপদ, গাছগাছালি, বনস্পতি, তরুবর, ক্ষিতিজ


মাতা
গর্ভধারিণী, প্রসূতি, মা, জননী, আম্মা, জন্মদাত্রী, জনিত্রী, জনিকা, জনি, অম্বা, অম্বিকা, আই, প্রজনিকা, সবিত্রী


ময়ূর
কেকী, শিখী, শিখণ্ডী, কলাপী, বর্হী


মৃত্যু
ইন্তেকাল, চিরবিদায়, দেহত্যাগ, পঞ্চত্বপ্রাপ্তি, পরলোক-গমন, দেহান্ত, লোকান্তর-গমন, মরণ, নাশ, বিনাশ, নিধন, সংহার, অন্ত, নিপাত, ইহলীলা-সংবরণ, ওফাৎ, মহানিদ্রা, মহাপ্রয়াণ, কালনিদ্রা, পটলতোলা, ভাবলীলা-সাঙ্গ, প্রাণত্যাগ, মহাযাত্রা


মেঘ
বারিদ, জলধর, জলদ, নীরদ, ঘন, অভ্র, অম্বুবাহী, অম্বুদ, অম্বুধর, জীমূত, বারিবাহ, কাদম্বিনী, পয়োদ,পয়োধি, পয়োধর, তোয়দ, তোয়ধর, পর্জন্য, বলাহক, নীরধর, উদধি, দেয়া


যুদ্ধ
বিগ্রহ, রণ, লড়াই, সংগ্রাম, সংঘর্ষ, সংঘাত, সমর, জিহাদ, আহব, যোধন, জঙ্গ,প্রতিদারণ, যুঝ, অনীক


রাজা
নৃপতি, নৃপ, নরপতি, ভূপতি, ভূপাল, ভূপ, মহিপাল, মহিনাথ, মহীন্দ্র, মহিপ, মহিপতি, মহীশ, দণ্ডধর, নরেন্দ্র, নরাধিপ, নরেশ, অধীশ্বর, সম্রাট, শাহেনশা, ক্ষিতিপ, ক্ষিতীশ, ক্ষিতিপাল, রাজাধিরাজ, জাঁহাপনা, রাজড়া, পাতশা, বাদশা, রাজন্য, অধীশ, অধিপ, অধিভূ, শাসক, নৃপবর, অবনীশ, ঔষ্ণীক, ছত্রপতি, ক্ষৌণীশ


রাত
নিশি, নিশা, নিশীথ, নিশীথিনী, রজনী, তমা, তামসী, নক্ত, ক্ষপা, ত্রিযামা, নিশুতি, যামী, যামিনী, যামবতী, শর্বরী, বিভাবরী, ক্ষণদা, রাত্রি, তারকিণী


শত্রু
অরি, বৈরী, রিপু, অরাতি, প্রতিপক্ষ, বিপক্ষ, দুশমন, বিদ্বেষী,অমিত্র, বিরোধী


সাদা
শুভ্র, শুক্ল, শ্বেত, শুচি, সিত, বিশদ, ধবল, সফেদ


সূর্য
আদিত্য, তপন, দিনপতি, দিননাথ, দিবাকর, দিবানাথ,দিবাবসু, দিনেশ, দিনমণি, দিনকর, প্রভাকর, ভাস্কর, ভানু, মার্তণ্ড, রবি, সবিতা, বিভাবসু, বিভাকর, অর্যমা, বিবস্বান, অংশুমান, অংশুমালী, কিরণমালী, ময়ূখমালী, অর্ক, বালার্ক, পূষা, পূষন, সূর, মিহির, অরুণ, ঊষাপতি, আফতাব,খগ,সুতপা, সুরুজ, তমোহর


স্ত্রী
বউ, বধূ, পত্নী, সহধর্মিনী, অর্ধাঙ্গী, অর্ধাঙ্গিনী, দয়িতা, জায়া, গৃহিনী, গিন্নি, দার, ভার্যা, কলত্র, বনিতা, ঘরনি, ইলা


স্বর্গ
বেহেশত, অমরাবতী, দেবালয়, দিব্যলোক, দেবপুরী, দেবলোক, দেবভূমি, ইন্দ্রলোক, ইন্দ্রালয়, ইন্দ্রপুরী, পুণ্যলোক, অমৃতলোক, ঊর্ধ্বলোক, সুরলোক, ত্রিদিব, ত্রিদশালয়, সুরপুর, জান্নাত, অমরলোক, অমরালয়, অমরধাম, সুখাধার, আনন্দলোক, হেভেন


সাপ
অহি, আশীবিষ, নাগ, ফণি, ভুজঙ্গ, ভুজঙ্গম, ভুজগ, সর্প, বিষধর, ফণাধর, পন্নগ, দ্বিজিহ্ব, কাকোদর,অকর্ণ, উরগ, উরঙ্গ, উরঙ্গম, দ্বিরসন


সিংহ
কেশরী, হর্যক্ষ, মৃগরাজ, মৃগেন্দ্র, পশুরাজ, রক্তজিহ্ব, সিংহী


সমুদ্র
অর্ণব, জলধি, জলনিধি,পয়োধি,পারাবার, বারীশ, বারীন্দ্র, বারিধি, অম্বুধি, অম্বুনিধি, অম্বুনাথ, অম্বুরাশি,উদধি, তোয়ধি, রত্নাকর, সাগর, সিন্ধু, দরিয়া, পাথার, অকূল, সায়র, নীলাম্বু, দ্বীপী, নদীকান্ত, প্রচেতা, সরিৎপতি, অম্ভোধি, অম্ভোনিধি


সুন্দর
মনোরম, মনোহর, শোভন, সুদৃশ্য, চারু, রমণীয়, রম্য, কমনীয়, কান্তিমান, কান্তিময়, লাবণ্যময়, সুদর্শন, সুকান্ত, কান্তিময়, সুচারু, শোভা, শোভাময়, সুরম্য, সুশ্রী, সুশোভন, চমৎকার, মঞ্জুল, নয়নাভিরাম, ললিত, সুকুমার, চোখজুড়ানো, অপরূপ


স্বর্ণ
সোনা, সুবর্ণ, কাঞ্চন, কনক, হিরণ, হিরণ্য, হেম


হাত
কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি


হাতি
কুঞ্জর, করী, গজ, দিগ্গজ, মাতঙ্গ, হস্তী, দ্বিপ,দন্তী, বারণ, ঐরাবত, দ্বিরদ, নাগ,করেণু, পিল, রদী, রদনী, মাকনা, ইরম্মদ, দন্তাবল


হরিণ
মৃগ, ঋষ্য, সুনয়ন, সারঙ্গ, কুরঙ্গ, কুড়ঙ্গম, শম্বর, এণ


নমুনা প্রশ্ন

১. ‘হস্তী’ কোন শব্দের সমার্থক?

ক) দ্বিপ

খ) দ্বীপ

গ) মৃগ

ঘ) দীপ

উত্তরঃ ক

২. ‘শম্বর’ শব্দের অর্থ কী?

ক) ঘোড়া

খ) হরিণ

গ) উট

ঘ) গাঁধা

উত্তরঃ খ

৩. কোনটি ব্যতিক্রম?

ক) অসিত

খ) শ্যামল

গ) কৃষ্ণ

ঘ) শিখী

উত্তরঃ ঘ

৪. ‘গাভী’ শব্দের সমার্থক –

ক) তনু

খ) ধেনু

গ) নিধি

ঘ) পিক

উত্তরঃ খ

৫. ‘ফুল’ শব্দের সমার্থক কোনটি?

ক) রঙ্গন

খ) অটবী

গ) রাজন্য

ঘ) বিপিন

উত্তরঃ ক

৬. কোনটি ভিন্নার্থক – 

ক) জলধি

খ) অর্ণব

গ) জলদ

ঘ) পারাবার

উত্তরঃ গ

৭. ‘সূর্য’ শব্দের সমার্থক – 

ক) কাঞ্চন

খ) মার্তণ্ড

গ) সুকান্ত

ঘ) হিরণ

উত্তরঃ খ

৮. ‘পৃথিবী’ এর প্রতিশব্দ নয় কোনটি?

ক) অখিল

খ) অদিতি

গ) বসুধা

ঘ) আদিত্য

উত্তরঃ ঘ

৯. ‘কূল’ এর সমার্থক শব্দ – 

ক) পুলিন

খ) বারুণ

গ) সরিৎ

ঘ) সাবন

উত্তরঃ ক

১০. ‘শিষ্টাচার’ এর সমার্থক শব্দ – 

ক) নিষ্ঠা

খ) সদাচার

গ) সততা

ঘ) সংযম

উত্তরঃ খ

১১. ‘কুজঝটিকা’ এর প্রতিশব্দ – 

ক) কুহেলি

খ) প্রভাময়

গ) অন্ধকার

ঘ) গোধূলি

উত্তরঃ ক

১২. সমার্থক যুগ্ম শব্দ নির্ণয় কর?

ক) আকাশ-বাতাস

খ) কালি-কলম

গ) দিন-দিন

ঘ) হাসি-খুশি

উত্তরঃ ঘ

১৩. কোনটি ‘সাপ’ শব্দের প্রতিশব্দ?

ক) ভুজঙ্গ

খ) করী

গ) মাতঙ্গ

ঘ) কুঞ্জর

উত্তরঃ ক

১৪. ‘ময়ূর’ এর সমার্থক শব্দ হল-

ক) শিখরী

খ) আহব

গ) বামা

ঘ) কলাপী

উত্তরঃ ঘ

১৫. ‘কুল’ শব্দের সমার্থক শব্দ নয় কোনটি?

ক) সামাজ

খ) তট

গ) কৌলীন্য

ঘ) গৃহ

উত্তরঃ খ

১৬. ‘অশ্ব’-এর সমার্থক শব্দ-

ক) তুরঙ্গ

খ) তুরঙ্গম

গ) ঘোটক

ঘ) সবগুলো

উত্তরঃ ঘ

১৭. ‘করী’ শব্দের অর্থ কী?

ক) হরিণ

খ) পাখি

গ) হাতি

ঘ) মূল্য

উত্তরঃ গ

১৮. ‘স্কন্ধ’ শব্দটির প্রতিশব্দ কোনটি?

ক) অংশ

খ) অংস

গ) অংষ

ঘ) সবগুলো

উত্তরঃ খ

১৯. ‘বাণী’ শব্দের অর্থ যদি বাক্য হয় তবে ‘বানি’ শব্দের অর্থ কী?

ক) কথা

খ) পারিশ্রমিক

গ) তীর

ঘ) বন্যা

উত্তরঃ খ

২০. কোন শব্দটি ভিন্নার্থক?

ক) কামিনী

খ) রামা

গ) অঙ্গনা

ঘ) চারু

উত্তরঃ ঘ

২১. কোন শব্দটি ভিন্নার্থক?

ক) বিহগ

খ) বিহঙ্গ

গ) গরুড়

ঘ) ভূজঙ্গ

উত্তরঃ ঘ

২২. কোন শব্দটির অর্থ শ্মশ্রু?

ক) দাঁড়ী

খ) দাড়ি

গ) দাঁড়ি

ঘ) দ্বাড়ি

উত্তরঃ খ

২৩. ‘চুল’ এর সমার্থক শব্দ কোনটি?

ক) লোচন

খ) কুন্তল

গ) উষ্ণীষ

ঘ) উর্ণা

উত্তরঃ খ

২৪. ‘সূর্য’ এর সমার্থক শব্দ কোনটি?

ক) অর্চি

খ) অর্ণব

গ) সবিতা

ঘ) কুমুদরঞ্জন

উত্তরঃ গ

২৫. ‘সূর্য’ এর সমার্থক শব্দ –  

ক) বিবস্মান

খ) মরুৎ

গ) উরগ

ঘ) ক্ষিতি

উত্তরঃ ক

২৬. ‘জাঙ্গাল’ এর প্রতিশব্দ –

ক) স্তূপ

খ) আবর্জনা

গ) বাঁধ

ঘ) জঙ্গল

উত্তরঃ গ

২৭. ‘হাহাকার’ এর সমার্থক শব্দ – 

ক) বিলাপ

খ) আহাজারি

গ) রোনাজারি

ঘ) অশ্রু

উত্তরঃ খ

২৮. ‘রাত’ ও ‘ক্ষীণ’ শব্দ দুটির বিকল্প শব্দ – 

ক) যামিনী, আত্মা

খ) বিভাবরী, শীর্ণ

গ) নিশীথ, হৃদয়

ঘ) রজনী, অনুগ্রহ

উত্তরঃ খ

২৯. ‘মৎকুণ’ শব্দের সমার্থক শব্দ – 

ক) গরু

খ) উকুন

গ) খরগোশ

ঘ) ছারপোকা

উত্তরঃ ঘ

৩০. ‘নীর’ শব্দের সমার্থক শব্দ – 

ক) অগ্নি

খ) চন্দ্র

গ) গৃহ

ঘ) জল

উত্তরঃ ঘ

৩১. ‘মরুৎ’ শব্দের সমার্থক শব্দ – 

ক) পানি

খ) বাতাস

গ) মাটি

ঘ) মরুদ্যান

উত্তরঃ খ

৩২. ‘বসুমতি’ শব্দটির সমার্থক – 

ক) ধরিত্রী

খ) ফুল

গ) গিরি

ঘ) কানন

উত্তরঃ ক

৩৩. ‘দৌরাত্ম্য’ শব্দের সমার্থক শব্দ – 

ক) উপদ্রব

খ) উম্মাদ

গ) উত্তেজনা

ঘ) উজ্জ্বল

উত্তরঃ ক

৩৪. ‘হস্তী’ এর সমার্থক শব্দ – 

ক) তুরগ

খ) কুঞ্জর

গ) শম্বর

ঘ) বাজী

উত্তরঃ খ

৩৫. ‘নৈকট্য’ শব্দের প্রতিশব্দ কোনটি – 

ক) আকাঙ্ক্ষা

খ) আসক্তি

গ) আসত্তি

ঘ) অনুরাগ

উত্তরঃ গ

৩৬. ‘রাত্রি’ এর শব্দের সমার্থক শব্দ কোনটি – 

ক) শর্বরী

খ) শম্পা

গ) কবরী

ঘ) শশী

উত্তরঃ ক

৩৭. কোন শব্দটি ‘ঘর’ শব্দটির সমার্থক নয়?

ক) আবাস

খ) নিকেতন

গ) ধরণী

ঘ) সদন

উত্তরঃ গ

৩৮. ‘সূর্য’ শব্দটির সমার্থক কোনটি নয়?

ক) ভানু

খ) রবি

গ) ভাস্কর

ঘ) দ্বিজরাজ

উত্তরঃ ঘ

৩৯. ‘বাতাস’ এর প্রতিশব্দ কোনটি?

ক) প্রভঞ্জন

খ) অপ

গ) অম্বু

ঘ) অদ্রি

উত্তরঃ ক

৪০. কোনটি ‘অগ্নি’ এর প্রতিশব্দ?

ক) বৈশ্বানর

খ) কৃশানু

গ) হুতাশন

ঘ) সবগুলোই

উত্তরঃ ঘ

তথ্যসূত্র:

১. রফিকুল ইসলাম, পবিত্র সরকার ও মাহবুবুল হক, প্রমিত বাংলা ব্যবহারিক ব্যাকরণ (বাংলা একাডেমি, জানুয়ারি ২০১৪)
২. রফিকুল ইসলাম ও পবিত্র সরকার, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, প্রথম খণ্ড (বাংলা একাডেমি, ডিসেম্বর ২০১১)
৩. মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩)
৪. নির্মল দাশ, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও তার ক্রমবিকাশ (বিশ্বভারতী ২০০০)
৫. কাজী দীন মুহম্মদ ও সুকুমার সেন, অভিনব ব্যাকরণ (ঢাকা ১৯৪৮)
৬. মুহম্মদ আবদুল হাই, ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব (১৯৬৪)
৭. ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষাশিক্ষা : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০০৪)
৮. ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ভাষাবিধি : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও প্রবন্ধ রচনা (আদিল ব্রাদার্স, জানুয়ারি ২০০৯)
৯. ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (অগ্নি পাবলিকেশন্স, এপ্রিল ২০০৪)
১০. ড. মুহম্মদ এনামুল হক ও শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী, ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (বাংলা একাডেমি, স্বরবর্ণ অংশ: ডিসেম্বর ১৯৭৪ ও ব্যঞ্জনবর্ণ অংশ: জুন ১৯৮৪)
১১. জামিল চৌধুরী, বাংলা বানান অভিধান (বাংলা একাডেমি, জুন ১৯৯৪)
১২. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, শুদ্ধিকরণ (প্রফেসর’স প্রকাশন, ২০০৬)
১৩. স্বরোচিষ সরকার, বাংলাদেশের কোষগ্রন্থ ও শব্দসন্ধান (বাংলা একাডেমি, মে ২০১০)
১৪. জামিল চৌধুরী, বাংলা বানান অভিধান (বাংলা একাডেমি, জুন ১৯৯৪)

 

 

BCS Bangla Lecture – 9

ধ্বনি পরিবর্তন, সন্ধি, নমুনা প্রশ্ন

ধ্বনির পরিবর্তন

ভাষা পরিবর্তনশীল। ভাষার পরিবর্তন ধ্বনির পরিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত। সাধারণত উচ্চারণে সহজলভ্যতা, আঞ্চলিকতা ও দ্রুত উচ্চারণের জন্য আমরা ধ্বনির পরিবর্তন করে থাকি। উচ্চারণের সময় সহজীকরণের প্রবণতায় শব্দের মূল ধ্বনির যেসব পরিবর্তন ঘটে তাকে ধ্বনির পরিবর্তন বলে। ধ্বনির মধ্যে প্রধানত চার ধরনের পরিবর্তন হয়। যেমন – লোপ (Deletion), আগম (Addition), রূপান্তর (Alteration) এবং বিপর্যাস (Transposition)। নিম্নে ধ্বনির পরিবর্তনের নিয়মগুলো বর্ণনা করা হলো।

স্বরধ্বনির পরিবর্তন

১. স্বরাগম: শব্দের আদি, অন্ত্য ও মধ্যবর্তী স্থানে স্বরধ্বনির আগমনকে স্বরাগম বলে। স্বরাগমকে তিনভাবে দেখানো যায়। যথা-

(ক) আদি স্বরাগম: শব্দের শুরুতে স্বরধ্বনির আগমন।

যেমন – স্কুল > ইস্কুল, স্পৃহা> আস্পৃহা, স্ত্রী > ইস্ত্রী, স্তাবল > আস্তাবল, স্টেশন > ইস্টিশন, স্পর্ধা > আস্পর্ধা।

(খ) মধ্য স্বরাগম/বিপ্রকর্ষ/স্বরভক্তি: শব্দের মাঝখানে স্বরধ্বনির আগমন।

যেমন – রত্ন > রতন, ধর্ম > ধরম, প্রীতি > পিরীতি, মুক্তা > মুকুতা, গ্রাম > গেরাম, শ্লোক > শোলোক, মুরগ > মুরোগ> মোরগ।

(গ) অন্ত্য স্বরাগম: শব্দের শেষে স্বরধ্বনির আগমন।

যেমন – দিশ্> দিশা, সত্য > সত্যি, দুষ্ট > দুষ্টু, পোখত্> পোক্ত, বেঞ্চ > বেঞ্চি।

২. স্বরলোপ/সম্প্রকর্ষ: শব্দের আদি, অন্ত্য ও মধ্যবর্তী স্থানে স্বরধ্বনির লোপকে স্বরলোপ বলে। স্বরলোপ বস্তুত স্বরাগমের বিপরীত প্রক্রিয়া। স্বরলোপকে তিনভাগে দেখানো যায়। যথা –

(ক) আদি স্বরলোপ: শব্দের শুরুতে স্বরধ্বনির লোপ।

যেমন – আছিল > ছিল, আনোনা > নোনা, উদ্ধার>উধার > ধার, অলাবু > লাবু> লাউ, এড়ণ্ড > রেড়ী।

(খ) মধ্য স্বরলোপ: শব্দের মাঝখানে স্বরধ্বনির লোপ।

যেমন – সুবর্ণ > স্বর্ণ, কলিকাতা > কলকাতা, অগুরু > অগ্রু।

(গ) অন্ত্য স্বরলোপ: শব্দের শেষে স্বরধ্বনি লোপ পাওয়া।

যেমন – রাশি > রাশ, চারি > চার, অগ্নি > আগুন, আশা > আশ।

৩. স্বরসঙ্গতি (Vowel Harmony): একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। সমীভবন প্রক্রিয়ার সাথে স্বরসঙ্গতির মিল রয়েছে। তবে স্বরসঙ্গতি স্বরের মধ্যে প্রযোজ্য আর সমীভবন ব্যঞ্জনে প্রয়োগ হয়ে থাকে। স্বরসঙ্গতি কয়েক ভাবে হয়ে থাকে। যথা –

(ক) প্রগত: আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বরের পরিবর্তন।

যেমন – শিকা > শিকে, তুলা > তুলো, বিকাল > বিকেল, উঠান > উঠোন, মুলা > মুলো।

(খ) পরাগত: অন্ত্যস্বরের কারণে আদিস্বরের পরিবর্তন।

যেমন – দেশি > দিশি, দেই > দিই, আসো > এসো, আখো > এখো।

(গ) মধ্যগত: আদিস্বর ও অন্ত্যস্বর কিংবা অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বরের পরিবর্তন।

যেমন – বিলাতি > বিলিতি, ভিখারি > ভিখিরি, জিলাপি > জিলিপি।

(ঘ) অন্যোন্য: আদি ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হয়।

যেমন – মোজা > মুজো, খোকা > খুকু, ধোঁকা > ধুঁকো।

(ঙ) চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি: গিলা > গেলা, মিঠা > মিঠে, ইচ্ছা > ইচ্ছে, মিলামিশা > মেলামেশা।

(চ) বিশেষ নিয়মে স্বরসঙ্গতি: উড়–নি > উড়নি, এখনি > এখুনি।

৪. অপিনিহিতি (Apenthesis): পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।

যেমন – আজি > আইজ, রাখিয়া > রাইখ্যা, চারি > চাইর, মারি > মাইর, সাধু > সাউধ, বাক্য > বাইক্য, সত্য > সইত্য।

৫. অসমীকরণ (Dissimilation): একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্য মাঝখানে যখন স্বরধ্বনি যুক্ত হয় তখন তাকে অসমীকরণ বলে।

যেমন – ধপ ধপ > ধপাধপ, টপ টপ > টপাটপ, খপ খপ > খপাখপ।

ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তন

৬. সমীভবন/ব্যঞ্জনসঙ্গতি (Assimilation): শব্দমধ্যস্থ দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্পবিস্তর সমতা লাভ করাকে সমীভবন বলে। সমীভবন মূলত তিন প্রকার। যথা –

(ক) প্রগত: পূর্ববর্র্তী ধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনির পরিবর্তন।

যেমন – পদ্ম > পদ্দ, চক্র > চক্ক, বিদ্যা > বিদ্দা, পক্ব > পক্ক, লগ্ন > লগ্গ।

(খ) পরাগত: পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন। বাংলায় সংস্কৃত সন্ধির বেশির ভাগই এ শ্রেণির।

যেমন – তৎ + জন্য > তজ্জন্য, উৎ + মুখ > উন্মুখ, তৎ + হিত = তদ্ধিত, ছিদ্ + ন > ছিন্ন, পাঁচ + শো > পাঁশ্শো, কাঁদ্ + না = কান্না।

(গ) অন্যোন্য: পরস্পরের প্রভাবে দুটো ধ্বনিই পরিবর্তিত হয়।

যেমন – সত্য > সচ্চ, বিদ্যা > বিজ্জা, উদ্শিষ্ট > উচ্ছিষ্ট।

৭. বিষমীভবন (Dissimilation): দুটি সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে। এটি সমীভবনের বিপরীত প্রক্রিয়া।

যেমন – লাল > নাল, শরীর > শরীর, আরমারি > আলমারি, অভিভাবক > অবিভাবক, রবার > রবাট, ইসরার > ইসরাজ।

৮. ব্যঞ্জনচ্যুতি: পাশাপাশি সম উচ্চারণের দুটো ব্যঞ্জনধ্বনির একটি লোপ পাওয়াকে ব্যঞ্জনচ্যুতি/ধ্বনিচ্যুতি বলে।

যেমন – বউদিদি > বউদি, বড়দাদা > বড়দা, ছোটদাদা > ছোটদা।

৯. ব্যঞ্জনবিকৃতি: শব্দের মধ্যে ব্যঞ্জনধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে নতুন ব্যঞ্জনধ্বনির আবির্ভাবকে ব্যঞ্জনবিকৃতি বলে।

যেমন – কবাট > কপাট, ধোবা > ধোপা, ধাইমা > দাইমা।

১০. অন্তর্হতি/ব্যঞ্জনলোপ: পদের মধ্যে ব্যঞ্জনধ্বনির লোপ পাওয়াকে অন্তর্হতি বলে।

যেমন – ফাল্গুন > ফাগুন, ফলাহার > ফলার, আলাহিদা > আলাদা, মজদুর > মজুর, কদম্ব > কদম, দাড়িম্ব > ডালিম, স্ফটিক > ফটিক।

১১. ধ্বনি বিপর্যয়/ধ্বনি বিপর্যাস (Metathesis): শব্দের মধ্যে দুটো ব্যঞ্জনের পরস্পর পরিবর্তন ঘটলে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে।

যেমন – বাক্স > বাস্ক, রিক্সা > রিস্কা, লাফ > ফাল, পিশাচ > পিচাশ, তলোয়ার>তরোয়াল।

১২. দ্বিত্বব্যঞ্জন/ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা (Long consonent): কখনও কখনও জোর দেওয়ার জন্য শব্দের অন্তর্গত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয় একে দ্বিত্বব্যঞ্জন বলে।

যেমন – পাকা > পাক্কা, সকাল > সক্কাল, চাকা > চাক্কা, ছোট > ছোট্ট, শাবাশ > শাব্বাশ।

১৩. নাসিক্যভবন (Nasalization): নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি লোপের ফলে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনি অনুনাসিক হওয়াকে নাসিক্যভবন বলে।

যেমন – সন্ধ্যা > সাঁঝ, দন্ত > দাঁত, কণ্টক > কাঁটা, সিন্দুর > সিঁদুর, অঞ্চল > আঁচল, চন্দ্র > চাঁদ, বন্ধন > বাঁধন।

১৪. অভিশ্রুতি (Umlaut): অপিনিহিতি প্রক্রিয়ায় যে ই বা উ-ধ্বনি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের আগে বসে; সেই ই বা উ-ধ্বনি যখন পাশাপাশি স্বরধ্বনিকে প্রভাবিত করে এবং নিজেও তার সাথে মিশে পরিবর্তিত হয়ে যায় তখন তাকে অভিশ্রুতি বলে। সকল সাধুভাষার ক্রিয়াপদ অভিশ্রুতির মাধ্যমে চলিত রূপ লাভ করে। অন্যভাবে বলা যায়, বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিলে গেলে এবং তদনুসারে পরবর্তী স্বরধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে তাকে অভিশ্রুতি বলে।

যেমন – বলিয়া >বইল্যা > বলে, হাঁটুয়া >হাঁউটা> হেঁটো, করিয়া >কইর‌্যা > করে, মাছুয়া >মাউছা> মেছো। এখানে মাঝেরগুলো অপিনিহিতি এবং পরেরগুলো অভিশ্রুতির উদাহরণ।

সন্ধি

সন্ধি শব্দের অর্থ সংযোগ বা মিলন। এর অপর নাম ধ্বনিসংযোগ। সন্নিহিত দুটো ধ্বনির মিলনের নামই সন্ধি। ইংরেজি Euphony কথাটির বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে সন্ধি। বর্তমানে ইংরেজিতে সন্ধির প্রতিশব্দ হিসেবে Assimilation-কেই বেশি ব্যবহার করা হয়।

সন্ধির উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্য:
উচ্চারণে সহজপ্রবণতা ও ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদনই সন্ধির মূল উদ্দেশ্য। সন্ধির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
ক) পাশাপাশি উভয় বর্ণের মিলনে একটি নতুন বর্ণের সৃষ্টি হয়।
খ) একটি বর্ণ লোপ পায়।
গ) একটি বর্ণ বদলে যায়।
ঘ) দুটি বর্ণ মিলে একটি বর্ণে মিলিত হয়।

সন্ধির প্রকারভেদ:
বাংলা ভাষায় সন্ধি প্রধানত দুই রকমের। যথা:
ক) খাঁটি বাংলা শব্দের সন্ধি (স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধি)
খ) তৎসম (সংস্কৃত) শব্দের সন্ধি (স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জনসন্ধি ও বিসর্গসন্ধি)
উল্লেখ্য, তৎসম শব্দের সন্ধিই মূলত বর্ণ সংযোগের নিয়ম।

স্বরসন্ধি

স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনি মিলে যে সন্ধি হয়, তাকে স্বরসন্ধি বলে।

স্বরধ্বনি চেনার উপায়:
১. অ/আ + অ/আ = আ  (  া ) হয়।

যেমন – নর + অধম = নরাধম, হিম + আলয় = হিমালয়, যথা + অর্থ = যথার্থ, কারা + আগার = কারাগার।

২. অ/আ + ই/ঈ = এ (  ে) হয়।

যেমন – শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা, যথা + ইষ্ট = যথেষ্ট, পরম + ঈশ = পরমেশ, মহা + ঈশ = মহেশ।

৩. অ/আ + উ/ঊ = ও  (   ে  া  ) হয়।

যেমন – সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়, যথা + উচিত = যথোচিত, গৃহ + ঊর্ধ্ব = গৃহোর্ধ্ব, গঙ্গা + ঊর্মি = গঙ্গোর্মি।

৪. অ/আ + এ/ঐ = ঐ (  ৈ) হয়।

যেমন – জন + এক = জনৈক, সদা + এব = সদৈব, মত + ঐক্য = মতৈক্য, মহা + ঐশ্বর্য = মহৈশ্বর্য।

৫. অ/আ + ও/ঔ = ঔ (  ৌ ) হয়।

যেমন – বন + ওষধি = বনৌষধি, মহা + ওষধি = মহৌষধি, পরম + ঔষধ = পরমৌষধ, মহা + ঔষধ = মহৌষধ।

৬. অ/আ + ঋ = ‘অর’ হয় এবং র রেফ (র্ ) রূপে পরবর্তী বর্ণের সাথে যুক্ত হয়।

যেমন – দেব + ঋষি = দেবর্ষি, মহা + ঋষি = মহর্ষি।

৭. অ/আ + ঋত = ‘আর’ হয় এবং র রেফ (র্ ) রূপে পরবর্তী বর্ণের সাথে যুক্ত হয়।

যেমন – শীত + ঋত = শীতার্ত, তৃষ্ণা + ঋত = তৃষ্ণার্ত।

৮. ই/ঈ + ই/ঈ = ঈ (  ী ) হয়।

যেমন – অতি + ইত = অতীত, পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা, সতী + ইন্দ্র = সতীন্দ্র, সতী + ঈশ = সতীশ।

৯. ই/ঈ + ই/ঈ ভিন্ন অন্য স্বর = (ই/ঈ) স্থলে য (  ্য ) হয়।

যেমন – অতি + অন্ত = অত্যন্ত, অতি + উক্তি = অত্যুক্তি, প্রতি + ঊষ = প্রত‚্যষ, মসি + আধার = মস্যাধার, প্রতি + এক = প্রত্যেক, নদী + অম্বু = নদ্যম্বু।

১০. উ/ঊ + উ/ঊ = ঊ (  ূ ) হয়।

যেমন – মরু + উদ্যান = মরূদ্যান, বহু + ঊর্ধ্ব = বহূর্ধ্ব, বধূ + উৎসব = বধূৎসব, ভ‚ + ঊর্ধ্ব = ভ‚র্ধ্ব

১১. উ/ঊ + উ/ঊ ভিন্ন অন্য স্বর = (উ/ঊ) স্থলে ব ( ব ) হয়।

যেমন – সু + অল্প = স্বল্প, অনু + ইত = অন্বিত, তনু + ঈ = তন্বী, অনু + এষণ = অন্বেষণ।

১২. ঋ + ঋ ভিন্ন অন্য স্বর = (ঋ) স্থলে ‘র’ হয়।

যেমন – পিতৃ + আলয় = পিত্রালয়, পিতৃ + আদেশ = পিত্রাদেশ।

১৩. এ/ঐ + এ/ঐ ভিন্ন অন্য স্বর = (এ) স্থানে ‘অয়’ এবং (ঐ) স্থানে ‘আয়’ হয়।

যেমন – নে + অন = নয়ন, শে + অন = শয়ন, নৈ + অক = নায়ক, গৈ + অক = গায়ক।

১৪. ও/ঔ + ও/ঔ ভিন্ন অন্য স্বর = (ও) স্থানে ‘অব’ এবং (ঔ) স্থানে ‘আব’ হয়।

যেমন – পো + অন = পবন, গো + এষণা = গবেষণা, পো + ইত্র = পবিত্র, পৌ + অক = পাবক, নৌ + ইক = নাবিক, ভৌ + উক = ভাবুক।

ব্যঞ্জনসন্ধি

স্বরে-ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে-স্বরে ও ব্যঞ্জনে-ব্যঞ্জনে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। এ দিক থেকে ব্যঞ্জনসন্ধিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা – ক. স্বরধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি। খ. ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি। গ. ব্যঞ্জনধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি।

ক. স্বরধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি:

১. স্বরধ্বনি + ছ = ‘চ্ছ’ হয়।

যেমন – এক + ছত্র = একচ্ছত্র, কথা + ছলে = কথাচ্ছলে, পরি + ছদ = পরিচ্ছদ।

খ. ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি:

১. ক্ চ্ ত্ ট্ প্ + স্বরধ্বনি = যথাক্রমে (গ্ জ্ ড্/ড়্ দ্ ব্) তথা বর্গীয় তৃতীয় ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়।

যেমন – দিক + অন্ত = দিগন্ত, ণিচ + অন্ত = ণিজন্ত, তৎ + অবধি = তদবধি, ষট + আনন = ষড়ানন, সুপ + অন্ত = সুবন্ত।

গ. ব্যঞ্জনধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি:

১. ত/দ + চ/ছ = ত/দ স্থানে ‘চ্’ হয়।

যেমন – শরৎ + চন্দ্র = শরচ্চন্দ্র, উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ।

২. ত/দ + জ/ঝ = ত/দ স্থানে ‘জ্’ হয়।

যেমন – বিপদ + জাল = বিপজ্জাল, সৎ + জন = সজ্জন, কুৎ + ঝটিকা = কুজ্ঝটিকা।

৩. ত/দ + ট/ঠ = ত/দ স্থানে ‘ট্’ হয়।

যেমন – বৃহৎ + টীকা = বৃহট্টীকা, তৎ + টীকা = তট্টীকা।

৪. ত/দ + ড/ঢ = ত/দ স্থানে ‘ড্’ হয়।

যেমন – উৎ + ডীন = উড্ডীন, উৎ + ডয়ন = উড্ডয়ন, বৃহৎ + ঢক্কা = বৃহড্ঢক্কা।

৫. ত/দ + ন/ম = ত/দ স্থানে ‘ন’ হয়।

যেমন – জগৎ + নাথ = জগন্নাথ, তদ + মধ্যে = তন্মধ্যে, মৃৎ + ময় = মৃন্ময়।

৬. ত/দ + ল = ত/দ স্থানে ‘ল্’ হয়।

যেমন – উৎ + লাস = উল্লাস, উৎ + লেখ = উল্লেখ।

৭. ত/দ + শ = ত/দ স্থানে ‘চ্’ এবং শ এর স্থানে ‘ছ্’ হয়, অর্থাৎ (চ্ছ) হয়।

যেমন – উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস, তদ + শক্তি = তচ্ছক্তি।

৮. ত/দ + হ = ত/দ স্থানে ‘দ্’ এবং হ স্থানে ‘ধ্’ হয়, অর্থাৎ (দ্ধ) হয়।

যেমন – উৎ + হার = উদ্ধার, পদ + হতি = পদ্ধতি।

৯. দ/ধ + ক/প/স = দ/ধ স্থানে ‘ৎ’ হয়।

যেমন – হৃদ + পিণ্ড = হৃৎপিণ্ড, ক্ষুধ + পিপাসা = ক্ষুৎপিপাসা, তদ + সম = তৎসম।

১০. চ/জ + ন = ‘ন’ স্থানে ‘ঞ’ হয়।

যেমন – যাচ + না = যাচ্ঞা, যজ + ন = যজ্ঞ, রাজ + নী = রাজ্ঞী।

১১. বর্গের প্রথম ধ্বনি ( ক চ ট ত প) + বর্গের তৃতীয় (গ জ ড দ ব) ও চতুর্থ (ঘ ঝ ঢ ধ ভ) ধ্বনি এবং (য র ল ব হ) বর্ণ = বর্গের প্রথম ধ্বনি তৃতীয় ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়।

যেমন – বাক + দান = বাগদান, উৎ + যোগ = উদ্যোগ, তৎ + রূপ = তদ্রুপ, দিক + গজ = দিগগজ, ষট + যন্ত্র = ষড়যন্ত্র।

১২. বর্গের প্রথম ধ্বনি ( ক চ ত ট প) + ন/ম = বর্গের প্রথম ধ্বনি পঞ্চম ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়।

যেমন – দিক + নির্ণয় = দিঙ্নির্ণয়, তৎ + মধ্যে = তন্মধ্যে, চিৎ + ময় = চিন্ময়।

১৩. ম + যে কোন বর্গীয় ধ্বনি = ‘ম’ এর স্থানে সে বর্গের পঞ্চম বর্ণ।

যেমন – সম + তাপ = সন্তাপ, সম + ন্যাস = সন্ন্যাস, শম + কা = শঙ্কা। কিন্তু আধুনিক বাংলায় ‘ম’ এর পরে কণ্ঠ বর্গীয় ধ্বনি থাকলে ‘ম’ এর স্থানে প্রায়ই ‘ঙ’ না হয়ে অনুস্বার ( ং ) হয়।

যেমন – সম + গত = সংগত, অহম + কার = অহংকার, সম + খ্যা = সংখ্যা।

১৪. ম + অন্তস্থ ( য র ল ব)/উষ্ণ (শ ষ স হ) বর্ণ = ‘ম’ এর স্থানে অনুস্বার ( ং ) হয়।

যেমন – সম + রক্ষণ = সংরক্ষণ, সম + লাপ = সংলাপ, সম + হার = সংহার, সম + শয় = সংশয় (ব্যতিক্রম – সম + রাট = সম্রাট)।

১৫. ষ + ত/থ = ত/থ স্থানে যথাক্রমে ট/ঠ হয়।

যেমন – বৃষ + তি = বৃষ্টি, ষষ + থ = ষষ্ঠ, আকৃষ + ত = আকৃষ্ট।

১৬. বিশেষ নিয়মে সাধিত কতগুলো ব্যঞ্জনসন্ধি।

যেমন – উৎ + স্থান = উত্থান, উৎ + স্থাপন = উত্থাপন, সম + কৃত = সংস্কৃত (সংস্কৃতি), সম + কার = সংস্কার, পরি + কার = পরিষ্কার (পরিষ্কৃত)।

বিসর্গসন্ধি

পূর্বপদের বিসর্গের সাথে পরপদের স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির সন্ধিকে বিসর্গ সন্ধি বলে। ব্যঞ্জনবর্ণ ‘র’ এবং ‘স’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো বিসর্গ ( ঃ )। বিসর্গ সন্ধিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা –

ক) র- জাত বিসর্গ (র- এর পরিবর্তে বিসর্গ)। যেমন – অন্তর…অন্তঃ, প্রাতর…প্রাতঃ, পুনর…পুনঃ, অহর…অহঃ।
খ) স- জাত বিসর্গ (স- এর পরিবর্তে বিসর্গ)। যেমন – নমস…নমঃ, পুরস…পুরঃ, শিরস…শিরঃ, মনস…মনঃ, তিরস…তিরঃ, তপস…তপঃ।

বিসর্গসন্ধি + স্বরসন্ধি:

১. ‘অ’ ধ্বনি + বিসর্গ (  ঃ ) + ‘অ’ ধ্বনি = তিনটি মিলে ও-কার (  ো ) হয়।

যেমন – ততঃ + অধিক = ততোধিক, শতঃ + অধিক = শতোধিক, মনঃ + অভিলাষ = মনোভিলাষ।

বিসর্গসন্ধি + ব্যঞ্জনসন্ধি:

১. অ-কারের পরস্থিত স-জাত বিসর্গ + বর্গীয় তৃতীয়/চতুর্থ/পঞ্চম বর্ণ অথবা (হ য ব র ল) = অ-কার ও স-জাত বিসর্গের পরিবর্তে ও-কার হয়।

যেমন – তিরঃ + ধান = তিরোধান, মনঃ + হর = মনোহর, মনঃ + জগৎ = মনোজগৎ।

২. অ-কারের পরস্থিত র-জাত বিসর্গ + বর্গীয় তৃতীয়/চতুর্থ/পঞ্চম বর্ণ অথবা ‘হ য ব র ল’ অথবা স্বরধ্বনি = বিসর্গের স্থানে র্‘’ হয়।

যেমন – অন্তঃ + ধান = অন্তর্ধান, অহঃ + অহ = অহরহ, অন্তঃ + গত = অন্তর্গত, পুনঃ + উক্ত = পুনরুক্ত, পুনঃ + আয় = পুনরায়।

৩. অ/আ ভিন্ন অন্য স্বরের পরে বিসর্গ + বর্গীয় তৃতীয়/চতুর্থ/পঞ্চম বর্ণ অথবা ‘হ য ব র ল’ অথবা অ/আ = বিসর্গের স্থানে র্‘’ হয়।

যেমন – নিঃ + আকার = নিরাকার, আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ, দুঃ + যোগ = দুর্যোগ।
ব্যতিক্রম – ই/উ স্বরের পরে বিসর্গ + র = বিসর্গ লোপ পায় এবং বিসর্গের পূর্ববর্তী হ্রস্ব স্বর দীর্ঘ হয়।

যেমন – নিঃ + রব = নীরব, নিঃ + রস = নীরস, এরূপ – নীরোগ, নীরত, নীরক্ত।

৪. অ/আ ভিন্ন অন্য স্বরের পরে বিসর্গ + ক খ প ফ = বিসর্গের স্থানে ‘ষ’ হয়।

যেমন – নিঃ + কাম = নিষ্কাম, দুঃ + কর = দুষ্কর, বহিঃ + কার = বহিষ্কার, আবিঃ + কার = আবিষ্কার, চতুঃ + পদ = চতুষ্পদ।

৫. অ/আ ধ্বনির পরে বিসর্গ + ক খ প ফ = বিসর্গের স্থানে ‘স’ হয়।

যেমন – নমঃ + কার = নমস্কার, পুরঃ + কার = পুরস্কার, তিরঃ + কার = তিরস্কার, পদঃ + খলন = পদস্খলন।

৬. বিসর্গ (  ঃ ) + চ/ছ = বিসর্গের স্থানে ‘শ’ হয়।

যেমন – নিঃ + চয় = নিশ্চয়, শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ।

৭. বিসর্গ (  ঃ ) + ট/ঠ = বিসর্গের স্থানে ‘ষ’ হয়।

যেমন – নিঃ + ঠুর = নিষ্ঠুর, ধনুঃ + টঙ্কার = ধনুষ্টঙ্কার।

৮. বিসর্গ (  ঃ ) + ত/থ = বিসর্গের স্থানে ‘স’ হয়।

যেমন – দুঃ + তর = দুস্তর।

৯. বিসর্গ (  ঃ ) + যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি (স্ত, স্থ, স্প) = বিসর্গ লোপ পায়।

যেমন – নিঃ + স্তব্ধ = নিস্তব্ধ, দুঃ + স্থ = দুস্থ, নিঃ + স্পন্দ = নিস্পন্দ।

১০. কতিপয় সন্ধির বিসর্গ লোপ পায় না।

যেমন – অধঃপাত = অধঃ + পাত, অধঃপতন = অধঃ + পতন, দুঃখ = দুঃ + খ, অন্তঃকরণ = অন্তঃ + করণ, প্রাতঃকাল = প্রাতঃ + কাল, মনঃকষ্ট = মনঃ + কষ্ট, শিরঃপীড়া = শিরঃ + পীড়া, অতঃপর = অতঃ + পর, নিঃসংশয় = নিঃ + সংশয়, দুঃশাসন = দুঃ + শাসন।

নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি

সন্ধির প্রচলিত নিয়ম না মেনে যে সন্ধি হয় তাকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। যে শব্দগুলো বাংলা নিয়মে ব্যাখ্যা করা যায় না অর্থাৎ যে শব্দগুলোর সংস্কৃত নিয়মই বাংলা ভাষায় প্রযোজ্য; ব্যাকরণের ভাষায় তা-ই নিপাতনে সিদ্ধ।

স্বরসন্ধি

কুলটা = কুল + অটাশারঙ্গ = শার + অঙ্গ
গবাক্ষ = গো + অক্ষবিম্বোষ্ঠ = বিম্ব + ওষ্ঠ
গবেশ্বর = গো + ঈশ্বরঅক্ষৌহিণী = অক্ষ + ঊহিণী
প্রেষণ = প্র + এষণগবাস্থি = গো + অস্থি
শারদ = শার + অদগবেন্দ্র = গো + ইন্দ্র
মার্তণ্ড = মার্ত + অণ্ডঅন্যান্য = অন্য + অন্য
পরোক্ষ = পর + অক্ষদশার্ণ = দশ + ঋণ
শুদ্ধোদন = শুদ্ধ + ওদনরক্তোষ্ঠ = রক্ত + ওষ্ঠ
প্রৌঢ় = প্র + ঊঢ়স্বৈর = স্ব + ঈর
স্বীয় = স্ব + ঈয়স্বৈরিণী = স্ব + ঈরিণী

ব্যঞ্জনসন্ধি

মনীষা = মনস্ + ঈষাহিংসা = হিনস্ + আ
তস্কর = তৎ + করহিরণ্ময় = হিরণ্য + ময়
গোষ্পদ = গো + পদউচ্ছন্ন = উৎ + ছন্ন
সিংহ = হিনস্ + অবাগেশ্বরী = বাক্ + ঈশ্বরী
বৃহস্পতি = বৃহৎ + পতিআশ্চর্য = আ + চর্য
পরস্পর = র্প + পরদ্যুলোক = দিব্ + লোক
পতঞ্জলি = পতৎ + অঞ্জলিবিশ্বামিত্র = বিশ্ব + মিত্র
পশ্চার্ধ = পশ্চাৎ + অর্ধএকাদশ = এক্ + দশ
পুংলিঙ্গ = পুমস্ + লিঙ্গপ্রায়শ্চিত্র = প্রায়্ + চিত্র
বনস্পতি = বন্ + পতিষোড়শ = ষট্ + দশ

বিসর্গসন্ধি

অহর্পতি = অহঃ + পতিঅহর্নিশ = অহন >অহঃ + নিশা

নমুনা প্রশ্ন

১. স্নান > সিনান কোন নিয়মে হয়েছে – 

ক) অন্তর্হতি

খ) সম্প্রকর্ষ

গ) স্বরাগম

ঘ) অভিশ্রুতি

উত্তর: গ

২. অন্তর্হতির অপর নাম কি?

ক) ব্যঞ্জনচ্যুতি

খ) ব্যঞ্জনলোপ

গ) ব্যঞ্জনবিকৃতি

ঘ) সমীকরণ

উত্তর: খ

৩. নিচের কোনটি সমীভবনের উদাহরণ?

ক) মোজা > মুজো

খ) সত্য > সচ্চ

গ) সত্য > সইত্য

ঘ) চাকা > চাক্কা

উত্তর: খ

৪. ধ্বনি বিপর্যয়ের উদাহরণ – 

ক) পিশাচ> পিচাশ

খ) মজদুর > মজুর

গ) ইসরার > ইসরাজ

ঘ) ধাইমা > দাইমা

উত্তর: ক

৫. একই স্বরের পুনরাবৃত্তি না করে মাঝখানে স্বরধ্বনি যুক্ত করাকে কী বলে?

ক) অপিনিহিতি

খ) সমীভবন

গ) সম্প্রকর্ষ

ঘ) অসমীকরণ

উত্তর: ঘ

৬. কোনটি স্বরভক্তি?

ক) স্ত্রী > ইস্ত্রী

খ) ধর্ম > ধরম

গ) আজি > আইজ

ঘ) দেশি > দিশি

উত্তর: খ

৭. পদের মাঝে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে কি বলে?

ক) ব্যঞ্জনবিকৃতি

খ) ব্যঞ্জনচ্যুতি

গ) অন্তর্হতি

ঘ) অভিশ্রুতি

উত্তর: গ

৮. Long consonant এর ইংরেজি পরিভাষা – 

ক) যৌগিক স্বর

খ) ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা

গ) যুক্ত ব্যঞ্জন

ঘ) ব্যঞ্জনসঙ্গতি

উত্তর: খ

৯. নিম্নের কোনটিতে স্বরধ্বনির পরিবর্তন হয়?

ক) সমীভবন

খ) সম্প্রকর্ষ

গ) ধ্বনি বিপর্যয়

ঘ) বিষমীভবন

উত্তর: খ

১০. কোনটি ধ্বনি পরিবর্তন?

ক) চাচা > চাচী

খ) স্ত্রী > ইস্ত্রি

গ) চুলা > চুলো

ঘ) নাক > কান

উত্তর: গ

১১. “স্বপ্নালু চোখে স্বপ্ন নাবতো তার।” বাক্যে ‘নাবতো’ ধ্বনি পরিবর্তনের কোন নিয়মে হয়েছে?

ক) সমীভবন

খ) ব্যঞ্জনবিকৃতি

গ) ধ্বনি বিপর্যয়

ঘ) অভিশ্রুতি

উত্তর: খ

১২. ‘ধরনা > ধন্না’ এটি কী ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?

ক) স্বরসঙ্গতি

খ) অপিনিহিতি

গ) স্বরভক্তি

ঘ) সমীভবন

উত্তর: ঘ

১৩. নিচের কোনটি স্বরসঙ্গতির উদাহরণ?

ক) জন্ম > জনম

খ) হিসাব > হিসেব

গ) মুক্তা> মুকুতা

ঘ) কন্যা > কইন্যা

উত্তর: খ

১৪. ‘অলাবু থেকে লাবু’ হওয়ার কারণ – 

ক) বর্ণাগম

খ) বর্ণলোপ

গ) বর্ণ বিপর্যয়

ঘ) অন্তর্হতি

উত্তর: খ

১৫. ‘উৎ + মুখ > উন্মুখ’ ধ্বনি পরিবর্তনের কোন নিয়মে – 

ক) সমীভবন

খ) অসমীকরণ

গ) অভিশ্রুতি

ঘ) স্বরভক্তি

উত্তর: ক

১৬. ভুল সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

ক) আ + চর্য = আশ্চর্য

খ) দিব + লোক = দ্যুলোক

গ) উৎ + ধার = উদ্ধার

ঘ) শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ

উত্তর: গ

১৭. ‘অহরহ’ এর সঠিক বিচ্ছেদ কোনটি?

ক) অহঃ + অহ

খ) অহঃ + রহ

গ) অহ + অহ

ঘ) অহঃ + অহঃ

উত্তর: ক

১৮. ‘ব্যুৎপত্তি’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

ক) বি + পত্তি

খ) বি + উৎপত্তি

গ) বুদ + পত্তি

ঘ) বুৎ + উৎপত্তি

উত্তর: খ

১৯. ‘সদ্যোজাত’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ – 

ক) সদ্য + জাত

খ) সদ্যঃ + জাত

গ) সদ্যা + জাত

ঘ) সদাঃ + জাত

উত্তর: খ

২০. ‘অকুতোভয়’ এর সন্ধি বিচ্ছেদ কী?

ক) অকুত + ভয়

খ) অকুতো + ভয়

গ) অকুতঃ + ভয়

ঘ) অকুতঃ + অভয়

উত্তর: গ

২১. ‘অভীষ্ট’ এর সন্ধি বিচ্ছেদ কী?

ক) অভি + ইষ্ট

খ) অভী + ঈষ্ট

গ) অভী + ইষ্ট

ঘ) অভি + বিষ্ট

উত্তর: ক

২২. ‘গো + অক্ষ = গবাক্ষ’ কোন প্রকারের সন্ধি?

ক) স্বরসন্ধি

খ) বিসর্গসন্ধি

গ) নিপাতনে সিদ্ধ

ঘ) ব্যঞ্জনসন্ধি

উত্তর: গ

২৩. ‘ষড়ঋতু’ এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

ক) ষড় + ঋতু

খ) ষট + ঋতু

গ) ষড়– + ঋতু

ঘ) ষট্ + ঋতু

উত্তর: ঘ

২৪. ‘সংশপ্তক’ এর সন্ধি বিচ্ছেদ – 

ক) সম + শপ্তক

খ) সং + শপ্তক

গ) সম + সপ্তক

ঘ) সমশ + অপ্তক

উত্তর: ক

২৫. ‘ততোধিক’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?

ক) তত + ধিক

খ) তত + অধিক

গ) ততঃ + অধিক

ঘ) ততঃ + ধিক

উত্তর: গ

২৬. নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কোনটি?

ক) বাক + দান = বাগদান

খ) উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ

গ) পর + পর = পরস্পর

ঘ) সম + সার = সংসার

উত্তর: গ

২৭. পর্যালোচনা শব্দাটির সন্ধি বিচ্ছেদ –

ক) পর্যা + আলোচনা

খ) পরি + আলোচনা

গ) পর + আলোচনা

ঘ) পর্য + আলোচনা

উত্তর: খ

২৮. স্বাগত এর সন্ধি বিচ্ছেদ – 

ক) স্বা + গত

খ) সু + গত

গ) সু + আগত

ঘ) স্ব + আগত

উত্তর: গ

২৯. নাবিক এর সন্ধি বিচ্ছেদ – 

ক) নো + ইক

খ) নৌ + ইক

গ) নবো + ইক

ঘ) নো + ইক

উত্তর: খ

৩০. পদ্ধতি এর সন্ধি বিচ্ছেদ – 

ক) পদ + ধতি

খ) পদ + হতি

গ) পৎ + হতি

ঘ) পথ + ধতি

উত্তর: খ

৩১. সংবিধান এর সন্ধি বিচ্ছেদ –

ক) সং + বিধান

খ) সং + অবিধান

গ) সম + বিধান

ঘ) সন + বিধান

উত্তর: গ

৩২. মনোযোগ এর সন্ধি বিচ্ছেদ –

ক) মন + যোগ

খ) মনঃ + যোগ

গ) মনোঃ + যোগ

ঘ) মন + উৎযোগ

উত্তর: খ

৩৩. দ্যুলোক এর সন্ধি বিচ্ছেদ –

ক) দিব + লোক

খ) দিবা + লোক

গ) দ্বি + লোক

ঘ) দ্বিব + লোক

উত্তর: ক

৩৪. বিশেষ নিয়মে সাধিত সন্ধি –

ক) পরিষ্কৃত

খ) পতঞ্জলি

গ) নীরব

ঘ) পুরস্কার

উত্তর: ক

৩৫. শয়ন শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ – 

ক) শো + অন

খ) শে + অন

গ) শৈ + অন

ঘ) শে + য়ন

উত্তর: খ

৩৬. কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি?

ক) উত্থাপন

খ) পরিষ্কার

গ) কুলটা

ঘ) একাদশ

উত্তর: ঘ

৩৭. ততোধিক কোন প্রকারের সন্ধি?

ক) বাংলা স্বরসন্ধি

খ) ব্যঞ্জনসন্ধি

গ) বিসর্গ সন্ধি

ঘ) তৎসম স্বরসন্ধি

উত্তর: গ

৩৮. দুর্দশা এর সন্ধি বিচ্ছেদ –

ক) দুর + দশা

খ) দুর্দ + শা

গ) দুঃ + দশা

ঘ) দুরঃ + দশা

উত্তর: গ

৩৯. ‘স্বয়ংবরা’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ হলো – 

ক) স্বয়ং + বরা

খ) স্বয়ম্ + বরা

গ) স্বয় + বরা

ঘ) স্বয়ন্ + বরা

উত্তর: খ

৪০. ‘পর্যবেক্ষণ’ এর সন্ধিবিচ্ছেদ – 

ক) পরি + বেক্ষণ

খ) পর + অবেক্ষণ

গ) পর্য + বেক্ষণ

ঘ) পরি + অবেক্ষণ

উত্তর: ঘ

৪১. কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ বিসর্গসন্ধি নয় –

ক) অহরহ

খ) গীর্পতি

গ) অহর্নিশ

ঘ) অহর্পতি

উত্তর: ক

৪২. দুরন্ত শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ – 

ক) দুঃ + রন্ত

খ) দু + অন্ত

গ) দুঃ + অন্ত

ঘ) দুর + অন্ত

উত্তর: গ

৪৩. আবির্ভাব শব্দটি গঠিত হয়েছে – 

ক) সমাস দ্বারা

খ) প্রত্যয় দ্বারা

গ) উপসর্গ দ্বারা

ঘ) সন্ধি দ্বারা

উত্তর: ঘ

৪৪. কোনটি বিশেষ নিয়মে সাধিত সন্ধি নয়?

ক) পুরস্কার

খ) সংস্কার

গ) পরিষ্কৃত

ঘ) সংস্কৃতি

উত্তর: ক

৪৫. নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ কোনটি?

ক) আ + চর্য = আশ্চর্য

খ) চতুঃ + পদ = চতুষ্পদ

গ) উৎ + লাস = উল্লাস

ঘ) নিঃ + রত = নীরত

উত্তর: ক

৪৬. উত্তমর্ণ এর সন্ধি বিচ্ছেদ –

ক) উত্তম + অর্ণ

খ) উত্তম + ঋণ

গ) উত্তম + ঋত

ঘ) উত্তম + রণ

উত্তর: খ

৪৭. সন্ধিতে কোনটির মিলন ঘটে?

ক) শব্দের

খ) অর্থের

গ) ধ্বনির

ঘ) কোনোটাই না

উত্তর: গ

৪৮. বিবিয়ানি শব্দটি ব্যাকরণের কোন নিয়ম থেকে আসছে?

ক) সন্ধি

খ) সমাস

গ) প্রত্যয়

ঘ) লিঙ্গ

উত্তর: গ

৪৯. বহ্ন্যুৎসব শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ –

ক) বহ্ন্যু + উৎসব

খ) বহ্নি + উৎসব

গ) বহ্ন্যু + উৎসব

ঘ) বহ্ন্যুৎ + সব

উত্তর: খ

৫০. কোনটি ভুল?

ক) ণিচ + অন্ত = ণিজন্ত

খ) গো + আদি = গবাদি

গ) সম + চয় = সঞ্চয়

ঘ) অন্ত + গত = অন্তর্গত

উত্তর: ঘ

তথ্যসূত্র:

১. রফিকুল ইসলাম, পবিত্র সরকার ও মাহবুবুল হক, প্রমিত বাংলা ব্যবহারিক ব্যাকরণ (বাংলা একাডেমি, জানুয়ারি ২০১৪)
২. রফিকুল ইসলাম ও পবিত্র সরকার, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, প্রথম খন্ড (বাংলা একাডেমি, ডিসেম্বর ২০১১)
৩. মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩)
৪. নির্মল দাশ, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও তার ক্রমবিকাশ (বিশ্বভারতী ২০০০)
৫. কাজী দীন মুহম্মদ ও সুকুমার সেন, অভিনব ব্যাকরণ (ঢাকা ১৯৪৮)
৬. মুহম্মদ আবদুল হাই, ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব (১৯৬৪)
৭. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৬৮)
৮. ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষাশিক্ষা : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০০৪)
৯. ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ভাষাবিধি : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও প্রবন্ধ রচনা (আদিল ব্রাদার্স, জানুয়ারি ২০০৯)
১০. ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (অগ্নি পাবলিকেশন্স, এপ্রিল ২০০৪)
১১. ড. মুহম্মদ এনামুল হক ও শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী, ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (বাংলা একাডেমি, স্বরবর্ণ অংশ: ডিসেম্বর ১৯৭৪ ও ব্যঞ্জনবর্ণ অংশ: জুন ১৯৮৪)

BSC Bangla Lecture – 8

ব্যাকরণ ও বাংলা ব্যাকরণ, বাংলা ব্যাকরণের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়, ব্যাকরণের প্রাথমিক আলোচনা, ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ, নমুনা প্রশ্ন

ব্যাকরণ ও বাংলা ব্যাকরণ

ব্যাকরণ (Grammar) বলতে ভাষার অবকাঠামোগত গবেষণা ও উন্নয়নকে বুঝায়। ব্যাকরণ ভাষার সংবিধান। ভাষা ব্যাকরণের প্রাণ। ‘ব্যাকরণ’ শব্দটি তৎসম শব্দ। ব্যাকরণ (বি + আ + কৃ + অন) শব্দটি উপসর্গ ও প্রত্যয়ের নিয়মে গঠিত। ব্যাকরণের বুৎপত্তিগত অর্থ ‘বিশেষভাবে বিশ্লেষণ’। ভাষাকে ভিত্তি করে ব্যাকরণশাস্ত্র রচিত হয়। ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সাধারণত যে শাস্ত্রে ভাষার বিভিন্ন উপাদানের গঠনপ্রকৃতি ও স্বরূপ বিশ্লেষিত হয় এবং এদের সম্পর্ক ও সুষ্ঠু প্রয়োগবিধি আলোচিত হয়তাকে ব্যাকরণ বলে। বাংলা ভাষার অভ্যন্তরীণ নিয়ম-শৃঙ্খলা ও অবকাঠামো যে শাস্ত্রে আলোচিত হয় তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।

ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়

প্রতিটি ভাষারই মৌলিক অংশ চারটি: ধ্বনি (Sound), শব্দ (Word), বাক্য (Sentence) ও অর্থ (Meaning)। পৃথিবীর সব ভাষার ব্যাকরণে এ চারটি মৌলিক বিষয় আলোচিত হয়। সে দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা ব্যাকরণের মূল আলোচ্য বিষয় চারটি: ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology), শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology), বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (Syntax) ও অর্থতত্ত্ব বা বাগর্থ বিজ্ঞান (Semantics)। এ ছাড়া অভিধানতত্ত্ব (Lexicography), ছন্দোবিজ্ঞান ও অলংকারশাস্ত্র (Prosody & Rhetoric) প্রভৃতিও বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় হিসেবে গণ্য করা হয়।

  • ধ্বনিতত্ত্বোর আলোচ্য বিষয়: ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ, যুক্তবর্ণ, বর্ণ সংযোগ, বর্ণ বিশ্লেষণ, ধ্বনির উচ্চারণ বিধি, ণত্ব ও ষত্ব বিধান, ধ্বনি পরিবর্তন, সন্ধি ও বাংলা বানানের নিয়ম।
  • শব্দতত্ত্বোর আলোচ্য বিষয়: শব্দের শ্রেণিবিভাগ, সংখ্যাবাচক শব্দ, দ্বিরুক্ত শব্দ, লৈঙ্গিক শব্দ, বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ, একই শব্দের বিভিন্নার্থে প্রয়োগ, পারিভাষিক শব্দ, বচন, পদাশ্রিত নির্দেশক, পদ প্রকরণ, ক্রিয়ার কাল, ক্রিয়ার ভাব, বাংলা অনুজ্ঞা, পুরুষ, অতিশায়ন, কারক ও বিভক্তি, অনুসর্গ, উপসর্গ, ধাতু, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, সমাস, বাগধারা, প্রবাদ প্রবচন, সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ।
  • বাক্যতত্ত্বোর আলোচ্য বিষয়: বাক্য প্রকরণ, উদ্দেশ্য ও বিধেয়, বাক্য সংকোচন, বাক্যে পদ-সংস্থাপনার ক্রম, উক্তি, বাচ্য ও বিরাম চিহ্ন।
  • অর্থতত্ত্বোর আলোচ্য বিষয়: শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থবিচার, অর্থের শ্রেণিবিন্যাস ও অর্থ পরিবর্তন।

ব্যাকরণের প্রাথমিক আলোচনা

  • ধ্বনি (Sound): মানুষের বাক-প্রত্যঙ্গের সাহায্যে উচ্চারিত আওয়াজ বা মুখে উচ্চারিত শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে ধ্বনি বলে। ধ্বনি ভাষার ক্ষুদ্রতম একক, ভাষার মৌখিক রূপ ও ভাষার মূল ভিত্তি বা উপাদান। ভাষা সৃষ্টি হয় ধ্বনির সাহায্যে এবং ধ্বনি সৃষ্টি হয় বাগযন্ত্রের দ্বারা।
  • বাগযন্ত্র (Voice Organ): গলনালী, মুখবিবর, কণ্ঠ, জিহবা, তালু, দন্ত, নাসিকা, ওষ্ঠ ইত্যাদি বাক-প্রত্যঙ্গকে এক কথায় বাগযন্ত্র বলে। ধ্বনি উচ্চারণের মূল উপকরণ ২ টি: জিহবা ও ওষ্ঠ।
  • ধ্বনিমূল (Voice Organ): বাক-প্রত্যঙ্গজাত ধ্বনির সূক্ষ্মতম মৌলিক অংশ বা একককে ধ্বনিমূল বলে।
  • বর্ণ (Letter): ধ্বনির লিখিত রূপ বা ধ্বনি নির্দেশক সাংকেতিক চিহ্নকে বর্ণ বলে। ধ্বনির লিখিত রূপকে হরফ বা লিপিও (Script) বলা হয়।
  • অক্ষর (Syllable): শব্দের মাঝে স্বরধ্বনির অবস্থান বা নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ একবারে একত্রে উচ্চারিত হয় তাকে অক্ষর বলে। যেমন: ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ শব্দে (বিশ্ + শো + বিদ্ + দা + লয়্) এ পাঁচটি অক্ষর আছে। অক্ষর দু প্রকার:
    স্বরান্ত অক্ষর বা মুক্তাক্ষর (Opened Syllable): যে অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি উচ্চারিত হয় তাকে মুক্তাক্ষর বলে। যেমন: ভালোবাসি তোমাকে। এ বাক্যর প্রতিটি অক্ষরই মুক্তাক্ষর।
    ব্যঞ্জনান্ত অক্ষর বা বদ্ধাক্ষর (Closed Syllable): যে অক্ষরের শেষে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারিত হয় তাকে বদ্ধাক্ষর বলে। যেমন: সোমবার দিন হরতাল। এ বাক্যের প্রতিটি অক্ষরই বদ্ধাক্ষর।
  • বর্ণমালা(Alphabet): বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণগুলির লিখিত সমষ্টিকে বর্ণমালা বলে।
  • বর্ণ সংযোগ: বর্ণে বর্ণে যোগ করাকে বর্ণ সংযোগ বলে। বিভিন্ন বর্ণ সংযোগে শব্দ সৃষ্টি হয়। যেমন: ক + ব্ + ই = কবি।
  • বর্ণ বিশ্লেষণ: শব্দের বর্ণগুলি পৃথক পৃথক করে দেখানোর নাম বর্ণ বিশ্লেষণ। যেমন: বিষ্ণু = ব্ + ই + ষ্ + ণ্ + উ।
  • মাত্রা: বাংলা বর্ণমালার কোনো কোনো বর্ণের উপরে যে রেখা বা কষি দেওয়া হয় তাকে মাত্রা বলে।
  • হসন্ত চিহ্ন: উচ্চারণের সুবিধার্থে বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে একটি অতিরিক্ত স্বরধ্বনি ‘অ’ যুক্ত করা হয়। ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে স্বরবর্ণ যুক্ত না হলে অথবা ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে কারযুক্ত বর্ণ আলাদা করলে ব্যঞ্জনবর্ণের নিচে একটি বিশেষ চিহ্ন দেওয়া হয়, একে হসন্ত বা হলন্ত চিহ্ন বলে। যেমন: ক = ক্ + অ; বি = ব্ + ই।
  • রূপ (Morpheme): শব্দের ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ অংশকে রূপ বলে। এজন্য শব্দতত্ত্ব কে রূপতত্ত্ব বলা হয়।
  • শব্দ (Word): কিছু ধ্বনি উচ্চারিত হয়ে বা বর্ণ একত্রে বসে যদি কোনো নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে তাকে শব্দ বলে। শব্দ ভাষা ও বাক্যের মূল উপাদান, বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক বা প্রাণ।
  • পদ (Parts of Speech): বিভক্তিযুক্ত শব্দ বা বাক্যের অন্তর্গত প্রতিটি শব্দকেই পদ বলে। যেমন: অনুষ্ঠানে। আমি অনুষ্ঠান দেখেছি। প্রথম উদাহরণে অনুষ্ঠানে ‘এ’ বিভক্তি এসেছে এবং পরবর্তী উদাহরণের প্রতিটি শব্দ বাক্যে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং এগুলো পদ।
  • বাক্য (Sentence): যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় তাকে বাক্য বলে। বাক্য ভাষার মূল উপকরণ বা প্রাণ।
  • অর্থ (Meaning): ভাষার আদান-প্রদান বা ভাব বিনিময়ের সাথে অর্থের সম্পর্ক। শব্দ বা বাক্যের অর্থ না বুঝলে মনেব ভাব প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ

  • বাংলা ভাষার মৌলিক ধ্বনিগুলো প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
    ১. স্বরধ্বনি: যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরে কোথাও কোনো প্রকার বাঁধা না পায়, অথবা যে সকল ধ্বনি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হয় তাদেরকে স্বরধ্বনি (Vowel sound) বলে। আবার কিছু কিছু ধ্বনি আছে যাদের অবস্থান স্বর ও ব্যঞ্জনের মাঝামাঝি এদেরকে অর্ধস্বরধ্বনি (Semi-vowel) বলে। বাংলায় অর্ধস্বরের সংখ্যা চারটি। (ই উ এ ও)।
    ২. ব্যঞ্জনধ্বনি: যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরে কোথাও না কোথাও কোনো প্রকার বাঁধা পায় কিংবা ঘর্ষণ লাগে, অথবা যে সকল ধ্বনি স্বরধ্বনির সাহায্যে উচ্চারিত হয় তাদেরকে ব্যঞ্জনধ্বনি (Consonant sound) বলে।
  • বাংলা ভাষার বর্ণগুলো দুই প্রকার। যথা-
    ১. স্বরবর্ণ: স্বরধ্বনি-দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে স্বরবর্ণ বলে। স্বরবর্ণ মোট ১১ টি। স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ‘কার’ বলা হয়। ‘কার’ যুক্ত স্বরধ্বনির সংখ্যা ১০ টি। ‘অ’ এর কোনো কার নেই। প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে একটি ‘অ’ লুপ্ত অবস্থায় থাকে। এ জন্য ‘অ’-কে নিলীন বর্ণ বলে।
    ২. ব্যঞ্জনবর্ণ: ব্যঞ্জনধ্বনি-দ্যোতক লিখিত সাংকেতিক চিহ্নকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে। ব্যঞ্জনবর্ণ মোট ৩৯টি কিন্তু প্রকৃত ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৫ টি। (ৎ, ং, ঃ, ঁ) এই চারটি প্রকৃত ব্যঞ্জনবর্ণ নয়। ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ‘ফলা’ বলা হয়। বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে ‘ফলা’ মোট ৬ টি। যেমন- ব ফলা, ম ফলা, ল ফলা, র ফলা, য ফলা, ন ফলা।
  • বাংলা বর্ণমালা:
    বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০ টি সরল বা অসংযুক্ত বর্ণ আছে।
    স্বরবর্ণ- ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ- ৩৯ টি।
    স্বরবর্ণ: অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ = ১১ টি।
    ব্যঞ্জনবর্ণ: ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ময র ল শ ষ স হ ড় ঢ় য় ৎ ং ঃ ঁ = ৩৯ টি।
    স্বরবর্ণ
  • গঠন ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্বরধ্বনি ২ প্রকার। যেমন-
    ১. মৌলিক স্বরধ্বনি: যে ধ্বনিগুলো একক স্বরের অধিকারী অর্থাৎ যাদেরকে বিশ্লেষণ করা যায় না তাকে মৌলিক বা একক স্বরধ্বনি বলে। মৌলিক স্বরধ্বনি ৭ টি। (অ আ ই উ এ ও অ্যা)।
    ২. যৌগিক স্বরধ্বনি: যে ধ্বনিগুলো একটি স্বর ও একটি অর্ধস্বরের সমন্বয়ে গঠিত অর্থাৎ যাদেরকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে। যৌগিক স্বরধ্বনি ২৫ টি। কিন্তু স্বরবর্ণে যৌগিক স্বরের প্রতীকী বর্ণ ২ টি। (ঐ ঔ)। যৌগিক স্বরকে আবার সন্ধিস্বর, সান্ধ্যক্ষর, দ্বৈতস্বর বা দ্বি-স্বর (Diphthong) বলা হয়।
  • উচ্চারণ-কাল ও সময়অনুসারে স্বরধ্বনি ২ প্রকার। যেমন-
    ১. হ্রস্ব-স্বর: অল্প সময়ে যে সকল স্বরধ্বনি উচ্চারণ করা যায় তাকে হ্রস্বস্বর বলে। হ্রস্ব স্বর ৪ টি। (অ ই উ ঋ)
    ২. দীর্ঘস্বর: যে সকল স্বরধ্বনি উচ্চারণে অধিক সময় লাগে তাকে দীর্ঘস্বর বলে। দীর্ঘ স্বর ৭ টি। (আ ঈ ঊ এ ঐ ও ঔ)
    ব্যঞ্জনবর্ণ
  • উচ্চারণ-স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জনবর্ণ ৫ প্রকার। যথা-
উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী নামবর্ণসমূহউচ্চারণ-স্থান
কণ্ঠ্য/ জিহবামূলীয় বর্ণক খ গ ঘ ঙজিহবামূল
তালব্য বর্ণচ ছ জ ঝ ঞ শ য য়অগ্রতালু
মূর্ধন্য/পশ্চাৎ দন্তমূলীয় বর্ণট ঠ ড ঢ ণ ষ র ড় ঢ়পশ্চাৎ দন্তমূল
দন্ত্য বর্ণত থ দ ধ ন ল সঅগ্র দন্তমূল
ওষ্ঠ্য বর্ণপ ফ ব ভ মওষ্ঠ/দুই ঠোঁট
  • উচ্চারণ-বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যঞ্জনবর্ণ ২ প্রকার। যথা-
    ১. অঘোষ ধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না তাকে বলা হয় অঘোষ (Unvoiced) ধ্বনি ।
    ২. ঘোষ ধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় তাকে বলে ঘোষ (Voiced) ধ্বনি।
  • ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনিগুলো তিন ভাগে বিভক্ত। যথা-
    ১. অল্পপ্রাণ ধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের স্বল্পতা থাকে তাকে বলে অল্পপ্রাণ (Unaspirated) ধ্বনি।
    ২. মহাপ্রাণ ধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে তাকে বলে মহাপ্রাণ (Aspirated) ধ্বনি।
    ৩. নাসিক্য ধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নাক দিয়ে ফুসফুসতাড়িত বাতাস বের হয় তাকে বলে নাসিক্য (Nasal) ধ্বনি।
  • নিম্নে অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ এবং অঘোষ ও ঘোষ স্পর্শব্যঞ্জন ও নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো ছকে দেখানো হলো:
অঘোষঘোষ
অল্প
প্রাণ
মহা
প্রাণ
অল্প
প্রাণ
মহা
প্রাণ
নাসিক্য
  • উল্লেখ্য, ঃ  (বিসর্গ) হলো ‘হ’ এর উচ্চারণে প্রাপ্ত ধ্বনি। হ এর উচ্চারণ ঘোষ কিন্তু ঃ এর উচ্চারণ অঘোষ। তবে ধ্বনিগত প্রতিবেশের কারণে ‘হ’ কখনো অঘোষ আবার কখনো ঘোষবৎ উচ্চারিত হয়। শ, স হলো অঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি।
  • ব্যঞ্জনবর্ণের পরিচয়
    ব্যঞ্জনবর্ণে বর্গ বাগুচ্ছ ৫ টি। যেমন- ক-বর্গ, চ-বর্গ, ত-বর্গ, ট-বর্গ ও প-বর্গ। বর্গীয়ধ্বনি ২৫ টি। যেমন- ক খ গ ঘ ঙ, চ ছ জ ঝ ঞ, ট ঠ ড ঢ ণ, ত থ দ ধ ন, প ফ ব ভ ম।
    ব্যঞ্জনবর্ণে স্পৃষ্ট বা স্পর্শধ্বনির (Plosive) সংখ্যা সর্বাধিক ১৬ টি। যেমন- ক খ গ ঘ, ট ঠ ড ঢ, ত থ দ ধ, প ফ ব ভ

 

পরাশ্রয়ী বর্ণং ঃ
অনুনাসিক বা সানুনাসিক বর্ণ
নাসিক্য বর্ণঙ ঞ ণ ন ম
তাড়নজাত বর্ণড় ঢ়
কম্পনজাত বর্ণ
পার্শ্বিক বা তরল বর্ণ
উষ্ম বা শিস বর্ণশ ষ স হ
অন্তঃস্থ বর্ণয র ল ব
ঘৃষ্ট বা ঘর্ষণজাত বর্ণচ ছ জ ঝ

 

  • বর্ণের মাত্রাবিন্যাস
বর্ণপূর্ণ
মাত্রা
অর্ধ
মাত্রা
মাত্রা
হীন
মোট
মাত্রাযুক্ত
স্বর
বর্ণ
৬ টি১ টি৪ টি৭ টি
ব্যঞ্জন
বর্ণ
২৬ টি৭ টি৬ টি৩৩ টি
বর্ণ
মালা
৩২ টি৮ টি১০ টি৪০ টি

 

যুক্তবর্ণ

যুক্তব্যঞ্জনধ্বনির দ্যোতনার জন্য দুটোবা অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রিত হয়ে সংযুক্তবর্ণবা যুক্তব্যঞ্জন (Ligature) গঠিত হয়। একে আবার যুগ্মব্যঞ্জন বা ধ্বনিসংযুক্তি বলে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুক্তবর্ণ নিচে দেওয়া হলো:

যুক্তবর্ণউদাহরণ
ক্ষ = ক্ + ষক্ষমা, ক্ষমতা, শিক্ষা
হ্ম = হ্ + মব্রাহ্মণ, ব্রহ্মা, ব্রহ্মপুত্র
জ্ঞ = জ্ + ঞজ্ঞান, সংজ্ঞা, বিজ্ঞান
ঞ্জ = ঞ্ + জঅঞ্জনা, গঞ্জ, জলাঞ্জলি
ঞ্চ = ঞ্ + চবঞ্চনা, মঞ্চ, সঞ্চয়
ঞ্ছ = ঞ্ + ছবাঞ্ছনীয়, বাঞ্ছিত, বাঞ্ছা
ষ্ণ = ষ্ + ণউষ্ণ, তৃষ্ণা, কৃষ্ণ
ষ্ম = ষ্ + মগ্রীষ্ম, উষ্ম, কুষ্মাণ্ড
ঙ্ক = ঙ্ + কঅঙ্ক, কঙ্কাল, লঙ্কা
ঙ্গ = ঙ্ + গঅঙ্গন, মঙ্গল, সঙ্গীত
ত্র = ত্ + রমিত্র, নেত্র, পত্রিকা
ন্ত্র্য = ন্ + ত্ +র্+যস্বাতন্ত্র্য
ত্রু = ত্ +র্+উশত্রু, ত্রুটি
ক্র = ক্ + রচক্র, আক্রমণ, চক্রান্ত
ক্রু = ক্ +র+উক্রুসেড, ক্রুদ্ধ, ক্রুশ
হৃ = হ্ + ঋহৃদয়, সুহৃদ, হৃষ্ট
হ্ণ = হ্ + ণঅপরাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ
হ্ন = হ্ + নসায়াহ্ন, মধ্যাহ্ন, বহ্নি
স্ত = স্ + তস্তব্ধ, স্তর, বিস্তার
স্থ = স্ + থস্থান, অবস্থা, স্বাস্থ্য
স্খ = স্ + খপদস্খলন
ত্থ = ত্ + থউত্থান, উত্থাপন, উত্থিত
ত্ত = ত্ + তউত্তম, পত্তন, বিত্ত
ক্স = ক্ + সবাক্স, রিক্সা, ফ্যাক্স
ক্ম = ক্ + মরুক্মিণী
ক্ষ্ম = ক্ + ষ্ + মযক্ষ্মা, লক্ষ্মী, লক্ষ্মণ
ক্ষ্ন = ক্ + ষ্ + নতীক্ষ্ন
ক্ত = ক্ + তডাক্তার, মোক্তার, বক্তা
ট্ট = ট্+টঠাট্টা, চট্টগ্রাম
ট্র = ট্ + রট্রাক, ট্রাফিক
গ্ন = গ্ + নভগ্নাংশ, ভগ্নী
গ্ণ = গ্ + ণরুগ্ণ
ণ্ড = ণ্ + ডষণ্ডা, কাণ্ড, দণ্ড
ন্ড = ন্ + ডকিন্ডার
ণ্ট = ণ্ + টকণ্টক, ঘণ্টা
ন্ট = ন্ + টপ্রিন্টার, ইন্টার
জ্ব = জ্ + বজ্বালাময়ী
ব্জ = ব্ + জকব্জি, ধব্জা
র্ক =র্অর্ক, বিতর্ক
ত্ন = ত্ + নরত্ন, যত্ন
ত্ম = ত্ + মআত্মা, আত্মীয়
ব্ধ = ব্ + ধউপলব্ধি, ক্ষুব্ধ
ন্তু = ন্ + ত্ + উকিন্তু
স্তু = স্ + ত্ + উপ্রস্তুত
ন্থ = ন্ + থগ্রন্থ
ণ্ন = ণ্ + নঅক্ষুণ্ন, বিষষ্ন
ন্ন = ন্ + নঅন্ন, ভিন্ন
ম্ন = ম্ + ননিম্ন
ম্ম = ম্ + মসম্মতি, সম্মান
ণ্ম = ণ্ + মহিরণ্ময়
ন্ম = ন্ + মউন্মাদ, উন্মুক্ত, উন্মুখ

নমুনা প্রশ্ন

১. ভাষার মূল উপাদান কোনটি?

ক) ধ্বনি

খ) বাক্য

গ) শব্দ

ঘ) বর্ণ

উত্তর: ক

২. বাংলা ব্যাকরণ প্রথম কত সালে প্রকাশিত হয়?

ক) ১৭৩৪ সালে

খ) ১৭৪৩ সালে

গ) ১৮০১ সালে

ঘ) ১৭৭৮ সালে

উত্তর: খ

৩. প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণ রচয়িতা –

ক) আসসুম্পসাও

খ) উইলিয়াম কেরি

গ) ব্রাসি হ্যালহেড

ঘ) রামমোহন রায়

উত্তর: গ

৪. বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?

ক) ধ্বনি

খ) শব্দ

গ) বর্ণ

ঘ) অক্ষর

উত্তর: খ

৫. ভাষার মৌলিক ক্ষুদ্রতম একক হল-

ক) শব্দ

খ) ধ্বনি

গ) অক্ষর

ঘ) কণ্ঠ

উত্তর: খ

৬. ব্যাকরণের প্রধান কাজ কোনটি?

ক) ভাষার শৃংখলা

খ) ভাষার উন্নতি

গ) ভাষার নিয়ম প্রতিষ্ঠা

ঘ) ভাষার বিশ্লেষণ

উত্তর: গ

৭. কোন বাঙালি সর্বপ্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন?

ক) রাজা রামমোহন রায়

খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গ) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ঘ) এন বি হ্যালহেড

উত্তর: ক

৮. ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় কতটি?

ক) দুটি

খ) তিনটি

গ) চারটি

ঘ) পাঁচটি

উত্তর: গ

৯. কোনটি ধ্বনিতত্তে¡র আলোচ্য বিষয় নয়?

ক) সন্ধি

খ) ন-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান

গ) বচন

ঘ) অক্ষর

উত্তর: গ

১০. ‘পূর্ণচ্ছেদ’ বিরাম চিহ্নটি কোন ব্যাকরণ থেকে বাংলা ব্যাকরণে এসেছে?

ক) বাংলা ব্যাকরণ থেকে

খ) হিন্দি ব্যাকরণ থেকে

গ) সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকে

ঘ) তৎসম ব্যাকরণ থেকে

উত্তর: গ

১১. বাংলা ব্যাকরণণে ‘বচন ও লিঙ্গ’ আলোচিত হয় কোন বিভাগে?

ক) পদক্রমে

খ) বাক্যতত্ত্বে

গ) ধ্বনিতত্ত্বে

ঘ) রূপতত্ত্বে

উত্তর: ঘ

১২. ‘কারক ও বিভক্তি’ ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?

ক) ছন্দ প্রকরণে

খ) অর্থতত্ত্বে

গ) বাক্যতত্ত্বে

ঘ) রূপতত্ত্বে

উত্তর: ঘ

১৩. কোনটি পদক্রমের আলোচ্য বিষয় নয়?

ক) উক্তি

খ) বচন

গ) ছেদচিহ্ন

ঘ) বাচ্য

উত্তর: খ

১৪. ‘অনুসর্গ’ ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?

ক) ধ্বনিতত্ত্ব

খ) রূপতত্ত্ব

গ) অর্থতত্ত্ব

ঘ) বাক্যতত্ত্ব

উত্তর: খ

১৫. ব্যাকরণের মৌলিক আলোচ্য বিয়ষ নয় কোনটি?

ক) অলঙ্কার

খ) ধ্বনি

গ) রূপ

ঘ) অর্থ

উত্তর: ক

১৬. ‘সমাস ও সন্ধি’ আলোচিত হয় যথাক্রমে ব্যাকরণের কোন অংশে?

ক) রূপতত্ত্বে ও ধ্বনিতত্ত্বে

খ) শব্দতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্বে

গ) ধ্বনিতত্ত্বে ও শব্দতত্ত্ব

ঘ) পদক্রম ও রূপতত্ত্বে

উত্তর: ক

১৭. পদের রূপ পরিবর্তন ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?

ক) বাক্যতত্ত্ব

খ) রূপতত্ত্ব

গ) অর্থতত্ত্ব

ঘ) ধ্বনিতত্ত্ব

উত্তর: ক

১৮. ব্যাকরণ কত প্রকার হতে পারে?

ক) দু প্রকার

খ) তিন প্রকার

গ) চার প্রকার

ঘ) পাঁচ প্রকার

উত্তর: গ

১৯. ব্যাকরণ শব্দের ‘ব্যা’ কোন নিয়মে হয়েছে?

ক) সন্ধি

খ) সমাস

গ) প্রত্যয়

ঘ) উপসর্গ

উত্তর: ক

২০. বাংলা ব্যাকরণের নিয়ম কোন ব্যাকরণ থেকে এসেছে?

ক) সংস্কৃত

খ) প্রাকৃত

গ) পালি

ঘ) অবহট্ঠ

উত্তর: ক

২১. ‘দিকনির্দেশনা’ শব্দে কয়টি অক্ষর আছে?

ক) ৪ টি

খ) ৫ টি

গ) ৬ টি

ঘ) ৭ টি

উত্তর: খ

২২. বাক্যের প্রাণ বলা হয় কাকে?

ক) বর্ণকে

খ) শব্দকে

গ) ভাষাকে

ঘ) অক্ষরকে

উত্তর: খ

২৩. ব্যাকরণ কী?

ক) ভাষার ভিত্তি

খ) ভাষার সমন্বয়

গ) ভাষার শাসনতন্ত্র

ঘ) ভাষার প্রাণ

উত্তর: গ

২৪. শব্দের ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ অংশকে বলে –

ক) বর্ণ

খ) ধ্বনি

গ) অক্ষর

ঘ) রূপ

উত্তর: ঘ

২৫. ভাষার মূল উপকরণ কোনটি?

ক) বাক্য

খ) শব্দ

গ) অক্ষর

ঘ) ব্যাকরণ

উত্তর: ক

২৬. ব্যাকরণের প্রাণ কী?

ক) শব্দ

খ) ভাষা

গ) ধ্বনি

ঘ) বাক্য

উত্তর: খ

২৭. “ধ্বনি থেকে আঁট বাধা শব্দই ভাষার ইট।” এই ‘ইট’ কে বাংলা ভাষায় কী বলে?

ক) বাক্য

খ) ব্যাকরণ

গ) বর্ণ

ঘ) কথা

উত্তর: গ

২৮. ধ্বনি উচ্চারণের মূল উপকরণ কি কি?

ক)জিহ্বা ও কণ্ঠ

খ) জিহ্বা ও ওষ্ঠ

গ) জিহ্বা ও গলনালী

ঘ) জিহ্বা ও দন্ত

উত্তর: খ

২৯. ‘বিরাম চিহ্ন’ ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?

ক) পদক্রম

খ) শব্দতত্ত্ব

গ) ধ্বনিতত্ত্ব

ঘ) অভিধানতত্ত্ব

উত্তর: ক

৩০. একাক্ষর শব্দ নয় কোনটি?

ক) যা

খ) যাই

গ) যায়

ঘ) যাক

উত্তর: খ

৩১. চন্দ্রবিন্দু ( ঁ ) এর ইংরেজি পরিভাষা –

ক) Moon-point

খ) Moon-dot

গ) Moon-light

ঘ) Moon-com

উত্তর: খ

৩২. নিম্নের কোনগুলো দন্ত্য বর্ণ?

ক) র, ষ

খ) ল, স

গ) ক, হ

ঘ) য, য়

উত্তর: খ

৩৩. বর্গীয় বর্ণের পরে এবং শিষ বর্ণের পূর্বের বর্ণগুলোকে বলে –

ক) অযোগবাহ বর্ণ

খ) তাড়নজাত বর্ণ

গ) অন্তঃস্থ বর্ণ

ঘ) পার্শ্বিক বর্ণ

উত্তর: গ

৩৪. প্রকৃত ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা কতটি?

ক) ৩৯ টি

খ) ৩৫ টি

গ) ৩০ টি

ঘ) ৩৮ টি

উত্তর: খ

৩৫. বাংলা বর্ণমালায় অসংযুক্ত বর্ণের সংখ্যা কতটি?

ক) ৩২ টি

খ) ৫০ টি

গ) ১০ টি

ঘ) ৩৯ টি

উত্তর: খ

৩৬. ‘জ ড দ’ উচ্চারণের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কোন প্রকার ধ্বনি?

ক) ঘোষ অল্পপ্রাণ

খ) অঘোষ মহাপ্রাণ

গ) ঘোষ মহাপ্রাণ

ঘ) ঘোষ নাসিক্য

উত্তর: ক

৩৭. তরল বর্ণ কোনটি?

ক) ল

খ) র

গ) ড়

ঘ) হ

উত্তর: ক

৩৮. উচ্চারণের স্থান অনুযায়ী ‘র ড় ঢ়’ কোন জাতীয় বর্ণ?

ক) কণ্ঠ্য

খ) তালব্য

গ) মূর্ধন্য

ঘ) দন্ত্য

উত্তর: গ

৩৯. ‘ক থেকে ম’ পর্যন্ত বর্ণগুলোকে বলা হয় –

ক) ঘৃষ্ট বর্ণ

খ) স্পর্শ বর্ণ

গ) উষ্ম বর্ণ

ঘ) বর্গীয় বর্ণ

উত্তর: ঘ

৪০. ব্যঞ্জনবর্ণে মোট মাত্রাযুক্ত বর্ণ কতটি?

ক) ৪০ টি

খ) ৭ টি

গ) ৩৩ টি

ঘ) ২৬ টি

উত্তর: গ

৪১. বাংলা বর্ণমালায় সরল বর্ণ কয়টি?

ক) ৩৫ টি

খ) ৪০ টি

গ) ৫০ টি

ঘ) ৩৯ টি

উত্তর: গ

৪২. নিচের কোনগুলো অর্ধ্বস্বর?

ক) ও এ

খ) অ আ

গ) য ব

ঘ) হ ং

উত্তর: ক

৪৩. ‘ত্ম্য, ন্ধ্র’ এখানে যুক্তবর্ণের বিশ্লেষণ –

ক) ত+ন+য, ন+দ+র

খ) ত+ম+য, ন+ধ+র

গ) ত+ম+য, ন+ব+র

ঘ) ত+ণ+য, ন+ব+র

উত্তর: খ

৪৪. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাযুক্ত বর্ণ কয়টি?

ক) ২৬ টি

খ) ১৬ টি

গ) ৩৩ টি

ঘ) ৪০ টি

উত্তর: ঘ

৪৫. নিচের কোনটি পশ্চাৎ দন্তমূলীয় বর্ণ?

ক) ষ

খ) স

গ) শ

ঘ) হ

উত্তর: ক

৪৬. উচ্চারণের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ‘ছ থ’ কোন ধরনের বর্ণ?

ক) অঘোষ মহাপ্রাণ

খ) ঘোষ মহাপ্রাণ

গ) ঘোষ অল্পপ্রাণ

ঘ) জিহবামূলীয়

উত্তর: ক

৪৭. ঘোষ মহাপ্রাণ কণ্ঠ্য বর্ণ কোনটি?

ক) স

খ) হ

গ) ঙ

ঘ) গ

উত্তর: খ

৪৮. নাসিকা ও অগ্রতালুর সমন্বয়ে উচ্চারিত বর্ণ?

ক) ঙ

খ) ণ

গ) ঞ

ঘ) ম

উত্তর: গ

৪৯. অন্য বর্ণের সাথে যোগ রেখে যে ধ্বনিগুলোর প্রয়োগ হয় তাকে কী বলে?

ক) অন্তঃস্থ বর্ণ

খ) অযোগবাহ বর্ণ

গ) পরাশ্রয়ী বর্ণ

ঘ) ঘর্ষণজাত বর্ণ

উত্তর: খ

৫০. তাড়নজাত ও কম্পনজাত বর্ণগুলো উচ্চারণের স্থান অনুযায়ী –

ক) পশ্চাৎ দন্তমূলীয় বর্ণ

খ) কণ্ঠ্য বর্ণ

গ) তালব্য বর্ণ

ঘ) ওষ্ঠ্য বর্ণ

উত্তর: ক

তথ্যসূত্র:

১. রফিকুল ইসলাম, পবিত্র সরকার ও মাহবুবুল হক, প্রমিত বাংলা ব্যবহারিক ব্যাকরণ (বাংলা একাডেমি, জানুয়ারি ২০১৪)
২. রফিকুল ইসলাম ও পবিত্র সরকার, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, প্রথম খন্ড (বাংলা একাডেমি, ডিসেম্বর ২০১১)
৩. মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩)
৪. নির্মল দাশ, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও তার ক্রমবিকাশ (বিশ্বভারতী ২০০০)
৫. কাজী দীন মুহম্মদ ও সুকুমার সেন, অভিনব ব্যাকরণ (ঢাকা ১৯৪৮)
৬. মুহম্মদ আবদুল হাই, ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব (১৯৬৪)
৭. ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষাশিক্ষা : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০০৪)
৮. ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ভাষাবিধি : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও প্রবন্ধ রচনা (আদিল ব্রাদার্স, জানুয়ারি ২০০৯)
৯. ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (অগ্নি পাবলিকেশন্স, এপ্রিল ২০০৪)
১০. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৬৮)
১১. ড. মুহম্মদ এনামুল হক ও শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী, ব্যবহারিক বাংলা অভিধান (বাংলা একাডেমি, স্বরবর্ণ অংশ: ডিসেম্বর১৯৭৪ ও ব্যঞ্জনবর্ণ অংশ: জুন ১৯৮৪)

BCS Bangla Lecture – 6

প্রধান বাংলা সাহিত্যিক (প্রাচীন যুগ থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববর্তী),
নমুনা প্রশ্ন

প্রধান বাংলা সাহিত্যিক (প্রাচীন যুগ থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববর্তী)

লুইপা

চর্যাপদের কবি ও বৌদ্ধধর্মের একজন প্রবীণ মহাসিদ্ধ। ড. সুকুমার সেনের মতে, তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম কবি। আনুমানিক ৭৩০ থেকে ৮১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি জীবিত ছিলেন। ভারতীয় মহাসিদ্ধের জীবনী নিয়ে লেখা ‘চতুরাশিতি সিদ্ধ’ গ্রন্থে লুইপাকে চুরাশিজন মহাসিদ্ধের একজন বলা হয়েছে। তিনি সিংহলদ্বীপের এক রাজার ছেলে ছিলেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে, তিনি ভারতের রাঢ় অঞ্চলের লোক। তিনি চর্যাপদের ১ ও ২৯ নং পদের রচয়িতা। কবি লুইপা রচিত চর্যাপদের ১ নং পদ: “কাআ তরুবর পাঞ্চবি ডাল; চঞ্চল চীত্র পইঠো কাল।”

শবরপা

বৌদ্ধধর্মের চুরাশিজন বৌদ্ধ মহাসিদ্ধের একজন। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও চর্যাপদের প্রথম বাঙালি কবি। তিব্বতীয় ঐতিহাসিক লামা তারনাথের মতে, তিনি বাঙ্গাল প্রদেশের পর্বতবাসী একজন ব্যাধ বা শিকারি ছিলেন। তার জীবনকাল আনুমানিক ৬৮০ থেকে ৭৬০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি। তিনি চর্যাপদের ২৮ ও ৫০ নং পদের রচয়িতা। কবি শবরপার ২৮ নং পদ: “উষ্ণা উষ্ণা পাবত তহিঁ সবই সবরী বালী; মোরাঙ্গ পীচ্ছ পরিহাণ সরবী গীবত গুঞ্জরী মালী।”

কাহ্নপা

চর্যাপদের প্রধান কবি ও চুরাশিজন বৌদ্ধ মহাসিদ্ধের একজন। অন্য নাম ‘কৃষ্ণপা বা কৃষ্ণাচার্য’। তিব্বতীয় ঐতিহাসিক লামা তারনাথের মতে, ভারতের বিদ্যানগর নামক স্থানে তাঁর বাসস্থান ছিল। খ্রিস্টীয় ৭ম থেকে ৮ম শতাব্দীর মাঝামাঝি তিনি জীবিত ছিলেন। তিনি চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেন। তাঁর রচিত পদসংখ্যা ১৩ টি। তাঁর রচিত চর্যাপদের ২৪ নং পদটি পাওয়া যায়নি।

ভুসুকুপা

চর্যাপদের দ্বিতীয় প্রধান কবি ও বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের একজন। প্রকৃত নাম ‘শান্তিদেব’। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লার মতে, তিনি পূর্ববঙ্গের বাসিন্দা।তাঁর লেখায় বাঙ্গাল দেশ ও বাঙ্গালি কথার উল্লেখ আছে। তিনি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন। আনুমানিক ৮ম থেকে ৯ম শতাব্দীতে তিনি সৌরাষ্ট্রের ক্ষত্রিয় রাজপুত্র ছিলেন। তিনি চর্যাপদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ লেখেন। তার রচিত পদসংখ্যা ৮ টি। কবি ভুসুকুপার ৬ নং পদ: “অপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী, খনক ন ছাড়াই ভুসুকু অহেরী।”

চন্ডীদাস (১৩৭০-১৪৩০)

মধ্যযুগের প্রথম বাঙালি কবি ও বৈষ্ণব পদাবলির আদি রচয়িতা। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, বাংলা সাহিত্যে চন্ডীদাস তিন জন: বড়– চন্ডীদাস (সবচেয়ে প্রাচীন), দ্বিজ চন্ডীদাস ও দীন চন্ডীদাস (চৈতন্যপরবর্তী যুগের কবি)। শুধু চন্ডীদাস বলতে কাকে বুঝায় তা পন্ডিতগণ আজও নিশ্চিত করতে পারেননি। একে বাংলা সাহিত্যে চন্ডীদাস সমস্যা বলে।

সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য তথ্য মতে, চন্ডীদাস বলতে বাংলা সাহিত্যে বড়–চন্ডীদাসকে বুঝায়। বড়–চন্ডীদাসের প্রকৃত নাম ‘অনন্ত’। ‘বড়–’ কবির কৌলিন্য উপাধি। গুরুপ্রদত্ত নাম ‘চন্ডীদাস’। ১৩৭০ সালে তিনি বীরভূমের নানুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৪৩০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার রচিত রাধা-কৃষ্ণের প্রেমবিষয়ক ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন।

বিদ্যাপতি (১৩৭৪-১৪৬০)

বৈষ্ণব পদাবলির আদি রচয়িতা ও অবাঙালি কবি। তিনি ১৩৭৪ সালে মিথিলার সীতমারী মহাকুমার বিসফি গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৪৬০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। বিদ্যাপতির মাতৃভাষা ‘মৈথিলি’। তিনি একটি বাংলা পংক্তি না লিখেও বাংলা সাহিত্যের মর্যাদাবান কবি।

তাঁর পদাবলি সাহিত্য ‘ব্রজবুলি’ ভাষায় রচিত। বাংলা, প্রাকৃত ও মৈথিলি ভাষার মিশ্রণে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম ভাষার নাম ব্রজবুলি। তিনি এ ভাষার স্রষ্টা। কবি বিদ্যাপতির উপাধি: ‘মিথিলার কোকিল, কবি কণ্ঠহার ও অভিনব জয়দেব’। ‘রাজকণ্ঠের মণিমালা’ তাঁর বিখ্যাত কবিতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ: কীর্তিলতা (ইতিহাস), পুরুষ পরীক্ষা (নীতিশিক্ষা) ইত্যাদি।

শাহ মুহম্মদ সগীর (আনুমানিক ১৪-১৫ শতক)

রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কবি ও মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম বাঙালি মুসলমান কবি। তাঁর জন্ম ও বংশ পরিচয় সম্পর্কে সঠিক কিছু জানা যায় না। তাঁর জীবনকাল ১৪ শতকের শেষভাগ থেকে ১৫ শতকের প্রথমভাগের মাঝামাঝি অনুমান করা হয়।

ড. মুহাম্মদ এনামুল হক তাকে চট্টগ্রামের অধিবাসী বলে মনে করেন। তাঁর রচিত প্রথম ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ‘ইউসুফ জোলেখা’। গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে (১৩৮৯-১৪১০) তিনি এ কাব্য রচনা করেন। তিনি গিয়াসউদ্দীন আজম শাহের রাজকর্মচারী ছিলেন।

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী (১৫৪০-১৬০৪)

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি। তাকে দুঃখ বর্ণনার কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি ১৫৪০ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার দামুন্যা গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। মেদিনীপুরের জমিদার রঘুনাথ রায়ের নির্দেশে তিনি ‘চন্ডীমঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন। তিনি চন্ডীমঙ্গল কাব্যধারার প্রধান কবি। জমিদার রঘুনাথ রায় কবিকে ‘কবিকঙ্কণ’ উপাধি দেন।

চন্দ্রাবতী (১৫৫০-১৬০০)

মধ্যযুগের তথা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি ও রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদক। দীনেশচন্দ্র সেনের মতে, তিনি ১৫৫০ সালে কিশোরগঞ্জের পাতোয়ারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং আনুমানিক ১৬০০ সালের দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি মনসামঙ্গল কাব্যের অন্যতম রচয়িতা দ্বীজ বংশীদাসের কন্যা। তিনি মৈমনসিংহ গীতিকার ‘চন্দ্রাবতী’ উপাখ্যানের নায়িকা হিসেবে অমর হয়ে আছেন।

আলাওল (১৬০৭-১৬৮০)

মধ্যযুগের উল্লেখযোগ্য মুসলমান কবি ও আরাকান রাজসভার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, আনুমানিক ১৬০৭ সালে ফতেহাবাদ (বর্তমান ফরিদপুর) জেলার জামালপুর অঞ্চলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬৮০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কারো কারো মতে, তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জোবরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাব্যিক আবেগের সাথে বৌদ্ধিক চেতনার মিশ্রণ থাকায় তাকে ‘পন্ডিতকবি’ বলা হয়।

কবি আলাওলের প্রথম ও বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘পদ্মাবতী’। তাঁর রচিত মোট কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা সাতটি: পদ্মাবতী (১৬৪৮), তোহফা (নীতিকাব্য),সিকান্দারনামা, সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল, সপ্ত পয়কর, সতীময়না লোরচন্দ্রানী (তৃতীয় খন্ড ) ও রাগতালনামা (সঙ্গীতবিষয়ক কাব্য)।

ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর (১৭১২-১৭৬০)

অন্নদামঙ্গল কাব্যধারার শ্রেষ্ঠ কবি ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের সর্বশেষ কবি। তাকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি বলা হয়। তিনি ১৭১২ সালে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার পেঁড়ো গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৭৬০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর সাথে সাথে বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের সমাপ্তি ঘটে এবং যুগ সন্ধিক্ষণ শুরু হয়। তিনি নদীয়ার কৃষ্ণনগর রাজসভার কবি ছিলেন।

নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে তিনি ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কবিকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি দেন। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্য: সত্যপীরের পাঁচালি, সত্য নারায়ণের পাঁচালি, নগাষ্টক ইত্যাদি।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯)

বাংলা সাহিত্যের যুগ সন্ধিক্ষণের কবি ও সাংবাদিক। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পরিবেশ সচেতন কবি। তাঁর হাত ধরে মধ্যযুগের গন্ডি পেরিয়ে বাংলা সাহিত্য আধুনিক রূপ লাভ করেছিল। তিনি ১৮১২ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার কাঞ্চনপল্লি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৫৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের রচনায় মধ্যযুগীয় ও আধুনিক ভাবধারা উভয়ই লক্ষ্য করা যায়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁকে ‘খাঁটি বাঙালি কবি’ বলে অভিহিত করেছেন। ১৮৩১ সালে তিনি সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ প্রভাকর’ পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং ১৮৩৯ সালে এটি দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়। ‘সম্বাদ প্রভাকর’ বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক পত্রিকা।

উইলিয়াম কেরি (১৭৬১-১৮৩৪)

ইংরেজ ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি, আধুনিক বাংলা গদ্যরীতির পথিকৃৎ ও বাইবেলের প্রথম বাংলা অনুবাদক। তিনি ১৭৬১ সালে ১৭ আগস্ট ইংল্যান্ডের নর্দানটন শায়ারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩৪ সালে ৯ জুন কলকাতার শ্রীরামপুরে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ১৭৯৩ সালে ভারতবর্ষে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আসেন এবং ১৮০০ সালে ১০ জানুয়ারি কলকাতায় ‘শ্রীরামপুর মিশন’ প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি শ্রীরামপুর মিশনের পাদ্রি বা ধর্মযাজক ছিলেন। ১৮০১ সালে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ও বাংলা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নিযুক্ত হন। এ কলেজকে কেন্দ্র করেই আধুনিক বাংলা গদ্যসাহিত্যের যাত্রা শুরু হয়। তিনি পাঠ্যপুস্তকে প্রথম বাংলা গদ্যসাহিত্যের ব্যবহার করেন।

সাহিত্যকর্ম

গদ্যগ্রন্থ: কথোপকথন (১৮০১), ইতিহাসমালা (১৮১২)

ব্যাকরণ: A Grammar of Bengali Language (১৮০১)

রাজা রামমোহন রায় (১৭৭২-১৮৩১)

হিন্দুধর্মের মহান সংস্কারক, ভাষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও বাঙালি দার্শনিক। তিনি ১৭৭২ সালে ২২ মে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৮৩৩ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই সমাহিত হন। তিনি ১৮২৮ সালে ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজের মুখ্য প্রচারক ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধকরণ ও বিধবা বিবাহ প্রচলনের স্বপক্ষে জোর প্রচারণা চালান।

১৮২৯ সালের তার প্রচেষ্টায় লর্ড বেন্টিংক সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ করেন। রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষায় প্রবন্ধ রচনায় প্রথম কৃতিত্ব দেখান এবং পাঠ্যপুস্তকের বাইরে প্রথম বাংলা গদ্যের ব্যবহার করেন। ১৮১৫ সালে তিনি তার ‘বেদান্ত’ প্রবন্ধগ্রন্থে প্রথম সাধু ভাষা ব্যবহার করেন। তিনি বাঙালিদের মধ্যে প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।

সাহিত্যকর্ম
প্রবন্ধগ্রন্থ: বেদান্তগ্রন্থ, ভট্টাচার্যের সহিত বিচার, গোস্বামীর সহিত বিচার, প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
ব্যাকরণ: Bengali Grammar in English Language (১৮২৬), গৌড়ীয় ব্যাকরণ (১৮৩৩)
সম্পাদিত পত্রিকা: সম্বাদ কৌমুদী, মিরাতুল আখবার

লালন শাহ (১৭৭২-১৮৯০)

বাউল গানের গুরু, শ্রেষ্ঠ বাউল গান রচয়িতা ও গায়ক। তাঁর বাউল গানগুলো বাংলা লোকসাহিত্যের বিশেষ উপাদান। তিনি ১৭৭২ সালে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার হরিশপুর গ্রামে (মতান্তরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ভাঁড়রা গ্রামে) এক কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৯০ সালে ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াতে নিজের আখড়ায় পরলোক গমন করেন।

তাঁর প্রকৃত নাম লালন চন্দ্রকর। লালন নিজের সম্পর্কে কখনও কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। তাঁর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। তিনি ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের শাস্ত্র সম্পর্কে গভীর জ্ঞান লাভ করেন। লালন কোনো জাতিভেদ মানতেন না। তিনি ছিলেন একজন মানবতাবাদী; যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছেন। যৌবনকালে তিনি মুসলমান ফকির সিরাজ সাঁইয়ের সংস্পর্শে আসেন এবং তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হন।

তিনি অসাম্প্রদায়িক ও আধ্যাত্মিক ভাবধারায় প্রায় দু হাজার গান রচনা করেন। জীবিতাবস্থায় লালনের লেখা গানের কোনো পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর পরে তাঁর শিষ্যরা তাঁর রচিত গানগুলো সংগ্রহ করেন। কাঙাল হরিনাথ লালনের প্রিয় শিষ্য ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লালনের গানের ভক্ত ছিলেন। তিনি লালনের ২৯৮ টি গান সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো থেকে ২০ টি গান ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় প্রকাশ করেন। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়াতে লালনের আখড়া অবস্থিত।

সাহিত্যকর্ম

বিখ্যাত গান: আমি অপার হয়ে বসে আছি, সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, বাড়ির পাশে আরশিনগর, সময় গেলে সাধন হবে না, তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে, এসব দেখি কানার হাটবাজার, মিলন হবে কত দিনে, সত্য বল সুপথে চল ওরে আমার মন ইত্যাদি।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১)

সমাজ সংস্কারক, সংস্কৃত পণ্ডিত, বাঙালি শিক্ষাবিদ ও গদ্যকার। তাঁকে বাংলা গদ্যসাহিত্য ও সাধুরীতির জনক বলা হয়। তিনি শিশু শিক্ষামূলক বাংলা গ্রন্থের পথিকৃৎ। তিনি ১৮২০ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৯ জুলাই ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর পৈতৃক পদবি ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’। তিনি ‘ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা’ নামে স্বাক্ষর করতেন। ১৮৪০ সালে সংস্কৃত কলেজ থেকে তিনি ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি পান।

তিনি বিধবা বিবাহের সপক্ষে এবং বহুবিবাহের বিপক্ষে ছিলেন। ১৮৫৬ সালে তাঁর প্রচেষ্টায় হিন্দু সমাজে ‘বিধবা বিবাহ আইন’ প্রবর্তিত হয়। ১৮৭০ সালে তিনি তার পুত্র নারায়ণচন্দ্রকে এক বিধবার সাথে বিয়ে দেন। কলকাতার ‘বেথুন কলেজ’ তাঁর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বাংলা গদ্যে সর্বপ্রথম বিরাম চিহ্নের প্রচলন করেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’। এ গ্রন্থে তিনি সর্বপ্রথম বিরাম চিহ্নের সফল প্রয়োগ করেন।

সাহিত্যকর্ম

শিশুতোষ গ্রন্থ: বোধোদয় (১৮৫১), বর্ণ পরিচয় (২ খন্ড, ১৮৫৫)

মৌলিক গ্রন্থ: বিদ্যাসাগর চরিত (১৮৯১, বাংলা ভাষার প্রথম আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ; মরণোত্তর প্রকাশিত), প্রভাবতী সম্ভাষণ (বাংলা গদ্যসাহিত্যের প্রথম শোকগাঁথা), অতি অল্প হইল, আবার অতি অল্প হইল, ব্রজবিলাস, শব্দমঞ্জরী

অনূদিত গ্রন্থ: বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭): হিন্দি ভাষায় লল্লুলাল রচিত ‘বেতাল পচ্চিসী’ এর অনুবাদ।

শকুন্তলা (১৮৫৪): সংস্কৃত ভাষায় কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’ এর অনুবাদ।

সীতার বনবাস (১৮৬০): সংস্কৃত ভাষায় বাল্মীকির ‘রামায়ণ’ অবলম্বনে রচিত।

ভ্রান্তিবিলাস (১৮৬৯): শেক্সপিয়ারের ‘Comedy of Errors’ এর অনুবাদ।

বোধোদয় (১৮৫১): ইংরেজি ভাষায় চেম্বার্সের ‘Rudiment of Knowledge’ অবলম্বনে রচিত।

কথামালা (১৮৫৬): গ্রিক ভাষায় ঈশপের ‘ফেবলস’ অবলম্বনে রচিত।

ব্যাকরণ: ব্যাকরণ কৌমুদী (১৮৫৩)

মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)

বাংলা সাহিত্যের যুগ প্রবর্তক কবি ও নাট্যকার। তিনি ১৮২৪ সালে ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে কপোতাক্ষ নদের তীরে এক জমিদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতার আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর পিতা রাজনারায়ণ দত্ত; মাতা জাহ্নবী দেবী। ১৩ বছর বয়সে তিনি কলকাতা যান এবং হিন্দু কলেজে ভর্তি হন।১৮৪৩ সালে ১৯ বছর বয়সে তিনি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন এবং মাইকেল নামধারণ করেন।

হিন্দু কলেজে খ্রিস্টানদের অধ্যয়ন নিষিদ্ধ থাকায় তাকে কলেজ ত্যাগ করতে হয়। ১৮৪৮ সালে ২৪ বছর বয়সে তিনি মাদ্রাজের উদ্দেশ্যে কলকাতা ত্যাগ করেন। মাদ্রাজে অবস্থানকালে তিনি Timothy Penpoem ছদ্মনামে ইংরেজিতে কবিতা লিখতেন। ১৮৪৯ সালে এ ছদ্মনামে তাঁর প্রথম ইংরেজি কাব্য The Captive Ladie প্রকাশিত হয়। ১৮৫৯ সালে বাংলা ভাষায় তার প্রথম গ্রন্থ ‘শর্মিষ্ঠা’ প্রকাশিত হয়।

১৮৬৩ সালে ব্যারিস্টারি পড়া বাদ দিয়ে প্যারিস যান এবং ভার্সাই নগরে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বসে তিনি ইতালির কবি পেত্রার্ক ও ইংরেজ কবি শেক্সপিয়ারের অনুকরণে সনেট লেখা শুরু করেন। ১৮৬৭ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
মধুসূদনের পূর্বে বাংলা কবিতায় পয়ার ছন্দ প্রচলিত ছিল। পয়ার ছন্দে এক চরণের পরে অন্য চরণের মিল থাকে। তিনি পয়ার ছন্দপ্রথা ভেঙে দিয়ে বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন। এটি ১৪ মাত্রার অমিল প্রবাহমান যতিস্বাধীন অক্ষরবৃত্ত ছন্দ। মধূসূদন মোট ১০২ টি সনেট রচনা করেছেন।

তাঁর রচিত প্রথম ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট ‘বঙ্গভাষা’। মাইকেল মধুসূদন দত্তকে বলা হয়: বাংলা সাহিত্যের বিপ্লবী ও আধুনিক কবি; অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক; প্রথম আধুনিক ও সার্থক নাট্যকার; বাংলা সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতার প্রবর্তক; প্রথম প্রহসন রচয়িতা; প্রথম আধুনিক মহাকাব্য রচয়িতা; প্রথম সার্থক ট্রাজেডি, কমেডি ও পত্রকাব্য রচয়িতা।

সাহিত্যকর্ম

নাটক: শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯): বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাটক। এটি কালিদাস রায়কে উৎসর্গ করেন।

পদ্মাবতী (১৮৬০): বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক কমেডি। এ নাটকে প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগ ঘটে।

কৃষ্ণকুমারী (১৮৬১): বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি।

মায়াকানন: মৃত্যুর পরে প্রকাশিত তাঁর সর্বশেষ নাটক।

কাব্য: The Captive Ladie (১৮৪৯): ইংরেজিতে লেখা তার প্রথম কাব্য

তিলোত্তমাসম্ভব (১৮৬০): বাংলায় লেখা তাঁর প্রথম কাহিনীকাব্য। এটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ।

চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৬): বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলন (১০২ টি সনেটের সংকলন)

বীরাঙ্গনা (১৮৬২): বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য। এটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে উৎসর্গ করেন।

মেঘনাদবধ (১৮৬১): অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য। এ মহাকাব্যে ৯ টি সর্গ বিদ্যমান। কাহিনীর উৎস বাল্মীকির সংস্কৃত মহাকাব্য ‘রামায়ণ’।

ব্রজাঙ্গনা (১৮৬১): বৈষ্ণব পদাবলির আধুনিক পরিণতি এই কাব্যে বিধৃত হয়েছে। এটি একটি গীতিকাব্য। এটি ব্যতীত তাঁর সকল কাব্য অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা।

প্রহসন: বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০): বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রহসন
একেই কি বলে সভ্যতা (১৮৬০)

দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩)

মধুসূদনের সমসাময়িক বাংলা নাটকের অন্যতম রূপকার। তিনি ঐতিহাসিক বা পৌরাণিক নাটক রচনা না করে বাস্তবধর্মী ও সামজিক নাটক রচনা করেন। তিনি ১৮৩০ সালে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৭৩ সালে ১ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বাল্যনাম ‘গন্ধর্বনারায়ণ’ এবং উপাধি ‘রায়বাহাদুর’। ইংরেজ নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লেখা তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ নাটক ‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০)। নাটকটির প্রথম ইংরেজি অনুবাদক মাইকেল মধুসূদন দত্ত।নাটক ছাড়াও তিনি সমকালীন হিন্দুসমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রহসন রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।

সাহিত্যকর্ম

নাটক: লীলাবতী (সামাজিক), কমলে কামিনী (রোমান্টিক নাটক ও তাঁর শেষ রচনা), নীলদর্পণ, নবীন তপস্বিনী

প্রহসন: সধবার একাদশী (সামাজিক), বিয়ে পাগলা বুড়ো, জামাই বারিক

বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-১৮৯৪)

আধুনিক বাংলা গীতিকাব্যের প্রথম ও প্রধান কবি। তিনি রবীন্দ্রনাথের কাব্যগুরু ছিলেন। ১৮৩৫ সালে ২১ মে তিনি কলকাতার নিমতলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৯৪ সালে ২৪ মে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা খুব বেশি নয়। নিজ উদ্যোগে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চা করেন। প্রকৃতি, রোমান্টিকতা, সঙ্গীতের উপস্থিতি, সহজ-সরল ভাষার ব্যবহার তার কাব্যকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে।

তাঁর প্রথম কাব্য স্বপ্নদর্শন (১৮৫৮) এবং শ্রেষ্ঠ গীতিকাব্য ‘সারদামঙ্গল’ (১৮৭৯)। রবীন্দ্রনাথ সারদামঙ্গল কাব্যটি পড়ে প্রভাবিত হয়েছেন এবং বিহারীলালকে বাংলা সাহিত্যে ‘ভোরের পাখি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সাহিত্যকর্ম

কাব্য: স্বপ্নদর্শন, বন্ধুবিয়োগ, বঙ্গসুন্দরী, সারদামঙ্গল, নিসর্গসন্দর্শন, প্রেম প্রবাহিনী, সাধের আসন

সম্পাদিত পত্রিকা: পূর্ণিমা, সাহিত্য সংক্রান্তি, অবোধবন্ধু

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪)

বাংলা সাহিত্যের সার্থক ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়। সাহিত্যের রসবোদ্ধাদের নিকট তিনি ‘সাহিত্যসম্রাট’ উপাধি এবং হিন্দুদের কাছ থেকে ‘ঋষি’ আখ্যা লাভ করেন। তিনি বাংলা ভাষার তুলনামূলক সমালোচনা সাহিত্যের প্রথম রচয়িতা। তিনি ১৮৩৮ সালে ২৬ জুন পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৯৪ সালে ৮ এপ্রিল কলকাতায় বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

তাঁর পিতা যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ছদ্মনাম ‘কমলাকান্ত’। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গ্রাজুয়েট এবং পেশায় ছিলেন যশোরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। ১৮৫৮ থেকে ১৮৯১ সাল পর্যন্ত (৩৩ বছর) তিনি এ পদে চাকরি করেন। ১৮৫২ সালে তিনি প্রথম ‘সম্বাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় কবিতা লিখে সাহিত্যচর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। বাংলা ভাষায় তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস ও বাংলা ভাষায় প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫)। তিনি বঙ্গদর্শন (১৮৭২) পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।

বঙ্কিমচন্দ্রের পরে তাঁর ভ্রাতা সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদনা করেন। তিনি তাঁর ‘সাম্য’ গ্রন্থটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেন। তাঁর কপালকুন্ডলা উপন্যাসের “পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ” কপালকুন্ডলার এ সংলাপটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ বলা হয়। তার রচিত মোট বাংলা উপন্যাসের সংখ্যা ১৪ টি।

সাহিত্যকর্ম

প্রবন্ধগ্রন্থ: লোকরহস্য (১৮৭৪, ব্যঙ্গরচনা), কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫, ব্যঙ্গরচনা), সাম্য (১৮৭৯), কৃষ্ণচরিত্র, বিজ্ঞান রহস্য

কাব্য: ললিতা ও মানস

উপন্যাস: Rajmohon’s Wife (১৮৬২): ইংরেজি ভাষায় রচিত লেখকের প্রথম উপন্যাস।

দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫): লেখকের ও বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।

কপালকুন্ডলা (১৮৬৬): বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস।

রজনী (১৮৭৭): বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্তি¡ক বিশ্লেষণমূলক গ্রন্থ।

কৃষ্ণকান্তের উইল ও বিষবৃক্ষ: সামাজিক উপন্যাস। ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ (১৮৭৮) তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস।

আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরাণী ও সীতারাম: এয়ী উপন্যাস। ‘দেবী চৌধুরাণী’ উপন্যাসে তিনি তাঁর ‘বন্দে মাতরম’ সংগীতটি সংযোজন করেন। ‘আনন্দমঠ’ ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের পটভূমিকায় রচিত দেশপ্রেমমূলক উপন্যাস।

মৃণালিনী: ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বাঙালি ও তুর্কি আক্রমণের পটভূমিতে রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস।

রাজসিংহ: ঐতিহাসিক উপন্যাস।

চন্দ্রশেখর: এতে মীর কাসিমের সাথে ইংরেজদের সংগ্রামের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
ইন্দিরা, রাধারানী, যুগলাঙ্গুরীয়।

মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২)

ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালে ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯১২ সালে ১৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম গদ্যলেখক। তিনি ‘গাজী মিয়া’ ছদ্মনামে লিখতেন। কাঙাল হরিনাথ তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন।

কর্মজীবনে তিনি ‘সংবাদ প্রভাকর ও গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। তাঁর সম্পাদিত পত্রিকা ‘আজীজন নেহার’ (১৮৭৪), ‘হিতকরী’ (১৮৯০)। তিনি ‘গো-জীবন’ প্রবন্ধগ্রন্থ লেখার জন্য মামলায় জড়িয়ে পড়েন। ১৮৬৯ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘রত্নবতী’ প্রকাশিত হয়। তাঁর শ্রেষ্ট রচনা ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’ (১৮৮৫-১৮৯১)।

সাহিত্যকর্ম

উপন্যাস: রত্নবতী, বিষাদ সিন্ধু (কারবালার কাহিনী অবলম্বনে রচিত ৩ পর্বের উপন্যাস: মহরম পর্ব, উদ্ধার পর্ব ও এজিদ বধ পর্ব), উদাসীন পথিকের মনের কথা (নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী অবলম্বনে রচিত আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস)

নাটক: বসন্তকুমারী (১৮৭৩, মুসলমান লেখক রচিত প্রথম নাটক), জমিদার দর্পণ (১৮৭৩), বেহুলা গীতাভিনয় (গদ্যে-পদ্যে রচিত)।

প্রহসন: এর উপায় কী? (১৮৭৫, মুসলমান লেখক রচিত প্রথম প্রহসন), ভাই ভাই এইতো চাই, টালা অভিনয়

প্রবন্ধগ্রন্থ: গো-জীবন (১৮৮৯)

আত্মজীবনী:গাজী মিয়ার বস্তানী (ব্যঙ্গ-রসাত্মক)

কাব্য: মোসলেম বীরত্ব (১৯০৭)

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (১৮৫৩-১৯৩১)

গবেষক, শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও চর্যাপদের আবিষ্কর্তা। তিনি ১৮৫৩ সালে ৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগণা জেলার নৈহাটিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৩১ সালে ১৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তার মূল নাম ‘হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য’। ১৯০৭ সালে তিনি নেপালের রাজ গ্রন্থশালা (রয়েল লাইব্রেরি) থেকে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ উদ্ধার করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণায় এটাই তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি।

তিনি ১৯২১ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৮৯৮ সালে তিনি ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি এবং ১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি-লিট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯১৬ সালে কলকাতার ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ থেকে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে আবিষ্কৃত চর্যাপদের ৪টি পুঁথি সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন।

সাহিত্যকর্ম

উপন্যস: বেণের মেয়ে, কাঞ্চনমালা

প্রবন্ধগ্রন্থ: বাল্মীকির জয়, প্রাচীন বাংলার গৌরব ও বৌদ্ধধর্ম

সম্পাদিত গ্রন্থ: হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা

কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১)

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বাঙালি মুসলমান কবি ও আধুনিক মহাকাব্য ধারার শেষ কবি। তিনি ১৮৫৭ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানার আগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৫১ সালে ২১ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ‘কাজেম আল কোরেশী’। তিনি বাঙালি মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রথম মহাকাব্য ও সনেট রচয়িতা।

১৮৭০ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তার প্রথম কাব্য ‘বিরহ বিলাপ’ প্রকাশিত হয়। ১৭৬১ সালে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী অবলম্বনে রচিত তাঁর বিখ্যাত মহাকাব্য ‘মহাশ্মশান’ (১৯০৪)। ১৯৩২ সালে তিনি ‘নিখিল ভারত সাহিত্য সংঘ’ কর্তৃক কাব্যভূষণ, বিদ্যাভূষণ ও সাহিত্যরত্ন উপাধি পান।

সাহিত্যকর্ম

গীতিকাব্য: অশ্রুমালা

মহাকাব্য: মহাশ্মশান (৩ খন্ড; ৬০ সর্গে বিভক্ত বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বড় মহাকাব্য)

কাব্য: বিরহ বিলাপ, কুসুমকানন, শিবমন্দির, অমিয়ধারা, শ্মশানভস্ম

নমুনা প্রশ্ন

১. ‘রাজবন্দীর জবানবন্দি’ কাজী নজরুলের কোন ধরনের রচনা?

ক) উপন্যাস

খ) ছোটগল্প

গ) নাটক

ঘ) প্রবন্ধ

উত্তর: ঘ

২. কাজী নজরুল ইসলাম আমৃত্যু নির্বাক হয়ে যান কত বছর বয়সে?

ক) ৪০ বছরে

খ) ৪২ বছরে

গ) ৪১ বছরে

ঘ) ৪৩ বছরে

উত্তর: ঘ

৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোন স্কুলটি নজরুলের সাথে যুক্ত?

ক) মনিপুর হাইস্কুল

খ) দরিরামপুর হাইস্কুল

গ) মনিরামপুর হাইস্কুল

ঘ) মির্জাপুর হাইস্কুল

উত্তর: খ

৪. কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা কোনটি?

ক) নবযুগ

খ) শিখা

গ) সবুজপত্র

ঘ) কল্লোল

উত্তর: ক

৫. কাজী নজরুল ইসলাম কোন তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?

ক) ২৫ মে

খ) ১৫ আগস্ট

গ) ২৯ আগস্ট

ঘ) ২২ সেপ্টেম্বর

উত্তর: গ

৬. কাজী নজরুল ইসলাম সম্বন্ধে কোনটি সঠিক?

ক) তিনি চিত্রশিল্পী

খ) মহাকাব্য রচয়িতা

গ) তিনি ক্রিড়াবিদ

ঘ) তিনি অভিনেতা

উত্তর: ঘ

৭. কখন থেকে কবি নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীল সত্তার অধিকারী হয়ে ওঠেন?

ক) গ্রামের মক্তবে পড়ার সময়

খ) লেটো গানের দলে যোগ দেয়ার সময়

গ) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময়

ঘ) বাঙালি পল্টনে যোগ দেওয়ার পর

উত্তর: খ

৮. বঙ্কিমচন্দ্র যে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন –

ক) সবুজপত্র

খ) ভারতী

গ) বঙ্গদর্শন

ঘ) দিগদর্শন

উত্তর: গ

৯. বঙ্কিমচন্দ্র পেশায় কী ছিলেন?

ক) শিক্ষক

খ) সাংবাদিক

গ) ম্যাজিস্ট্রেট

ঘ) আইনজীবী

উত্তর: গ

১০. বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস কোনটি?

ক) কৃষ্ণকান্তের উইল

খ) বিষবৃক্ষ

গ) দুর্গেশনন্দিনী

ঘ) কপালকুন্ডলা

উত্তর: গ

১১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম-মৃত্যু সাল কোনটি?

ক) ১৮৩৮-১৮৯৪

খ) ১৮৩৬-১৮৯৬

গ) ১৮২৮-১৮৯৫

ঘ) ১৮৫৮-১৮৯৮

উত্তর: ক

১২. সুফিয়া কামালের রচিত গ্রন্থ কোনটি?

ক) অর্কেস্ট্রা

খ) চোরাবালি

গ) বলাকা

ঘ) কেঁয়ার কাটা

উত্তর: ঘ

১৩. ‘ইতল বিতল’ সুফিয়া কামালের কী জাতীয় রচনা?

ক) স্মৃতিকথা

খ) শিশুতোষ

গ) ভ্রমণকাহিনী

ঘ) কল্পকাহিনী

উত্তর: খ

১৪. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত গ্রন্থ কোনটি?

ক) নন্দিত নরকে

খ) মায়াকাজল

গ) মতিচূর

ঘ) পারাপার

উত্তর: গ

১৫. “ধান্য তার বসুন্ধরা যার।” এ কথা কে বলেছেন?

ক) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন

খ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গ) কাজী নজরুল ইসলাম

ঘ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

উত্তর: খ

১৬. জীবনানন্দ দাশ রচিত উপন্যাস কোনটি?

ক) কবিতার কথা

খ) মহাপৃথিবী

গ) ধূসর পান্ডুলিপি

ঘ) মাল্যবান

উত্তর: ঘ

১৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনানন্দ দাশকে কী বলে আখ্যায়িত করেছেন?

ক) নির্জনতার কবি

খ) চিত্ররূপময় কবি

গ) তিমির হননের কবি

ঘ) নির্বাক কবি

উত্তর: গ

১৮. জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয় কোনটি?

ক) সাতভাই চম্পা

খ) সাতটি তারার তিমির

গ) ধুসর পান্ডুলিপি

ঘ) বনলতা সেন

উত্তর: ক

১৯. বিভূতিভূষণ রচিত গ্রন্থ নয় কোনটি?

ক) পথের পাঁচালি

খ) মৌরিফুল

গ) পদ্মাবতী

ঘ) অপরাজিতা

উত্তর: গ

২০. বাংলা ভাষায় রচিত মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম গ্রন্থ –

ক) ক্যাপটিভ লেডি

খ) কৃষ্ণকুমারী

গ) পদ্মাবতী

ঘ) শর্মিষ্ঠা

উত্তর: ঘ

২১. মধুসূদনের কোন কাব্যে প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের সার্থক প্রয়োগ করা হয়?

ক) বীরাঙ্গনা

খ) মায়াকানন

গ) তিলোত্তমাসম্ভব

ঘ) মেঘনাদবধ

উত্তর: গ

২২. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?

ক) প্যারিসে

খ) মাদ্রাজে

গ) কলকাতায়

ঘ) যশোরে

উত্তর: গ

২৩. সনেটের পর্ব সংখ্যা কতটি?

ক) ১ টি

খ) ২ টি

গ) ৩ টি

ঘ) ৪ টি

উত্তর: খ

২৪. বাল্মীকি-রামায়ণকে নব মূল্যায়নের মাধ্যমে মেঘনাদবধ কাব্যে মধুসূদন হীনরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কোন চরিত্রগুলোকে?

ক) রাবণ-মেঘনাদকে

খ) রাম-ল²ণকে

গ) রাবণ-বিভীষণকে

ঘ) রাম-রাবণকে

উত্তর: খ

২৫. মোতাহের হোসেন চৌধুরী বিশেষভাবে স্বরণীয় কোন আন্দলনের জন্য?

ক) বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন

খ) স্বদেশী আন্দোলন

গ) ফরায়েজি আন্দোলন

ঘ) স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আন্দোলন

উত্তর: ক

২৬. নিচের কোনটি আহসান হাবীবের কাব্যগ্রন্থ নয়?

ক) মেঘ বলে চৈত্রে যাবো

খ) দুই হাতে দুই আদিম পাথর

গ) সারাদুপুর

ঘ) রানী খালের সাঁকো

উত্তর: ঘ

২৭. আহসান হাবীব একাধারে ছিলেন –

ক) সাংবাদিক ও সমালোচক

খ) সাংবাদিক ও শিক্ষক

গ) সাংবাদিক ও সমাজকর্মী

ঘ) সাংবাদিক ও কবি

উত্তর: ঘ

২৮. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ছোটগল্প কোনটি?

ক) সরীসৃপ

খ) টিকটিকি

গ) নাতজামাই

ঘ) অতসী মামী

উত্তর: ঘ

২৯. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈত্রিক বাড়ি ঢাকার কোন জেলায়?

ক) মানিকগঞ্জে

খ) মুন্সিগঞ্জে

গ) নারায়ণগঞ্জে

ঘ) ময়মনসিংহে

উত্তর: খ

৩০. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী?

ক) সুবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

খ) বরুণকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

গ) প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

ঘ) প্রবীণকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তর: গ

৩১. সুকান্ত ভট্টাচার্য কত বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন?

ক) ১৯

খ) ২১

গ) ২৭

ঘ) ২২

উত্তর: খ

৩২. সুকান্ত ভট্টাচার্য কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

ক) ঢাকায়

খ) কলকাতায়

গ) বরিশালে

ঘ) আসামে

উত্তর: খ

৩৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী লেখায় কে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা দিয়েছেন?

ক) শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব

খ) শেখ নাসের

গ) শেখ হাসিনা

ঘ) শেখ জামাল

উত্তর: ক

৩৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত হন –

ক) ১৯৭২ সালে

খ) ১৯৭৩ সালে

গ) ১৯৭৪ সালে

ঘ) ১৯৭৫ সালে

উত্তর: ক

৩৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম তারিখ কোনটি?

ক) ১৭ মে, ১৯২০

খ) ১৭ এপ্রিল, ১৯২০

গ) ১৭ মার্চ, ১৯২০

ঘ) ২৭ মার্চ, ১৯২০

উত্তর: গ

৩৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন বিষয়ে অধ্যয়ন করেন?

ক) বাংলা

খ) ইতিহাস

গ) রাষ্ট্রবিজ্ঞান

ঘ) আইন

উত্তর: ঘ

৩৭. ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থে কত সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনী স্থান পেয়েছে?

ক) ১৯৫২

খ) ১৯৫৫

গ) ১৯৭১

ঘ) ১৯৬৯

উত্তর: খ

৩৮. শামসুর রাহমান কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

ক) চট্টগ্রামে

খ) নরসিংদীতে

গ) বগুড়ায়

ঘ) ঢাকায়

উত্তর: ঘ

৩৯. শামসুর রাহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগের ছাত্র ছিলেন?

ক) বাংলা

খ) ইংরেজি

গ) আইন

ঘ) রসায়ন

উত্তর: খ

৪০. মুক্তিযুদ্ধকালে শামসুর রাহমান কোন ছদ্মনামে লিখতেন?

ক) নীললোহিত

খ) জরাসন্ধ

গ) ভানুসিংহ

ঘ) মজলুম আদিব

উত্তর: ঘ

৪১. শামসুর রাহমানের সম্পর্কে নিচের কোন উক্তিটি যথার্থ?

ক) তিনি রোমান্টিক কবি

খ) তিনি বিপ্লবী কবি

গ) তিনি পরিবেশ সচেতন কবি

ঘ) তিনি নাগরিক কবি

উত্তর: ঘ

৪২. মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত শামসুর রাহমানের কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে –

ক) ৫০ টি

খ) ৬০ টি

গ) ৫৫ টি

ঘ) ৬৫ টি

উত্তর: ঘ

৪৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন বঙ্গাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?

ক) ১২৬৮

খ) ১৪৩৮

গ) ১৩৩৮

ঘ) ১৩৪৮

উত্তর: ঘ

৪৪. কোনটি রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস?

ক) বলাকা

খ) শেষের কবিতা

গ) ডাকঘর

ঘ) কালান্তর

উত্তর: খ

৪৫. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্প কোনটি?

ক) হৈমন্তী

খ) ভিখারিনী

গ) দেনাপাওনা

ঘ) ল্যাবরেটরি

উত্তর: গ

৪৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসবাস করেছিলেন কেন?

ক) সাহিত্য সাধনার জন্য

খ) প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার জন্য

গ) জমিদারি দেখাশোনার জন্য

ঘ) দেশবিভাগের জন্য

উত্তর: গ

৪৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা কোন মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?

ক) ২৫ বৈশাখ

খ) ২২ শ্রাবণ

গ) ২৯ জ্যৈষ্ঠ

ঘ) ২৩ শ্রাবন

উত্তর: ক

৪৮. রবীন্দ্র কাব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য কোনটি?

ক) প্রকৃতির পটে জীবনকে স্থাপন

খ) ব্যক্তিস্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশ

গ) ঈশ্বরের শক্তির প্রকাশ

ঘ) আধ্যাত্মবাদ উপস্থাপন

উত্তর: ক

৪৯. রবীন্দ্রনাথের জীবিতকালে প্রকাশিত সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ কোনটি?

ক) শেষ লেখা

খ) জন্মদিনে

গ) ক্ষণিকা

ঘ) বলাকা

উত্তর: খ

৫০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা নয় কোনটি?

ক) চার অধ্যায়

খ) রাজসিংহ

গ) চতুরঙ্গ

ঘ) নৌকাডুবি

উত্তর: খ

তথ্যসূত্র:

১. শামসুজ্জামান খান, সেলিনা হোসেন ও অন্যান্য, চরিতাভিধান (বাংলা একাডেমি, জুন ১৯৮৫)

২. হুমায়ূন আজাদ, লাল নীল দীপাবলী বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী (১৯৭৬)

৩. মনিরুজ্জামান, বাংলা সাহিত্য : অতীত ও উত্তরকাল (বাংলা একাডেমি, মে ২০০৩)

৪. ক্ষেত্র গুপ্ত, বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস (কলকাতা ২০০১)

৫. ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্য পরিচয় (কলকাতা ২০০৮)

৬. ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (অগ্নি পাবলিকেশন্স, এপ্রিল ২০০৪)

৭. ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষাশিক্ষা : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০০৪)

 

BCS Bangla Lecture – 5

বাংলা সাহিত্যে সৃষ্ট চরিত্র, সাহিত্যের উপজীব্য বিষয়, সাহিত্যকর্মে নামের সাদৃশ্য, বাংলা সাহিত্যের জনক ও পৃষ্ঠপোষক, গুরুত্বপূর্ণ চরণ ও উক্তি, নমুনা প্রশ্ন

বাংলা সাহিত্যে সৃষ্ট চরিত্র

গ্রন্থকারগ্রন্থচরিত্র
বড় চন্ডীদাসশ্রীকৃষ্ণকীর্তন (কাব্য)কৃষ্ণ, রাধা, বড়ায়ি
কানাহরি দত্তমনসামঙ্গল (কাব্য)চাঁদ সওদাগর, বেহুলা, লখিন্দর
মানিক দত্তচন্ডীমঙ্গল  (কাব্য)কালকেতু, ফুল্লরা, ভাড়–দত্ত, মুরারীশীল
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরঅন্নদামঙ্গল (কাব্য)ঈশ্বরী পাটনী
মনসুর বয়াতিদেওয়ানা মদিনা (ময়মনসিংহ গীতিকা)আলাল, দুলাল, মদিনা
দ্বিজ কানাইমহুয়া (ময়মনসিংহ গীতিকা)মহুয়া, নদের চাঁদ
প্যারীচাঁদ মিত্রআলালের ঘরের দুলাল (উপন্যাস)ঠকচাচা, মতিলাল
মাইকেল মধুসূদন দত্তমেঘনাদবধ (মহাকাব্য)রাবণ, মেঘনাদ, রাম, লক্ষ্মণ, বীরবাহু, বিভীষণ,
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ (প্রহসন)ভক্তপ্রসাদ বাবু
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়দুর্গেশনন্দিনী (উপন্যাস)আয়েশা, তিলোত্তমা
কপালকুন্ডলা (উপন্যাস)কপালকুন্ডলা, নবকুমার
বিষবৃক্ষ (উপন্যাস)কুন্দনন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ
কৃষ্ণকান্তেরউইল (উপন্যাস)রোহিনী, গোবিন্দলাল, হরলাল
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়গৃহদাহ (উপন্যাস)অচলা, সুরেশ, মহিম
দত্তা (উপন্যাস)নরেন, বিজয়
পল্লীসমাজ (উপন্যাস)রমেশ, রমা
চরিত্রহীন (উপন্যাস)সতীশ, কিরণময়ী, সাবিত্রী, দিবাকর
দেবদাস (উপন্যাস)দেবদাস, পার্বতী, চন্দ্রমুখী
পথের দাবী (উপন্যাস)সব্যসাচী
শ্রীকান্ত (উপন্যাস)শ্রীকান্ত, রাজলক্ষ্মী, অভয়া, ইন্দ্রনাথ
বড়দিদি (উপন্যাস)মাধবী, সুরেন্দ্রনাথ
দেনা-পাওনা (উপন্যাস)ষোড়শী, নির্মল, জীবনানন্দ
শেষের পরিচয় (উপন্যাস)সবিতা
বিলাসী (ছোটগল্প)বিলাসী, মৃত্যুঞ্জয়, ন্যাড়া
মহেশ (ছোটগল্প)গফুর, আমিনা
পন্ডিত মশাই (ছোটগল্প)বৃন্দাবন
মেজদিদি (ছোটগল্প)হেমাঙ্গিনী, কাদম্বিনী, কেষ্ট
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরচোখের বালি (উপন্যাস)রাজলক্ষ্মী, মহেন্দ্র, বিনোদিনী
যোগাযোগ (উপন্যাস)মধুসূদন, কুমুদিনী
গোরা (উপন্যাস)গোরা, ললিতা, বিনয়, সুচরিতা
শেষের কবিতা (উপন্যাস)অমিত, লাবণ্য, শোভন লাল
ঘরে বাইরে (উপন্যাস)নিখিলেশ, বিমলা
দুই বোন (উপন্যাস)শর্মিলা, ঊর্মিলা
রক্তকরবী (নাটক)নন্দিনী
রাজা (নাটক)ঠাকুরদা
ডাকঘরঅমল
চিত্রাঙ্গদাঅর্জুন, মদন
বিসর্জনরঘুপতি, জয়সিংহ, গোবিন্দ, অপর্ণা
ছুটি (ছোটগল্প)ফটিক
একরাত্রি (ছোটগল্প)সুরবালা
পোস্টমাস্টার (ছোটগল্প)রতন
খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন (ছোটগল্প)রাইচরণ
সমাপ্তি (ছোটগল্প)মৃন্ময়ী, অপূর্ব
কাবুলিওয়ালা (ছোটগল্প)রহমত, খুকী
দেনা-পাওনা (ছোটগল্প)নিরুপমা
অপরিচিতা (ছোটগল্প)কল্যাণী, অনুপম, হরিশ, বিনুদা, মামা
হৈমন্তী (ছোটগল্প)হৈমন্তী, অপু, নারানী, বনমালী বাবু, গৌরিশঙ্কর
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়পদ্মানদীর মাঝি (উপন্যাস)কুবের, কপিলা, মালা, ধনঞ্জয়, গণেশ, হোসেন মিয়া, পাঁচু
পুতুল নাচের ইতিকথা (উপন্যাস)কশী, কুমুদ
জননী (উপন্যাস)শ্যামা, শীতল
অতসী মামী (উপন্যাস)যতীন
প্রাগৈতিহাসিক (ছোটগল্প)ভিসু, পাচী
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কবি (উপন্যাস)নিতাই, বসন
ধাত্রীদেবতা (উপন্যাস)শিবনাথ, গৌরী
কাজী ইমদাদুল হকআবদুল্লাহ (উপন্যাস)আবদুল্লাহ, হালিমা
আবু ইসহাকসূর্য দীঘল বাড়ি (উপন্যাস)জয়গুন, হাসু, মায়মুন
জহির রায়হানহাজার বছর ধরে (উপন্যাস)মকবুল, টুনি
শহীদুল্লা কায়সারসংশপ্তক (উপন্যাস)হুরমতি, লেকু, রমজান
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহলালসালু (উপন্যাস)মজিদ, আমেনা, জমিলা
 ‍মুনীর চৌধুরীকবর (নাটক)হাফিজ, মুর্দা ফকির
রক্তাক্ত প্রান্তর (নাটক)জোহরা, ইব্রাহিম কার্দি, জরিনা, হিরণবালা
মীর মশাররফ হোসেনবিষাদ-সিন্ধু (উপন্যাস)এজিদ, হাসান, হোসেন, মায়মুনা
জমিদার দর্পণ (নাটক)আবু মোল্লা, নুরুন্নাহার
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়পথের পাঁচালী (উপন্যাস)দূর্গা, অপু, ঠাকরুন

বাংলা সাহিত্যের উপজীব্য বিষয়

গ্রন্থের নামউপজীব্য বিষয়
নেমেসিস (নাটক)পঞ্চাশের মন্বন্তর (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত)
আবদুল্লাহ (উপন্যাস)মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র
সাত সাগরের মাঝি (কাব্য)ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
পদ্মা নদীর মাঝি (উপন্যাস)জেলে জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখ
তিতাস একটি নদীর নাম (উপন্যাস)জেলেসমাজের রীতি-নীতি, ধর্ম সংস্কার উৎসব ও জীবনযাপনের কাহিনী
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ (কবিতা)ভবিষ্যত বিচিত্র ও বিপুল সম্ভাবনাময়
রাত্রিশেষ (কবিতা)নতুন সময়ের ইঙ্গিত
নোলক (কবিতা)মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা
কবর (কবিতা)শোকগাঁথা
বিষাদ-সিন্ধু (উপন্যাস)কারবালার করুণ বিষাদময় কাহিনী
কবর (নাটক)১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
গোরা (উপন্যাস)১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপট
রক্তাক্ত প্রান্তর (নাটক)১৭৬১ সালের পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ
মহাশ্মশান (মহাকাব্য)১৭৬১ সালের পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ
চিলেকোঠার সিপাই (উপন্যাস)১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান
নকশীকাঁথারমাঠ (কাব্য)গ্রাম-বাংলার মানুষের সামাজিক চিত্র
হাজার বছর ধরে (উপন্যাস)গ্রাম-বাংলার বাস্তব জীবন কাঠামো
পদ্মাবতী (কাব্য)চিতোরের রানির কাহিনী
বৌ ঠাকুরাণীরহাট (উপন্যাস)রাজা প্রতাপাদিত্যের ঐতিহাসিক কাহিনী
ঘরে-বাইরে (উপন্যাস)ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতি
রূপসী বাংলা (কাব্য)দেশপ্রেম ও নৈসর্গময়তা
মেঘনাদবধ (মহাকাব্য)রামায়ণের কাহিনী
পথের পাঁচালী (উপন্যাস)প্রকৃতি ও মানব জীবন
সংশপ্তক (উপন্যাস)নগর ও গ্রামীণ জীবন
কর্ণফুলী (উপন্যাস)আদিবাসী মানুষের জীবনচিত্র
দেশে-বিদেশে (ভ্রমণকাহিনী)কাবুল শহরের কাহিনী
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন (কাব্য)রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়কথা
মৃত্যুক্ষুধা (উপন্যাস)ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষিতে নারী জীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা ও বাস্তব সমাজচিত্র
নীলদর্পণ (নাটক)নীল চাষীদের দুরবস্থা ও নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী
রাজবন্দীর রোজনামচা (স্মৃতিকথা)কারাজীবনের কাহিনী
সারেং বৌ (উপন্যাস)সমুদ্র উপকূলীয় দরিদ্র জীবন
একাত্তরের দিনগুলি (স্মৃতিকথা)মুক্তিযুদ্ধকালীন একজন মায়ের স্মৃতি-বেদনা
লালসালু (উপন্যাস)ধর্ম নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থকারীদের স্বরূপ উন্মোচন
ক্রীতদাসের হাসি (উপন্যাস)স্বাধীনতা (স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকারের শাসনব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করে রচিত)
মরুভাস্কর (কাব্য)হযরত মুহাম্মদ (স) এর জীবনী

সাহিত্যকর্মে নামের সাদৃশ্য

সাহিত্যকর্মধরনলেখক
অভিযাত্রিককাব্যসুফিয়া কামাল
অভিযাত্রিকউপন্যাসবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
জননীউপন্যাসমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
জননীউপন্যাসশওকত ওসমান
পদ্মাবতীকাব্যআলাওল
পদ্মাবতীনাটকমাইকেল মধুসূদন দত্ত
পদ্মাবতীসম্পাদিত গ্রন্থসৈয়দ আলী আহসান
মরুভাস্করকাব্যকাজী নজরুল ইসলাম
মরুভাস্করজীবনী গ্রন্থমোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী
মরুসূর্যকাব্যকাজী নজরুল ইসলাম
মরুসূর্যকাব্যআ ন ম বজলুর রশীদ
মানচিত্রকাব্যআলাউদ্দিন আল আজাদ
মানচিত্রনাটকআনিস চৌধুরী
দেনা পাওনাছোটগল্পরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেনা পাওনাউপন্যাসশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কবরনাটকমুনীর চৌধুরী
কবরকবিতাজসীম উদ্দীন
সভ্যতার সংকটপ্রবন্ধআবুল ফজল
সভ্যতার সংকটপ্রবন্ধ গ্রন্থরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রজনীউপন্যাসবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
রজনীউপন্যাসহুমায়ূন আহমেদ
সাম্যবাদীকাব্যকাজী নজরুল ইসলাম
সাম্যবাদীপত্রিকাখান মুহম্মদ মঈনুদ্দীন
ভাষা ও সাহিত্যপ্রবন্ধগ্রন্থড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
ভাষা ও সাহিত্যপ্রবন্ধগ্রন্থমুহম্মদ আবদুল হাই
রেখাচিত্রপ্রবন্ধগ্রন্থআবুল ফজল
রেখাচিত্রগল্পগ্রন্থবুদ্ধদেব বসু
কবিতার কথাপ্রবন্ধগ্রন্থজীবনানন্দ দাশ
কবিতার কথাপ্রবন্ধগ্রন্থসৈয়দ আলী আহসান
কবিউপন্যাসতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
কবিউপন্যাসহমায়ূন আহমেদ

বাংলা সাহিত্যের জনক

জনকসাহিত্যের শাখা
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়উপন্যাস
সমালোচনা সাহিত্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরছোটগল্প
গদ্যছন্দ
মুক্তছন্দ
মাইকেল মধুসূদন দত্তসনেট (চতুর্দশপদী কবিতা)
নাটক
প্রহসন
আধুনিক কবিতা
মহাকাব্য
অমিত্রাক্ষর ছন্দ
কাজী নজরুল ইসলামমুক্তক মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
গিরিশচন্দ্র ঘোষগৈরিশ ছন্দ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরসাধুরীতি
বাংলা গদ্য
বিরাম চিহ্ন
প্রমথ চৌধুরীচলিতরীতি
বিহারীলাল চক্রবর্তীগীতিকবিতা
রাজা রামমোহন রায়বাংলা ব্যাকরণ
প্যারীচাঁদ মিত্রআলালী ভাষা

বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক

লেখকসাহিত্যকর্মসুলতান (পৃষ্ঠপোষক)
কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাসদেবমহাভারতআলাউদ্দিন হুসেন শাহ
বিপ্রদাস পিপিলাইমনসাবিজয়আলাউদ্দিন হুসেন শাহ
বিজয়গুপ্তমনসামঙ্গলআলাউদ্দিন হুসেন শাহ
শাহ মুহাম্মদ সগীরইউসুফ জোলেখাগিয়াসউদ্দীন আজম শাহ
মালাধর বসুশ্রীকৃষ্ণবিজয়রুকনুদ্দিন বারবক শাহ
কৃত্তিবাসরামায়ণ (অনুবাদ)জালালুদ্দীন মুহম্মদ শাহ
জৈনুদ্দিনরসুল বিজয়শামসুদ্দীন ইউসুফ শাহ
বিদ্যাপতিবৈষ্ণব পদাবলিনাসিরুদ্দীন নুসরত শাহ
কবীন্দ্র পরমেশ্বরমহাভারত (অনুবাদ)নাসিরুদ্দীন নুসরত শাহ

গুরুত্বপূর্ণ চরণ ও উক্তি

মদনমোহনতর্কালঙ্কার

আমার পণ (কবিতা)

-সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।

প্রমথ চৌধুরী

-সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।

-ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে।

ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর

অন্নদামঙ্গল কাব্য
(ঈশ্বরী পাটনীর উক্তি)

-প্রণমিয়া পাটুনী কহিল জোর হাতে
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।

-নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়।

-“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।

-বড়র পিরীতি বালির বাঁধ
ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণেক চাঁদ।

চন্ডীদাস 

বৈষ্ণব পদাবলি

-শুনহ মানুষ ভাই
সবার উপরে মানুষ সত্য
তাহার উপরে নাই।

-সই, কেমনে ধরিব হিয়া?
আমার বঁধুয়া আন বাড়ি যায়
আমার আঙ্গিনা দিয়া।

গগণ হরকরা

লোকসংগীত

(এ গানের কথায় ও সুরে প্রভাবিত হয়ে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আমার সোনার বাংলা’
সংগীতটি রচনা করেন)।

-আমি কোথায় পাবো তারে
আমার মনের মানুষ যে রে।
হারয়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশে
দেশ বিদেশে বেড়াই ঘুরে।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

কপালকুন্ডলা (উপন্যাস)

-পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?
তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?

শেখ ফজলল করিম

স্বর্গ ও নরক (কবিতা)

-কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর!

-সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন
হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।

মুনীর চৌধুরী

রক্তাক্ত প্রান্তর (নাটক)

-মানুষ মরে গলে পচে যায়,
বেঁচে থাকলে বদলায়,
কারণে-অকারণে বদলায়।

রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বাধীনতা হীনতায় (কবিতা)

-স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?
দাসত্ব শৃঙ্খল বল কে পড়িবে পায় হে, কে পড়িবে পায়?

রামনিধি গুপ্ত (নিধু বাবু)

টপ্পা গান

-নানান দেশের নানান ভাষা
বিনে স্বদেশী ভাষা, পুরে কি আশা?

আবুল হাসান

একটুখানি (কবিতা)

-একটুখানি ভুলের তরে অনেক বিপদ ঘটে
ভুল করেছো যারা সবাই ভুক্তভোগী বটে।
একটুখানি বিষের ছোঁয়া মরণ ডেকে আনে
এই দুনিয়ার ভুক্তভোগী সকল মানুষ জানে।

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

দুঃখ বিনা সুখ হয় না (কবিতা)

-কেন পান্থ! ক্ষান্ত হও হেরে দীর্ঘ পথ?
উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?

বুঝিবে সে কীসে (কবিতা)

-চিরসুখী জন, ভ্রমে কি কখন
ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে?
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কীসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।

জীবনানন্দ দাশ

বাংলার মুখ (কবিতা)

-বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি,
তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।

আবার আসিব ফিরে (কবিতা)

-আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে।

বনলতা সেন (কবিতা)

-সব পাখি ঘরে আসে- সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।

কালীপ্রসন্ন ঘোষ

পারিব না (কবিতা)

-পারিব না এ কথাটি বলিও না আর
কেন পারিবে না তাহা ভাব এক বার
পার কি না পার কর যতন আবার
এক বারে না পারিলে দেখ শত বার।

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান

শহিদ স্মরণে (কবিতা)

-কবিতায় আর কী লিখবো?
যখন বুকের রক্তে লিখেছি একটি নাম- বাংলাদেশ!

রফিক আজাদ

ভাত দে হারামজাদা (কবিতা)

-ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো।

সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

পালামৌ (ভ্রমণকাহিনী)

-বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

-আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য,
তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালি।

রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

বাতাসে লাশের গন্ধ (কবিতা)

-জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন।

সুফিয়া কামাল

জন্মেছি এই দেশে (কবিতা)

-জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে।

আবদুল হাকিম

নুরনামা (কাব্য)

-যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।

বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়

দৃষ্টিপাত (উপন্যাস)

-আধুনিক সভ্যতা দিয়েছে বেগ, নিয়েছে আবেগ।

ফররুখ আহমদ

সাত সাগরের মাঝি (কবিতা)

-দুয়ারে তোমার সাত সাগরের জোয়ার এনেছে ফেনা
তবু জাগলে না? তবু তুমি জাগলে না?

সুকান্ত ভট্টাচার্য

হে মহাজীবন (কবিতা)

-প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।

ছাড়পত্র (কবিতা)

-এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

উদ্যোগ (কবিতা)

-বন্ধু তোমার ছাড়ো উদ্বেগ, সুতীক্ষ্ম করো চিত্ত
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।

অতুলপ্রসাদ সেন

বাংলা ভাষা (কবিতা)

-মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

বড় কে? (কবিতা)

-আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়
লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।

-মিছা মণি-মুক্তা হেম, স্বদেশের প্রিয় প্রেম
তার চেয়ে রত্ন নাই আর।

-কতরূপ স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি
বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।

স্বামী বিবেকানন্দ

-জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ

কোনো এক মাকে (কবিতা)

-মাগো, ওরা বলে, সবার কথা কেড়ে নেবে
তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবে না
বলো, মা তাই কি হয়?

কামিনী রায়

পাছে লোকে কিছু বলে (কবিতা)

-করিতে পারি না কাজ
সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে
পাছে লোকে কিছু বলে।

পরার্থে (কবিতা)

-আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

ধনধান্য পুষ্পেভরা (কবিতা)

-ধনধান্যে পুষ্পেভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রানি সে যে আমার জন্মভূমি।

হাছন রাজা

লোকগীতি

-লোকে বলে বলে রে
ঘরবাড়ি ভালা নাই আমার
কী ঘর বানাইমু আমি শূন্যেরও মাঝার।

লালন শাহ

লোকগীতি

-খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।
ধরতে পারলে মন বেড়ী দিতাম পাখির পায়।

কুসুমকুমারী দাশ

আদর্শ ছেলে (কবিতা)

-আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

জীবনসংগীত (কবিতা)

-মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন
হয়েছে প্রাতঃস্মরণীয়
সেই পথ লক্ষ্য করে, স্বীয় কীর্তি-ধ্বজা ধরে
আমরাও হব বরণীয়।

শামসুর রাহমান

তোমকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা (কবিতা)

-ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে
নতুন নিশানা উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগি¦দিক
এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা।

স্বাধীনতা তুমি (কবিতা)

-স্বাধীনতা তুমি
পিতার কোমল জায়নামাযের উদার জমিন।
স্বাধীনতা তুমি
বাগানের ঘর, কোকিলের গান
বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা।

বর্ণমালা, আমার দুখিনী বর্ণমালা (কবিতা)

-তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো
বর্ণমালা, আমার দুখিনী বর্ণমালা।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

বঙ্গভাষা

-পালিলাম আজ্ঞা সুখে পাইলাম কালে
মাতৃভাষা রূপখানি পূর্ণ মণিজালে।

বঙ্গভূমির প্রতি (কবিতা)

-জন্মিলে মরিতে হবে
অমর কে কোথা কবে?

জসীম উদ্দীন

প্রতিদান (কবিতা)

-আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যে বা আমি বাঁধি তার ঘর
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

কাজী নজরুল ইসলাম

দারিদ্র্য (কবিতা)

-হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান।

-কাটাকুঞ্জে বসি তুই গাঁথিবি মালিকা
দিয়া গেনু ভালে তোর বেদনার টীকা।

গাহি সাম্যের গান (কবিতা)

-গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রাণ (কবিতা)

-মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।

আত্মত্রাণ (কবিতা)

-বিপদে মোরে রক্ষা কর
এ নহে মোর প্রার্থনা,
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।

জীবিত ও মৃত (ছোটগল্প)

-কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।

শেষের কবিতা (উপন্যাস)

-গ্রহণ করেছ যত, ঋণী তত করেছ আমায়।

শেষলেখা (কবিতা)

-তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি
বিচিত্র ছলনাজালে, হে ছলনাময়ী।

-মানুষ যা চায় ভুল করে চায়, যা পায় তা চায় না।

সমাপ্তি (ছোটগল্প)

-শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়।

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশকে
উদ্দেশ্য করে

-এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ
মরণে তাই তুমি করে গেলে দান।

দুই বিঘা জমি (কবিতা)

-এ জগতে হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।

-আমি শুনে হাসি, আঁখি জলে ভাসি এই ছিল মোর ঘটে
তুমি মহারাজ, সাধু হলে আজ আমি আজ চোর বটে।

১৪০০ সাল (কবিতা)

-আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহল ভরে।

ন্যায়দন্ড (কবিতা)

-অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।

নমুনা প্রশ্ন

১. ‘নদের চাঁদ’ কোন পালাগানের চরিত্র?

ক) দেওয়ানা মদিনা

খ) কাজল রেখা

গ) মহুয়া

ঘ) চন্দ্রাবতী

উত্তর: গ

২. ‘আলালের ঘরের দুলাল’ উপন্যাসের চরিত্র কোনটি?

ক) নিমচাঁদ

খ) ঠকচাচা

গ) ভাড়–দত্ত

ঘ) নবকুমার

উত্তর: খ

৩. ‘রোহিণী-বিনোদিনী-কিরণময়ী’ কোন গ্রন্থগুচ্ছের চরিত্র?

ক) বিষবৃক্ষ-চতুরঙ্গ-দুইবোন

খ) গৃহদাহ-পথের দাবি-চরিত্রহীন

গ) কৃষ্ণকান্তের উইল-চোখের বালি-চরিত্রহীন

ঘ) দুর্গেশনন্দিনী-যোগাযোগ-চতুরঙ্গ

উত্তর: গ

৪. বিদ্রোহী বধূ ‘জমিলা’ কোন উপন্যাসের চরিত্র?

ক) জননী

খ) পদ্মানদীর মাঝি

গ) লালসালু

ঘ) সারেং বৌ

উত্তর: গ

৫. ‘পথের পাঁচালি’ উপন্যাসে দুই ভাইবোনের নাম কী?

ক) অপু ও শশী

খ) শশী ও কুমুদ

গ) চারু ও দুর্গা

ঘ) অপু ও দুর্গা

উত্তর: ঘ

৬. ‘কবি’ উপন্যাসের চরিত্র-

ক) রমা, রমেশ

খ) নিতাই, বসন

গ) রহমত, খুকী

ঘ) শর্মিলা ও উর্মিলা

উত্তর: খ

৭. ‘কালকেতু’ কোন মঙ্গকাব্যের চরিত্র?

ক) কালিকামঙ্গল

খ) অন্নদামঙ্গল

গ) ধর্মমঙ্গল

ঘ) চন্ডীমঙ্গল

উত্তর: ঘ

৮. ‘অমিত ও লাবণ্য’ চরিত্রদ্বয়ের স্রষ্টা কে?

ক) শরৎচন্দ্র

খ) বঙ্কিমচন্দ্র

গ) রবীন্দ্রনাথ

ঘ) মাইকেল

উত্তর: গ

৯. “আমার স্বপ্ন হোক ফসলের সুষম বন্টন” কোন কবি বলেছেন?

ক) শামসুর রাহমান

খ) সমর সেন

গ) আল মাহমুদ

ঘ) রফিক আজাদ

উত্তর: খ

১০. কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের রচনা কোনটি?

ক) পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।

খ) কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ?

গ) সই, কে শুধাইল শ্যাম নাম।

ঘ) স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়।

উত্তর: খ

১১. ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক, আজ বসন্ত’ চরণটির রচয়িতা – 

ক) সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

খ) সুভাষ মুখোপাধ্যায়

গ) বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়

ঘ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

উত্তর: খ

১২. ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ উক্তিটি কার?

ক) কামিনী রায়

খ) কুসুমকুমারী দাস

গ) কায়কোবাদ

ঘ) রজনীকান্ত সেন

উত্তর: ক

১৩. ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে
মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।’ রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের উক্তি?

ক) আত্মত্রাণ

খ) ন্যায়দন্ড

গ) ১৪০০ সাল

ঘ) কড়ি ও কোমল

উত্তর: ঘ

১৪. লালন শাহ রচিত নয় কোনটি?

ক) আপনার ঘরে বোঝাই সোনা, পরে করে লেনাদেনা।

খ) আমি অপার হয়ে বসে আছি।

গ) আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে রে।

ঘ) দেখ না মন, ঝকমারি এই দুনিয়াদারী।

উত্তর: গ

১৫. ‘আপনারে বড় বলে বড় সেই নয়,
লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়।’ কোন কবির রচনা?

ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

খ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

গ) যতীন্দ্রমোহন বাগচী

ঘ) সুনির্মল বসু

উত্তর: খ

১৬. রূপসী বাংলার কবি কে?

ক) কাজী নজরুল ইসলাম

খ) জীবননান্দ দাশ

গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত

ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

উত্তর: খ

১৭. মুসলিম রেনেসাঁর কবি কে?

ক) ফররুখ আহমদ

খ) কাজী নজরুল ইসলাম

গ) জহির রায়হান

ঘ) কায়কোবাদ

উত্তর: ক

১৮. কাজী নজরুল ইসলামকে কোন ছন্দের জনক বলা হয়?

ক) অক্ষরবৃত্ত

খ) মুক্তছন্দ

গ) মুক্তক মাত্রাবৃত্ত

ঘ) গদ্যছন্দ

উত্তর: গ

১৯. বাংলা ভাষায় বিরাম চিহ্নের প্রচলন করেন কে?

ক) প্রমথ চৌধুরী

খ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

ঘ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

উত্তর: গ

২০. বাংলা সাহিত্যের ‘সাহিত্য সম্রাট’ বলা হয় কাকে?

ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

গ) ঈশ্বরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

উত্তর: ক

তথ্যসূত্র:

১. হুমায়ূন আজাদ, লাল নীল দীপাবলী বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী (১৯৭৬)

২. ক্ষেত্র গুপ্ত, বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস (কলকাতা ২০০১)

৩. ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্য পরিচয় (কলকাতা ২০০৮)

৪. শামসুজ্জামান খান, সেলিনা হোসেন ও অন্যান্য, চরিতাভিধান (বাংলা একাডেমি, জুন ১৯৮৫)

৫. ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষাশিক্ষা : বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০০৪)

৬. ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (অগ্নি পাবলিকেশন্স, এপ্রিল ২০০৪)